ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Sunday, January 24, 2016


আমাদের সৌমেন
.......................শুভ জিত দত্ত
সৌমেন এর নাম টা
 রয়ে গেল সবার মুখে মুখে
 ছেলেটা এতই সহজ সরল
 না মিশলে বোঝাযায় না
 তার ভিতরে ছিল দুরন্তপানা
 আর দুষ্টুমিতে ভরা
 কারো বিপদ শুনলে সাবার
 আগে সে যে যায় ছুটে
 সৌমেন এর কাছে
 কখনো কেউ কিছু চাইলে
 না শোনা যায় না
 তার কথায় ভলে না কেউ
 এমন লোক পাওয়া যায় না
 সৌমেন এর এমনই
 যে দেখলে মুগ্ধ হয়ে য়ায়
 একটা যেন গভীর
 মায়া আছে তারা চেহারে তে
 কিন্তু সৌমেন এর
 হঠাৎ যে কি হল
 যানে না কেউ
 কদিন ধরে তার নেই
 যে কোন খোঁজ
 জানা গেল তার নাকি কঠিন
 আসুখে পড়ে আছে বিছানায়
 যানি না সৌমেন ফিরবে
 কিনা আমাদের মাঝে
 তার আরোগ্য কমনা
 করি সব সময়

Thursday, January 21, 2016


রৌদ
........শুভ জিত দত্ত
কুয়াশে ভেঙে মিষ্টি
রৌদ উুঁকি মারে
ঘরের এক কোণ থেকে
রৌদের আলোয় প্রকৃতি
পায় এক অনাবিল শুভ্রতা
পাক পাখালির মাঝে
সৃষ্টি হয় প্রাণের স্পদন
মিষ্টি রৌদের মিষ্টি হাসি
জোড়ায় সবার প্রাণ
কুয়াশা ভাঙা রৌদে
তাই শুরু হয় জাগরন
শুরু হয় কর্মচঞ্চল
এক শুভ্র সকালের
চারিদিকে বয়ে যায়
সোনা রৌদের মিষ্টি হাসি

Wednesday, January 6, 2016

হে স্বাধীনতা
 শুভ জিত দত্ত
 অনেক কষ্টে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা
 কিন্তু আমরা কি প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়ে ছি!
মানুষ আজ দু মুঠো ভাতের জন্য রাস্তায় করে হা হা করা
 আজ কোথায় স্বাধীনতা?
একটি ছেলে অভাবের জন্য সংসারের দায়িত্ব নেয় নিজ কাঁধে তুলে
 আজ কোথায় স্বাধীনতা?
যারা নিজ সংসার ত্যাগ করে নামিল যুদ্ধের ময়দানে
 আজ কোথায় তাদের অধিকার
 এটায় কি আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা
 আমরা কি এটায় চেয়েছিলাম
 শত কষ্টের মাঝে কেন দিন কাটায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা
 আসলে এটাই বাস্তবতা এটাই স্বাধীনতা।

"অমর স্বাধীনতা"
শুভ জিত দত্ত
 সে দিন যদি আমার ভাইয়েরা
 ভাষার জন্য জীবন যদি নাহি দিত
 তাহলে হয় তো বা কেউ,
মনে রাখতো না অমর স্বাধীনতা কে
 মাথা নত করে স্বরণ করি তাদের
 যারা আমাদের ভাষার জন্য জীবন করল দান
 তোমাদের এই ধণ হয় তো বা কখনই শোধ করা সম্ভব নয়
 তাই যতটুকু পারি ওগো তোমাদের জন্য
 কৃতাঙ্গতা আর শ্রদ্ধা ভরে স্বরণ করে যায়
 যত দিন বেঁচে রব এই ধরণীতে
 তত দিন তোমাদের স্বৃতি বুকে নিয়ে বেঁচে রব।।
সকল জনাই মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।।
অপূর্ব বাংলা
 শুভ জিত দত্ত
 আমার সোনার বাংলার রুপের বর্ণনা হয় তো বা বলে শেষ করা যাবে না
 কি নেই আমার এই অপূর্ব বাংলায়
 চারিদের সবুজের সমারাহ আর নীল আকাশ যেন দিগন্ত ছুঁয়ে যায়
 কত না সাধু পুরুষের পূর্ণ ভূমি আমার এই অপূর্ব বাংলা
 মাঝি যেন আকূল হয়ে গানে গেয় দাঁড় টানে সারা বেলা
 কত নদ নদী আর হাওড় বাওরে ভরা চারি দিক
 যে দিকে তাকায় সেদিকে যেন সোনার ধানে গেছে ভরে
 যে একবার দেখেছে ওগো এই বাংলার রুপ
 কখন হয় তো ভুলিতে পারিবেনা ওগো এই বাংলাকে
 জীবন যেন অবসান হয় মাগো এই বাংলার মাটিতে
 বার বার জন্মিতে পারি মাগো তোমার এই অপূর্ব বাংলায়।।
বৈচিতে ভরা
......শুভ জিত দত্ত
 অনেক স্বপ্ন ও আশা নিয়ে এসেছিলাম
 ওগো তোমাদের এই সুন্দর পৃথিবীতে
 কতনা বিচিত্র তোমাদের এই পৃথিবী
 ক্ষণে ক্ষণে যেন নতুন রুপ ধারণ করে
 তোমাদের এই অপূর্ব লীলা ময় পৃথিবী
 মানব জনম আমার সার্থক
 হল ওগো এই পৃথিবী তে জন্মে
 নদ নদী আর পাখির কলরব
 সব সময় আমাকে যেন নতুন জগতে প্রবেশ করায়
 হাজারো প্রাণী জীব ও বৈচিত্রে ভরা
 এই জাদুর নগরী দেখে যেন মন ভরে না
 সব সময় আমাকে যেন মাতাল করে রাখে
 তার অপূর্ব সৌদর্যে।।
৫২র আন্দোলন
-----@শুভ জিত দত্ত
 সেথাই পড়ত আমার ছোট খোকা
 সাধ ছিল তার ডাক্তার হয়ে মানুষ সেবা করার
 সে সাধ হয়ত হবে পূরণ কোন এক দিন জানি
 হঠাৎ করে ঝড় এসে ভেঙে দিল মোর খোকার স্বপ্ন খানি
 খবর এল হঠাৎ এক দিন
 আমার খোকার দেহ খানি লুটিয়ে আছে এই রাস্তার পড়ে
 জানতে চাহিলাম কি হয়েছে
 ওরা বলল কারা যেন নিমর্ম ভাবে হত্যা করেছে আমার খোকাকে
 শুনে মোর বুক ফেটে অঝড় ধারায় অশ্রু ঝড়তে লাগলো।।
আকাশ তারা
------শুভ জিত দত্ত
 অকাশের তারা গুলো জ্বল জ্বল করে জ্বলে উঠছে
 কিছু যেন বলতে চায় তারা আমরা কেন যেন তাদের কথা বুঝতে পারি না
 কেন যেন তারা গুলো ঝড়ে পড়ে সবুজের মাঠে
 সবুজ যেন তারা গুলোকে হাতছানি দিয়ে ডেকে নেয় তাদের কাছে
 সবুজের সাথে মিশে তারা গুলো কোথায় যেন কোথায় হারিয়ে গেল
 সবুজ ঘাস গুলো যেন হঠাৎ করে জ্বলে জ্বলে ওঠে
ক্ষণিকের পৃথিবী
@শুভ জিত দত্ত@
জীবন আমার বৃথা গেল তোমায় ছাড়া আজ
 ক্ষণে ক্ষণে তোমার কথা ভেবে হই দিশেহারা
 একটি বার যদি প্রেতাম তোমায় কাছে
 জীবন আমার ওগো ধন্য হত তোমায় কাছে পেয়ে
 ছোট্ট এই পৃথিবী ক্ষণিকে র জন্য আসা ওগো এই জরাময় পৃথিবীতে একটি বারের জন্য শুধু তোমাকে চাই বড়ই আপন করে
 যে কটা দিন বাঁচপো ওগো তোমাকে চাই একটু পাশে
 শুধু এই টুকুই আমার নিবেদন ।।
শরৎ মানে শারদ উৎসব
 সাদা মেঘ আর কাশ ফুলে ছেয়ে গেছে চারি দিক
 প্রকৃতি আজ নতুন রুপে সেজে উঠছে,
ঢাকে পরল কাটী আর মন মাতানো পূজোর গন্ধ যেন আমাকে পাগল করে দেয় সারা ক্ষণ,
ছেলে বেলার দিন গুলোর কথা যেন মনে পড়ে যায় বারে বারে বাবু দের বাড়ির পূজো দেখতে ছুটে যেতাম ক্ষণে ক্ষণে,
কত না হাসি আনন্দ আর হৈচৈ করে কেটেছে সেই ছেলে বেলার উৎসবের দিন গুলি।।শুভ জিত দত্ত।।
জীবন গাড়ী
 শুভ জিত দত্ত
চলছে দোলা চলে
 জীবন গাড়ী আজ
 হঠাৎ করে কোন এক দিন
 থেমে যাবে যে
 কত না আরাম আয়েশে
 চলছে দিন গুলী
 কোন এক দিন থেমে যাবে
 জীবন গাড়ী খানী
 পাপ পূর্ণ হিসাব না করি
 সারা জীবন ভর
 এভাবে কি কেটে যাবে
 সারা জীবন খানী
 একটু ভেবে দেখ মন
 চলে যেতে হবে এ জীবন ছেড়ে..
আগুনের শিখা
 শুভ জিত দত্ত
 যাও এগিয়ে অগ্নির বেগে
 আঘাত হানো দূর আকাশে
 লক্ষ ভেদ কর
 আর ফিরে তাকিয়ে না
 পেছনের দিকে
 তুমি তৈরি কর নতুন চলার পথ
 যে পথে সৃষ্টি হবে নতুন দিগন্ত
 আকাশ যেখানে মিশেছে
 সেখানে ই হবে তোমার সৃষ্টি
 অপার সম্ভবনা যে ডাকছে তোমায় তুমি অগ্নি শিখা।।
শুধু তুমি
 শুভ জিত দত্ত
 বলব না তুমি বড্ড ভাল
 তার পর তোমারে যে আমারে লাগে ভাল
 যখন নি চোখ পড়ে তোমার ঐ চোখে পাড়ি না গো
 চোখ সড়াতে কোন মতেই
 মাঝে মাঝে যেন হারিয়ে যায়
 শুধু তোমারই মাঝে
 কি করে বলি তোমায় আমি
 তুমি আমার সব
হঠাৎ আকাশ
 শুভ জিত দত্ত
 হঠাৎ করে তুমি কেমন
 মন ভার করে রও
 আবার তুমি কেমন করে
 হঠাৎ করে কেঁদে ফেলে দাও
 হঠাৎ হঠাৎ তুমি কেমন
 চেহারা বদলে ফেল
 হঠাৎ তোমার এই
 রুপ বড়ই ভাল লাগে
''অবাধ্য''
-শুভ জিত দত্ত-
ইচ্ছে হয় মধ্যে মাঝে অবাধ্য হয়ে যেতে
 তাই সময় পেলে মাঝে মাঝে ছুটে যায় কচি কাঁচাদের মাঝে
 ছেলাটি আমি বড়ই অবাধ্য তাই তো সময় পেলে বার ছুটে যায় দূর দিগন্তের পানে
 গন্তব্য মোর শেষ হয় না তাই মাঝে মাঝে অবাধ হয়ে যায়।।
প্রিয় ছোট কাকু,
আমার প্রিয় আদরের ছোট কাকু তোমার কোলে মাথারেখে ঘুমাতাম সাড়া রাত,
মা বাবা চলে গেছে সেই ছোট বেলায়,
তোমার হাতেয় পড়ালেখা তোমার হাতে মানুষ আমি,
বলতে বাবা বলতে মা সব ছিলে তুমি,
তাই তোমার কথা ভেবে ভেবে কেঁদে যায় সাড়া রাত...
আমরা তরুণ
--শুভ জিত দত্ত--
আমরা তরুণ আমরা নির্ভয় ভয় করে করি জয়,
ভয় কে পিছু ফেলে ছুটে চলি নতুন দিগন্তে,
নতুন আশার দোয়ার খুলি আমরাই তরুণ,
আমদের আছে অকৃত্তিম আশা
 সেই আশায় বাঁধি বুক মোরা,
তরুণ্য আমাদের চলার গতি নতুন সম্ভবনার দোয়ার খুলি আমরাই তরুণ,
নতুন পথ সৃষ্টি করি মোরা আমরাই আলোক দ্বীপ ছড়িয়ে দিই বিশ্বে আমরাই তরুণ।।।
 গাহি তরুণের জয় গান
"ছোট বেলা"
শুভ জিত দত্ত
 হৈচৈ লাফালাফি আর দুষ্টুমিতে ভরা,
বড়ই অদ্ভুত ছোট বেলা।
 দুষ্টুমিতে কাটত সাড়া দিন করতাম অনেক হৈচৈ,
কোথায় যেন হারিয়ে গেল আমাদের সেই ছোট বেলা।
 অন্যায় করলেই জুটত মায়ের হাতের মার আর বকুনী,
কতনা সুন্দর সেই ছোট বেলা।
 আর ফিরে পাবনা জানি,
তবু বার বার মনে পড়ে যায় সেই ছোট বেলার কাহিনী।
 যদি ফিরে পেতাম সেই দুষ্টুমি আর হাসি কান্নায় ঘেরা সেই ছোট বেলা।।
''সন্ধ্যা রাতের তারা''
---শুভ জিত দত্ত---
হঠ্যাৎ যখন সন্ধ্যা নামে
 আকাশ তারা জ্বলে ওঠে,
জোনাকীরা আলোয় ভরিয়ে দেয় গোটা দুনিয়া,
অন্ধকার নিভিয়ে আলোক বার্তা নিয়ে আসে সন্ধ্যা রাতের তারা,
আলোয় আলোয় ভরিয়ে দেয় বিশ্ব ভূবন আধার।
''অবাধ্য''
-শুভ জিত দত্ত-
ইচ্ছে হয় মধ্যে মাঝে অবাধ্য হয়ে যেতে
 তাই সময় পেলে মাঝে মাঝে ছুটে যায় কচি কাঁচাদের মাঝে
 ছেলাটি আমি বড়ই অবাধ্য তাই তো সময় পেলে বার ছুটে যায় দূর দিগন্তের পানে
 গন্তব্য মোর শেষ হয় না তাই মাঝে মাঝে অবাধ হয়ে যায়।।
বড় একলা লাগে
-----------------
শুভ জিত দত্ত
-----------------
ঘরে একলা বসে
 ভাবছি তোমায় কথা,
ভাবছি তোমায় সাথে
 আবার হবে কবে দেখা,
দেখা হলে তোমায় মাঝে
 হারিয়ে যাব আমি,
এই আমাকে খুঁজতে
 তখন ব্যাস্ত হবে তুমি,
আমি তুমি,তুমি আমি
 মিলে মিশে হব একাকার,
অসহ্য যন্ত্রণা যে
 লাগছেনা ভাল আর
 কেমন করে তোমায় বলি
 তোমাকে শুধু আমাকে শুধু আমাকেই দরকার।।
মা''
শুভ জিত দত্ত
 কতনা স্নেহ ভালবাসা দিয়ে
 বড় করেছিলে আমায় তুমি মা,
ছোট বেলাতে যে বাবা হারিয়েছি
 কখনো বুঝতে দাও না তুমি মা,
তোমার কোলে মাথা রাখলে যে মা ভুলে যেতাম শত যন্ত্রনা আর কষ্ট,
তুমি যখন রেখেছো মা আমায় মাথায় হাত
 নিমিষে যত চিন্তা গুলো কোথায় যেন হারিয়ে যায়,
একটি কথায় বলব শেষ মা
 আমায় পাশে থেক তুমি সারা জনম ভর।।

রুখে দাঁড়াও
!!শুভ জিত দত্ত!!
হে যুবক চোখের সামনে দেখ কেন অন্যায়
 তুমি যে পার রুখতে এই অন্যায় অবিচার
 তবু কেউ কেন চুপ করে রহ
 একবার কন্ঠ তোল আর কর প্রতিবাদ
 পেয় নাগো ভয়
 তুমিই পার রুখতে ওগো
 যত অন্যায় অবিচার
 একবার ওগো কন্ঠ তলো
 গাও প্রতিবাদী গান।।
আমরা প্রতিবাদী
 শুভ জিত দত্ত
 আমরা নয়কো আজ নীরব
 আমরা যে আজ প্রতিবাদী
 আমরা রুখব যত অন্যায় অবিচার
 গড়ব সোণার বাংলা
 থাকবে না কোন অনাচার
 হবে
 শষ্য শম্যলা আমাদের এই বাংলা
 নয়তো মুখে নয়তো তর্ক
 শক্তি দিয়ে সবার উদ্ধে।।
মা
--@--শুভ জিত দত্ত
 অপূর্ব ক্ষমতা তোমায় মা
 মা নামের যে অপূর্ব ক্ষমতা
 তা ক্ষণে ক্ষণে উপলদ্ধি করি
 তুমি ছাড়া আপন
 কেহ কি আছে এই দুনিয়াই
 হয় তো অনেকে আসে এ জীবনে
 তোমার মথ কেউ কি আপন হতে পারে মা
 কত না আদর স্নেহে আগলে
 রাখ তুমি আমাদের মা
 যানি জীবনে হয় তো বা
 তোমার এ ঋণ শোষ করতে পারব না
 তবু তোমাকে যে বড়ই ভালবাসি
 কি তৃপ্তি কি শান্তি মাগো তোমার এই মধুর নামে
 মাগো তুমি ছাড়া জীবনটা
 বড়ই একা একা লাগে
অপূর্ব বাংলা
 শুভ জিত দত্ত
 আমার সোনার বাংলার রুপের বর্ণনা হয় তো বা বলে শেষ করা যাবে না
 কি নেই আমার এই অপূর্ব বাংলায়
 চারিদের সবুজের সমারাহ আর নীল আকাশ যেন দিগন্ত ছুঁয়ে যায়
 কত না সাধু পুরুষের পূর্ণ ভূমি আমার এই অপূর্ব বাংলা
 মাঝি যেন আকূল হয়ে গানে গেয় দাঁড় টানে সারা বেলা
 কত নদ নদী আর হাওড় বাওরে ভরা চারি দিক
 যে দিকে তাকায় সেদিকে যেন সোনার ধানে গেছে ভরে
 যে একবার দেখেছে ওগো এই বাংলার রুপ
 কখন হয় তো ভুলিতে পারিবেনা ওগো এই বাংলাকে
 জীবন যেন অবসান হয় মাগো এই বাংলার মাটিতে
 বার বার জন্মিতে পারি মাগো তোমার এই অপূর্ব বাংলায়।।

''ছোট কাকু''
-শুভ জিত দত্ত-
আমার প্রিয় আদরের ছোট কাকু তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাইতাম সাড়া রাত,
মা বাবা চলে গেছে সেই ছোট বেলায় তোমার হাতেয় পড়া লেখা মোড় তোমার হাতেই মানুই আমি,
বলতে বাবা বলতে মা সবই ছিলে তুমি তাই তোমার কথা ভেবে ভেবে কেঁদে যায় সাড়া রাত...

Tuesday, January 5, 2016

রক্তের দাম
......................শুভ জিত দত্ত
তোমরা যদি সেদিন না যেতে
ভাষার দাবি নিয়ে
রাজপথ কাপিয়ে স্লোগান
যদি না দিতে সেদিন
জীবন কে তুচ্ছ করে
ঝাপিয়ে না পড়তে সেদিন
যদি রাজ পথে রক্ত
না ঝড়তো সেদিন
তাহলে হয় তো মাতৃভাষায়
বোলতে পারতাম না কথা
তোমাদের রক্তের বিনিময়ে
পেয়েছি মিষ্টি একটা ভাষা
যে ভাষার জন্য দিয়েছো
তোমাদের অমুল্য জীবন
তাই আমি হৃদয় থেকে জানাই
তোমাদের শত কোটি সালাম
অমর গাঁথা
.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,
শুভ জিত দত্ত
তোমাদের এই বলিদান
চিরদিন থাকবে স্মরণীয়
ইতিহাসের পাতায় পাতায়
তোমরা থাকবে চিরদিন
তোমাদের এই বীরত্বের কথা
জাতি বার বার করবে স্মরণ
ভুলিবেনা কখনো এই
অমর বীরত্বের কথা
তোমরা অমর তোমাদের
তো কখনো হয় না মৃত্যু
তোমরা যে মহান
তোমরাই যে শ্রেষ্ঠ
তাই তোমাদের অমর
গাঁথা রয়ে যায়
চিরকাল অমলীন হয়ে
যুগে যুগে তাই তোমাদের
কথা রচিত হোক
ইতিহাসের পাতায় পাতায়

Saturday, January 2, 2016

ছোট গল্প


রাত জাগা ৭১(ছোট গল্প)
শুভ জিত দত্ত
নদী তে নৌকা এখন বাঁধা আছে আমি রহমত চাচা নৌকার ভিতরে বসেই আছি
হাতের কাছেই রেডিও টা ছিল চালু করতেই শুনতে পেলাম দেশের বিভিন্ন স্থানে পাক বাহিনী ও মুক্তি বাহিনীর মধ্যে তুমূল সংঘর্ষ চলছে ।করিম চাচা বলে গেল পাশের গ্রামের ঘর গুলোতে পাক বাহিনীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে
কাল হয় তো আমাদের গ্রামে ঢুকতে পারে ওরা
আমাদের গ্রামে আমরা কয়েক ঘর মাল সম্প্রদায় আছে তার মধ্যে আমি একজন
আমি রতন মাঝি নৌকায় যাত্রী পারপার করে কোন রকম দিন টা চলে যায় আর কি
মদন পুর গ্রামে মুক্তি বাহিনী টেনিং নিচ্ছে আমিও বেশ কয়েক দিন টেনিং এর পর মুক্তি বাহিনীতে যোগদান করলাম
দিনু মাঝি এসে খবর দিল কাল পাক বাহিনীরা আমাদের গ্রামে আক্রমন করতে পারে।তাই সেদিন রাত জেগে পরিকল্পনা করমাল কিভাবে ওদের প্রতিরোধ করব
পর দিন ওরা আসতেই আমরা গেরিলা আক্রমন শুরু করি আমরা ওদের ওপর ভারী মটারের গোলা বর্ষন করতে থাকি
আমাদের যোদ্ধারা ওদের সাথে সামনে থেকে
আক্রমন করতে থাকে এক পর্যায়ে আমাদের দুই জন যোদ্ধা গুলি বিদ্ধ হয়
গ্রাম বাসী ও মুক্তি বাহিনীর সমন্ময়ে আমরা আমাদের গ্রামকে শত্রু মুক্ত করি
তার পর বিভিন্ন গ্রাম থেকে সংবাদ আসতে লাগলো যে তাদের প্রতিরোধের মুখে পাক বাহিনী পিছু হটেছে
এই ভাবে এক পর্যায়ে আমাদের কাংখিত বিজয় আর্জন হল
লক্ষ প্রানের বিনিময়ে অর্জিত হল আমাদের স্বাধীন স্বদেশ
বিজয়ের লাল সবুজের পতাকা উড়তে লাগলো দিকে দিকে
রাজ পথে সেদিন আমরা লাল সবুজের পতাকা নিয়ে বিজয় মিছিল করলাম এক অন্য রকম শান্তির সুবাতাস বয়ে যাচ্ছে চারিদিকে
জয় বাংলা  জয় বাংলা সবার মুখে একটিই কথা
এটাই ছিল এক বিজয়ের গল্প গাঁথা
ছেড়া খাতা
.................শুভ জিত দত্ত
 আজো মাঝে মাঝে
 উল্টে দেখতে ইচ্ছে হয়
 ছেড়ার খাতার গল্প গুলো
 কি জানি কি লেখা আছে
 ওই ছেড়া খাতার পৃষ্ঠা গুলোতে
 সেই বয়সে লিখেছি কত
 নব যৌবনের গল্প গুলো
 তাই মাঝে মাঝে মনে হয়
 কত কিছু না হারিয়ে ফেলেছি
 এই জীবন একটা ছেড়া খাতার
 মতন তার রুপ ও যৌবন
 সময়ের সাথে সাথে
 হারিয়ে যেতে থাকে
 খাতা টা ছেড়া ও পুরোনো
 কিন্তু লেখা গুলো আমার
 কাছে আজো নতুনের মথ

      রং
শুভ জিত দত্ত
নীলাভ রংধনুর রং এ
নীল হয়ে আছে গোটা আকাশ টা
নানা রং এ ছেয়ে গেছে
আকাশের প্রান্তর
নীল সাদা আরো কত রং
এর খেলা চারিদিকে
এক এক করে যেন
রং এর বৃষ্টি নেমে আসে
এ যেন মেঘের আড়ালে
এক অনাবিল রং এর খেলা
ক্ষনে ক্ষনে রং এর পরিবর্তন
গোটা আকাশ জুড়ে
রং এ রঙিন হয়ে ওঠে
প্রকৃতির নীলাভ বনভূমি
রং এর পরশ পেতে
চারিদিকে এক আজানা ব্যাস্ততা
বিদায়
............শুভ জিত দত্ত
আজও ছেলে হারা
মায়ের কান্না থামে নি
সেদিনের সেই বিদায়
আজ শেষ বিদায় হয়ে রইলো
ওরা যে আর ফিরবে না
তবু মায়ের মন যে মানে না
আবার যদি খোকাকে ফিরে পেতাম
শুধু একটি বারের জন্য
সেই তো কবে চলে গেছে যুদ্ধে
আজো খোকা ফিরে এলো না
তবু আশায় আশায় বসে
থাকি পথ চেয়ে
খোকা আসবে,খোকা ঘরে ফিরে আসবে
আমাকে আবার আগের মথ জড়িয়ে
ধরে বলবে মা গো আমি এসেছি
আমি আবার তোমার কোলে
ফিরে এসেছি

অপূর্ণতা
শুভ জিত দত্ত
 লাশের গন্ধে হীম
 হয়ে আছে গোটা শরীল টা তার
দগে দগে গন্ধে
কোন মতেই কাছে ভেরা যায় না
কয়েক দিনেই পচন
ধরতে শুরু করেছে তার শরীলে
এই কি সেই সৌমেন
যে ছি দুরন্ত আর ছটফটে
আজ সেই সৌমেন
কেন এত নিশ্চুপ
যার সাথে আড্ডা না
দিলে গোটা বিকাল টা
যেন একঘেয়েমী লাগত
আজ কেন সেই সৌমেন
এর পাশে আমরাই কান্নারত
আজ যে সে নেই
কোন ভাবেই যেন
মেনে নিতে পারি না