ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Thursday, December 22, 2016

প্রাণের ভাষা
..........শুভ জিত দত্ত
বিশ্ব একটি মাত্র ভাষা
যার জন্য নিষ্পাপ প্রাণ
ঝড়ে গেল অকালে
বিশ্বদরবারে শত ভাষার মাঝে
স্থান করেছে বাংলা নামে
তার অপূর্ব বর্ণের সমাহার
সমৃদ্ধ করেছে বর্ণমালা
মায়ের মুখে তার
শোভা শত গুন বাড়ে
শত আঘাত শয্য করে
আজও টিকে আছে
এসেছে অনেক পরিবর্তন
মিশেছে অনেক ভাষা তার মাঝে
তবু তার ধার একবিন্দুও কমেনি
হিন্দুয়ানি ভাষা বলে
শুনেছে শত গালি তবু তাতে
তার কি আসে যায়
বাংলা ভাষা সবার মাঝে
থাকুক সেরা হয়ে
হাজার বছর থাকুক টিকে
সব বাঙালীর হৃদয়ে

Monday, December 19, 2016

মুক্তির ডাক
.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,
শুভ জিত দত্ত
.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,
মাকে ছেরে ওই সুদূরে
গেলাম একটি ডাকে
সব পিছুটান দূরে ঠেলে
দিলাম উজার করে
নেই ভয় নেই ডর
বুকে আছে প্রত্যয়
বিজয় ছিনিয়ে আনবই
এই শপথ বুকে নিয়ে
ওড়া যতই হোক বেশি
আমরাও কম নয়
মায়ের আশিষ মাথায় নিয়ে
মুক্ত করবো সদ্বেশ
মায়ের কথা কেন যেন
আজ শুধুই মনে পড়ে
কত গুলো দিন মাকে ছেড়ে
কাটছে যে আজ বড়
রাত নির্ঘুম কাটছে
যে আজ যুদ্ধের কলরবে
এক বুলেটেই করবো
ঘায়েল শত্রু সেনার ঘাঁটি
মৃত্যু ভয় করি নারে
আমরা শান্তি কামী

Sunday, December 18, 2016

কন কনে হওয়ার মৃদ্রু স্পর্শের মাঝে
অন্য রকম হীম শীতল অনুভূতিটা
ফুটে ওঠে ওই কুয়াশা ঘেরা অরণ্যের মাঝে
কোন এক সময় কুয়াশা ভেঙে শিশির
বিন্দু গুলো জমতে থাকে ঘাষের এক কোণে
রৌদ্র উজ্বল এক স্নিগ্ধ সাকালের অপেক্ষায়
স্ফুটিত হতে থাকে প্রকৃতির অন্য এক চিত্রপট
বাবু মশাইইই
শুভ জিত দত্ত
বাবু মশাই জমিদার
রাগটা বড্ড চড়া
একটুতেই চট করে
মেজাজ যায় চড়ে
সেপাই পেয়েদা সারাক্ষণ
ভয়ে ভয়ে চলে
পা ফেলতে হলে ভুল
বেতড়া ঘাত চলে
গ্রহের দশা শনির দশা
লেগেই থাকে খালী
রাজাছে থোড়াই কেয়ার
মে হু জমিদার
খাজনা দিতে হলেই দেরি
না জানি কি জোটে কপালে
তিনি আবার ভোজন রসিক
আহারে পাঁচ পদ
ঝাল নুনের কমতি হলেই
বাবু মশাই রেগেই অস্থির
কবে যে পুড়েব চিতাই
সেই গালটাই সবার মুখে

Friday, September 16, 2016

মন
,,    শুভ জিত দত্ত
মন আমরা বড় উতলা
সব সময় অশান্ত
এক দন্ড স্থির হয় না
করে খালি সটফট
উড়ু উড়ু কলে খালি
থাকে না একটু শান্ত
সব সময় উড়ন চন্ডী
বড্ড বলি হারি
অজানা দেশে সে
উড়ে বেড়ায় খালী
জগৎ সংসার নিয়ে
তার নেই কোন মাথা ব্যাথা
মাঝে মাঝে ভাবি
কি করে যে বশে রাখি
এই অশান্ত মনটারে
.........................................
.........................................
কবি হুমায়ন আজাদ
,,,,,,,শুভ জিত দত্ত
ধর্ম বর্ণের উদ্ধে গিয়ে
আছ সবার শীর্ষে
নতুন ধারা সৃষ্টতে
ছিলে অগ্রণী
তোমার লেখায় সূচনা হল
নতুন ধারার দিশা
তাই বলে ওরা তোমার
করে বার বার আঘাত
তবুও করনি মাথা নথ
ওদের কারো কাছে
সাহস নিয়ে লিখলে তুমি
শত প্রতিবাদী গল্প কবিতা
তোমার লেখায় হল
জাগ্রত গোটা তরুন সমাজ
তোমার মাঝে খুজে পেল
নতুন পথের দীশা
তাই মরনেও রইলে
বেঁচে এই তারুণ্যের মাঝে
মন
,,    শুভ জিত দত্ত
মন আমরা বড় উতলা
সব সময় অশান্ত
এক দন্ড স্থির হয় না
করে খালি সটফট
উড়ু উড়ু কলে খালি
থাকে না একটু শান্ত
সব সময় উড়ন চন্ডী
বড্ড বলি হারি
অজানা দেশে সে
উড়ে বেড়ায় খালী
জগৎ সংসার নিয়ে
তার নেই কোন মাথা ব্যাথা
মাঝে মাঝে ভাবি
কি করে যে বশে রাখি
এই অশান্ত মনটারে
.........................................
.........................................
কবি হুমায়ন আজাদ
,,,,,,,শুভ জিত দত্ত
ধর্ম বর্ণের উদ্ধে গিয়ে
আছ সবার শীর্ষে
নতুন ধারা সৃষ্টতে
ছিলে অগ্রণী
তোমার লেখায় সূচনা হল
নতুন ধারার দিশা
তাই বলে ওরা তোমার
করে বার বার আঘাত
তবুও করনি মাথা নথ
ওদের কারো কাছে
সাহস নিয়ে লিখলে তুমি
শত প্রতিবাদী গল্প কবিতা
তোমার লেখায় হল
জাগ্রত গোটা তরুন সমাজ
তোমার মাঝে খুজে পেল
নতুন পথের দীশা
তাই মরনেও রইলে
বেঁচে এই তারুণ্যের মাঝে

Friday, August 19, 2016

সারা আকাশ জুড়ে কালো
মেঘের আনাগোণা
হঠ্যাৎ করে অঝোর ধাড়ায়
বৃষ্টির আগমন
দিকবিদিক ছোটাছুটি
চলে অনেক টা সময়
জনজীবন ক্ষানিক সময়
যায় থমকে
পথ ঘাট চারিদিক কাঁদাজলে
হল একাকার
দূর্ভোগে নেই যে শেষ
কর্ম ব্যাস্ত এই শহরে
কালো মেঘ গুলো সড়ে
যায় কোন এক সময়
মিষ্টি রৌদ উুঁকি মারে
মেঘের আড়াল থেকে
জ্বামাই ষষ্টি
....শুভ জিত দত্ত
সমাদরের কমতি নেই
নতুই জ্বামাই বলে
একের পর এক
চলতেই থাকে মুখ
বৌ শুধু চেয়েই থাকে
থালা গুলোর দিকে
শ্বাশুড়ির মা  নানা পদ
রেঁধেই চলে খালি
জ্বামাই ষষ্টি নতুন জমাই
গুলোর কপাল যায় খুলে
আম কাঁঠালের কমতি নেই
জ্বামাই এসেছে বলে
শেষ মেষ জ্বামাই বাবার
পেটের বেমো হয়
পাখা নিয়ে শ্বাশুরি মা
বাতাস দিতেই থাকে
গেল গেল জ্বামাই গেল
একটু কম করে খেলেও হত
দিদিমা
..........শুভ জিত দত্ত
দিদিমা আমার বড্ড রসিক
খালি করে রসিকতা
বয়স তার কম হল না
বোঝার উপায় নেই
নাতিপুতি ছাড়া দিদিমার
একবিন্দু ও চলে না
মজার মজার কথা বলে
মজিয়ে রাখে আসর খানি
সুযোই পেলেই দিদিমা আবার
দাদুর পেছন লাগে খালি
কে বলবে বয়স যে তার ষাটের
ঘরে বোঝার উপায় নেই
বৌমা গুলো বেজায় খুশি
রসিক শ্বশুনি পেয়ে
দিদিমার দিন গুলো
তাই যাচ্ছে হেসে খেলে
দুষ্টুমি করলে মায়ের মথ
কান মুলে দেয় খালি
এভাবেই যেন দিদামা
কে নিয়ে কেটে য়ায় সারা জীবন

অচেনা শহর
শুভ জিত দত্ত
গ্রাম থেকে এলো দাদু
সাঙ্গে দিদিমা
কলিকতার শহর তার
লাগে অচেনা
অলিগলিতে ভরা শহর
বড্ড সেকেলে
শহর মানুষ দেখে দিদিমার
করে বড় ভয়
টুপলা টুপলি গুলো বড়
আগলে রাখে তাই
শহর মানুষ গুলো
বড্ড ব্যাস্ত
ক্ষনিক টা সময় দেই
না তো কেউ
ঠিকানা খুঁজতে খুঁজতে
দাদু তাই হল হয়রান
দিদিমার নিয়ে তাই
দাদু দেয় পিছু টান
হল না দেখা আর
ছেলেটার সাথে
গম্ভীর মুখে তাই
বাড়ি ফেরা
সর্বনাশা ঝড়ে লন্ডভন্ড
হল সব
গুড়িয়ে গেল কাঁচা ঘর ছিল
ওই গ্রাম টিতে যত
ক্ষেতের ফসল যা ছিল
সব হল শে
বড্ড নিঃষ আজ ওরা
খোলা অকাশের নিচে
ক্ষুদ্রার্থ ওই মানুষ গুলো
আজ বড় অসহায়
গবাদী পশু যা ছিল
ভেসে গেল জোয়ারে
পাশে দাঁড়ানোর মথ
নেই যে কেউ আজ
ওরা আজ নিঃসম্বলের মথ
কাকুতি মিনতি করে
উঁচু তলার নজর তবু
পরে না ওদের দিকে
রথযাত্রা
..........শুভ জিত দত্ত
জগন্নাথের রথ যাত্রা
এলো বছর ঘুরে
জয় জগন্নাথ বলে সবাই
টানবে রথের দড়ি
শঙ্খ ধ্বনি উল্লু ধ্বনি
কম্পিত হবে চারিদিক
রথের চাকা চলবে
আর জয়ধ্বনি পরবে
তিনি যাবে মাসি বাড়ি
সথে বলরাম আর সুভদ্রা
রথের মেলায় ঘুরে ঘুরে
খাব মিঠাই পেঠ টা ভরে
কিনবো কত খেলনা
পাতি রথের মেলায় ঘুরে
কি মজা হবে হবে তখন
রথযাত্রা দর্শনে
চারিদিকে তাই কত তাই
আনন্দ আর উৎসবে মাতোযারা
স্কুল
..........শুভ জিত দত্ত
পুরনো স্কুল টা
হয়েছে আজ নতুন
সেদিনের আম গাছটাও
আজ হয়েছে অনেক বড়
সেই খেলার মাঠ
ক্রমে ক্রমে হয়ে গেছে ছোট
বে দখল হয়েছে
মাঠের কিছু টা জমি
ছোট বিল্ডিং গুলো হয়েছে
অনেক বড়ো
নতুন ছাত্ররা আজ
মাতিয়ে রাখে স্কুল
যেখানে এক সময়
কাটিয়েছি সারা বেলা
একটু বেদমায়িশি করলে
যেখানে জুটতো কানমোলা
সেই দিন গুলো কি ভাবে হারিয়ে
গেল চোখের নিমিষে

Sunday, May 1, 2016

ছোট্ট বেলা
শুভ জিত দত্ত

ছোটাছুটি লাফালাফি চলতো সারাক্ষণ
দুষ্টুমি তে ভরা ছিল মজার ছোট্ট বেলা
হুরোহুরি দাপাদাপি নেই যে একটু বিরাম
সকাল থেকেই শুরু সন্ধ্যা হলেই শেষ
নালিশের পর নালিশ পরতে থাকতো সারাদিন
বাড়ি ফিরেই মার বকুনি নিত্যদিনের সঙ্গী
হৈহৈ করে চলত আমার ছোট্ট বেলা
আম চুরি লিচু চুরি আরো কত চুরি
আমি ছিলাম বড্ড চালাক পারতো
 না কেউ ধরতে
হঠাৎ করেই হলাম বড়
কেমন করে হারিয়ে গেল দুষ্টুমিতে
ভরা সেই মজার ছোট্ট বেলা
আবার কি পাবো ফিরে মায়ের বকুনি
আর শাষনে ভরা সেই ছোট্ট বেলা
মাঝে মাঝে বড়ই ইচ্ছা হয়
ফিরে যেতে সেই ছোট্ট বেলায়

বৈশাখ মানেই হঠাৎ করে
কালো মেঘ ঘনিয়ে ঝড়ের আগমন
দিক বিদিক ছোটাছুটি
প্রচন্ড ঝড়ে দৌড়ে বাড়ি ফেরা
বৈশাখ মানে তপ্ত গরমে
কৃষকের শান্তি একটু পান্তা ভাতে
হাপুস হুপুস করে মুখে দিয়ে
প্রচন্ড গরমে কর্মব্যাস্ত হওয়া
দর দর করে ঘাম ঝড়তে
থাকে অবিরত তার মাঝে
এক ফোঁটা বৃষ্টির আহবান
অপেক্ষার পালা শেষ করে
এক সময় দেখা মেলে বৃষ্টির
মঝে মাঝে মনে পড়ে
ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর
সেই দুরন্ত পানার স্মৃতি
আর ঠাকুমার আম মাখা
আজো মুখে লেগে আছে
ফেলু রাম
শুভ জিত দত্ত
ফেল করেছি অনেক বার
হাল ছাড়িনি একবারও
লোকে যে যাই বলুক আমাই
আমি ভাই শুনবো না
ফেল করেছি বেশ করেছি
তোমার তাতে কি
কান পাতি না কোন কথায়
ও সব সয়ে গেছে
পড়াশুনার পোকা কেন
মাথায় ঢোকে না
শত চেষ্টা করেও কেন
পাশ করতে পারি না
শেষে কিনা ফেলু রাম
উপাধি টা জুটলো কপালে
বাবু মশাই
 শুভ জিত দত্ত
 বাবু মশাই আসলো এবার
 কলিকাতা থেকে
 চারিদাকে চলছে তাই
 বরন প্রস্তুতি
 মহা ভোজনের আয়োজন তাই
 চলছে জোরে সোরে
 ষ্টেশনে ভির জমছে
 বাবু এল বোধায়
 দাদু এল বরন করতে
 মালা হাতে নিয়ে
 হাতির পিঠেই উঠে বাবু
 চলল জমিদার বাড়ী
 হা করে সব রইল তাকিয়ে
 বাবু মশাই এর দিকে
 ববু যে বড্ড শিক্ষিত
 কথা বলতেই ভয় লাগে
 সাজ সাজ রব বিরাজ করে
 জমিদার বাড়ির চারিদিকে
 বহু দিন পড়ে বাবু
 এলো বাড়িতে
 সবাই যে তাই মহা আনন্দে
 করছে উৎসব

Monday, April 11, 2016

পেটুক দাদু
 ,.,.শুভ জিত দত্ত.,.
 দাদু আমার বড্ড পেটুক
 সারাদিন খাই খাই
 রাত নেই দিন নেই
 চলছে যে তার মুখ
 রন্ধন শালায় কুমার বাবুর
 নেই যে একটু বিরাম
 থালা ভরে ভাত না দিলে
 দাদু চটে যেতেন
 এক পদে যে মন ভরে না
 চাই যে পাঁচ পদ
 সারা টা সময় ব্যাস্ত মা
 দাদুর খেতে দিতে
 পাশে বসে ঠাকুমা দাদুর
 বাতাস দিয়েই যেতেন
 মস্ত বড় ভুরি যে তার
 গিলেই চলে খালী
 খিদে যে লেগেই থাকে
 সারাদিন ভর
 পেটুক দাদুর স্বভাব খানী
 হল না বদোল
নির্মম পাশবিক অত্যাচারের গন্ধ
 লেগে আছে ওদের গায়ে
 রক্ত আজ শুকিয়ে জমাট
 বেঁধে গেছে
 ওই হায়নার দল গুলো আজো
 মানচিত্র কে কুঁড়ে খেতে চায়
 পঙ্গুত্ব কে বঁয়ে বেড়ানো
 অসহায়ত্ব কে দূরে সড়িয়ে
 ওরা আজও প্রতিবাদ করতে চায়
 আর কত অন্যায় অবিচার
 দেখবে চোখের সামনে
 ওই কুলাঙ্গার এখন এই
 দেশকে ধ্বংস করতে চায়
 ,,,,,,,,শুভ জিত দত্ত
তনুদি কে নিয়ে ছোট্ট একটি লেখা
 .,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,
 এই ভাবে আর কত তনু
 হারিয়ে যাবে আমাদের মাঝ থেকে
 আর কত প্রতিবাদ করলে
 ওদের বিচার হবে
 কত টা নির্দয় কতটা পাষন্ড
 হলে মানুষ এত নিচে নামে পারে
 অকালে শেষ হয়ে যাবে
 আর কত নিষ্পাপ প্রাণ
 নিরবে নিভৃতে আর কত
 চোখের জল ফেলবে ওদের বাবা মা
 এখন কেন নিশ্চুপ হয়ে
 আছে গোটা সমাজ ব্যাবস্থা
 বিচার হীনতায় ভুগবে
 কেন ওরা আজ
 কি এমন দোষ করেছিল
 ও তোমাদের কাছে
 চায় না এভাবে হারিয়ে যাক
 তনুদির মথ জলন্ত প্রতিভা
 হোক প্রতিবাদ তবে আজ
 আর নয় এমন বর্বর হত্যা
 .......শুভ জিত দত্ত

রং ধনুর সাত রং মিশে গেছে নীল
 আকাশ টার ওই প্রান্তরে
 যেখানে ডালা মেলে উড়ে বেড়ায়
 মুক্তমনা কিছু পাখিদের দল
 নেই যে বাধা সেখানে কোন
 শুধুই আছে অবাধ স্বাধীনতা
যেখানে প্রকৃতি তার অনন্য
 রুপ মেলে ধরে তার সমহিমায়
 সন্ধ্যার জোনাকী গুলো
 টিপ টিপ আলো দিয়ে যায়
 সেখানে প্রকৃতি তার অনন্য
 মহিমায় বিচরন করে সারাক্ষন
 যেখানে বর্নিল আলোক ছটা
 রং রং ভরিয়ে দিয়ে যায়

Tuesday, April 5, 2016

ছোট্ট বেলা
শুভ জিত দত্ত
ছোটাছুটি লাফালাফি চলতো সারাক্ষণ
দুষ্টুমি তে ভরা ছিল মজার ছোট্ট বেলা
হুরোহুরি দাপাদাপি নেই যে একটু বিরাম
সকাল থেকেই শুরু সন্ধ্যা হলেই শেষ
নালিশের পর নালিশ পরতে থাকতো সারাদিন
বাড়ি ফিরেই মার বকুনি নিত্যদিনের সঙ্গী
হৈহৈ করে চলত আমার ছোট্ট বেলা
আম চুরি লিচু চুরি আরো কত চুরি
আমি ছিলাম বড্ড চালাক পারতো
 না কেউ ধরতে
হঠাৎ করেই হলাম বড়
কেমন করে হারিয়ে গেল দুষ্টুমিতে
ভরা সেই মজার ছোট্ট বেলা
আবার কি পাবো ফিরে মায়ের বকুনি
আর শাষনে ভরা সেই ছোট্ট বেলা
মাঝে মাঝে বড়ই ইচ্ছা হয়
ফিরে যেতে সেই ছোট্ট বেলায়

Friday, March 11, 2016

 অজানার পথে
শুভ জিত দত্ত
দেখতে দেখতে দশ টা বছর পার হয়ে গেল জন্মের   বাবা মাকে ছেড়ে চলে গেল কোন অজানা স্থানে শত খোঁজা খুজির পরও বাবা আর খুঁজে পাওয়া গেল না।মা যেন চারিদিকে অন্ধকার দেখতে থাকে মামা যদি সেদিন পশে না দাঁড়াতো তাহলে হয়তো আমাদের পথে দাঁড়াতে হতো।দাদা কোন রকমে একটা চাকরী জোগাড় করে কদিন যেতেই মা আমাদের কাঁদিয়ে চলে গেল অজানার দেশে দাদার ভাড়া বাসায় ছাঁদে দাঁড়ালে দেখা যেত বস্তির মানুষের বাস্তব চিত্র কতনা কষ্টে কাটতো তাদের দিনগুলো সে তো গেল ওদের কথা বেকার বলে বৌদির কাছে অনেক কথা শুনতে হয়,মাঝে নিজেকে খুব অসহায় লাগতো,প্রতিদিন চাকরী খোজার জন্য বের হওয়া অতঃপর বাড়ি ফিরে আসা।দাদা তেমন কিছু না বললেও বৌদি খেতে বসলে খোঁটা দিত তিন বেলা দাদার অন্ন ধ্বংস করছে।এত এত ডিগ্রী অর্জন করলাম তার কি আজ কোন মুল্য নেই,দাদা কে না জানায়ে একটা দোকানে কোন রকমে একটা কাজ জুটালাম তার থেকে বৌদি সংসার খরচ বাবদ যা দিতাম তাতে বৌদি তেমন খুশি ছিল না,কদিন করে খুব অসুস্থ কাজে যেতে পারি না বিছানায় অচেতন হয়ে পড়ে আছি ডাক্তার তো দূরের কথা একটি বারের জন্য কেউ আমার খোঁজ টি নিল না বৌদি দরজা থেকে  খাবার থালটি ছুড়ে দিত বিছানার দিকে,এই ভাবে কিছু দিন যাওয়ার পর হঠাৎ সুজয় সৌমেন কাকার ঘরে যায়  শত শত ডাকাডাকির পরেও সৌমেন কাকার সাড়া পাওয়া গেল না,মা মা সৌমেন কাকার কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না আপদ টা গেছে তাহলে ,মৃতদেহ সামনে দাদা বৌদির লোক দেখানো কান্না হয়তো এই সমাজের একটি প্রতিছবি ।ভাগ্যের পরিহাসে ওই দিনই সৌমেন এর দাদা তার চাকরি টা হরায় ।এই ভাবে কত সৌমেন পারি জমাচ্ছে অজানার পথে তা হয় তো আমাদের সবারই অজানা।।

ওরা ধনী
শুভ জিত দত্ত
ওদের আছে অঢেল তবু
সড়ে না হাত দিয়ে
মানবিকতা আজ শুধু তাদের আছে
যাদের নেই কিছু
ওদের নেই কিছু তবুও
মন যে ওদের বিশাল
ওদের আজ সব থেকেও
যেন কোন কিছুই নেই
যাদের আছে পাহার সমান
তাদের মুখে একটায়
বুলি দূর দূর দূর
না থাকলেও ওদের কিছু
মনটা ওদের বড্ড বড়
সমাজে মানুষ কেন
ধনীদের কদর করে
নিচের দিকে নজর ওদের
পরেনা কবুও
নিচের দিকের মানুষ তাই
ওদের বড্ড ঘৃণা করে
মানব ধর্ম
শুভ জিত দত্ত
ধর্ম নিয়ে ওরা সবাই
করে বাড়াবাড়ি
মানুষ সৃষ্ট ধর্ম  আজ
হয়েছে বিকল
যখন তখন যাকে তাকে
ধর্মের নামে চলে খোনাখুনি
ধর্মের নামে বোমাবাজি
চলে  যেথাই সেথাই
মানব থেকে বড়
আছে আবার কি
সব থেকে বড়
ধর্ম মানব ধর্ম
যেথাই নেই ভেদাভেদ
ধর্মে বর্ণে
সেথাই আছে শুধু
মানব ধর্ম
চাপিয়ে দিয়ে ধর্ম আবার
হয় কি পালন
ধর্ম মানে কি ব্যাক্তি
স্বাধীনতা হরন
যুগে যুগে তাই আজ
মানব ধর্মের জয়গান

আধো আধো ভাষায় যখন
ডাকতিস বাবা বলে
সব দুঃখ যেতাম ভুলে
তোর বাবা ডাক শুনে
দুষ্টুমিতে সারা বাড়ি
রাখতিস মাতিয়ে
আজ তুই হঠাৎ করে
অনেক বড় হলি
এক নামে সবাই তোকে
সাহেব বলে ডাকে
দু দিন বাদে আমায়
তুই দিলি পর করে
শেষ ঠিকায় রয়ে গেলাম
আজ বৃদ্ধাশ্রম
মাঝে মাঝে আজও তাই
তোর কথা ভেবে
কেঁদে যায় নিরবে
আজ আমি তোদের
ছেড়ে আছি বড় একাকী
..........,.,.,শুভ জিত দত্ত

Monday, February 22, 2016

ওরা বার বার বাংলা
ভাষার ওপর করেছে আঘাত
তবু বাঙালী মাথা নত করে নি
ওরা যতবার করেছে আঘাত
বাঙালী তার জীবন দিয়ে
করেছে প্রতিঘাত
প্রয়োজনে এই বাঙালি রক্তে
রাঙিয়েছে রাজপথ
তবু বাঙালী কখনো
পিছু হটে নি
বিট্রিশ আন্দোলনেও এই
বাঙালীর অবদান চিরস্মরণীয়
নেতাজী সুভাস,মাষ্টার দা
হাসি মুখে নিজের জীবন
করেছে বলিদান
বাঙলী যে বীরের জাতি
 এরা ভয় কে করে জয়
.,.,.,,.,.,,.,.,.,,.,,,.,.,,শুভ জিত দত্ত
শুভ জিত দত্ত
ছলবলে আমার সাথে
করলে তুমি খেলা
বুঝতে আমরা হয়নি দেরি
তোমার কারসাজি
বড্ড বোকা ছিলাম আমি
তাই বলে সুযোগ নিলে তুমি
বুঝতে পেরে এখন আমি
তোমার থেকে
দূরে দূরে থাকি
এখন আমি বড্ড সূখি
আছি একাকী
ভালই আছি এখন আমি
তোমায় ভুলে আজ

পরাধীনতার বেড়াজাল
.,.,.,.,.,.,.,শুভ জিত দত্ত
সেদিন এই স্বাধীনতা দেখার
জন্য কি ওরা নেমেছিল
যুদ্ধের ময়দানে
ছেড়েছিল ঘর করেছিল
জীবন বাজী
তবে কেন হল না অর্জিত
ওদের প্রাপ্য স্বাধীনতা টুকু
কেন আজও পরাধীনতার
বেড়াজালে আটকে আছে ওরা
আজ মুক্ত আকাশে উড়ে
বেড়াতে কেন এত বাঁধা
স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা কেন
আজো কুঁড়ে কুঁড়ে খায় মানচিত্র
আজ এই স্বাধীনতা দেখার
জন্য কি ওরা ঢেলেছিল তাজা রক্ত
করেছিল নিজের জীবন
বলিদান মাতৃভূমির টানে

Tuesday, February 2, 2016

ভীরের মাঝে
.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,শুভ জিত দত্ত
আজ পাঠক সমাগমে
মুখোরিত হল চারিদিক
মেলার দোকান গুলো আজ
ভরপুর হল পাঠকে
ভিরের মাঝে খুঁজে পাওয়া
যায় না যে কাওকে
এদিক ওদিক খুঁজে
সারাদিন হয়ে যায় হয়রান
কবি কে একটু দেখবো
বলে সারাদিন চলে খোঁজাখুজি
একবারের জন্য হলেও
সামনে থেকে একটু
দেখতে পারতাম তাকে
দিন যায় রাত আসে
ভীর যে ক্রমেই বাড়তে
থাকে মেলা প্রাঙ্গনে
যানি না তাকে আর
খুঁজে পাওয়া হবে কিনা

Sunday, January 24, 2016


আমাদের সৌমেন
.......................শুভ জিত দত্ত
সৌমেন এর নাম টা
 রয়ে গেল সবার মুখে মুখে
 ছেলেটা এতই সহজ সরল
 না মিশলে বোঝাযায় না
 তার ভিতরে ছিল দুরন্তপানা
 আর দুষ্টুমিতে ভরা
 কারো বিপদ শুনলে সাবার
 আগে সে যে যায় ছুটে
 সৌমেন এর কাছে
 কখনো কেউ কিছু চাইলে
 না শোনা যায় না
 তার কথায় ভলে না কেউ
 এমন লোক পাওয়া যায় না
 সৌমেন এর এমনই
 যে দেখলে মুগ্ধ হয়ে য়ায়
 একটা যেন গভীর
 মায়া আছে তারা চেহারে তে
 কিন্তু সৌমেন এর
 হঠাৎ যে কি হল
 যানে না কেউ
 কদিন ধরে তার নেই
 যে কোন খোঁজ
 জানা গেল তার নাকি কঠিন
 আসুখে পড়ে আছে বিছানায়
 যানি না সৌমেন ফিরবে
 কিনা আমাদের মাঝে
 তার আরোগ্য কমনা
 করি সব সময়

Thursday, January 21, 2016


রৌদ
........শুভ জিত দত্ত
কুয়াশে ভেঙে মিষ্টি
রৌদ উুঁকি মারে
ঘরের এক কোণ থেকে
রৌদের আলোয় প্রকৃতি
পায় এক অনাবিল শুভ্রতা
পাক পাখালির মাঝে
সৃষ্টি হয় প্রাণের স্পদন
মিষ্টি রৌদের মিষ্টি হাসি
জোড়ায় সবার প্রাণ
কুয়াশা ভাঙা রৌদে
তাই শুরু হয় জাগরন
শুরু হয় কর্মচঞ্চল
এক শুভ্র সকালের
চারিদিকে বয়ে যায়
সোনা রৌদের মিষ্টি হাসি

Wednesday, January 6, 2016

হে স্বাধীনতা
 শুভ জিত দত্ত
 অনেক কষ্টে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা
 কিন্তু আমরা কি প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়ে ছি!
মানুষ আজ দু মুঠো ভাতের জন্য রাস্তায় করে হা হা করা
 আজ কোথায় স্বাধীনতা?
একটি ছেলে অভাবের জন্য সংসারের দায়িত্ব নেয় নিজ কাঁধে তুলে
 আজ কোথায় স্বাধীনতা?
যারা নিজ সংসার ত্যাগ করে নামিল যুদ্ধের ময়দানে
 আজ কোথায় তাদের অধিকার
 এটায় কি আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা
 আমরা কি এটায় চেয়েছিলাম
 শত কষ্টের মাঝে কেন দিন কাটায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা
 আসলে এটাই বাস্তবতা এটাই স্বাধীনতা।

"অমর স্বাধীনতা"
শুভ জিত দত্ত
 সে দিন যদি আমার ভাইয়েরা
 ভাষার জন্য জীবন যদি নাহি দিত
 তাহলে হয় তো বা কেউ,
মনে রাখতো না অমর স্বাধীনতা কে
 মাথা নত করে স্বরণ করি তাদের
 যারা আমাদের ভাষার জন্য জীবন করল দান
 তোমাদের এই ধণ হয় তো বা কখনই শোধ করা সম্ভব নয়
 তাই যতটুকু পারি ওগো তোমাদের জন্য
 কৃতাঙ্গতা আর শ্রদ্ধা ভরে স্বরণ করে যায়
 যত দিন বেঁচে রব এই ধরণীতে
 তত দিন তোমাদের স্বৃতি বুকে নিয়ে বেঁচে রব।।
সকল জনাই মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।।
অপূর্ব বাংলা
 শুভ জিত দত্ত
 আমার সোনার বাংলার রুপের বর্ণনা হয় তো বা বলে শেষ করা যাবে না
 কি নেই আমার এই অপূর্ব বাংলায়
 চারিদের সবুজের সমারাহ আর নীল আকাশ যেন দিগন্ত ছুঁয়ে যায়
 কত না সাধু পুরুষের পূর্ণ ভূমি আমার এই অপূর্ব বাংলা
 মাঝি যেন আকূল হয়ে গানে গেয় দাঁড় টানে সারা বেলা
 কত নদ নদী আর হাওড় বাওরে ভরা চারি দিক
 যে দিকে তাকায় সেদিকে যেন সোনার ধানে গেছে ভরে
 যে একবার দেখেছে ওগো এই বাংলার রুপ
 কখন হয় তো ভুলিতে পারিবেনা ওগো এই বাংলাকে
 জীবন যেন অবসান হয় মাগো এই বাংলার মাটিতে
 বার বার জন্মিতে পারি মাগো তোমার এই অপূর্ব বাংলায়।।
বৈচিতে ভরা
......শুভ জিত দত্ত
 অনেক স্বপ্ন ও আশা নিয়ে এসেছিলাম
 ওগো তোমাদের এই সুন্দর পৃথিবীতে
 কতনা বিচিত্র তোমাদের এই পৃথিবী
 ক্ষণে ক্ষণে যেন নতুন রুপ ধারণ করে
 তোমাদের এই অপূর্ব লীলা ময় পৃথিবী
 মানব জনম আমার সার্থক
 হল ওগো এই পৃথিবী তে জন্মে
 নদ নদী আর পাখির কলরব
 সব সময় আমাকে যেন নতুন জগতে প্রবেশ করায়
 হাজারো প্রাণী জীব ও বৈচিত্রে ভরা
 এই জাদুর নগরী দেখে যেন মন ভরে না
 সব সময় আমাকে যেন মাতাল করে রাখে
 তার অপূর্ব সৌদর্যে।।
৫২র আন্দোলন
-----@শুভ জিত দত্ত
 সেথাই পড়ত আমার ছোট খোকা
 সাধ ছিল তার ডাক্তার হয়ে মানুষ সেবা করার
 সে সাধ হয়ত হবে পূরণ কোন এক দিন জানি
 হঠাৎ করে ঝড় এসে ভেঙে দিল মোর খোকার স্বপ্ন খানি
 খবর এল হঠাৎ এক দিন
 আমার খোকার দেহ খানি লুটিয়ে আছে এই রাস্তার পড়ে
 জানতে চাহিলাম কি হয়েছে
 ওরা বলল কারা যেন নিমর্ম ভাবে হত্যা করেছে আমার খোকাকে
 শুনে মোর বুক ফেটে অঝড় ধারায় অশ্রু ঝড়তে লাগলো।।
আকাশ তারা
------শুভ জিত দত্ত
 অকাশের তারা গুলো জ্বল জ্বল করে জ্বলে উঠছে
 কিছু যেন বলতে চায় তারা আমরা কেন যেন তাদের কথা বুঝতে পারি না
 কেন যেন তারা গুলো ঝড়ে পড়ে সবুজের মাঠে
 সবুজ যেন তারা গুলোকে হাতছানি দিয়ে ডেকে নেয় তাদের কাছে
 সবুজের সাথে মিশে তারা গুলো কোথায় যেন কোথায় হারিয়ে গেল
 সবুজ ঘাস গুলো যেন হঠাৎ করে জ্বলে জ্বলে ওঠে
ক্ষণিকের পৃথিবী
@শুভ জিত দত্ত@
জীবন আমার বৃথা গেল তোমায় ছাড়া আজ
 ক্ষণে ক্ষণে তোমার কথা ভেবে হই দিশেহারা
 একটি বার যদি প্রেতাম তোমায় কাছে
 জীবন আমার ওগো ধন্য হত তোমায় কাছে পেয়ে
 ছোট্ট এই পৃথিবী ক্ষণিকে র জন্য আসা ওগো এই জরাময় পৃথিবীতে একটি বারের জন্য শুধু তোমাকে চাই বড়ই আপন করে
 যে কটা দিন বাঁচপো ওগো তোমাকে চাই একটু পাশে
 শুধু এই টুকুই আমার নিবেদন ।।
শরৎ মানে শারদ উৎসব
 সাদা মেঘ আর কাশ ফুলে ছেয়ে গেছে চারি দিক
 প্রকৃতি আজ নতুন রুপে সেজে উঠছে,
ঢাকে পরল কাটী আর মন মাতানো পূজোর গন্ধ যেন আমাকে পাগল করে দেয় সারা ক্ষণ,
ছেলে বেলার দিন গুলোর কথা যেন মনে পড়ে যায় বারে বারে বাবু দের বাড়ির পূজো দেখতে ছুটে যেতাম ক্ষণে ক্ষণে,
কত না হাসি আনন্দ আর হৈচৈ করে কেটেছে সেই ছেলে বেলার উৎসবের দিন গুলি।।শুভ জিত দত্ত।।
জীবন গাড়ী
 শুভ জিত দত্ত
চলছে দোলা চলে
 জীবন গাড়ী আজ
 হঠাৎ করে কোন এক দিন
 থেমে যাবে যে
 কত না আরাম আয়েশে
 চলছে দিন গুলী
 কোন এক দিন থেমে যাবে
 জীবন গাড়ী খানী
 পাপ পূর্ণ হিসাব না করি
 সারা জীবন ভর
 এভাবে কি কেটে যাবে
 সারা জীবন খানী
 একটু ভেবে দেখ মন
 চলে যেতে হবে এ জীবন ছেড়ে..
আগুনের শিখা
 শুভ জিত দত্ত
 যাও এগিয়ে অগ্নির বেগে
 আঘাত হানো দূর আকাশে
 লক্ষ ভেদ কর
 আর ফিরে তাকিয়ে না
 পেছনের দিকে
 তুমি তৈরি কর নতুন চলার পথ
 যে পথে সৃষ্টি হবে নতুন দিগন্ত
 আকাশ যেখানে মিশেছে
 সেখানে ই হবে তোমার সৃষ্টি
 অপার সম্ভবনা যে ডাকছে তোমায় তুমি অগ্নি শিখা।।
শুধু তুমি
 শুভ জিত দত্ত
 বলব না তুমি বড্ড ভাল
 তার পর তোমারে যে আমারে লাগে ভাল
 যখন নি চোখ পড়ে তোমার ঐ চোখে পাড়ি না গো
 চোখ সড়াতে কোন মতেই
 মাঝে মাঝে যেন হারিয়ে যায়
 শুধু তোমারই মাঝে
 কি করে বলি তোমায় আমি
 তুমি আমার সব
হঠাৎ আকাশ
 শুভ জিত দত্ত
 হঠাৎ করে তুমি কেমন
 মন ভার করে রও
 আবার তুমি কেমন করে
 হঠাৎ করে কেঁদে ফেলে দাও
 হঠাৎ হঠাৎ তুমি কেমন
 চেহারা বদলে ফেল
 হঠাৎ তোমার এই
 রুপ বড়ই ভাল লাগে
''অবাধ্য''
-শুভ জিত দত্ত-
ইচ্ছে হয় মধ্যে মাঝে অবাধ্য হয়ে যেতে
 তাই সময় পেলে মাঝে মাঝে ছুটে যায় কচি কাঁচাদের মাঝে
 ছেলাটি আমি বড়ই অবাধ্য তাই তো সময় পেলে বার ছুটে যায় দূর দিগন্তের পানে
 গন্তব্য মোর শেষ হয় না তাই মাঝে মাঝে অবাধ হয়ে যায়।।
প্রিয় ছোট কাকু,
আমার প্রিয় আদরের ছোট কাকু তোমার কোলে মাথারেখে ঘুমাতাম সাড়া রাত,
মা বাবা চলে গেছে সেই ছোট বেলায়,
তোমার হাতেয় পড়ালেখা তোমার হাতে মানুষ আমি,
বলতে বাবা বলতে মা সব ছিলে তুমি,
তাই তোমার কথা ভেবে ভেবে কেঁদে যায় সাড়া রাত...
আমরা তরুণ
--শুভ জিত দত্ত--
আমরা তরুণ আমরা নির্ভয় ভয় করে করি জয়,
ভয় কে পিছু ফেলে ছুটে চলি নতুন দিগন্তে,
নতুন আশার দোয়ার খুলি আমরাই তরুণ,
আমদের আছে অকৃত্তিম আশা
 সেই আশায় বাঁধি বুক মোরা,
তরুণ্য আমাদের চলার গতি নতুন সম্ভবনার দোয়ার খুলি আমরাই তরুণ,
নতুন পথ সৃষ্টি করি মোরা আমরাই আলোক দ্বীপ ছড়িয়ে দিই বিশ্বে আমরাই তরুণ।।।
 গাহি তরুণের জয় গান
"ছোট বেলা"
শুভ জিত দত্ত
 হৈচৈ লাফালাফি আর দুষ্টুমিতে ভরা,
বড়ই অদ্ভুত ছোট বেলা।
 দুষ্টুমিতে কাটত সাড়া দিন করতাম অনেক হৈচৈ,
কোথায় যেন হারিয়ে গেল আমাদের সেই ছোট বেলা।
 অন্যায় করলেই জুটত মায়ের হাতের মার আর বকুনী,
কতনা সুন্দর সেই ছোট বেলা।
 আর ফিরে পাবনা জানি,
তবু বার বার মনে পড়ে যায় সেই ছোট বেলার কাহিনী।
 যদি ফিরে পেতাম সেই দুষ্টুমি আর হাসি কান্নায় ঘেরা সেই ছোট বেলা।।
''সন্ধ্যা রাতের তারা''
---শুভ জিত দত্ত---
হঠ্যাৎ যখন সন্ধ্যা নামে
 আকাশ তারা জ্বলে ওঠে,
জোনাকীরা আলোয় ভরিয়ে দেয় গোটা দুনিয়া,
অন্ধকার নিভিয়ে আলোক বার্তা নিয়ে আসে সন্ধ্যা রাতের তারা,
আলোয় আলোয় ভরিয়ে দেয় বিশ্ব ভূবন আধার।
''অবাধ্য''
-শুভ জিত দত্ত-
ইচ্ছে হয় মধ্যে মাঝে অবাধ্য হয়ে যেতে
 তাই সময় পেলে মাঝে মাঝে ছুটে যায় কচি কাঁচাদের মাঝে
 ছেলাটি আমি বড়ই অবাধ্য তাই তো সময় পেলে বার ছুটে যায় দূর দিগন্তের পানে
 গন্তব্য মোর শেষ হয় না তাই মাঝে মাঝে অবাধ হয়ে যায়।।
বড় একলা লাগে
-----------------
শুভ জিত দত্ত
-----------------
ঘরে একলা বসে
 ভাবছি তোমায় কথা,
ভাবছি তোমায় সাথে
 আবার হবে কবে দেখা,
দেখা হলে তোমায় মাঝে
 হারিয়ে যাব আমি,
এই আমাকে খুঁজতে
 তখন ব্যাস্ত হবে তুমি,
আমি তুমি,তুমি আমি
 মিলে মিশে হব একাকার,
অসহ্য যন্ত্রণা যে
 লাগছেনা ভাল আর
 কেমন করে তোমায় বলি
 তোমাকে শুধু আমাকে শুধু আমাকেই দরকার।।
মা''
শুভ জিত দত্ত
 কতনা স্নেহ ভালবাসা দিয়ে
 বড় করেছিলে আমায় তুমি মা,
ছোট বেলাতে যে বাবা হারিয়েছি
 কখনো বুঝতে দাও না তুমি মা,
তোমার কোলে মাথা রাখলে যে মা ভুলে যেতাম শত যন্ত্রনা আর কষ্ট,
তুমি যখন রেখেছো মা আমায় মাথায় হাত
 নিমিষে যত চিন্তা গুলো কোথায় যেন হারিয়ে যায়,
একটি কথায় বলব শেষ মা
 আমায় পাশে থেক তুমি সারা জনম ভর।।

রুখে দাঁড়াও
!!শুভ জিত দত্ত!!
হে যুবক চোখের সামনে দেখ কেন অন্যায়
 তুমি যে পার রুখতে এই অন্যায় অবিচার
 তবু কেউ কেন চুপ করে রহ
 একবার কন্ঠ তোল আর কর প্রতিবাদ
 পেয় নাগো ভয়
 তুমিই পার রুখতে ওগো
 যত অন্যায় অবিচার
 একবার ওগো কন্ঠ তলো
 গাও প্রতিবাদী গান।।
আমরা প্রতিবাদী
 শুভ জিত দত্ত
 আমরা নয়কো আজ নীরব
 আমরা যে আজ প্রতিবাদী
 আমরা রুখব যত অন্যায় অবিচার
 গড়ব সোণার বাংলা
 থাকবে না কোন অনাচার
 হবে
 শষ্য শম্যলা আমাদের এই বাংলা
 নয়তো মুখে নয়তো তর্ক
 শক্তি দিয়ে সবার উদ্ধে।।
মা
--@--শুভ জিত দত্ত
 অপূর্ব ক্ষমতা তোমায় মা
 মা নামের যে অপূর্ব ক্ষমতা
 তা ক্ষণে ক্ষণে উপলদ্ধি করি
 তুমি ছাড়া আপন
 কেহ কি আছে এই দুনিয়াই
 হয় তো অনেকে আসে এ জীবনে
 তোমার মথ কেউ কি আপন হতে পারে মা
 কত না আদর স্নেহে আগলে
 রাখ তুমি আমাদের মা
 যানি জীবনে হয় তো বা
 তোমার এ ঋণ শোষ করতে পারব না
 তবু তোমাকে যে বড়ই ভালবাসি
 কি তৃপ্তি কি শান্তি মাগো তোমার এই মধুর নামে
 মাগো তুমি ছাড়া জীবনটা
 বড়ই একা একা লাগে
অপূর্ব বাংলা
 শুভ জিত দত্ত
 আমার সোনার বাংলার রুপের বর্ণনা হয় তো বা বলে শেষ করা যাবে না
 কি নেই আমার এই অপূর্ব বাংলায়
 চারিদের সবুজের সমারাহ আর নীল আকাশ যেন দিগন্ত ছুঁয়ে যায়
 কত না সাধু পুরুষের পূর্ণ ভূমি আমার এই অপূর্ব বাংলা
 মাঝি যেন আকূল হয়ে গানে গেয় দাঁড় টানে সারা বেলা
 কত নদ নদী আর হাওড় বাওরে ভরা চারি দিক
 যে দিকে তাকায় সেদিকে যেন সোনার ধানে গেছে ভরে
 যে একবার দেখেছে ওগো এই বাংলার রুপ
 কখন হয় তো ভুলিতে পারিবেনা ওগো এই বাংলাকে
 জীবন যেন অবসান হয় মাগো এই বাংলার মাটিতে
 বার বার জন্মিতে পারি মাগো তোমার এই অপূর্ব বাংলায়।।

''ছোট কাকু''
-শুভ জিত দত্ত-
আমার প্রিয় আদরের ছোট কাকু তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাইতাম সাড়া রাত,
মা বাবা চলে গেছে সেই ছোট বেলায় তোমার হাতেয় পড়া লেখা মোড় তোমার হাতেই মানুই আমি,
বলতে বাবা বলতে মা সবই ছিলে তুমি তাই তোমার কথা ভেবে ভেবে কেঁদে যায় সাড়া রাত...

Tuesday, January 5, 2016

রক্তের দাম
......................শুভ জিত দত্ত
তোমরা যদি সেদিন না যেতে
ভাষার দাবি নিয়ে
রাজপথ কাপিয়ে স্লোগান
যদি না দিতে সেদিন
জীবন কে তুচ্ছ করে
ঝাপিয়ে না পড়তে সেদিন
যদি রাজ পথে রক্ত
না ঝড়তো সেদিন
তাহলে হয় তো মাতৃভাষায়
বোলতে পারতাম না কথা
তোমাদের রক্তের বিনিময়ে
পেয়েছি মিষ্টি একটা ভাষা
যে ভাষার জন্য দিয়েছো
তোমাদের অমুল্য জীবন
তাই আমি হৃদয় থেকে জানাই
তোমাদের শত কোটি সালাম
অমর গাঁথা
.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,
শুভ জিত দত্ত
তোমাদের এই বলিদান
চিরদিন থাকবে স্মরণীয়
ইতিহাসের পাতায় পাতায়
তোমরা থাকবে চিরদিন
তোমাদের এই বীরত্বের কথা
জাতি বার বার করবে স্মরণ
ভুলিবেনা কখনো এই
অমর বীরত্বের কথা
তোমরা অমর তোমাদের
তো কখনো হয় না মৃত্যু
তোমরা যে মহান
তোমরাই যে শ্রেষ্ঠ
তাই তোমাদের অমর
গাঁথা রয়ে যায়
চিরকাল অমলীন হয়ে
যুগে যুগে তাই তোমাদের
কথা রচিত হোক
ইতিহাসের পাতায় পাতায়

Saturday, January 2, 2016

ছোট গল্প


রাত জাগা ৭১(ছোট গল্প)
শুভ জিত দত্ত
নদী তে নৌকা এখন বাঁধা আছে আমি রহমত চাচা নৌকার ভিতরে বসেই আছি
হাতের কাছেই রেডিও টা ছিল চালু করতেই শুনতে পেলাম দেশের বিভিন্ন স্থানে পাক বাহিনী ও মুক্তি বাহিনীর মধ্যে তুমূল সংঘর্ষ চলছে ।করিম চাচা বলে গেল পাশের গ্রামের ঘর গুলোতে পাক বাহিনীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে
কাল হয় তো আমাদের গ্রামে ঢুকতে পারে ওরা
আমাদের গ্রামে আমরা কয়েক ঘর মাল সম্প্রদায় আছে তার মধ্যে আমি একজন
আমি রতন মাঝি নৌকায় যাত্রী পারপার করে কোন রকম দিন টা চলে যায় আর কি
মদন পুর গ্রামে মুক্তি বাহিনী টেনিং নিচ্ছে আমিও বেশ কয়েক দিন টেনিং এর পর মুক্তি বাহিনীতে যোগদান করলাম
দিনু মাঝি এসে খবর দিল কাল পাক বাহিনীরা আমাদের গ্রামে আক্রমন করতে পারে।তাই সেদিন রাত জেগে পরিকল্পনা করমাল কিভাবে ওদের প্রতিরোধ করব
পর দিন ওরা আসতেই আমরা গেরিলা আক্রমন শুরু করি আমরা ওদের ওপর ভারী মটারের গোলা বর্ষন করতে থাকি
আমাদের যোদ্ধারা ওদের সাথে সামনে থেকে
আক্রমন করতে থাকে এক পর্যায়ে আমাদের দুই জন যোদ্ধা গুলি বিদ্ধ হয়
গ্রাম বাসী ও মুক্তি বাহিনীর সমন্ময়ে আমরা আমাদের গ্রামকে শত্রু মুক্ত করি
তার পর বিভিন্ন গ্রাম থেকে সংবাদ আসতে লাগলো যে তাদের প্রতিরোধের মুখে পাক বাহিনী পিছু হটেছে
এই ভাবে এক পর্যায়ে আমাদের কাংখিত বিজয় আর্জন হল
লক্ষ প্রানের বিনিময়ে অর্জিত হল আমাদের স্বাধীন স্বদেশ
বিজয়ের লাল সবুজের পতাকা উড়তে লাগলো দিকে দিকে
রাজ পথে সেদিন আমরা লাল সবুজের পতাকা নিয়ে বিজয় মিছিল করলাম এক অন্য রকম শান্তির সুবাতাস বয়ে যাচ্ছে চারিদিকে
জয় বাংলা  জয় বাংলা সবার মুখে একটিই কথা
এটাই ছিল এক বিজয়ের গল্প গাঁথা
ছেড়া খাতা
.................শুভ জিত দত্ত
 আজো মাঝে মাঝে
 উল্টে দেখতে ইচ্ছে হয়
 ছেড়ার খাতার গল্প গুলো
 কি জানি কি লেখা আছে
 ওই ছেড়া খাতার পৃষ্ঠা গুলোতে
 সেই বয়সে লিখেছি কত
 নব যৌবনের গল্প গুলো
 তাই মাঝে মাঝে মনে হয়
 কত কিছু না হারিয়ে ফেলেছি
 এই জীবন একটা ছেড়া খাতার
 মতন তার রুপ ও যৌবন
 সময়ের সাথে সাথে
 হারিয়ে যেতে থাকে
 খাতা টা ছেড়া ও পুরোনো
 কিন্তু লেখা গুলো আমার
 কাছে আজো নতুনের মথ

      রং
শুভ জিত দত্ত
নীলাভ রংধনুর রং এ
নীল হয়ে আছে গোটা আকাশ টা
নানা রং এ ছেয়ে গেছে
আকাশের প্রান্তর
নীল সাদা আরো কত রং
এর খেলা চারিদিকে
এক এক করে যেন
রং এর বৃষ্টি নেমে আসে
এ যেন মেঘের আড়ালে
এক অনাবিল রং এর খেলা
ক্ষনে ক্ষনে রং এর পরিবর্তন
গোটা আকাশ জুড়ে
রং এ রঙিন হয়ে ওঠে
প্রকৃতির নীলাভ বনভূমি
রং এর পরশ পেতে
চারিদিকে এক আজানা ব্যাস্ততা
বিদায়
............শুভ জিত দত্ত
আজও ছেলে হারা
মায়ের কান্না থামে নি
সেদিনের সেই বিদায়
আজ শেষ বিদায় হয়ে রইলো
ওরা যে আর ফিরবে না
তবু মায়ের মন যে মানে না
আবার যদি খোকাকে ফিরে পেতাম
শুধু একটি বারের জন্য
সেই তো কবে চলে গেছে যুদ্ধে
আজো খোকা ফিরে এলো না
তবু আশায় আশায় বসে
থাকি পথ চেয়ে
খোকা আসবে,খোকা ঘরে ফিরে আসবে
আমাকে আবার আগের মথ জড়িয়ে
ধরে বলবে মা গো আমি এসেছি
আমি আবার তোমার কোলে
ফিরে এসেছি

অপূর্ণতা
শুভ জিত দত্ত
 লাশের গন্ধে হীম
 হয়ে আছে গোটা শরীল টা তার
দগে দগে গন্ধে
কোন মতেই কাছে ভেরা যায় না
কয়েক দিনেই পচন
ধরতে শুরু করেছে তার শরীলে
এই কি সেই সৌমেন
যে ছি দুরন্ত আর ছটফটে
আজ সেই সৌমেন
কেন এত নিশ্চুপ
যার সাথে আড্ডা না
দিলে গোটা বিকাল টা
যেন একঘেয়েমী লাগত
আজ কেন সেই সৌমেন
এর পাশে আমরাই কান্নারত
আজ যে সে নেই
কোন ভাবেই যেন
মেনে নিতে পারি না