"আঁকড়ে ধরা স্মৃতি"
Tuesday, December 29, 2020
Monday, December 21, 2020
মুক্তিযুদ্ধের গল্প
বাবার দেওয়া ভূমি
আমি তখন তৃতীয় কি চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি। যতদূর মনে পড়ে তখন আমি খুব ছোট ।বাবার স্মৃতি গুলো একটু একটু মনে পড়ে।মা-বাবা দুজনেই আমাকে খুব ভালোবাসতো , কিন্তু বাবার খুব কাছের ছিলাম আমি। আমার বাবা পেশায় ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক।কোন লোভ ছিল না তার ,কখন বাড়তি আয়ের আশায় প্রাইভেট পড়াতেন না । ক্লাসের শেষে ছাত্রদের অতিরিক্ত সময় দিতেন তিনি।যারা একটু কম বুঝতো তাদের বাড়িতে ডেকে এনে পড়াতেন বিনিময়ে একটি পয়সাও তিনি নিতেন না।সব সময় তিনি দেশকে ভালো বাসার শিক্ষা দিতেন ,আর বলতেন মা যেমন তার স্নেহ দিয়ে বড় করে তোলে দেশ মাতা ঠিক তেমনি তার আলো বাতাস দিয়ে গড়ে তোলে আমাদের।বাবা কোলে মাথা রেখে আর বাবার মুখে গল্প না শুনলে কোন মতেই ঘুম আসতো না। বেশ কদিন ধরে শুধু বলতো তোর জন্য এক টুকরো স্বাধীন ভূমি রেখে যাবো।আর বলতো জানি না কতো দিন তোকে এভাবে গল্প শোনাতে পারবো । যত প্রশ্ন করেছি ততবার একটি কথাই বলতো আমাকে যেতে হবে জানি না ফিরবো কিনা। আমাদের গ্রামে একটাই রেডিও ছিল সেটা ছিল বাবার কাছেই। সবাই আসতো বাবার কাছে খবর নিতে। বাবা সবাইকে একটা কথাই বলত যে আমাদের তৈরি হতে হবে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য।বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছে আর ঘরে থাকা যাবে না তিনি বলেছেন যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে তৈরি থাকতে হবে। বাবার নিজেই সবাইকে লাঠি নিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন, সেখানে আমার বড় হয় সালামও ছিল। সেদিন রাতে বাবা আমাকে সেই যে ঘুম পাড়িয়ে চলে গেল আর কথা হয়নি কখনো।শুনেছি বাবার পরিকল্পনাতেই আমাদের গ্রাম সহজে শত্রুমুক্ত হয়েছিল। যুদ্ধ শেষ হলো বড় ভাই সালাম ফিরে আসলো কিন্তু আমার বাবা নাকি না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন।আমার বাবাকে পাকিস্তানিরা খুব নির্মমভাবে হত্যা করেছিল কারণ তিনি এই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ হাতে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন এটাই ছিল তাঁর একমাত্র অপরাধ । বাবা ফিরে না এলেও আমাদের জন্য দিয়ে গেছেন এক টুকরো স্বাধীন ভূমি। আর বাবার আদর্শ বুকে নিয়ে আমি আমার দেশকে মায়ের মতোই ভালোবাসবো । আজ ও যখন বাবার কথা মনে পড়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারি না কোনমতেই।।
"ওরা নির্ভীক যোদ্ধা"
শুভ জিত দত্ত
অস্ত্র হাতে ছিলো ওদের
চলল তাদের গুলি
শহীদ হলো সালাম বরকত
উড়লো মাথার খুলি
ভাইয়ের রক্তে ভিজে গেলো
আমার দেশের মাটি
চারি দিকে শোকের মাতম
চলল কান্না কাটি
আকাশ বাতাস ভারী হলো
কান্নার কোলা হলে
এদিক ওদিক সবার মুখে
ভাষার দাবি বলে
বাঁধা ছিলো কতো রকম
গিয়ে ছিলে সেখানে
মাতৃ ভাষা বাংলা দাবি
ওঠে ছিলো যেখানে
"রাজার আইন"
শুভ জিত দত্ত
ব্যাঙ যখন রাজা হলো
নতুন আইন আনলো,
সবাইকে খুব পড়তে হবে
তাতে কিছু জানলো।
মূর্খ হয়ে থাকবে না কেউ
এটা সবাই মানলো,
রাজার আইনে মূর্খ গুলো
রাজ্য ছেড়ে ভাগলো।
শিক্ষা পেয়ে নতুন করে
বাঁচার আশা জাগলো,
জানতে জানতে অনেক কিছু
অজ্ঞতা গুলো ভাগলো।
শিক্ষা যতো বাড়ছে ওদের
জানার সীমা বাড়ালো,
বিস্তার দেখে রাজা এবার
আইন কিছু কাড়লো।
"নিঃস্বার্থ কাছে আসা"
শুভ জিত দত্ত
কাজের হিসেবের মাঝে নয়
কোনো স্বার্থের বেড়া জালে
খুঁজো না আমায় কখনো
যদি কখনো কাছে ডাকতে
ইচ্ছে হয় প্রয়োজন ব্যাতীত
তবে আমি আসবো সব ফেলে
তবে এই সম্পর্ক কি শুধুই
স্বার্থের মাঝে বাঁধা পড়েছে
বার বার নতুন কাজের কথা
যেখানে মনের কষ্ট গুলো
অকারণে শুধু হারিয়ে গেছে
তোমার অবহেলার মাঝে
তাই হয়তো কোনো বাঁধাই
আটকাতে পারিনি শুধু
তোমার অতৃপ্ত মায়া জালে
যদি কাজ ফুরিয়ে যায়
আবার খুঁজতে পারো
ঠিক ফিরে আসবো দেখো
রাখবো না কোনো অভিমান
সব ফেলে আসবো ঠিকই
দেখো শুধু তোমার কাছেই।।
Tuesday, December 15, 2020
ছড়া কবিতা
প্রিয় ছেলে বেলা"
শুভ জিত দত্ত
আবার যদি যেতাম ফিরে
দুরন্ত ছেলে বেলায়,
তোদের সাথে থাকবো মেতে
কতো রকম খেলায়।
ইচ্ছে হলেই তোদের সাথে
মেলবো ডানা মেলে,
তোদের সাথে ছুটে যাবো
সকল কিছু ফেলে।
এদিক ওদিক ছুটে ছুটে
থাকবো সবাই মেতে,
খেলা শেষে ছুটে যাবো
তোদের বাড়ি খেতে।
পুকুর ধারে লিচু গাছে
স্বাদের নেই কি জুরি,
সন্ধ্যা হলে তোদের সাথে
করব মোরা চুরি।
হারিয়ে গেলে যায় কি পাওয়া
পুরানো সময় গুলো,
সবার থেকে প্রিয় ছিলো
আমার বন্ধু হুলো।।
Thursday, December 10, 2020
"তোমার মাঝেই"
শুভ জিত দত্ত
কাছে আমার টেনো না
যদি বেঁধে রাখতে না পারো
আমাকে ছুঁতে যেও না
যদি শয্য করতে না পারো
কথা বলতে যেও না
যদি পছন্দই না করো
আমাকে আর ডেকো না
যদি শুধু সার্থের জন্য খোঁজো
দূরে কখনো ঠেলো না
যদি একবার কাছে টেনে থাকো
বার বার আসতে পারি
যদি কখনো বিপদে তুমি পড়ো
আকাশ ছুঁতে যেও না
যদি হৃদয় ছুঁতে না পারো
আমার কাছে ডেকো না
যদি ছুড়ে ফেলে দাও
নীরব হয়ে থেকো না
যদি কথাই না বলতে পারো
এইভাবে কাছে ডেকো
যদি কখনো মন ছুঁয়ে থাকি।।
Tuesday, December 8, 2020
"তুমি আসবে"
শুভ জিত দত্ত
যানি না কোন সুদূরে
কোথায় তুমি আছো
ইচ্ছে করে তোমার দেখার
সকাল সন্ধ্যা রাত্রি
দিন কাটে না তোমায় ছাড়া
ভাবি অহ রাত্রি
চাইলে পড়ে পাবে আমায়
একটু খুঁজে দেখো
কোন উপমার ধরা দেবে
সেই কথা শুধু ভাবি
গুণতে গুণতে দিন গুলো
ফুরিয়ে গেল বছর
এই আশাতে দিন গুলো তাই
যাচ্ছে আমার ভালোই
অবাক হবে শুনতে শুনতে
আমার জমানো কথা
আজ তাই ভাবছি শুধু
আসবে কবে তুমি।।
Friday, November 27, 2020
"তোমার কথায়"
-শুভ জিত দত্ত
তুমি বললে আমি হারিয়ে
যাবো দূর অজানার দেশে
যেখান থেকে বলবে তুমি
সেখান থেকে করব শুরু
কথার মাঝে হারিয়ে যাব
যদি বলতে শুরু করো
মুখের দিকে থাকবো চেয়ে
দেখবো ঠোঁটের আঁকিবুঁকি
নিশ্চুপ হয়ে শুনবো কথা
যদি আমায় থামিয়ে দাও
হঠাৎ কখন হারিয়ে যাবো
তোমার কথা শোনার মাঝে
চেয়ে থাকবো অবাক হয়ে
কথার ফাঁকে হাসির মাঝে
দেখবে তুমি আমি কেমন
উদাস হয়ে চেয়ে আছি।
Saturday, November 21, 2020
"যাও এগিয়ে"
-শুভ জিত দত্ত
নতুন ছন্দে নতুন দিশায়
এবার ছুটে চলো,
পৌঁছে গেছো অনেক দূরে
প্রাপ্তি কাছে এলো।
আসুক দেখি কতো বাঁধা
ছুটে যেতে হবে,
নির্ভীক থেকে ছুটতে থাকো
সুনাম পাবে তবে।
তোমার দেখে শিখুক সবাই
নতুন কিছু বলা,
করবে শুরু নতুন কিছু
সাথে তোমার চলা।
জানাই অনেক শুভ কামনা
তোমার যাত্রা পথে,
যেদিন তুমি পৌঁছে যাবে
চড়বে জয়ের রথে।
আরো শত বছর আসুক
চলতে থাকুক যাত্রা,
এগিয়ে যাবে লক্ষ্যের দিকে
ছাড়িয়ে যাবে মাত্রা।
Tuesday, November 17, 2020
"শেষ স্পর্শ"
শুভ জিত দত্ত
জানো আজো আড়ালে কাঁদি
তোমার দেখবো বলে
সেই দিন ছেড়ে চলে গেলে
ছিলো ফেরানো চেষ্টা
সেদিন রাত জেগে শুধু
শুধু ফেরানোর আকুতি
সবাই বলছিল হাল ছাড়তে
আমি একবারও শুনিনি
একবার সারাদিয়ে কিছু বলতে
তোমার কন্ঠস্বর শুনতাম
কিছু না বলে হঠাৎ চলে গেলে
সব চেষ্টা বৃথা করে
কেন কঠিন ব্যাধি তোমাকে
কেড়ে নিতে হলো
আমাকে কেন চোখে দেখলো না
হাসি মুখে বিদায় নিতাম
শুধু তোমার স্পর্শ পেয়ে
হাসি মুখে যেতাম চলে
না ফেরার দেশে দিতাম পারি
তুমি ভালো থাকতে।।
Saturday, November 14, 2020
"জমানো কথা"
শুভ জিত দত্ত
শুধু চাওয়া পাওয়ার মাঝে
কেন বার বার বাঁধা পড়া
শুধু কি চওয়া টাই শেষ কথা
কত কথাই তো থাকে জমানো
কত বার চেয়েছো জানতে
শখ মিটাতে মিটাতে হয়তো
ক্লান্তি এসে গ্রাস করে
কিন্তু জামানো কথা বলতে
কখনো ক্লান্তির আঁচ লাগেনা
চাওয়া পাওয়ার খাতায় সযত্নে
কিছুটা কথাও তুলে রেখো
বলতে বলতে দেখবে আমি
কেমন স্বতেজ হয়ে উঠেছি
তখন আর কোন বিরক্তি না
বার বার আগলে রাখা
কোন না কোন কথার ছলে
দেখো চিনতে পারবে না
বার বার অবাক হবে
আর চেয়ে রইবে এই নতুন
আমির দিকে অপলক দৃষ্টিতে
মুগ্ধ হবে এই আমি কে দেখে
শুনবে তুমি জমানো কথা।
Friday, November 13, 2020
"পাখির ভোট"
শুভ জিত দত্ত
পাখিদের ভোট বলে কথা
চারিদিকে হৈ হৈ,
নেতারা সব গাছে গাছে
করে খালি চৈ চৈ।
দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে
শোনায় আশায় বাণী,
ভোটের খবর শুনে নিয়ে
দেখতে আসে রাণী।
মায়না টিয়া প্রতীক পেলো
সবার থেকে সেরা,
কে কার থেকে বেশি পাবে
তারপর জয়ে ফেরা।
উড়ে উড়ে হেসে খেলে
যাই সবাই ভোট দিতে,
কোকিল খুশি সবার থেকে
অনেক ভোটে জিতে।
Wednesday, November 11, 2020
"রাজার সাজা"
-শুভ জিত দত্ত
কানাই রাজার নামের কদর
এক কথায় ছড়ানো,
সময় পেলে নদীর ঘাটে
শখ ঘুড়ি ওড়ানোর।
সবার সাথে মিশে যেতো
উদার মনের ভারি,
সবার সাথে মিশতে হবে
আইন ছিলো জারি।
ফাইন হতো ঝগড়া হলে
যেতে হবে জেলে,
মারামারি সাজা বেশি
খবর একটু পেলে।
ঝগড়া বিবাদ মিটে গেলে
মোহোর দিত ভারি,
কানাই রাজার অঢেল টাকা
কয়েক হাজার হারি।
Friday, October 30, 2020
ধৈর্য্য রেখো
-শুভ জিত দত্ত
তুমি একদিন পৌঁছে যাবে
তোমার আপন পথে,
সেদিন চড়বে সবার থেকে
দামি সোনার রথে।
যদি তুমি লেগে থাকো
ভাগ্য নেবে পিছু,
ধরা দেবে সুযোগ গুলো
বাকি আছে কিছু।
শুধু একটু ধৈর্য রেখো
দমবে না কিছুতেই,
আসতে পারে হাজার বাঁধা
থেমো না শুরুতেই।
আস্তে আস্তে ধরা দেবে
দেখবে কেমন লাগে,
সেদিন দেখো খারাপ সময়
কেমন করে ভাগে।
তুমি পারবে বিশ্বাস রেখো
মনে জ্বেলো আগুন,
তোমার দোয়ারে ধরা দেবে
বসন্তের এক ফাগুন।।
Saturday, October 24, 2020
কবিতা
গ্রামের আলো
-শুভ জিত দত্ত
বাড়ি আমার করিম পুরে
ইচ্ছে হলেই গাইতাম সুরে,
গ্রামের মিষ্টি দৃশ্য দেখে
মনটা আমার গল্প লেখে।
গর্ব আমার বলতে পারি
মুগ্ধ করে গাছের সারি,
খেয়াল খুশি ইচ্ছে হলেই
ডুবে থাকি নদীর জলেই।
আপন রুপে ভুলিয়ে রাখে
এমন গ্রাম যে,মেলে লাখে ,
রুপের বাহার মেলে ধরে
শুধু সবার দেখার তরে।
ভুলে যাবে দুঃখ গুলো
যদি মাখো গ্রামের ধুলো,
দেখবে কেমন রাখে বেঁধে
থাকো শুধু বলবে সেধে।
Wednesday, October 21, 2020
কবিতা
Sunday, October 18, 2020
ছড়া কবিতা
দাদুর স্মৃতি
-শুভ জিত দত্ত
নারু দাদুর দোকান ছিলো
পাড়ার মোড়ের একটু ডানে,
অবাক চোখে থাকতো চেয়ে
আমার আশার পথের পানে।
স্কুল শেষে কজন মিলে
যেতাম দাদুর দোকান ঘরে,
মিষ্টি দিতো প্যাকেট ভরে
যখন আমি পড়তাম জরে।
দাদুর দোকান মিটাই মন্ডা
ছিলো অনেক স্বাদের বাহার,
মুখে দিলেই ভুলে যেতাম
অনেক ছিলো স্বাদ যে তাহার।
কদিন বাদে শুনতে পেলাম
দাদু নাকি গেছেন মরে,
সেদিন থেকে দাদুর কথা
খালি শুধু মনে পরে।।
Saturday, October 17, 2020
ছড়া কবিতা
তাদের ভূমি
-শুভ জিত দত্ত
বাগান মাঠে কচুর ঝোপে
সন্ধ্যা রাতে শিয়াল আসে,
খানিক বাদে গলা ছেড়ে
আড্ডা শেষে সবাই হাসে।
কথার মাঝে ঝগড়া বাধে
তারা এখন কোথায় যাবে,
মানুষ গুলো দালান বাধে
থাকার জায়গা কোথায় পাবে।
মাঠের মাঝে দক্ষিণ কোণে
মানুষ গুলো নিলো কেড়ে,
খাবার অভাব লেগেই থাকে
বাচ্চা গুলো কেঁদে ফেরে।
দূর্যোগ গুলো ধেয়ে আসে
মানুষ গুলো বুঝবে কবে,
সবুজ গুলো ধ্বংস করে
মৃত্যু এবার ডাকছে তবে।
Thursday, October 15, 2020
কবিতা আবৃত্তি
আমার আবৃত্তিতে শিশুতোষ কবি সুকুমার রায়ের লেখা হীতে বিপরীত কবিতা
Wednesday, October 14, 2020
কবিতা আবৃত্তি
আমার আবৃত্তিতে শিশুতোষ কবি সুকুমার রায়ের লেখা অসম্ভব নয় কবিতা
Tuesday, October 13, 2020
কবিতা আবৃত্তি
আমার আবৃত্তিতে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা শিশুতোষ "হাট" কবিতা
Monday, October 12, 2020
কবিতা আবৃত্তি
আমার আবৃত্তিতে কবি সুকুমার রায়ের লেখা শিশুতোষ কবিতা গানের গুঁতো
Sunday, October 11, 2020
ছড়া কবিতা
"শখের ঘড়ি"
-শুভ জিত দত্ত
-
মিনাল বাবুর শখের ঘড়ি
সময় দেখে খাবেন বড়ি,
টাইম দেখে যাবেন হাটে
সবজি কিনে সময় কাটে।
সময় করে আনেন খড়ি
যত্ন করে রাখেন ঘড়ি,
ইচ্ছে হলেই দেখেন ঘড়ি
খেপায় তারে বলে হরি।
তাকে নিয়েই চড়েন গাড়ি
ঘড়ির আছে মুল্য ভারি,
তিনি আবার খাবেন খিরে
সময় দেখে বাড়ি ফিরে।
খাবার খাবে একটু চেখে
যখন তখন ঘড়ি দেখে,
চোখে মারেন জলের ফিকে
তাকিয়ে নিয়ে ঘড়ির দিকে।
কবিতা আবৃত্তি
আমার আবৃত্তিতে কবি সুকুমার রায়ের লেখা শিশুতোষ কবিতা সৎ পাত্র
Saturday, October 10, 2020
সাফল্যের গল্প
"সেখান থেকেই শুরু"
আমার পরিবারের ছোট মেয়ে আমি। আমাকে নিয়ে আমার মা বাবার অনেক স্বপ্ন ছিলো।মা বাবার আশা একটু বেশিই ছিলো।তাদের আশা আমি একদিন বড় এসি ল্যান্ড হবো। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলাম তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এর দিকে পরাশুনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক জগতে মেলে ধরার চেষ্টা করি নিজেকে।একে একে নানা সাফল্য আমার হাতে যখন ধরা দিতে শুরু করলো।মা বাবা আমাকে নিয়ে আরো বেশি গর্ব করতে শুরু করলো। বাবা ছিল আমাদের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।তার ছোট দোকান থেকে তিনি আমাদের পারিবারিক ও পড়াশোনার খরচ বহন করতেন। বাবার ঘাম ঝড়ানো উপার্জনের মুল্য দিতে দিন রাত এক করে নিজেকে তৈরি করতাম।এস এস সি ,এইস এস সি ও অনার্সের রেজাল্ট মা বাবাকে এতো টা আনন্দিত করেছিলো তখন শুধু মনে হচ্ছিল অনেক টা পৌঁছে গেছি সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে।তখন সাংস্কৃতিক জগতে আমার সাফল্যের ধারা অব্যাহত ছিল।তার ভর্তি হলাম মাষ্টার্সে সব কিছুই খুব ভালো চলছিল। দিদির বিয়ের পর মা বাবার কাছে আমি ছিলাম আশার প্রদীপ হয়ে। ঠিক কিছু দিনের মাথায় আমার জীবনে ঘনিয়ে আসলো একটা অন্ধকার রাত। হারাতে হলো যে আমার মাথার উপর ছায়ার মত ছিল। সবকিছু তখন অন্ধকার দেখতে শুরু করলাম। হঠাৎ করে এত বড় শূন্যতা কিভাবে পূরণ হবে বুঝতে পারছিলাম না। সময়ের প্রয়োজনে এবং আর্থিক চাহিদা মেটানোর তাগিদে হাল ধরতে হলো বাবার প্রতিষ্ঠানের। তখন আমি মেয়ে হয়ে হাল ধরলাম বাবার দোকানের। জানি হয়তো অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হবে।ধীরে ধীরে এগিয়ে নিলাম বাবার প্রতিষ্ঠান কে। বাবা চলে যাওয়ার ধাক্কাটা আমি মা কখনো বুঝতে দিয় নি। এবং সেখান থেকে শুরু হল আমার নতুন জীবনের গল্প। পড়াশোনা এবং পাশাপাশি বাবার দোকান এগিয়ে নিয়ে চললাম দু'টোকেই। প্রথম দিকে একটু সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তবে এখন সব মেয়েরা আমাকে নিয়ে অনেক গর্ব অনুভব করে।যখন আমার এই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প বিভিন্ন মানুষের মুখে মুখে ওঠে তখন নিজেকে নিয়ে সত্যিই খুব গর্ব অনুভব করি।এখন যেমন আমি আমার পরিবারের হাল ধরেছি ঠিক তেমনি এই প্রতিষ্ঠান থেকে আমার পড়াশোনার খরচ ও বহন করছে এবং জানি আমি পৌঁছে যাব ঠিকই সেই সাফল্যের দোরগোড়ায়। গর্ব করে বলতে পারি কোন মেয়েই একটি ছেলের থেকে কোন অংশেই কম হতে পারে না। আমি চাই আর পাঁচটা মেয়েও আমার মত ঘুরে দাঁড়াক আর রচনার হোক আরো এমন সাফল্যের গল্প।।
আমার আবৃত্তিতে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা লিচু চোর কবিতা সকলকে শোনার অনুরোধ জানাই
আমার আবৃত্তিতে কবি সুকুমার রায়ের লেখা ষোল আনাই মিছে কবিতা সকলকে শোনার অনুরোধ জানাই
Monday, October 5, 2020
ছোট গল্প
...................................
আমার যত দূর মনে আছে আমি তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। আমার স্কুলের প্রতি আমার একটা ভালো লাগা জন্মেছিলো। আমার স্কুলে যেতে খুব ভালো লাগতো।আর খুব মনযোগ সহকারে শিক্ষকদের কথা শুনতাম। পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলাম না।ঝড় বৃষ্টি যাই হোক আমি ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছে যেতাম।সেই জন্য শিক্ষকরা আমার খুব প্রশংসা করতো।সেদিন শিক্ষক সবার কথা শুনছিলো কে কি হতে চাই ,কে কি করতে ভালোবাসে ।সবাই তাদের ভালোলাগা ও ভবিষ্যৎ কি করতে চাই সে সব কথাই বলছিলো।তবে সব থেকে আলাদা ছিলো সৌমেন সে পশুপাখি খুব ভালোবাসতো তার এই পশুপাখির প্রতি এতো মমতা দেখে তার বাবা তাকে একটি ছাগলের বাচ্চা কিনে দেয়।তার কোন ভাই ছিলোনা সে ছাগল টিকে নিজের ভাইয়ের মতো ভালবাসতো। ভালবেসে ছাগলটির নাম দিয়েছিলো মিনি।সে তার চোখের এক মুহুর্তের জন্যও মিনি কে আড়াল হতে দিতো না ।তার বাবার গরুর খামার ছিলো তিনি যখন গরু গুলোর জন্য খাবার আনতেন সাথে মিনি জন্য আনতে ভুলতেন না।বাবা আসলে দৌড়ে গিয়ে খাবার গুলো নিয়ে ছুটে যেত মিনির কাছে।সে যখন স্কুলে যেত তখন সে একটা দড়িতে বেঁধে রেখে যেতো সে জেনো কোথাও হারিয়ে না যায়। সৌমেনের আদর স্নেহে সে ধীরে ধীরে বড় হতে শুরু করলো।তার বাবা ছিল একজন পশুর ব্যাপারী পাশাপাশি নিজের বাড়িতে পশু পালন করতেন। সৌমেন বেশির ভাগ সময় কাটতো মিনির সাথে।তাই তার প্রতি গভীর মায়া জন্মেছিল। তাকে ছেড়ে কোন আত্মীয় বাড়ি গিয়ে একদিনও থাকতে পারতো না।রাতে ঘুমানোর সময় তাকে এক ঘরে নিয়ে ঘুমাতো।তাকে নিজ হাতে স্নান করাতো সে।বাবার সাথে মাঠে গেলে তাকে সাথে নিয়ে যেতো দড়িতে বেঁধে রাখতো যাতে কোথাও চলে না যাই। বেশ বড় হয়ে গেছে মিনি অনেক লোক দেখতে আসতো তাকে। সৌমেন তখন বুঝতে পারি নি কেন দেখতে আসতো।
সেদিন শনিবার স্কুলে যেতে হবে।সেদিন সকাল থেকে সৌমেন এর মন কেন যেন খুব খারাপ।মিনি কে বেঁধে রেখে গেল একটু আদর করে।কেন যেন ক্লাসে তার ঠিক মন বসছে না ।স্কুল ছুটি শেষে সবাই যখন হৈ হুল্লোড় করতে করতে বাড়ি আসছিলো তখন তার মন কেন যেন খুব খারাপ লাগছিলো।বড়ি এসে দেখে মিনির গলার দড়িটা পড়ে আছে ।মিনি কে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।সৌমেন দড়ি টা নিয়ে দৌড়ে ছুটে গেল বাবার কাছে ।বাবা আমার মিনি কই?তোর মিনি কে ওরা নিয়ে গেছে আমি তোকে একটা নতুন বাচ্চা ছাগল কে এনে দেব।সৌমেন এর কান্না কেউ আর থামাতে পারেনা।সেদিন সে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করেনি।দড়ির দিকে তাকিয়ে বার বার কেঁদেছে।এখন খুব যত্নে রয়েছে সেই দড়িটা।দড়িটার দিকে তাকালে মনে পড়ে সেই মিনির কথা। শ্রেণী শিক্ষকও সৌমেনের কথা শুনে চোখেন জল আটকে রাখতে পারলেন না তার এই মিনির কথা শুনে।এখনো দড়িটা তার বিছানার পাশে বড় যত্নে আছে।।
Thursday, October 1, 2020
"সোনালী স্বদেশ"
শুভ জিত দত্ত
সোনা দিয়ে গড়া ও ভাই
এই আমাদের দেশ,
সবার সেরা জন্ম ভূমি
দেখতে লাগে বেশ।
আলো ছায়া দিয়ে সে তো
সবার করে লালন,
আগলে রাখে মাতৃ স্নেহে
করে মোদের পালন।
সবুজ শ্যামল প্রান্ত জোরা
রুপের ছটায় ভরা,
অতিথি পাখি মুগ্ধ হয়ে
দিলো এবার ধরা।
আকাশ দেখে ক্লান্তি গুলো
বিদায় যখন নেবে,
আমার এদেশ কতো মধুর
তখন দেখো ভেবে।
পাহাড় নদী ছেয়ে আছে
আমার দেশের পথে,
যেথায় সেথায় যেতেই পারো
চরে সোনার রথে।
Sunday, September 27, 2020
শীতের ছুটি
বেশ কয়েক মাস হলো বড় ছুটির খোঁজ নেই। বন্ধুরা সবাই মিলে আর খেলার সময় টুকু হয়ে ওঠে না।সারা দিন পড়ার চাপ তা ছাড়া বাবা মা আর শিক্ষকরা তো আছেই।সবার একটাই কথা প্রথম হতেই হবে। আমার কথা হলো সবাই যদি প্রথম হবে দ্বিতীয়টা কে হবে।এতো চাপ শেষে মাথাটাই না বিগরে যাই।যতো দূর শুনেছি এর ওর কাছে নামি দামি লোকরে নাকি বেশি পড়াশোনাও জানে না।তাহলে আমরাই বা কি করবো এতো পড়াশোনা করে।যদি একটু ঠিক খেলতেই না পারি।যাই হোক সামনে শীত কাল অনেক আইডিয়া ঘুরছে মাথায়। কতদিন পর সব বন্ধুরা মিলে আবার হৈ হুল্লোড় করবো ভাবতেই ভালো লাগে। স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নজর রাখতাম খেজুর গাছ গুলোর দিকে।
শীতের ছুটি পেলেই অভিযান শুরু করতে হবে।মাঝে মাঝে মনে হয় রসের হাঁড়ি গুলো আমার দিকে তাকিয়ে আছে।সবাই যখন শীতে কনকন করে কাঁপে আমরা বন্ধুরা তখন দাপাদাপি করি।তখন আর কে কি বললো মাথায় থাকে না।বাড়ি ফিরতে দেরি হলেই মা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে থাকতো চটাম চটাম করে পিঠে পড়তো।তার পরও ভালো লাগা বলতে এই যে সারাদিন দুষ্টুমি আর দিন শেষে মার খাওয়া পর কিন্তু রাতে মা ঠিকই বুকে জড়িয়ে ধরতো।গ্রামের দুষ্টু ছেলে বলতে আমরাই ছিলাম এমন কোন কাজ ছিল না যে আমার করি নি।আর ছুটি এলেই এভাবে কাটতো দিন গুলো আর পিকনিক তো ছিল সপ্তাহে একটা হয় খিচুড়ি না হয় ডিম ভাত।কন কনে শীতে পিকনিক বেশ জমতো আমাদের বাগানে ছোট্ট একটা হারিকেন নিয়ে। মাঝে মাঝে কেউ তো ভূত ভূত বলে চিৎকার করে উঠতো। খুব মজাদার ছিল সেই শীতের ছুটির দিন গুলো।।
Saturday, September 26, 2020
আমার সম্পাদনায় ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবনের প্রথম শরৎ সংখ্যা
Thursday, September 24, 2020
বৌমার জারিজুরি
-শুভ জিত দত্ত
বৌমা আমার সবার থেকে
একটু বেশি চালু,
ভাতের সাথে খাবে সেতো
কয়েক টুকরা আলু।
কথা বলে সবার থেকে
একটু বুঝে শুনে,
বুদ্ধি করে চলতে পারে
হিসাব করে গুনে।
সবার মুখে বৌমার নামে
সুনাম করে বলে,
বিচার করে বলতে পারে
দেখে শুনে চলে।
দেখতে শুনতে সবার সেরা
বলে আবার ওড়াই,
সময় পেলে বৌমা আমার
ঘুড়ি আবার উড়াই।
রান্না বান্না করে আবার
গানের গলা ভালোই,
বৌমা দেখতে ভালো কিন্তু
ছেলে আমার কালোই।
Sunday, September 20, 2020
"গল্পের ঝুলি"
শুভ জিত দত্ত
দাদুর আছে মস্ত বড়
গল্পের একটা ঝুলি,
সেখান থেকে তিনি শুধু
বলেন গল্পের বুলি।
আমরা কজন ঘিরে ধরে
দাদুর গল্প শুনি,
বিকলে হলে দাদুর আসার
সময় শুধু গুনি।
বিচিত্র কতো গল্প গুলো
আছে সেই ঝুলিতে,
শুনতে শুনতে গল্প গুলো
যেতাম সব ভুলিতে।
মায়ের হাতে জুটতো বকা
যখন যেতাম বাড়ি,
খেতে বসলে মায়ের স্বভাব
দিতো ভরে হাড়ি।
দাদুর কথা বলে পড়লে
বেশি করে যাবি,
মা বলতো দাদুর কাছে
আছে জ্ঞানের চাবি।
Wednesday, September 16, 2020
মহারাজার হুকুম
-শুভ জিত দত্ত
মহা বোঝা পরলো কাঁধে
করতে হবে শিকার,
বয়স যখন হলো বারো
থাকবো কিআর বেকার।
মহা রাজা হুকুম যখন
করতে হবে তামিল,
শিকার ধরার কাজে এবার
হতে হবে শামিল।
এখন বাবা সাথে থাকে
মহারাজার শেপাই ,
আমার এখন পোয়া বারো
কেআর আমার খেপাই।
যেদিন আমি আনব ধরে
মস্ত বড় গরু,
মহা রাজা ভুলেই তিনি
খাবে না আর তরু।
সেদিন থেকে মন্ত্রী হবো
পাবো আস্তো বাড়ি,
রাজ্য ঘুরে তখন আমি
করবো খবর দারি।
Monday, September 14, 2020
অধরা তুমি
শুভ জিত দত্ত
তোমার জন্য যতোটা পেরেছি
করেছি সাধ্য মতো,
তবু তুমি রয়ে গেলে অধরা
এই কি সেই তুমি,
হাজারো স্বপ্ন গুলো যাকে নিয়ে
দেখতে দেখতে সময়টা কাটতো।
তুমি হয়তো কিছু বলো নি
সব কিছুই তো আমার,
মনের খোরাক ছাড়া কিছুনা।
জানো তুমি যদি হাত
ধরতে তবে পূর্ণতা পেতো,
মনের জমানো কিছু স্বপ্ন।
সব কথাই নিজের ভেতর
কিছুটা অজান্তেই রেখে দিই,
কষ্টটা আমারই থাক।
Sunday, September 13, 2020
Friday, September 11, 2020
সিংহের হলো কাশি
-শুভ জিত দত্ত
হঠাৎ করে সেদিন নাকি
সাঁতরে ছিলেন বেশি,
তখন থেকে তিনি শুধু
দোষটা দিলেন বেশি।
শিয়াল নাকি তাকে নিয়ে
নদীতে গিয়ে ছিলেন ,
তখন থেকে রাজা মশাই
তাকে করলো ভিলেন।
কাশতে কাশতে গলা দিয়ে
রক্ত পড়ে শুধু ,
বদ্ধি মশাই বুদ্ধি দিলো
খেতে হবে মধু।
পেটে পড়ে নতুন ওষুধ
কাশি একটু থামলো,
রাজা মশাই রাগের পারদ
একটু কিছু কমলো।
শিয়াল এখন মহা খুশি
আনন্দে নেচে ওঠে,
নাচতে নাচতে তিনি আবর
একটু বেঁচে ওঠে।
Thursday, September 10, 2020
Wednesday, September 9, 2020
তোমার আগমনী বার্তা
তোমার আগমনী বার্তা
-শুভ জিত দত্ত
তুমি যখন এসো ধরায়
শুভ আশিষ নিয়ে,
ভালো রেখো সবার ওমা
ভুবন মাঝে গিয়ে।
নানা সাজে সেজে হঠে
এলো আগমনী,
চারিদিকে বেজে ওঠে
শুনি ওগো ধ্বনি।
শরৎ আসে নীল মেঘে
বারে আনা গোনা,
মনের মাঝে নতুন কিছু
স্বপ্ন গুলো বোনা।
আসবে তুমি সাথে নিয়ে
ভালো লাগার সুবাস,
গড়ে দিও নতুন করে
চিরো শান্তির আবাস।
তোমার আশার প্রহর গুনে
সময় কেটে গেলে,
কাশের মাঠে পরশ নিয়ে
চলছে হেসে খেলে।।
Tuesday, September 8, 2020
Monday, September 7, 2020
গাছের আছে জীবন
গাছের আছে জীবন
-শুভ জিত দত্ত
ওদের আছে তোমার মতো
আস্তো একটা জীবন,
তাদের লতায় পাতায় তৈরি
ঔষধ করো সেবন।
ছায়া দিয়ে আগলে রাখে
আছে অনেক পাতা ,
সবার থেকে ওরা আবার
অনেক বড়ো দাতা।
জীবন বাঁচে তাদের ফলে
আছে পুষ্টি গুণ,
খেতে লাগে অনেক ভালো
সাথে মিষ্টি গুণ।
তবু তোমার তাদের কাটো
যখন ইচ্ছে হলো,
অনেক হলো এবার তবে
ওদের কথা বলো।
ওদের অনেক আঘাত লাগে
যখন তোমার কাটো,
অনেক গরম যখন লাগে
ওদের ছায়ায় হাটো।।
Sunday, September 6, 2020
ভালুক ঘটক
শুভ জিত দত্ত
বনে নাকি হঠাৎ করে
হৈচৈ পড়ে গেছে,
ভালুক করছে ঘটক গিরি
সবাই লাগলো পেছে।
বিয়ে এবার দিতে হবে
পড়লো বিশাল লাইন,
সবার থেকে একটা করে
নিচ্ছেন তিনি সাইন।
এদিক ওদিক সেদিক থেকে
সবাই ছুটে আসে,
তিনি এখন বিপদে পড়ে
জায়গা দিলেন ঘাসে।
তিনি এখন মহা বিপদে
গেলেন রাজার কাছে,
শুনে নিয়ে রাজা মশাই
বললো ওঠো গাছে।
বিয়ে তোমার দিতে হবে
হয়েছো যখন ঘটক ,
আমার সেনা তৈরি আছে
করবে তোমার আটক।
Saturday, September 5, 2020
শিয়াল কাজী
শিয়াল কাজী
Thursday, September 3, 2020
"ধরিবাজ কালু"
-শুভ জিত দত্ত
ঘরের কাছে বাড়ির পাশে
থাকেন কালু দাদা,
তিনি নাকি বৃষ্টি হলে
মাখেন শুধু কাদা।
হঠাৎ করেই তিনি নাকি
হলেন পাড়ার মাথা,
সবাই এখন তাকে নিয়ে
শোনাই নানা গাঁথা।
তিনি এখন সবার মাঝে
হলেন নাটের গুরু,
আড়াল থেকে লোকে বলে
কালুর চামড়া পুরূ।
বিচার করে টাকা খেয়ে
পড়ার লোকে দোষে,
অর্থ দিয়ে তিনি আবার
লেঠেল গুলো পোষে।।
নেশার ঘরে হঠাৎ করে
যাকে তাকে মারে,
লোকে বলে কালু দাদার
ভূতু আছে ঘারে।।
Wednesday, September 2, 2020
কবিতা
শুভ জিত দত্ত
বাবা বলতেন মায়ের বাড়ি
এখন তারার দেশে,
সেখানে তিনি তাদের সাথে
থাকেন ভেসে ভেসে।
আমি যখন খুবই ছোট
বয়স দশ কি বারো,
হঠাৎ সামান্য জ্বরে তিনি
কাবু হলেন আরো।
বুদ্ধি আমার হয়নি তখন
কিছু বোঝার আগে,
কেমন করে ফাঁকি দিয়ে
চললেন আগে ভাগে।
বাবা যখন চোখের জলে
তোমার কথা বলতো,
একটু পরে কাঁদতে কাঁদতে
কষ্ট তখন কমতো।
ছবি হয়ে ছিলে তুমি
আমার মনের কোণে,
কেনো জানি তোমার কথা
ভাবি ক্ষণে ক্ষণে।
Tuesday, September 1, 2020
কবিতা
শুভ জিত দত্ত
ছোট্ট শোনা ছোট্ট শোনা
দেখতে তুমি ভালো,
তোমার কথায় সারা বাড়ি
জললো জ্ঞানের আলো।
ছোট্ট কথা ছোট্ট কথা
বলতে তুমি পারো,
হঠাৎ তুমি করলে ধাঁধা
বয়স যখন বারো।
ছোট্ট মুখে ছোট্ট মুখে
হাজার কথা বলো,
দিতে হবে কিনে তাতো
তুমি যথা বলো।
ছোট্ট হাসি ছোট্ট হাসি
যখন তুমি দিতে,
খেললে পরে কোনো খেলা
তুমি যাও জিতে।
ছোট্ট খুশি ছোট্ট খুশি
সবার মাঝে দাও,
কিনতে হবে তোমার খুশি
হয়কি আবার তাও।।
Monday, August 31, 2020
"রৌদ্রের ঝলকানি"
-শুভ জিত দত্ত
বাইরে প্রচুর গরম পরে
বৃষ্টির দেখা নাইরে,
জমে আছে অনেক কাজ
কেমন করে যাইরে।
সূর্য মামা মাথার উপর
হাহা করে হাসে,
গরম পড়লে একটু খেলে
মরতে হবে গ্যাসে।
গাছের পাতার নড়া চড়া
গরম এলে থামে,
রাস্তা দিয়ে চললে পড়ে
জীবন যায় ঘামে।
ওদিক থেকে বড়ো বাবু
রা রা করে আসে,
কলিগ গুলো তাইনা দেখে
ফেল ফেলিয়ে হাসে।
মেঘের সাথে বন্ধু করে
সূর্য মজা নেবে,
বৃষ্টির কবে আসবে নাকি
কেউ বলবে ভেবে।।
Sunday, August 30, 2020
Saturday, August 29, 2020
"এলো ফিরে খোকা"
-শুভ জিত দত্ত
খোকা এলো শহর থেকে
সঙ্গে নিয়ে গাড়ি,
অমনি দেখতে ছুটে আসে
বাড়ি ঘর ছাড়ি।
অবাক হয়ে চেয়ে থাকে
নতুন গাড়ির পানে ,
এদিক ওদিক চড়বে খোকা
চেপে নতুন যানে।
মায়ের স্বপ্ন পূরণ করে
এলো বাড়ি ফিরে,
আশে পাশের মানুষ গুলো
সবাই ধরলো ঘিরে।
কতো কিছু আনলো খোকা
নিয়ে মায়ের শাড়ি,
সবাই বলে ঢাকায় নাকি
টাকা কাড়ি কাড়ি।
খোকা আবার যাবে ঢাকা
ফিরবে সময় হলে,
সামনে পড়ে করলে সুনাম
খোকা যায় গলে।।
Friday, August 28, 2020
ছোটো গল্প
।।সৌমেনের গাড়ি চড়া।।
কাকাবাবুর একমাত্র ছেলে বড্ড আদুরে। সব সময় ঘর বন্দি।বাইরে যাওয়া বলতে বাড়ির থেকে একটু দূরে কানাই লালের স্কুলে পড়ে সে । কাকাবাবুর বাড়ির সব কাজ রামদুলাল করে তার সাথে স্কুলে যায় সে। মাষ্টার মশাই সে দিন পড়ারছিলেন যানবাহন সম্পর্কে। হঠাৎ প্রশ্ন করলো যানবাহন কত প্রকার বলতো দেখি?সৌমেন উঠে দাঁড়িয়ে বললো চার প্রকার যথা: এক চাকা ,দুই চাকা তিন, চার চাকা।মষ্টার মশাই শুনে যেন হা হয়ে গেলেন।তখন মষ্টার মশাই প্রশ্ন করলেন তুই এসব কার কাছ থেকে শুনলি হে?উওরে বলল বাড়িতে রাম দুলাল জেঠুর কাছ থেকে।যাই হোক সেদিনের মতো ঘন্টা পরে গেল।সে ভাবলো জেঠু কত কিছু জানে।আবার প্রশ্নের উদয় হলো তার মনে! আচ্ছা জেঠু গাড়ি কি ভাবে চড়ে ?জেঠু উত্তরে বলল তুই গাড়ির সামনে দাঁড়ালে গাড়ি তোকে তুলে নিয়ে ছোটা শুরু করবে।সে মনে মনে ভাবলো সে কি অবাক যান।এবার প্রশ্ন নিয়ে হাজির বাবার কাছে গাড়ি কেমন দেখতে হয় ?উত্তরে বাবা সে তো চার চাকা বিশিষ্ট অদ্ভুত যান ভিতরে মানুষ বসিয়ে নিয়ে সে চলতে শুরু করে।বাবার কাছে বলেই ফেলল গাড়ি তে কবে উঠব ?যেদিন তোকে নিয়ে শহরে যাবো সেদিন তোকে আমি গাড়ি চড়াবো। তার মনে নানা অদ্ভুত ধারনা আসতে থাকে গাড়ি সম্পর্কে।কি জানি সে আবার কেমন হয়।মার কাছে শুনলাম গাড়ি নাকি প্যা পু শব্দ করে তার গায়ে কতো রকমের রং থাকে। গাড়ি আবার কথাও বলে নাকি জেঠুর কাছে শুনলাম। এবার গাড়িতে উঠতেই হবে গাড়ির কি ক্ষমতা এক জায়গা থেকে অন্য প্রান্তে নিয়েও যায়। গাড়িতে যদি উঠতে না পারি তাহলে জীবনই বৃথা।বাবা হঠাৎ সকালে বলল চল তোকে এবার চড়বো গাড়িতে। গেলাম সেই অদ্ভুত যান দেখতে।যা জেনেছিলাম তার ১৬আনা মিথ্যে।এদেখি ইঞ্জিন চালিত যান ।তেল ভরলে চলে চার চাকার যানটি।একজন চালক আর হেলপার তাড়াই কথা বলে সবই।সে কারো তুলতে পারেনা হেলপার মহাশয় সবাই কে টেনে তোলে। গাড়িকে সামনে থেকে দেখে সব প্রশ্নের উদ্বেগ দূর হলো।স্বপ্নের গাড়ি চড়ার শখ অবশেষে পূরণ হলো।টং টং করতে করতে পৌঁছে গেলামও শহরে।।
Thursday, August 27, 2020
কবিতা
"বাঘের স্বপ্ন"
-শুভ জিত দত্ত
বাঘ আবার নতুন করে
রাজা হবে ভাবে,
গদি একবার পেয়ে গেলে
অনেক খাবার খাবে।
বানের পশু তার কথায়
উঠবে আবার বসবে,
যখন একটু করবে আগ্গা
শুনলেই ছুটে আসবে।
সেরা খাবার তাহার জন্যে
করবে ওরা তৈরি,
ছাতি নিয়ে থাকবে ওরা
আকাশ যখন বৈরি।
সিংহ তখন আমার গোলাম
আমি যখন রাজা,
ছোট্ট একটু ভুলের জন্য
দেবো অনেক সাজা।
হাতির পিঠে চড়বো আমি
যখন রাজ্য ঘুরবো,
আন্যায় যখন করবে ওরা
তাদের জেলে পুরবো।।
Wednesday, August 26, 2020
"কাদের_করেছো_পর"
-শুভ জিত দত্ত
যারা তোমার করলো বড়
তাদের দূরে ঠেলো,
সুখে দুঃখে ছিলো যারা
বাইরে তাদের ফেলো।
ছোটো থেকে পরম যত্নে
লালন করলো যারা,
বৃদ্ধাশ্রমে রাখলে তাদের
কেমন আছে তারা।
ভূলে গেলে তাদের তুমি
ছিলো যারা আপন,
এখন তুমি মস্ত বড়ো
তাদের করছো গোপন।
অভাব থেকে দূরে রেখে
যারা আনলো এখানে,
তাদের ছেড়ে কেমন করে
আছো তুমি ওখানে।
সম্পদ নিয়ে মহা ব্যস্ত
ভুলো আছো কাদের,
যারা করেছে তোমার জন্যে
খোঁজ রাখো তাদের।।
Tuesday, August 25, 2020
"হারিয়ে যাওয়া"
-শুভ জিত দত্ত
হঠাৎ করে রাগলে পরে
তোমায় লাগে ভালো,
খানিক বাদে বায়না ধরো
ঘুরে আসি চলো।
জলনা দিয়ে অবাক হয়ে
আকাশ চেয়ে দেখো,
সোনা রোদের হাসি টুকু
গায়ে একটু মেখো।
ছাদের কোনে মনে মনে
যখন গান গাইতে,
সারা দিনের ক্লান্তি শেষে
ভুলে যেতে খাইতে।
আমায় সাথে চলতে যখন
উদাস হয়ে থাকতে,
মনের কোণে হঠাৎ তুমি
কিছু ছবি আঁকতে।
আড়াল থেকে চেয়ে থাকি
তখন তুমি রাঁধতে,
তোমার চুলের পরশ নিতাম
যখন তুমি বাঁধতে।।
Monday, August 24, 2020
সার্থ হাসিল
"সার্থ হাসিল"
শুভ জিত দত্ত
আকাশ কুসুম চিন্তা নিয়ে
অবাক হয়ে ভাবি,
বললো নাতো অভাব দেখে
কিছু একটা খাবি।
সেদিন ছিলাম ওদের পাশে
ছুটে গেছি সুখে,
আমার অভাব দেখে ওরা
বলবে কিছু মুখে।
সার্থ নিয়ে সবাই চলে
যখন হাসিল হবে,
আবার কবে লাগতে পারে
খুঁজবে তোমায় তবে।
কারো অধীনে থাকলে পরে
খালি সুযোগ নেবে,
বুঝে শুনে একটু জেনে
চলবে তুমি ভেবে
ভুবন মাঝে জানার আছে
বোঝার আছে কিছু,
ঠকলে তুমি জানবে বেশি
চলবে ওরা পিছু।
Sunday, August 23, 2020
অনুরাধার অনুপ্রেরণা-শুভ জিত দত্ত
দিন গুলো এভাবেই যাবে ভাবিনি কখনো একের পর এক পুরানো দিন গুলো পার করে কখন যে এখানে এসেছি, ফিরে তাকালেই খুব কষ্ট হয়।
তখন এস.এস.সি সবে মাত্র শেষ করলাম।আমি ছোট ছিলাম দায়িত্ব কাকে বলে কখনো বুঝতে দেয় নি বাবা ও বড় ভাই। তবু চেষ্টা করতাম বাবার সাথে সাথে থেকে যদি একটু শেখা যায় কিছু। এভাবে চলে যাচ্ছিল বড় ভাই সিন্ধান্ত নিল সে আলাদা থাকবে ।এই খবর বাবার কানে যাওয়ার সাথে সাথে তিনি ঠিক মেনে নিতে পারেনি। পড়াশোনা চালাতে পারবো কিনা ভাবিনি তার পর যাই হয়েযাক পড়াশোনা ছাড়িনি । চালিয়ে গেছি শত কাজের ভেতর বাবার সাথে সাথে সব কাজ করেছি বাবাকে একা হতে দিইনি কখনো।ক্রমে দায়িত্ব বাড়তে থাকলো ছেড়ে দিতে হলো পড়াশোনা আস্তে আস্তে খামার আরোও বড় হলো ।বাবা মার সিদ্ধান্তে বিয়েটাও সেরে নিতে হলো। ঠিক বাবা মার পর অনুপ্রেরণা বেশি পেয়েছি সে আমার অনুরাধা ।একে একে বাবা মা ছেড়ে চলে যায় না ফেরার দেশে তখন সে আমার বাবা মার অভাব বুঝতে দেয় নি।সে আসার পর শুরু হয় আমার জীবনের পালা বদল ঘুরে দাঁড়াতে থাকে আমার ভাগ্যের চাকা।একটি খামার থেকে আমার পাঁচটি খামার আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আমার কাছ থেকে টাটকা মাছ সবজি গবাদি পশু নিয়ে যায়। আমার অপূর্ণ আশা পূরণ হলো ঠিকই তবে অন্যের অধীনে নয় নিজের অধীনে।এখন আমার খামারে কাজ করে শত শত তরুণেরা জীবিকা নির্বাহ করছে।আর সবটা হয়েছে ইচ্ছা শক্তি ও ধৈর্যের জন্য। আমার ছেলেকে আর কখনো পাঠাবো না কারো অধীনে কাজ করার জন্য।একের পর এক বিভিন্ন পুরষ্কার পেতে শুরু করলাম তখন আমি সবার কাছে একটি অনুপ্রেরণা নাম সৌমেন দাস।সেই অভাব থেকে ঘুরে দাঁড়ানো আজ আমি এখানে।এখন ভাবলে কষ্ট হয় যেই দিন গুলো তে বাবা মার দুমুঠো ভাত জোটে নি।বড় ভাই দেখেও না দেখার ভান করেছে।শত অভাবের মাঝেও ছেড়ে যায় নি অনুরাধা।সে ছিল তাই আমি এখানে বার বার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে যত বার হেরেছি ভাগ্যের সাথে খালি এই অভাব দেখো ঠিক কোথায় চলে যাবে আমার তখন ঘুরে দাঁড়াবোই।এই ছিল আমার ছোট্ট অনুপ্রেরণার গল্প।।
Saturday, August 22, 2020
"প্রজাপতির অভিমান"
-শুভ জিত দত্ত
প্রজাপতি ছেয়ে গেছে
সারা আকাশ জুড়ে,
নতুন গানে গলা জড়িয়ে
গায়ছে নানা সুরে।
হঠাৎ করে রাগের চোটে
পাখির সাথে আড়ি,
খালি নাকি বলে ছিলো
কিসের তৈরি বাড়ি।
পাখি আবার বড়াই করে
তাহার তৈরি নিয়ে,
অভিমানী প্রজাপতি
থাকে বাড়ি গিয়ে ।
বনের পশুর দলের নেতা
হঠাৎ হুমকি দিলো,
পাখির বিচার করতে হবে
শপথ ওরা নিলো।
প্রজাপতির কষ্ট দেখে
সবাই এসে হাজির,
করতে বিচার পাখির দলের
এবার এসেছে নাজির।
রাগের পারদ গললো শেষে
শুনে খুশির কথা,
খুশির কথায় প্রজাপতি
উড়লো যথা তথা।।
Friday, August 21, 2020
"ভুলের সাজা"
-শুভ জিত দত্ত
মাছেই মাছেই যুক্তি করে
প্লান করেছে ভারি,
সবাই মিলে তারা এবার
যব্দ করবে তারি।
মাছের খাবার খাবে বটে
শেষ করবে সবই,
শাস্তি দেবে এবার তাঁকে
মারবে ওরা খুবই।
পুঁটি টেংরা সাথে কাতলা
সঙ্গে আছে ইলিশ,
মিটিং করে ঘন্টা ধরে
সবাই আনে নালিশ।
রাজার জন্য নেইতো উপায়
করবে একটু আহার,
সবাই মিলে গিয়ে শেষে
করলো বেদম প্রহার।
মাছের রাজা বলেই সেকি
ভুল করেই যাবে,
অনেক হলো এবার তবে
মার এবার খাবে।।
Thursday, August 20, 2020
এসেছে শরৎ
"এসেছে শরৎ"
-শুভ জিত দত্ত
আকাশ মেতেছে খুশির ভেলায়
এসেছে নাকি শরৎ,
মেঘের সারি দলে দলে
আবার আসে ফেরত।
শিউলি ফুলের গন্ধ মেখে
কোথায় ছুটে চলে,
কাশের মাঠে বাতাস বইছে
অচেনা কারো ছলে।
সবুজ ঘাসের ফাঁকে ফাঁকে
শিশির জমে থাকে,
অনন্য ফুলে ছেয়ে গেছে
গন্ধ আসে নাকে।
সারা মেলে পাখির দলে
আঁকি বুকি খেলে,
নিয়ে সাথে বিকেল মাঝে
হঠাৎ হারিয়ে গেলে।
বরণ পর্ব চলেই আসে
নতুন সাজ গোজে,
উৎসব জুড়ে লেগেই থাকে
তোমার রুপের খোঁজে।।
Wednesday, August 19, 2020
বাবু কাকু-শুভ জিত দত্ত
প্রতিদিনের এক চিরন্তন অভ্যাস ছিল
কলেজটার ঠিক বাম পাশে একটা ছোট্ট দোকান
বাবু কাকু নামেও তার বেশ সুনাম।
তার দোকানের লুচিপুড়ি তো সেই নাম করা।
একটু পেটে না পড়লে ঠিক আড্ডাটা জমে না।
কত মানুষের পদধুলি পড়ত তার কি ঠিক আছে
সেই তো সেদিন কার ঘটনা বাবু কাকুর দোকানে
দেখলাম বিখ্যাত রাজনীতিবিদ সঙ্গে ডাক্তার
তারাও সুযোগ পেলে ছুটে আসে লোভ সামলাতে
পারে না ।আর আড্ডা তো আছেই বেশ জমপেশ
কাকুর দোকানে না গেলে দিনটাই মাটি
কেমন যেন নিরামিষি হয়ে যায় পুরো দিনটা।
কত মসলা আর সবজি সঙ্গে তার হাতের জাদু
দেখতে দেখতে কয়েকটা বছর জড়িয়ে আছে
বাবু কাকু আর তার কথা গুলো ,কি রে এলি।
মাঝে যখন একটু বেশি খেতাম ঠিক তখনই
বলতো আর খাস না পেটে ব্যাথা করবে,
আর তখন আমার দোষ দিবি আর বাবু কাকুর দোকানের খাবার খেয়ে এই হাল।
আমি বলতাম মরে গেলেও তোমার দোষ দেব না।
তখন থামিয়ে দিয়ে বলতো ও কথা মুখেও আনবি না। আমি বলতাম আর ভালো লাগে না
কত কাল খাবো বাবার পিঠে চেপে।
এই তো বড় হয়ে গেছিস যা সামনে বছর চাকুরী একখান পাবি তখন আবার ভুলে যাস না কিন্তু।
কি যে বলো কাকু তোমাকে ভোলা মাথায় আসেনা।
ঠিক তার কথাই মিলে গেল বছর ঘুরতেই
পেয়ে গেলাম ছোট খাট একটা চাকরি।
ভাবলাম কাকুর দোকানে এবার দোকানে এবার যাবোই খুশির খবর নিয়ে অনেক মিষ্টি সাথে নিয়ে । কিন্তু কাজের চাপ এত বেড়ে গেল কোন মতেই আর সময় করে উঠতে পারিনা একদিন সৌমেন ফোন করলো কেমন আছিস বললাম আছিরে খুব কাজের চাপে কিরে তুই তো আর এলিনা কাকুকে খুশির খবর দিতে তোর কথা কাকু খুব বলতো তোর খবর খোঁজ নিতো। তুই চাকরি পেয়েছিস শুনে কাকু কি মহা খুশি আর বলতে আমাকে হয় তো ভুলেই গেছে কাজের চাপে।জানিস আজ রাতে কাকু চলে গেছে বলে সৌমেন আর কথা বলতে পারছেনা আমি বললাম কি রে কি হয়েছে?
কাকু কোথায় চলে গেছে সৌমেন বলল সে আর আমাদের মাঝে নেই ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে সমস্ত কাজ ফেলে ছুটে গেলাম।দেখা হলোনা সেখানেও তাকে শায়িত করা হয়েছে।কত কথা বলার ছিল কাজ হয় তো সেই কাকুকে দেখা করতে দিলো না খুশির খবর জানাতে দিলো না কত গল্প আর কত স্মৃতি সব তোমাকে নিয়ে তুমি ভালো থেকো বাবু কাকু।।
"প্রিয় নাদুকাকা"
-শুভ জিত দত্ত
নাদু কাকা দেখতে মোটা
চেহারা খানি বেশ,
মাথা ভরা আছে তাহার
অনেক ঘন কেশ।
কথার ঝুলি সঙ্গে রাখেন
বলেন মাঝে সাজে,
শুরু করলে কথার বুলি
থামে কোনো কাজে।
তাহার আছে অনেক সুনাম
যদি যায় খেতে,
এদিকে সেদিক ঘুরে ঘুরে
থাকেন তিনি মেতে।
বিরক্ত হলে কারো উপর
তিনি রেগে যেতেন,
কোথাও কোনো কিছু হলে
দাওয়াত তিনি পেতেন।
রাগ করে তিনি আবার
গোমরা মুখে থাকেন,
একটু পরে ভুলে গিয়ে
তাকেই আবার ডাকেন।।
Tuesday, August 18, 2020
"ঘোষ মশাই"
-শুভ জিত দত্ত
ঘোষ বাড়ি দুধের খনি
সেথাই হাড়ি ভরা,
গোয়াল ভরা গরু আছে
দুধের থাকে কড়া।
তারা আবার সৃষ্টি করে
অনেক স্বাদের মিষ্টি,
দুধ দিয়ে তৈরি তাতে
আছে অনেক পুষ্টি।
ছানা দধি খাঁটি দুধের
করে তারা সন্দেশ,
দধি মিষ্টি কাঁধে করে
নিয়ে ছোটে দূরদেশ।
আরো করে ছানার পোলাও
খেতে লাগে ভালো,
বিয়ে বাড়ি জন্ম দিনে
সবাই খেতে চেলো।
ঘোষ মশাই নামে তাদের
সাবাই একটু ডাকে,
বাড়ি ভরা গরু তাদের
মাঠে ঘাটে থাকে।।
Monday, August 17, 2020
"পোড়ো বাড়ি"
-শুভ জিত দত্ত
রায় বাবুর পোড়ো বাড়ি
ভূতের আসর বসে,
ওদিক থেকে সন্ধ্যা হলে
আওয়াজ ভেসে আসে।
রাত নামলেই ওরা আবার
ভোজন সেরে ওঠে,
কখন জানি হানা দেবে
বাবুর বাড়ির মাঠে।
গন্ধ পেলে একটু খানি
হঠাৎ ধেয়ে আসে,
দেখতে পেলে সামনে থেকে
ওমনি ঝেড়ে কাসে।
ওদের দলে আছে নাকি
মামদো হামদোর বাবা,
রেগে গেলে হঠাৎ করে
তিনি মারেন থাবা।
ভূতের ভয়ে কাঁপতে থাকে
বাবুর বাড়ির লেঠেল,
কথাই কথাই বাবু বলতো
সাহস ওদের অঢেল।
Sunday, August 16, 2020
"বর্ষার দিনে"
-শুভ জিত দত্ত
শুভ্র সকালে বৃষ্টি মুখর
থৈথৈ জলে ভরে,
ভেসে যায় জলে ভিজে
নিয়ে মনের তোরে।
ক্লান্তি গুলো দূরে সরে
যখন বৃষ্টি আসে,
মন খারাপ ছুটি নিয়ে
জল হয়ে ভাসে।
ইচ্ছে করে সারা দিতে
ভিজে যেতে কালকে,
হারিয়ে যাওয়া সুযোগ নিতে
এমন সময় চায়কে।
কাঁদা জলে ভরে যাবে
থেমে রবে প্রান্তরে,
অথৈ ব্যাথা যাবে সরে
খানিক মনের অন্তরে।
বর্ষার প্রতি সময় গুলো
মনে রাখার মতো
বর্ষা চলে গেলেই পরে
দুঃখ বাড়ে ততো।।
Saturday, August 15, 2020
"জামাই বাবু"
-শুভ জিত দত্ত
দাদা বাবু সেজে গুজে
যাবে বিয়ে করতে,
সারা পাড়া ঘুরে ঘুরে
কিছু মানুষ বলতে।
যেতে রাজি হয়না বলে
বাড়ি বয়ে ডাকতে,
সহজে রাজি হলো নাতো
গরুর গড়ি চড়তে।
শালা শালী যুক্তি করে
কাছা এবার খুলবে,
এটে নিয়ে বুদ্ধি খানি
সফল করে ফেলবে।
খাওয়া দাওয়া দেখে শুনে
করে দাদা বাবু,
শালীর হাতের শরবত খেয়ে
বাবু হয় কাবু।
এদিক ওদিক দেখে শুনে
তিনি সুযোগ খোঁজে,
দৌড় মারে শেষে এসে
কাছা খানি গুঁজে।।
Friday, August 14, 2020
"কাকুর ছেলে"
-শুভ জিত দত্ত
পাশের বাড়ির কাকুর ছেলে
দেখতে শুনতে ভালা,
তাহার গায়ের রং টি বাবা
একটু খানি কালা।
কথাই কথাই লাগায় ঝগড়া
বলতে গেলে বাধা,
দেখে শুনে লাইন মারে
পটাই খালি রাধা।
কাকু খালি চিন্তাই থাকে
কবে হবে সাধা,
ছেলে বড় হলো তবে
থেকে গেলো গাধা।
চাঁপা বাজি করতে পারে
এরওর সাথে ভালোই,
অতিষ্ঠ থাকে তাহার উপর
পাশে থাকে যতোই।।
"আমার দেশ"
-শুভ জিত দত্ত
স্বদেশ আমার স্বাধীন ভূমি
যেথায় ডানা মেলি,
যখন তখন যেথানে সেখানে
ইচ্ছে হলেই খেলি।
হতে পারি বাঁধন হারা
আমি আমার দেশে,
বলতে পারি অনেক কথা
একটু আমি হেসে।
করেতে পারি গলা ছেড়ে
দেশের জন্য চিৎকার,
ক্ষতি করলে আমার দেশের
দিতে পারি ধিৎকার।
বলতে পারি গর্ব করে
আমার দেশের কথা,
দেখতে পারি দুচোখ মেলে
আমার দেশের গাঁথা।।
Wednesday, August 12, 2020
"ছায়ার মাঝে"
-শুভ জিত দত্ত
তোমার খুঁজে ফিরি আমি
কোন অজানা দেশে
যখন নীরবে থাকি বসে।
সময় কখন মনে প্রানে
তোমাকে চায় পেতে
এই শ্রাবণ আষাঢ় মাসে।
যখন আকাশ মেঘে ঢাকে
পড়ন্ত বিকেলে বেলায়
তুমি হঠাৎ এসো অনায়াসে।
থাকবো বসে ছায়ার সাথে
যেখানে তুমি আসতে
কথা হতো নানা আভাসে।
নির্জনে বসে থাকতে একাকী
আসতাম শেষে আমি
কথা দিয়েছি তোমার আশ্বাসে।
"পাশের পাড়া"
-শুভ জিত দত্ত
পাশের পাড়ার মানুষ গুলো
বড়াই করে বলে,
তাঁরাই নাকি সবার থেকে
সেরা বাক্য বলে।
দেখতে শুনতে তাঁরাই নাকি
সবার থেকে সেরা,
রুপে গুণে তারা আবার
হচ্ছে বিশ্ব সেরা।
বললে পরে মুখের পড়ে
ওমনি চেপে ধরে,
এদিক ওদিক দেখে শুনে
গলা টিপেই ধরে।
রাস্তার ধারে দেখা হলে
মুখ ঘুরিয়ে রাখে,
ওরাই আবার ভুল করলে
মুখে কাঁদা মাখে।
ওরাই নাকি ভালো আছে
পাশের পাড়ার থেকে,
গর্ব করে বলতে পারে
তারা মন থেকে।।
Tuesday, August 11, 2020
"ননী বাবুর রান্না ঘর"
--শুভ জিত দত্ত
বাবুর বাড়ি রান্না ঘরে
হরেক পদে ঠাসা,
ননী বাবুর হাতের ছোঁয়ায়
রান্না হয় খাসা।
মসলা আছে কয়েক প্রকার
দিল্লি থেকে আনা,
জিরে থেকে শুরু করে
আছে আনাচ দানা।
সকাল থেকে শুরু হয়ে
চলছে রান্না বান্না,
একটু বেশি দিলেই কিছু
তিনি আবার খান্না।
কসা মাংস সরষে ইলিশ
শেষে আছে দই,
খাওয়া দাওয়া হলো তবে
টক গেল কই।
পস্ত দিয়ে রাঁধেন তিনি
কোনা বাড়ির আলু,
তিনি আবার খান না একা
থাকে সাথে লালু।।
"রাগের চোটে"
--শুভ জিত দত্ত
বাবু সোনা রেগে গেলে
কিছু ভেঙে শোনে,
কোন কিছু বলে না যে
অংক খালি গোনে।
রাগ করে বলে না যে
কারো সাথে কথা ,
গোমড়া মুখে থাকে যে সে
খেলনা নিয়ে তথা।
কোন কথায় ভোলে না সে
চাই তার নাটাই,
বানাবে সে নানা ঘুড়ি
মাথা তো সে খাটাই।
নানা ছুতোয় যাবে মাঠে
ধরতে গেলেই আপত্তি,
মা তাই একটু গেলেই রেগে
বাধে যত বিপত্তি।
সারা পাড়া ঘুরে শেষে
আসে কান্ড করে,
সন্ধ্যা হলে ঘুমিয়ে পড়ে
মা কে ধরে আঁকরে।।
Monday, August 10, 2020
ছড়া কবিতা
"বিড়াল জুটি"
--শুভ জিত দত্ত
টুনির ছিল বিড়াল দুটি
দেখতে সাদা কালো,
চুপটি করে বসে থাকে
স্বভাব ওদের ভালো।
লেজ গুটিয়ে খেতে বসে
বেড়ে দিলেই হলো,
ইঁদুর গুলো ভয়ে থাকে
হঠাৎ বিড়াল এলো।
কখন আবার খাবে গিলে
এটাই কাল হলো ,
রাত হলে জেগে থাকে
নজর সজাগ ছিলো।
ভয়ে ভয়ে খাবার খেতে
আসে ইঁদুর গুলো,
পড়লে ধরা ওদের হাতে
কঠিন শাস্তি দিলো।
দিন হলেই ঘুমিয়ে পড়ে
একটু ক্লান্ত হলো,
খেলতে দিলেই খুশি খুব
মিলো আর হুলো।
Sunday, August 9, 2020
"ভাত খাবনা"
--শুভ জিত দত্ত
যত বায়না ভাতের সাথে
কত রকম অজুহাত,
নানা রকম বাহানা শেষে
খোকা হয় কাত।
ভাত খেতে খাটনি বেশি
তাই সে খাবেনা,
ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে
মা হাল ছাড়েনা ।
নিত্য নতুন কাহিনী শুনে
যদি খেতে চায়,
কোন কিছুতে ভোলে না
শুধু ছুটে যায়।
খোকা খালি হেসে বলে
ভাত আমি খাবনা,
মা তাই রেগে বলে
পার্কে নিয়ে যাবনা।
খাওয়া নিয়ে ঝগড়া টা
চলছে বহু কাল,
খোকা তাই না খেয়ে
হচ্ছে বেহাল।
Friday, August 7, 2020
কবিতা
"কথা পাগল"
--শুভ জিত দত্ত
বলতে পারে অনেক কথা
শুনতে লাগে ভালো,
কথার মাঝে ভুলিয়ে রাখে
চেয়ে থাকতে হলো।
অনেক কিছু বলতে পারে
জ্ঞানের নেই সীমা,
বলার ছিল অনেক কিছু
কথা থাকে জমা।
এরওর সাথে ডেকে ডেকে
শোনাই নানা কথা,
বলতেনা পারলে একটু কিছু
লাগে তার ব্যাথা।
এর মধ্যে মজে থেকে
ভুলে সব থাকে,
অনেক গল্প জানেন তিনি
বলবে তিনি কাকে।
একটু বললে মন ভরেনা
বলতে বেশি হবে,
হোক বিরক্ত তাতে তার
কিবা এসে যাবে।।
Sunday, August 2, 2020
কবিতা
Saturday, August 1, 2020
Thursday, July 30, 2020
"শখের বসে"
Monday, July 27, 2020
কবিতা
--শুভ জিত দত্ত
কালো মেঘ ভেসে আসে
শ্রাবণ আষাঢ় মাসে,
হঠাৎ করে বর্ষা নামে
গরম একটু কমে।
কখন আবার মেঘ সরে
সূর্যি উঁকি মারে,
আলো ছায়ার খেলা চলে
বিকাল নেমে এলে।
মেঘে মেঘে বেলা গুলো
দিনশেষে ছুটি নিলো,
চাঁদ তারা ঢেকে যায়
মেঘেদের হবে ঠাঁয়।
রাস্তা ঘাট ডোবে জলে
বৃষ্টি একটু হলে।
বর্ষার মৌসুমে প্রকৃতির ডাকে
পাখিরা উড়ে ঝাঁকে।
ব্যাঙ গুলো ডেকে ফেরে
নদী পুকুর পাড়ে,
বদল দিনে এরুপ কেন
নতুন লাগে যেন।।
Saturday, July 25, 2020
কবিতা
--শুভ জিত দত্ত
আসবে আবার সময় পেলে
যখন লাগে ভালো।
দেখবো তোমার সময় পেলে
যখন ইচ্ছা হলো,
ভাববো আমি তোমার নিয়ে
মন যখন চেলো।
পাখির মত ইচ্ছে হলেই
ডানা তুমি মেলো,
আমার নিয়ে হারিয়ে যেয়ো
বয়স হোক ষলো।
দেখতে আমি খুব খারাপ
তোমার থেকে কালো,
কথা কিছু আছে বলার
সময় পেলে বলো।
ভালোবাসা হয় কি ওজন
গ্রাম কিংবা কিলো,
তোমার নিয়ে স্বপ্ন গুলো
আশা হয়ে ছিলো।।
Sunday, July 19, 2020
--শুভ জিত দত্ত
ভিন রাজ্য ঘুরে ফিরে
খোকন এলো ঘরে,
দায়িত্ব পেয়ে খোকন বাবু
তিনি হলেন কাবু।
এত শত কাজের ভিরে
মাথা যেতো ঘুরে,
রাত জেগে ভেবে দেখে
থাকবে সুখে দুখে।
এতো বড় রাজ্যো যে তাই
আনন্দে ভাত খাই।
মন্ত্রী মশাইয়ের কথা গুলো
লাগতো মজা ভালো,
প্রজারা সব মহা সুখে
নাম করে মুখে।
শেপাই পেয়াদা সাথে করে
রাজ্যে যেতেন ঘুরে,
কাজের ফাঁকে সময় দেখে
খাবার খেতেন চেখে,
তার ছিল স্বভাব কিছু,
যেত তার পিছু পিছু।
তাকে পেয়ে সবাই খুশি
আনন্দে বাজায় বাঁশি।।
Monday, July 13, 2020
কবিতা
--শুভ জিত দত্ত
লোকে যে যাই বলুক
করতে পারি কি,
আমার মতো আমি চলি
করো সাথে না লাগি।
খাই দাই ঘুমাই ভাই
একটু গান গাই,
শুনতে শুনতে সয়ে গেছে
আর লাগে না গায়ে।
দু চার কথা বললে পরে
সব যাবে থেমে,
পড়লে পরে কেউ বিপদে
আমার যেতে হবে।
পেছন থেকে মারতে খোঁচা
ওরাই সুযোগ নেবে বাঁছা ,
করতে পারে তোমার ক্ষতি
সুযোগ পেলে দেবে লাথি।
কারো কথায় তাল না দিলে
কি কার এসে গেলে,
হাসতে হাসতে উড়িয়ে দিতে
তুমি ভাই পারতে।।
Tuesday, July 7, 2020
কবিতা
Thursday, July 2, 2020
পড়ালেখা
Wednesday, July 1, 2020
Friday, June 26, 2020
-শুভ জিত দত্ত
বলেছিলাম আসবো ফিরে
যে ভাবে হোক তোর কাছে
আছি এখন খুব কষ্টে
মরণ যন্ত্রনা শয্য করে
দেশের তরে যাই যদি
প্রাণ দেব হাসি মুখে
ছায়ার মতো থাকবো পাশে
করিস নে ভয় আছি সাথে
স্বাধীন করে আসবো ফিরে
বীরের বেশে তোদের কাছে
দেখবি তখন করবো মজা
বাপ ছেলে দুজন মিলে
মাতিয়ে রাখবো দেখিস তুই
করবো কতো খেলা তখন
স্যালুট দিবি তখন আমার
ভরবে বুক গর্বে আমার
ইচ্ছে আছে তোদের নিয়ে
ঘুরব কতো মজার দেশে
হবে কি না আসা ফিরে
মৃত্যু মিছিল হতে থাকে দীর্ঘ।।
Wednesday, June 17, 2020
অপেক্ষার অবসান
Sunday, May 24, 2020
ঈদে নিয়ে লেখা কবিতা
-শুভ জিত দত্ত
ওই উঠেছে আকাশে চাঁদ
কালকে খুশির ঈদ
একটি মাস রোজা শেষে
আসে খুশির ঈদ
নামাজ শেষে কোলাকুলি
বড় ছোট নির্বিশেষে
নানা রকম আয়োজনে
মেতে থাকি সবাই মিলে
দুঃখ সুখের ভাগাভাগি
করব সবাই মিলে
নতুন জামা নতুন জুতা
পড়বো মজা করে
ঘোড়াঘুড়ি খাওয়া দাওয়া
নাইকো মজার শেষ
লাচ্ছা সেমাই ফিরনি মিটাই
নানা রকম আয়োজনে
ঈদ জমে ওঠে
ভেদাভেদ ভুলে সবাই
আনন্দে মেতে ওঠি
সরিয়ে যত দুঃখ গুলো
Friday, May 8, 2020
Wednesday, May 6, 2020
Thursday, April 23, 2020
-শুভ জিত দত্ত
কি জানি এক অন্ধকার সময়ে
প্রবেশ করতে হলো
প্রতিনিয়ত যেখানে মৃত্যু ভয়
তাড়া করে বেড়ায়
আপন মানুষ গুলো আজ
ভয়ে সড়ে যায়
কষ্ট যেখানে খিদের জ্বালায়
ভুগতে থাকা মানুষগুলো
অপেক্ষা যেন দীর্ঘ হয়
সময়ের পালা বদলে
দেখতে দেখতে মাস গুলো
চলে গেল কাঁদিয়ে
হারানো মানুষ গুলো চিরকাল
রয়ে যাবে স্মৃতিতে
শত চেষ্টা আজ বিফলে
উত্তর যেন অধরা
তবু থামবে এই চেষ্টা
যদি জয় হয়
সেদিন যেন বয়ে যাবে
শান্তির চির সুবাতাস
Wednesday, April 15, 2020
-শুভজিত দত্ত
বৈশাখের এই ক্ষণে
আকাশ মেঘে ঢাকে
বিশাল এক ঝড়ে
সব শেষ করে
নিঃস করে সব শেষে
ঝড় থামে তবে
বৈশাখের এই দিনে
ঘরে ঘরে উৎসবে
সবাই মেতে থাকে
নানা আয়োজন মাঝে
সবাই যাই মিশে
কত ঋতু মাঝে
বৈশাখ দিয়ে শুরু
সব বাঙালি মাঝে
ভেদাভেদ দুড়ে ঠেলে
মিশে যায় এক হয়ে
বৈশাখ এলেই পান্তা ইলিশ
ঘরে ঘরে শোভা মেলে
অশুভ শক্তি যত
দূরে যাক এই ক্ষণে
Saturday, March 28, 2020
অবাক রাজা
- শুভ জিত দত্ত
চন্দ্র রাজার মস্ত দেশে
কায়দা কানুন বেখায়ালে।
যখন তখন যাকে তাকে
পেলেই ধরে রাস্তা থেকে।
হিসেব করেই শাস্তি দেবে
কড়াই গন্ডাই উসুল করে।
খানিক বাদে ছেড়ে দেবে
ইচ্ছা হলেই ঢুকিয়ে দেবে।
কসাই রাজার মন্ত্রী মশাই
হাত পা মেলে ঘুমিয়ে পড়ে,
শখ যে তার রাজা হওয়ার।
নিয়ম কানুন বলতে নেই
যে যার মত চলছে সবাই।
ছোট্ট ভুলে শাস্তি বেশি
ভূল করলে করবে বেশি,
নাইলে আবার শাস্তি জোটে
আজব রাজার কাণ্ড দেখে
প্রজারা সব রাজ্য ছাড়ে।
রাজা মশাই হতাশ হয়ে
সব ভুল বুঝতে পারে।।