।।সৌমেনের গাড়ি চড়া।।
কাকাবাবুর একমাত্র ছেলে বড্ড আদুরে। সব সময় ঘর বন্দি।বাইরে যাওয়া বলতে বাড়ির থেকে একটু দূরে কানাই লালের স্কুলে পড়ে সে । কাকাবাবুর বাড়ির সব কাজ রামদুলাল করে তার সাথে স্কুলে যায় সে। মাষ্টার মশাই সে দিন পড়ারছিলেন যানবাহন সম্পর্কে। হঠাৎ প্রশ্ন করলো যানবাহন কত প্রকার বলতো দেখি?সৌমেন উঠে দাঁড়িয়ে বললো চার প্রকার যথা: এক চাকা ,দুই চাকা তিন, চার চাকা।মষ্টার মশাই শুনে যেন হা হয়ে গেলেন।তখন মষ্টার মশাই প্রশ্ন করলেন তুই এসব কার কাছ থেকে শুনলি হে?উওরে বলল বাড়িতে রাম দুলাল জেঠুর কাছ থেকে।যাই হোক সেদিনের মতো ঘন্টা পরে গেল।সে ভাবলো জেঠু কত কিছু জানে।আবার প্রশ্নের উদয় হলো তার মনে! আচ্ছা জেঠু গাড়ি কি ভাবে চড়ে ?জেঠু উত্তরে বলল তুই গাড়ির সামনে দাঁড়ালে গাড়ি তোকে তুলে নিয়ে ছোটা শুরু করবে।সে মনে মনে ভাবলো সে কি অবাক যান।এবার প্রশ্ন নিয়ে হাজির বাবার কাছে গাড়ি কেমন দেখতে হয় ?উত্তরে বাবা সে তো চার চাকা বিশিষ্ট অদ্ভুত যান ভিতরে মানুষ বসিয়ে নিয়ে সে চলতে শুরু করে।বাবার কাছে বলেই ফেলল গাড়ি তে কবে উঠব ?যেদিন তোকে নিয়ে শহরে যাবো সেদিন তোকে আমি গাড়ি চড়াবো। তার মনে নানা অদ্ভুত ধারনা আসতে থাকে গাড়ি সম্পর্কে।কি জানি সে আবার কেমন হয়।মার কাছে শুনলাম গাড়ি নাকি প্যা পু শব্দ করে তার গায়ে কতো রকমের রং থাকে। গাড়ি আবার কথাও বলে নাকি জেঠুর কাছে শুনলাম। এবার গাড়িতে উঠতেই হবে গাড়ির কি ক্ষমতা এক জায়গা থেকে অন্য প্রান্তে নিয়েও যায়। গাড়িতে যদি উঠতে না পারি তাহলে জীবনই বৃথা।বাবা হঠাৎ সকালে বলল চল তোকে এবার চড়বো গাড়িতে। গেলাম সেই অদ্ভুত যান দেখতে।যা জেনেছিলাম তার ১৬আনা মিথ্যে।এদেখি ইঞ্জিন চালিত যান ।তেল ভরলে চলে চার চাকার যানটি।একজন চালক আর হেলপার তাড়াই কথা বলে সবই।সে কারো তুলতে পারেনা হেলপার মহাশয় সবাই কে টেনে তোলে। গাড়িকে সামনে থেকে দেখে সব প্রশ্নের উদ্বেগ দূর হলো।স্বপ্নের গাড়ি চড়ার শখ অবশেষে পূরণ হলো।টং টং করতে করতে পৌঁছে গেলামও শহরে।।
No comments:
Post a Comment