Shubhajit Datta - শুভ জিত দত্ত: গল্প
Showing posts with label গল্প. Show all posts
Showing posts with label গল্প. Show all posts

Monday, January 22, 2024

ছোট গল্প রহস্য ঘেরা বুড়ির ঘর

 রহস্য ঘেরা বুড়ির ঘর

-শুভ জিত দত্ত 


আমাদের গ্রামের ঠিক দক্ষিণ দিকে এক মস্ত কুড়ে ঘর ছিল, সেখানে এক বুড়ির বাস।কি ভয়ংকর চেহারা শুনেছি মানুষের মুখে ,তাই ভয়ে ওই মুখো হতো না কেউ।স্কুল থেকে ফেরার পথে দেখতাম,আর মনের মধ্যে নানা রহস্য উঁকি দিতো। তবু ভয়ে যাওয়া হয়ে ওঠে নি কখনো। শুধু দূর থেকে কুড়ে ঘর দেখেছি বুড়িকে কখন দেখি নি। সেদিন শুক্রবার ছিল আমরা চার জন বন্ধু এর মধ্যে আবার একজন বেশ ভীতু ছিল। আমাদের দেখার ইচ্ছা এবার পূরণ করতেই হবে ,খেলার নাম করে সেদিন বের হওয়া বাড়ি থেকে খুব সকালে।যখন কুড়ে ঘরটির খুব কাছে চলে এলাম,সব থেকে সাহসী আমার বুকে ধুকপুক আরো বেড়ে গেল।আস্তে আস্তে জানলার দিকে এগোতে চোখে পড়লো এক আশ্চর্য হাড়ি, বুড়ি ওই হাঁড়িতে যাই চাচ্ছিল সেই খাবার মুহূর্তের মধ্যেই হাজির হয়ে যাচ্ছিল। কত রকমের খাবার মন্ডা মিঠাই পোলাও কোরমা কোন কিছুর অভাব নেই। আমাদের মধ্যে রাজু বেশ পেটুক ছিল, ও আমাকে ফিসফিস করে বলে উঠলো আহারে কি মজার মজার খাবার যদি খেতে পারতাম। তখন আমি কোনমতেই রাজুকে সামলিয়ে রাখি । বুড়ি যখন হঠাৎ বাগানের দিকে এগোচ্ছিল আমরা তখন আমরা চুপিসারে খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে তার ঘরের দিকে ঢুকতেই এক জাদুকরী জাল আমাদের সবাইকে আটকে ফেলল , অনেক ক্ষণ পর বুড়ি এলো অবশেষে, আমাদের তো প্রাণ যায় যায় অবস্থা তারপর বলে উঠল তোরা কে রে বাবা ,কোথায় থাকিস ভয় পাস না আমাকে ।আমি তোদের কাউকে কিছুই বলবো না ।কতদিন ধরে এভাবে আছি একা একা আছি কেউ আসে না আমার কাছে ।তোরা কি খাবি বল তোদের সব কিছু খাওয়াবো আজ অবশেষে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। আমাদের বাইনা অনুযায়ী ,সে সব রকম খাবার মুহূর্তের মধ্যে হাজির করে ফেলল। সেদিন আমরা পেট পুরে খেলাম বুড়ি বলল আমাকে আর কখনো ভয় পাবি না তোরা ,আমি কি কারো ক্ষতি করেছি কখনো তবে ভয় পাস কেন। এখন থেকে ছুটির দিনে মাঝে মাঝে আসবি আর এমন মজার মজার খাবার খেয়ে যাবি আমার কাছ থেকে মনে থাকে যেন। সেদিনকার মত বিদায় নিলাম আর মনের মধ্যে থাকা ভয় অবশেষে দূর হলো। এরপর থেকে মাঝে মাঝে যেতাম আর ইচ্ছা মত খাবার খেতাম জাদুর বুড়ির কাছ থেকে।।







Thursday, January 4, 2024

ছোট গল্প স্বেচ্ছাসেবক

স্বেচ্ছাসেবী তারাই যারা বিনা স্বার্থে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় যখন যেমন পারে তাদের নিয়ে ছোট্ট একটি লেখা

স্বেচ্ছাসেবক
-শুভ জিত দত্ত 
বাড়িটা ঠিক রেল লাইনের ধারেই কোন রকমে টিনে ছাওয়া। বর্ষা বৃষ্টি এলেই টপ টপ করে জল পড়েই । তবু এই ঘরেই দুজনের সংসার কোনো রকমে চলে যায় । খাওয়া সেতো জোটে আবার মাঝে মাঝে জোটেই না।ঘুম হয় না ঝড় আর বৃষ্টির রাতে, শীত কাঁপতে কাঁপতে সকাল হয়। রোগ বালাই আমাদের ঠিক আসে না জালনা দিয়ে পালাই ,যেই না রোগা দেহ তার আবার অসুখ বিসুখ। আর আমাদের ভোট বলতে কোনো রকমে নেতাদের উঁকি মারা । আশ্বাসের বুলি আওড়ে কোন রকমে পাঁচটা বছর দেখা না করা। নেতা আসে নেতা যায় এই বাড়ির বেহাল দশা ওমনি পড় রই। আমাদের কাছে মানুষ মানে তারাই, যারা বেঁচে যাওয়া খাবার আমাদের জন্য আনে।নানা সাহায্য যখন যেমন পাই তাই নিয়ে ছুটে আসে এরা আমাদের নেতা।এই নেতাদের অঢেল নেই,থাকলে হয়তো তাও দিয়ে যেত । সারা বছর খোঁজ নেই তারা, নানা নামে তারা স্বেচ্ছাসেবী।ঈদ হোক বা কিংবা বৈশাখ একটা নতুন জামা যেখানেই পাবে সেখান থেকেই আনে আবার শীতে আনে কম্বল।মন থেকে দোয়া তাদের আমরা করি ,ভালো থাক সেই সব স্বেচ্ছাসেবী মানুষ গুলো।।



Friday, June 30, 2023

তিন হাজার সাল

 ৩০০০সাল

দেখতে দেখতে কয়েক যুগ কেটে গেল অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে দুনিয়ার।ছেলেটা বড় হলে বিয়ে দিয়ে পড়ের বাড়ি পাঠাতে হবে । একটু বড় হলেই বাইরে পাঠাতেও ভয় করে কোন মেয়ের কু নজরে পড়ে । ছেলেদের বেশি লেখা পড়া করা বর্তমান সময়ে সব থেকে দুশ্চিন্তার কখন কোন মেয়ে যে আমার ছেলেটার নিয়ে পালাবে। তার উপর ভালো ঘরে না গেলে মেয়েরা ছেলেদের উঠতে বসতে শাসন করে । কোন ভুল হলে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে হাজারো খোটা দেয় মেয়েরা ছেলেদের। যাই হোক ছেলেটাকে ঘরের সব কাজ হাতে ধরে শিখিয়েছি কোন ব্যবসায়ী মেয়ে হলে ছেলে বিয়ে দেবো না চাকুরিজীবী মেয়ে চাই ছেলের জন্য। আমার ছেলে অন্য কারো থেকে কম কিসের। যদি একটা মেয়ে থাকতো ঘরে, ছেলের বাড়ি থেকে অনেক কিছু বাগাতে পারতাম।ছেলে হলে সংসারে নানা খরচের ভেতর কিছু সঞ্চয় করতে হয় মোটা অংকের পণ দিতে হবে মেয়েকে না হলে একটা চাকুরিজীবী মেয়ে জুটবে না। ছেলেদের পরের বাড়ি পাঠিয়েও কি শান্তি আছে শ্বশুর বাড়ির মানুষ গুলো কেমন আমার ছেলেটাকে কেমন রেখেছে।যাই হোক দাদুর কাছে শুনেছি অনেক কাল আগে নাকি ছেলেরা বাড়িতে বউ আনতো মেয়েদের  শাষণ করতো এখন কি যুগ এলো আবার উঠতে বসতে ছেলেদের কথা শুনতে হয় ।ছেলে নির্যাতন এর সর্বোচ্চ শাস্তি নাকি মৃত্যুদণ্ড করেছে এবার যদি মেয়েরা একটু শুধরায়।যাই হোক শাস্তি বাড়ানোর জন্য ছেলে পরিষদ কি কম আন্দোলন করেছে । আন্দোলনে আমাদের একটা স্লোগান ছিল ছেলের গায়ের উঠলে হাত ভাঙবো মোরা নারীর হাত।।যাই হোক এতো এতো সময় যা পড়লেন সব ভবিষ্যত কেন্দ্রীক কল্পনা ।।


Thursday, January 12, 2023

ছোট গল্প

 শীতের ছুটি -শুভ জিত দত্ত 


বছর জুড়ে অপেক্ষা কখন আসবে শীত ,অপেক্ষা যেন শেষ হওয়ার নয় বরং আরো দীর্ঘ হয়। শহর আর গ্রামের শীত আসে একটু অন্য ভাবেই । গ্রামের শীতের সকালে ফুটে ওঠে চির চেনা প্রকৃতির রূপ। আমার বাবা পেশায় একজন সরকারী চাকুরীজীবী, তিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা অফিস নিয়ে পড়ে থাকেন । কয়েক বছর অন্তর আবার ট্রান্সফার তো আছেই সব কিছু নিয়ে নতুন জায়গায় ওঠা সে এক মহা বিড়ম্বনা। বার বার স্কুল পরিবর্তন সেই সাথে নতুন বন্ধু তৈরি হতে বেশ কিছুটা সময় সেখানে চলে যায়।এই শহরে বন্দী জীবন ঘরের মধ্যে কেটে যায় অনেকটা সময় ,সুযোগ থাকে না মাঠে খেলা করার। ঘরের মধ্যে যা থাকে তাই নিয়ে টুকটাক হাত পা নড়াচড়া করা এই আর কি।যখন সুযোগ হয় গ্রামের বাড়ি যাওয়ার তখন যেন নিজেকে খাঁচা ছাড়া পাখির মতো মনে হয় ।দেখতে দেখতে বার্ষিক পরীক্ষাও চলে এলো আর পরীক্ষা শেষ হলেই গ্রামে যাব ভাবতেই যেন মনের ভেতর উথাল পাথাল শুরু হয়ে যায় । কদিন ধরে গোছগাছ চলতেই থাকে এক সময় শেষ হয়ে আসে এই প্রস্তুতির পালা।বাবা কে থেকে যেতেই হয় তিনি আমাদের রেখে আবার চলে আসেন ।আমরা গ্রামে বেশ মজা করি কিন্তু বাবা তিনি শহরে থাকলেও তার মনটা আমাদের এখানেই পড়ে থাকে সময়ে অসময়ে বার বার ফোনে খোঁজ নেন, কটা দিন তার খাওয়ার অসুবিধা তো থাকেই। গ্রামে শীতকালীন সবজি আর পিঠা পুলি, খেজুরের রস, গুড় কোনো কিছুর অভাব নেই, মুক্ত পাখির মত এদিক ওদিক ছুটে বেড়ানো আর খেলাধুলা তাতেই সময় কখন যে চলে যায় সে কি আর টের পাওয়া যায়।শহরে থেকে গ্রামে এলে মা ও এ বাড়ি ও বাড়ি করে এর ওর সাথে কথা বলে সময় কাটায় শহরে সেই সুযোগ থাকে না সেখানে সবাই যে যার মত ব্যস্ত থাকে। শীতের ছুটি খুব বেশি দিনের না তবু কখন যে ফুরিয়ে যায় টের পাওয়া যায় না ।এই তো ছিলাম বেশ আনন্দে গ্রামের বন্ধুদের নিয়ে এবার তাদের বিদায় দেয়ার পালা। সময় হয়েছে আবার ফিরে যাওয়ার ,নতুন ক্লাস নতুন বই । নতুন শিক্ষকের পাঠদান সাথে একঝাঁক নতুন বন্ধুদের পরিচয়ের সুযোগ ঘটে। বিদায় নিতে ইচ্ছে করে না তবু আবার আসবো কোনো এক ছুটিতে এই আশা সঞ্চার করে শহরের ট্রেন ধরা।বাবা অপেক্ষা করছে স্টেশনে কখন পৌঁছাবে আমাদের ট্রেন ,বার বার ফোনে খোঁজ নিচ্ছেন।আমার কপালে ছিল জানলার ধারে ছিট টা চোখে পড়লো দূর দিগন্তের গ্রামের দৃশ্য তখন মনটা আবার সেই গ্রামে কাটানো দিনগুলোর কথা মনে ভেসে আসছে। ফিরে আবার আসবো ,আবার আসবো এই বিদায় চির বিদায় নয় ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি।।

Monday, July 25, 2022

টাকার খেলা



টাকার খেলা

-শুভ জিত দত্ত

মানুষ গুলো কেমন যেন

হচ্ছে বড্ড লোভী

টাকার পিছে ছোটে খালি 

হারাচ্ছে মানবিকতা


লোভের মোহে করছে খুন

দিন দুপুরে ডাকাতি

জীবন নিতে এদের যেন 

মুড়ি মুড়কির খেলা


টাকা ছাড়া ফাইল টা যেন

টেবিল থেকে সড়ে না

এই হচ্ছে অফিস এখন

সব তো টাকার খেলা


অর্থ দিয়ে মানুষ বিচার

করছে আজ ওরা

ভুলে গেছে সবাই মোরা

রক্ত মাংসে গড়া





Saturday, January 1, 2022

গল্প

 অজানা ভয়ের রহস্য

শুভ জিত দত্ত

আমাদের গ্রামের ঠিক শেষ প্রান্তে একটা প্রাচীন মন্দির। মন্দিরের সাথেই একটা বিশাল বট গাছ , এই গাছটির বয়স অনুমান করাটাই বেশ কঠিন ব্যাপার । মন্দিরের জায়গাটা বেশ নির্জন তেমন আশে পাশে কোনো বাড়ি ঘরও নেই। অনেক রকম ভংঙ্কর কাহিনী কাহিনী প্রচলিত আছে এই এলাকাটি নিয়ে, তাই সন্ধ্যার পর কেউ সেখানে তেমন যায় না।যাই হোক আমাদের গ্রামটা অনেক ভালো।সারাটা বছর জুড়ে প্রায় উৎসব লেগেই থাকে।আমাদের পাড়ায় আমাদের যে গ্রæপ আছে তার লিডার সৌমেনদা। এলাকায় তার বেশ অনেক সুনাম আছে।শীতের পিকনিক বা এদিক ওদিক যাওয়া থেকে শুরু করে সব কিছুতেই তার একটা বড় ভূমিকা ।সামনেই শীতের ছুটি অনেক দিন কোথাও যাওয়া হয় না ,বিকালে তনুর সাথে দেখা আমাকে বলল শুক্রবার স্কুল ছুটি আছে ওই দিন পিকনিকের মিটিং আছে ঠিক সময়ে চলে আসবি সৌমেনদা থাকবে কিš‘।যাই হোক আমাদের মিটিং শেষে সিন্ধান্ত হলো এবার ট্রেনে চেপে একটু দূরেই যাবো।সেই বার পিকনিক শেষে ফেরার পথে আনেক রাত হয়ে গেল ।ট্রেন থেকে নামতেই সব যেন শুনশান কোথাও কেউ নেই , তবে সৌমেনদার ছিল অঢেল সাহস।দাদা বলল চল যে করেই হোক আজ বাড়ি যাব ,যেই কথা সেই কাজ রওনা হলাম বাড়ির পথে।একটু যেতেই পথেই সেই মন্দির ভয়ে যেন পা সড়ে না।অনেক আওয়াজ আর আলো আসছিলো শুনে মন হ”িছল কারা যেন খুব জোরে জোরে হাসছে ।তনু তখন বলে উঠল ওখানে যেই আত্মা গুলো থাকে তাদের কাজ।সবাই সিন্ধান্ত নিল স্টেশনে ফিওে যাওয়ার।তখন সৌমেনদা বলে ওঠলো আজ আত্মাদের দেখেই বাড়ি ফিরব আমি জানতাম দাদা অনেক সাহসী নিষেধ করলাম তবুও শুনলো না।সৌমেনদা বলল আমার সাথে কেউ জাবি নাকি আমি আর রতন সাহস করে এগিয়ে গেলাম সৌমেনদার সাথে, ঠিক ঝোপের আড়ালে গিয়ে লুকিয়ে রইলাম কি আছে দেখার জন্য ।দেখি দশ থেকে বারো জনের একটা ডাকাত দল তারা সোনা ও টাকা পয়সা ভাগ করছে।আগেই বলে রাখা আমাদের গ্রামে বেশ কিছুদিন ধওে ডাকাতি হ”েছ। পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও ওদের ধরতে পারছে না। এদের ধরা বেশ কষ্ট সাধ্য ব্যাপার মূলত কখন যে এরা কোথায় থাকে বোঝা কঠিন ব্যাপার।এরা সাধারন মানুষের মত ঘুরে বেড়ায় এদিক ওদিক তাই পুলিশ সহজে আঁচ করতে পারে না।তবে আমাদের একটা কাজ অনেক সহজ হয়ে গেল।কাল কোথায় তারা ডাকাতি আগে থেকে খবর পেয়ে গেলাম ,কিš‘ এবার আমাদের কিছু করতে হবে।আমাদের পক্ষে এত বড় গ্রæপকে ধরা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ।সৌমেনদা একটা বুদ্ধি আসলো ওই গ্রামের মানুষদের কাছে আগে থেকে জানানো হলো পরিকল্পনা ।পরদিন ঠিক সন্ধ্যা থেকে আমাদের প্র¯‘তি শুরু হলো।তখন ঠিক রাত ১টা বাজে ওরা এসেই আগে কি যেন স্প্রে করল তার ঠিক আধা ঘন্টা পর তাদের অভিযান শুরু করল। লক্ষ্য করলাম বাড়ির কেউ টের পেল না ।ঠিক ওরা বেরিয়ে যাবে এমন সময় পরিকল্পনা মত সংকেত দিল। আমরা চারিদিক থেকে ওদের ধরে ফেললাম যে যেমন পারলো মারলো ওদের খুব । থানার বড় বাবু রমেন রায় কে খবর দেওয়া ছিল উনিও ঠিক সময় মতো চলে এলেন ধরে বেঁধে ওদের নিয়ে গেলেন।পরদিন বড়বাবু সৌমেনদার সাহসের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে আমাদের গ্রæপের সবাই পুরস্কৃত করলেন । এমন অনেক ঘটনা আছে আমাদের সাথে সৌমেনদার তিনি অনেক সাহসের সাথে সেগুলো মোকাবিলা করেছে। 

Thursday, January 21, 2021

ছোট গল্প

কেবলা ভূতের গল্প

শুভ জিত দত্ত

বেশ কয়েক বছর গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয় না। তেমন দীর্ঘ ছুটি হয় না তাই যাওয়া হয় না ।বাবা কে কত বলি কিন্তু বাবার মুখে সেই একই কথা ছুটি হলে নিয়ে যাবো। সৌভাগ্য ক্রমে শীতের শুরুতে ছুটি টা জুটে গেল।একটু সোনায় সোহাগা ও বলা যায়।ঠিক কাক ডাকা ভোরে রওনা হলাম ট্রেনে চেপে। সকালের ফুটফুটে আলো ফুটতেই পৌঁছে গেলাম মদন পুর গ্রামে। সেখানে ঠিক জমিদার বাড়ির পাশেই আমার দাদুর বাড়ি। অনেক দিন পর সবার সাথে দেখা হলো।সবাই কে দেখে যে ভালো লাগা তা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।অনেক দিন পর গ্রাম টা বড্ড অচেনা লাগছিল এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে নতুন করে পরিচিত হচ্ছিলাম গ্রামের সাথে।এই গ্রামে আসা হয় না বলে কোন বন্ধু ও ছিলো না। বিকেলে প্রতিদিন গিয়ে বসতাম জমিদার বাড়ির পুকুর পাড়ে।কত স্মৃতি জড়ানো এই জমিদার বাড়ি । সেদিন বিকেলে গ্রামের মাঠে খেলা দেখে ফিরতে একটু সন্ধ্যা হলো। বাড়ির একটু কাছেই ঝোপের আড়ালে ছোট বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসলো। বাড়ির কাছে তাই একটু সাহস করে এগিয়ে গেলাম।তার কাছে কাছে যেতেই সে আমাকে বলল আমার কাছে এসো না কিন্তু আমি কিন্তু ভূত অমনি আমি বললাম ও বাবা তাই নাকি দেখে তো মনে হয় না দেখে মনে না হলেও আমি ভূত।

আমি মজার ছলে বলেই ফেললাম তুমি কি আমার বন্ধু হবে ।তা কি করে হয় কোন মানুষ তো ভয়ে আমার কাছে আসে না তুমি আমার বন্ধু হবে?হ্যাঁ হব জানো আমি জাদুকরে অনেক কিছু আনতে পারি অনেক দূরে যেতে পারি তোমাকেও নিয়ে যেতে পারি অনেক কিছু খাওয়াতেও পারি। তাহলে তো ভালোই হলো এই গ্রামে আমার একটা বন্ধু হলো ও বাবা ,তাই নাকি। আমার নাম সৌমেন তোমার নাম কি বলবে আমি তো ভূত আমার আবার কোন নাম আছে নাকি। আচ্ছা আমি তোমাকে নাম দিলাম মিশু । ধন্যবাদ আচ্ছা তুমি এতো কিছু জানো কিভাবে? সে তো অনেক পড়তে হয়। তাহলে আমাকে কিছু শিখিয়ে দিও। আচ্ছা তাহলে আমার জন্য এখন কিছু লাড্ডু নিয়ে চলে আসো জাদু দিয়ে দেখি কেমন পারো।এই নাও তোমার লাড্ডু তাহলে আমাকে শেখাও ।আচ্ছা আচ্ছা দাঁড়াও তোমাকে এক দুই করে গোনা শেখাই। ধন্যবাদ বন্ধু তুমি অনেক দিন থেকো আমাদের গ্রামে।শীতের ছুটি শেষ হলে আমাকে যে চলে যেতেই হবে আর তো বেশিদিন থাকা চলবে না। তুমি বরং আমার সাথে শহরে যেও। তা কি করে হয় বলো আমার এখান থেকে 

 যে অন্য কোথাও যেতে হলে অনুমতি নিতে হয় । ভূতের রাজা কাছে থেকে এই অনুমতি নিতে হয়। তোমাদের ভূতের রাজার কাছে আমি যাবো অনুমতি টা নিয়ে আসবো।তোমাকে সাথে নিয়েই শহরে যাবো। চলো তাহলে তোমার রাজার কাছে আমি দেখি কি বলেন তিনি।কে হে তুই রাজামশাই রাজামশাই সে মানুষ আমার বন্ধু সে কিছু একটা বলবে, একটা আবদার ছিল বলার কি বলবি বল ওকে আমি আমার শহরে নিয়ে যেতে চায় ।রাজামশাই ওকে আমার সাথে যেতে দিতেই হবে না হলে আমি হয় ভূত হব না হলে এখান থেকে যাব না ।ওরে বাবা এত ভীষণ জ্বালা আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে এবার যদি কিছু হয় সব দোষ কিন্তু তোমার।। আচ্ছা ঠিক আছে আমি ওকে খুব দেখে রাখব আর কোন কিছুই হবে না পরে যদি কিছু হয় আমাকে কিন্তু বলিস না। চলরে মিশু অনুমতি পেয়ে গেছি এবার কালই রওনা হবো আমাদের শহরে।।


Monday, December 21, 2020

মুক্তিযুদ্ধের গল্প

 বাবার দেওয়া ভূমি


আমি তখন তৃতীয় কি চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি। যতদূর মনে পড়ে তখন আমি খুব ছোট ।বাবার স্মৃতি গুলো একটু একটু মনে পড়ে।মা-বাবা দুজনেই আমাকে খুব ভালোবাসতো , কিন্তু বাবার খুব কাছের ছিলাম আমি। আমার বাবা পেশায় ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক।কোন লোভ ছিল না তার ,কখন বাড়তি আয়ের আশায় প্রাইভেট পড়াতেন না । ক্লাসের শেষে ছাত্রদের অতিরিক্ত সময় দিতেন তিনি।যারা একটু কম বুঝতো তাদের বাড়িতে ডেকে এনে পড়াতেন বিনিময়ে একটি পয়সাও তিনি নিতেন না।সব সময় তিনি দেশকে ভালো বাসার শিক্ষা দিতেন ,আর বলতেন মা যেমন তার স্নেহ দিয়ে বড় করে তোলে দেশ মাতা ঠিক তেমনি তার আলো বাতাস দিয়ে গড়ে তোলে আমাদের।বাবা কোলে মাথা রেখে আর বাবার মুখে গল্প না শুনলে কোন মতেই ঘুম আসতো না। বেশ কদিন ধরে শুধু বলতো তোর জন্য এক টুকরো স্বাধীন ভূমি রেখে যাবো।আর বলতো জানি না কতো দিন তোকে এভাবে গল্প শোনাতে পারবো । যত প্রশ্ন করেছি ততবার একটি কথাই বলতো আমাকে যেতে হবে জানি না ফিরবো কিনা। আমাদের গ্রামে একটাই রেডিও ছিল সেটা ছিল বাবার কাছেই। সবাই আসতো বাবার কাছে খবর নিতে। বাবা সবাইকে একটা কথাই বলত যে আমাদের তৈরি হতে হবে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য।বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছে আর ঘরে থাকা যাবে না তিনি বলেছেন যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে তৈরি থাকতে হবে। বাবার নিজেই সবাইকে লাঠি নিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন, সেখানে আমার বড় হয় সালামও ছিল। সেদিন রাতে বাবা আমাকে সেই যে ঘুম পাড়িয়ে চলে গেল আর কথা হয়নি কখনো।শুনেছি বাবার পরিকল্পনাতেই আমাদের গ্রাম সহজে শত্রুমুক্ত হয়েছিল। যুদ্ধ শেষ হলো বড় ভাই সালাম ফিরে আসলো কিন্তু আমার বাবা নাকি না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন।আমার বাবাকে পাকিস্তানিরা খুব নির্মমভাবে হত্যা করেছিল কারণ তিনি এই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ হাতে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন এটাই ছিল তাঁর একমাত্র অপরাধ । বাবা ফিরে না এলেও আমাদের জন্য দিয়ে গেছেন এক টুকরো স্বাধীন ভূমি। আর বাবার আদর্শ বুকে নিয়ে আমি আমার দেশকে মায়ের মতোই ভালোবাসবো । আজ ও যখন বাবার কথা মনে পড়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারি না কোনমতেই।।

Monday, October 5, 2020

ছোট গল্প

একটা দড়ির কথা

...................................

আমার যত দূর মনে আছে আমি তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। আমার স্কুলের প্রতি আমার একটা ভালো লাগা জন্মেছিলো। আমার স্কুলে যেতে খুব ভালো লাগতো।আর খুব মনযোগ সহকারে শিক্ষকদের কথা শুনতাম। পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলাম না।ঝড় বৃষ্টি যাই হোক আমি ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছে যেতাম।সেই জন্য শিক্ষকরা আমার খুব প্রশংসা করতো।সেদিন শিক্ষক সবার কথা শুনছিলো কে কি হতে চাই ,কে কি করতে ভালোবাসে ।সবাই তাদের ভালোলাগা ও ভবিষ্যৎ কি করতে চাই সে সব কথাই বলছিলো।তবে সব থেকে আলাদা ছিলো সৌমেন সে পশুপাখি খুব ভালোবাসতো তার এই পশুপাখির প্রতি এতো মমতা দেখে তার বাবা তাকে একটি ছাগলের বাচ্চা কিনে দেয়।তার কোন ভাই ছিলোনা সে ছাগল টিকে নিজের ভাইয়ের মতো ভালবাসতো। ভালবেসে ছাগলটির নাম দিয়েছিলো মিনি।সে তার চোখের এক মুহুর্তের জন্যও মিনি কে আড়াল হতে দিতো না ।তার বাবার গরুর খামার ছিলো তিনি যখন গরু গুলোর জন্য খাবার আনতেন সাথে মিনি জন্য আনতে ভুলতেন না।বাবা আসলে দৌড়ে গিয়ে খাবার গুলো নিয়ে ছুটে যেত মিনির কাছে।সে যখন স্কুলে যেত তখন সে একটা দড়িতে বেঁধে রেখে যেতো সে জেনো কোথাও হারিয়ে না যায়। সৌমেনের আদর স্নেহে সে ধীরে ধীরে বড় হতে শুরু করলো।তার বাবা ছিল একজন পশুর ব্যাপারী পাশাপাশি নিজের বাড়িতে পশু পালন করতেন। সৌমেন বেশির ভাগ সময় কাটতো মিনির সাথে।তাই তার প্রতি গভীর মায়া জন্মেছিল। তাকে ছেড়ে কোন আত্মীয় বাড়ি গিয়ে একদিনও থাকতে পারতো না।রাতে ঘুমানোর সময় তাকে এক ঘরে নিয়ে ঘুমাতো।তাকে নিজ হাতে স্নান করাতো সে।বাবার সাথে মাঠে গেলে তাকে সাথে নিয়ে যেতো দড়িতে বেঁধে রাখতো যাতে কোথাও চলে না যাই। বেশ বড় হয়ে গেছে মিনি অনেক লোক দেখতে আসতো তাকে। সৌমেন তখন বুঝতে পারি নি কেন দেখতে আসতো।

সেদিন শনিবার স্কুলে যেতে হবে।সেদিন সকাল থেকে সৌমেন এর মন কেন যেন খুব খারাপ।মিনি কে বেঁধে রেখে গেল একটু আদর করে।কেন যেন ক্লাসে তার ঠিক মন বসছে না ।স্কুল ছুটি শেষে সবাই যখন হৈ হুল্লোড় করতে করতে বাড়ি আসছিলো তখন তার মন কেন যেন খুব খারাপ লাগছিলো।বড়ি এসে দেখে মিনির গলার দড়িটা পড়ে আছে ।মিনি কে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।সৌমেন দড়ি টা নিয়ে দৌড়ে ছুটে গেল বাবার কাছে ।বাবা আমার মিনি কই?তোর মিনি কে ওরা নিয়ে গেছে আমি তোকে একটা নতুন বাচ্চা ছাগল কে এনে দেব।সৌমেন এর কান্না কেউ আর থামাতে পারেনা।সেদিন সে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করেনি।দড়ির দিকে তাকিয়ে বার বার কেঁদেছে।এখন খুব যত্নে রয়েছে সেই দড়িটা।দড়িটার দিকে তাকালে মনে পড়ে সেই মিনির কথা। শ্রেণী শিক্ষকও সৌমেনের কথা শুনে চোখেন জল‌ আটকে রাখতে পারলেন না তার এই মিনির কথা শুনে।এখনো দড়িটা তার বিছানার পাশে বড় যত্নে আছে।।
 

Sunday, September 27, 2020

 শীতের ছুটি


বেশ কয়েক মাস হলো বড় ছুটির খোঁজ নেই। বন্ধুরা সবাই মিলে আর খেলার সময় টুকু হয়ে ওঠে না।সারা দিন পড়ার চাপ তা ছাড়া বাবা মা আর শিক্ষকরা তো আছেই।সবার একটাই কথা প্রথম হতেই হবে। আমার কথা হলো সবাই যদি প্রথম হবে দ্বিতীয়টা কে হবে।এতো চাপ শেষে মাথাটাই না বিগরে যাই।যতো দূর শুনেছি এর ওর কাছে নামি দামি লোকরে নাকি বেশি পড়াশোনাও জানে না।তাহলে আমরাই বা কি করবো এতো পড়াশোনা করে।যদি একটু ঠিক খেলতেই না পারি।যাই হোক সামনে শীত কাল অনেক আইডিয়া ঘুরছে মাথায়। কতদিন পর সব বন্ধুরা মিলে আবার হৈ হুল্লোড় করবো ভাবতেই ভালো লাগে। স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নজর রাখতাম খেজুর গাছ গুলোর দিকে।

শীতের ছুটি পেলেই অভিযান শুরু করতে হবে।মাঝে মাঝে মনে হয় রসের হাঁড়ি গুলো আমার দিকে তাকিয়ে আছে।সবাই যখন শীতে কনকন করে কাঁপে আমরা বন্ধুরা তখন দাপাদাপি করি।তখন আর কে কি বললো মাথায় থাকে না।বাড়ি ফিরতে দেরি হলেই মা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে থাকতো চটাম চটাম করে পিঠে পড়তো।তার পরও ভালো লাগা বলতে এই যে সারাদিন দুষ্টুমি আর দিন শেষে মার খাওয়া পর কিন্তু রাতে মা ঠিকই বুকে জড়িয়ে ধরতো।গ্রামের দুষ্টু ছেলে বলতে আমরাই ছিলাম এমন কোন কাজ ছিল না যে আমার করি নি।আর ছুটি এলেই এভাবে কাটতো দিন গুলো আর পিকনিক তো ছিল সপ্তাহে একটা হয় খিচুড়ি না হয় ডিম ভাত।কন কনে শীতে পিকনিক বেশ জমতো আমাদের বাগানে ছোট্ট একটা হারিকেন নিয়ে। মাঝে মাঝে কেউ তো ভূত ভূত বলে চিৎকার করে উঠতো। খুব মজাদার ছিল সেই শীতের ছুটির দিন গুলো।।

Friday, August 28, 2020

ছোটো গল্প

 

।।সৌমেনের গাড়ি চড়া।।

কাকাবাবুর একমাত্র ছেলে বড্ড আদুরে। সব সময় ঘর বন্দি।বাইরে যাওয়া বলতে বাড়ির থেকে একটু দূরে কানাই লালের স্কুলে পড়ে সে । কাকাবাবুর বাড়ির সব কাজ রামদুলাল করে তার সাথে স্কুলে যায় সে। মাষ্টার মশাই সে দিন পড়ারছিলেন যানবাহন সম্পর্কে। হঠাৎ প্রশ্ন করলো যানবাহন কত প্রকার বলতো দেখি?সৌমেন উঠে দাঁড়িয়ে বললো চার প্রকার যথা: এক চাকা ,দুই চাকা তিন, চার চাকা।মষ্টার মশাই শুনে যেন হা হয়ে গেলেন।তখন মষ্টার মশাই প্রশ্ন করলেন তুই এসব কার কাছ থেকে শুনলি হে?উওরে বলল বাড়িতে রাম দুলাল জেঠুর কাছ থেকে।যাই হোক সেদিনের মতো ঘন্টা পরে গেল।সে ভাবলো জেঠু কত কিছু জানে।আবার প্রশ্নের উদয় হলো তার মনে! আচ্ছা জেঠু গাড়ি কি ভাবে চড়ে ?জেঠু উত্তরে বলল তুই গাড়ির সামনে দাঁড়ালে গাড়ি তোকে তুলে নিয়ে ছোটা শুরু করবে।সে মনে মনে ভাবলো সে কি অবাক যান।এবার প্রশ্ন নিয়ে হাজির বাবার কাছে গাড়ি কেমন দেখতে হয় ?উত্তরে বাবা সে তো চার চাকা বিশিষ্ট অদ্ভুত যান ভিতরে মানুষ বসিয়ে নিয়ে সে চলতে শুরু করে।বাবার কাছে বলেই ফেলল গাড়ি তে কবে উঠব ?যেদিন তোকে নিয়ে শহরে যাবো সেদিন তোকে আমি গাড়ি চড়াবো। তার মনে নানা অদ্ভুত ধারনা আসতে থাকে গাড়ি সম্পর্কে।কি জানি সে আবার কেমন হয়।মার কাছে শুনলাম গাড়ি নাকি প্যা পু শব্দ করে তার গায়ে কতো রকমের রং থাকে। গাড়ি আবার কথাও বলে নাকি জেঠুর কাছে শুনলাম‌। এবার গাড়িতে উঠতেই হবে গাড়ির কি ক্ষমতা এক জায়গা থেকে অন্য প্রান্তে নিয়েও যায়। গাড়িতে যদি উঠতে না পারি তাহলে জীবনই বৃথা।বাবা হঠাৎ সকালে বলল চল তোকে এবার চড়বো গাড়িতে। গেলাম সেই অদ্ভুত যান দেখতে।যা জেনেছিলাম তার ১৬আনা মিথ্যে।এদেখি ইঞ্জিন চালিত যান ।তেল ভরলে চলে চার চাকার যানটি।একজন চালক আর হেলপার তাড়াই কথা বলে সবই।সে কারো তুলতে পারেনা হেলপার মহাশয় সবাই কে টেনে তোলে। গাড়িকে সামনে থেকে দেখে সব প্রশ্নের উদ্বেগ দূর হলো।স্বপ্নের গাড়ি চড়ার শখ অবশেষে পূরণ হলো।টং টং করতে করতে পৌঁছে গেলামও শহরে।।

Monday, February 19, 2018






শখের জমিদারী

-শুভ জিত দত্ত-

-উপেন চ্যাটার্জী তাদের চারপুরুষ ধরে জমিদারী ।কিন্তু 

-বর্তমানে সেই জমিদারী আর নেই তবুসেই হাবভাব চাল চলন আজো রয়ে গেছে।

-সেই পুরানো কাসা পিতলের বাসন গুলো সযত্নে ব্যবহার আর বাহারী পোশাখে তাদের জমিদারিত্ব টিকিয়ে রাখার একটা প্রয়াস মাত্র।

-সেপাই পেয়াদা তো সব চুলোয় গেছে নগেনই একমাত্র শেষ ভরসা তবে দিনশেষে গরগরা টা একটু দিলেই তার অনেকটা।

-উপেন এর দুই ছেলে এক বারেই বলদ সৌমেন আর সুলভ কোন কাজেই আসেনা বাবা, দেখ বাইরে কি হয়ে গেল দুই গরু কি করছেে এ আবার কি এমন হল।

-তোদের নিয়ে আরপারি না এতো বড় জমিদারিত্ব তারপর তোদের যতসব কুড়েমী।আমি কি এত সব করি বলতো।

-চল নগেন পূজোর বাজার সেরে আসি জমিদারি বাড়ির পূজো বলে কথা কোন কিছু তে যেন কমতি না থাকে।

-উপেন বাবুর এদিক নেই ওদিক আছে আরে আর কি বলব আমার তো মনে হয় তার মাথাটাই গেছে ।কেন রে আরে তার চাকরি টা চলে যওয়ার পর থেকে তার হাবভাব কেমন বদলে গেছে ।

-তাই তো দেখি আবার কেন জমিদারি নেশা চেপেছে তার মাথায় । কি দরকার বলতো এতো পরের সমালোচনা লাভ টা কি আছো তো বেশ ভাল কি এমন ক্ষতি করছে সে তোমায়।

-উপনে বাবু তার কাজের মাঝে খুব আনন্দ পান ।কে কি বলল কুছ পরোয়া নেহী।

-তিনি তার শখের জমিদারি নিয়ে আছে বড় মহা আনন্দে। নেই তার হাতি কিংবা ঘোড়া 

-তবু তার ভাঙরী গাড়ী কম কিসে। তাতেই দিব্বি চলছে তার শখের জমিদারী।

-আবার তিনি মানুষের মাঝে গিয়ে নেন খোঁজ খবর মন টা তার পাহার সমান। উপেন বাবু তাই সবার সেরা তিনি আবার বড় পূজোয় দেন কাঙাল ভোজন ।কত মানুষ আসে নানা গাম থেকে তার পুজো দেখতে।বাপ ঠাকুরদার মান রেখেছে বলতে হয়।মেলা বসে তার উঠান জুড়ে ।কত রকম বাহারী পণ্যের সমাহার তা কি দেখে শেষ করা যায়।

-চলে মাস ব্যাপী নানা আয়োজনে তাই মেতে ওঠে গ্রাম বাসী ।

-এই ভাবেই চলছে তার শখের জমিদারী শত সমালোচনার মুখে তার শখের জমিদারী কিন্তু থামে নি বরং সে চালিয়েছে আপন মনে।

-নেই না কারো থেকে একটি কানা কড়ি তার সম্বল টুকু দিয়েই মানুষের সেবা করে বিপদে এলে পাশে দাঁড়ায়।


কবিতা তবুও ভালো থেকো

 তবুও ভালো থেকো -শুভ জিত দত্ত  যাবেই যখন ছেড়েই তুমি , হঠাৎ এসে জড়ালে কেন মায়ার জালে । এই তো আমি ,নৃত্য নতুন স্বপ্ন দেখি  তোমার চোখের অন্ত...