অনুরাধার অনুপ্রেরণা-শুভ জিত দত্ত
দিন গুলো এভাবেই যাবে ভাবিনি কখনো একের পর এক পুরানো দিন গুলো পার করে কখন যে এখানে এসেছি, ফিরে তাকালেই খুব কষ্ট হয়।
তখন এস.এস.সি সবে মাত্র শেষ করলাম।আমি ছোট ছিলাম দায়িত্ব কাকে বলে কখনো বুঝতে দেয় নি বাবা ও বড় ভাই। তবু চেষ্টা করতাম বাবার সাথে সাথে থেকে যদি একটু শেখা যায় কিছু। এভাবে চলে যাচ্ছিল বড় ভাই সিন্ধান্ত নিল সে আলাদা থাকবে ।এই খবর বাবার কানে যাওয়ার সাথে সাথে তিনি ঠিক মেনে নিতে পারেনি। পড়াশোনা চালাতে পারবো কিনা ভাবিনি তার পর যাই হয়েযাক পড়াশোনা ছাড়িনি । চালিয়ে গেছি শত কাজের ভেতর বাবার সাথে সাথে সব কাজ করেছি বাবাকে একা হতে দিইনি কখনো।ক্রমে দায়িত্ব বাড়তে থাকলো ছেড়ে দিতে হলো পড়াশোনা আস্তে আস্তে খামার আরোও বড় হলো ।বাবা মার সিদ্ধান্তে বিয়েটাও সেরে নিতে হলো। ঠিক বাবা মার পর অনুপ্রেরণা বেশি পেয়েছি সে আমার অনুরাধা ।একে একে বাবা মা ছেড়ে চলে যায় না ফেরার দেশে তখন সে আমার বাবা মার অভাব বুঝতে দেয় নি।সে আসার পর শুরু হয় আমার জীবনের পালা বদল ঘুরে দাঁড়াতে থাকে আমার ভাগ্যের চাকা।একটি খামার থেকে আমার পাঁচটি খামার আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আমার কাছ থেকে টাটকা মাছ সবজি গবাদি পশু নিয়ে যায়। আমার অপূর্ণ আশা পূরণ হলো ঠিকই তবে অন্যের অধীনে নয় নিজের অধীনে।এখন আমার খামারে কাজ করে শত শত তরুণেরা জীবিকা নির্বাহ করছে।আর সবটা হয়েছে ইচ্ছা শক্তি ও ধৈর্যের জন্য। আমার ছেলেকে আর কখনো পাঠাবো না কারো অধীনে কাজ করার জন্য।একের পর এক বিভিন্ন পুরষ্কার পেতে শুরু করলাম তখন আমি সবার কাছে একটি অনুপ্রেরণা নাম সৌমেন দাস।সেই অভাব থেকে ঘুরে দাঁড়ানো আজ আমি এখানে।এখন ভাবলে কষ্ট হয় যেই দিন গুলো তে বাবা মার দুমুঠো ভাত জোটে নি।বড় ভাই দেখেও না দেখার ভান করেছে।শত অভাবের মাঝেও ছেড়ে যায় নি অনুরাধা।সে ছিল তাই আমি এখানে বার বার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে যত বার হেরেছি ভাগ্যের সাথে খালি এই অভাব দেখো ঠিক কোথায় চলে যাবে আমার তখন ঘুরে দাঁড়াবোই।এই ছিল আমার ছোট্ট অনুপ্রেরণার গল্প।।
No comments:
Post a Comment