ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Tuesday, August 11, 2020

"ননী বাবুর রান্না ঘর"

--শুভ জিত দত্ত

বাবুর বাড়ি রান্না ঘরে

হরেক পদে ঠাসা,

ননী বাবুর হাতের ছোঁয়ায়

রান্না হয় খাসা।

মসলা আছে কয়েক প্রকার

দিল্লি থেকে আনা,

জিরে থেকে শুরু করে

আছে আনাচ দানা।

সকাল থেকে শুরু হয়ে

চলছে রান্না বান্না,

একটু বেশি দিলেই কিছু

তিনি আবার খান্না।

কসা মাংস সরষে ইলিশ

শেষে আছে দই,

খাওয়া দাওয়া হলো তবে

টক গেল কই।

পস্ত দিয়ে রাঁধেন তিনি

কোনা বাড়ির আলু,

তিনি আবার খান না একা

থাকে সাথে লালু।।

 


"রাগের চোটে"

--শুভ জিত দত্ত

বাবু সোনা রেগে গেলে

কিছু ভেঙে শোনে,

কোন কিছু বলে না যে

অংক খালি গোনে।

রাগ করে বলে না যে

কারো সাথে কথা ,

গোমড়া মুখে থাকে যে সে 

খেলনা নিয়ে তথা।

কোন কথায় ভোলে না সে

চাই তার নাটাই,

বানাবে সে নানা ঘুড়ি

মাথা তো সে খাটাই।

নানা ছুতোয় যাবে মাঠে

ধরতে গেলেই আপত্তি,

মা তাই একটু গেলেই রেগে

বাধে যত বিপত্তি।

সারা পাড়া ঘুরে শেষে

আসে কান্ড করে,

সন্ধ্যা হলে ঘুমিয়ে পড়ে

মা কে ধরে আঁকরে।।


Monday, August 10, 2020

ছড়া কবিতা

 


"বিড়াল জুটি"
--শুভ জিত দত্ত
টুনির ছিল বিড়াল দুটি
দেখতে সাদা কালো,
চুপটি করে বসে থাকে
স্বভাব ওদের ভালো।
লেজ গুটিয়ে খেতে বসে
বেড়ে দিলেই হলো,
ইঁদুর গুলো ভয়ে থাকে
হঠাৎ বিড়াল এলো।
কখন আবার খাবে গিলে
এটাই কাল হলো ,
রাত হলে জেগে থাকে
নজর সজাগ ছিলো।
ভয়ে ভয়ে খাবার খেতে
আসে ইঁদুর গুলো,
পড়লে ধরা ওদের হাতে
কঠিন শাস্তি দিলো।
দিন হলেই ঘুমিয়ে পড়ে
একটু ক্লান্ত হলো,
খেলতে দিলেই খুশি খুব
মিলো আর হুলো।

Sunday, August 9, 2020

 


"ভাত খাবনা"


--শুভ জিত দত্ত


যত বায়না ভাতের সাথে

কত রকম অজুহাত,

নানা রকম বাহানা শেষে

খোকা হয় কাত।

ভাত খেতে খাটনি বেশি

তাই সে খাবেনা,

ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে

মা হাল ছাড়েনা ।

নিত্য নতুন কাহিনী শুনে

যদি খেতে চায়,

কোন কিছুতে ভোলে না

শুধু ছুটে যায়।

খোকা খালি হেসে বলে

ভাত আমি খাবনা,

মা তাই রেগে বলে

পার্কে নিয়ে যাবনা।

খাওয়া নিয়ে ঝগড়া টা

চলছে বহু কাল,

খোকা তাই না খেয়ে

হচ্ছে বেহাল।

Friday, August 7, 2020

কবিতা

 


"কথা পাগল"

--শুভ জিত দত্ত

বলতে পারে অনেক কথা

শুনতে লাগে ভালো,

কথার মাঝে ভুলিয়ে রাখে

চেয়ে থাকতে হলো।

অনেক কিছু বলতে পারে

জ্ঞানের নেই সীমা,

বলার ছিল অনেক কিছু

কথা থাকে জমা।

এরওর সাথে ডেকে ডেকে

শোনাই নানা কথা,

বলতেনা পারলে একটু কিছু

লাগে তার ব্যাথা।

এর মধ্যে মজে থেকে

ভুলে সব থাকে,

অনেক গল্প জানেন তিনি

বলবে তিনি কাকে।

একটু বললে মন ভরেনা

বলতে বেশি হবে,

হোক বিরক্ত তাতে তার

কিবা এসে যাবে।।








Sunday, August 2, 2020

কবিতা


আদেখলে
--শুভ জিত দত্ত

প্রতিদিনের গতি পথে তুমি ছিলে
অবাক হয়ে চেয়ে থাকতে,
ঠিক দশ গজ দূরে তুমি দাঁড়িয়ে
আমার আশার সময় গুণতে।

অনুসরণ করতে করতে হারিয়ে যেতে
কোন অজানা গন্তব্যের দিকে,
তবু বলতে পারি নি কখনো কেন যেন
শুধু পেছন ফিরে দেখতাম তাকে।

কেটে যেত এভাবে দেখতে দেখতে মাস
ধয্য ছিল যেন অগাধ যে তার,
একবিন্দু কষ্টের ছাপ অপেক্ষাতে পড়েনি
মায়াজালে জড়াতো শুধু সেএক জাদুকর।

বলব বলব করে হারিয়ে গেল সে যে
কোথায় সে যে চলে গেল,
কে যেন বলল সে আর নেই নাকি 
যাওয়ার আগে একটু যেতো বলে।।

Saturday, August 1, 2020


রেললাইনের পথে
--শুভ জিত দত্ত

রেল লাইনের মানুষ গুলো
দেখতে সহজ সরল,
ওদের মনে নেইতো কোন
তোদের মত গরল।

কখনো আবার খিদের জ্বালায়
ধুঁকতে ধুঁকতে মরে,
কেউ দেখেনা দুচোখ মেলে
আছে ওরা অনাহারে।

তারা খাবার নষ্ট করে
দেয় ফেলে ডাষ্টবিনে,
একটু দিলেই ওদের মন
যায়যে ফেলা কিনে।

বাধ্য হয়ে যায় যেছুটে
ঘৃণ্য পথের দিকে,
জরিয়ে পড়ে নানা কাজে
যেতে হয় চোদ্দশিকে ।।



Thursday, July 30, 2020

"শখের বসে"

--শুভ জিত দত্ত
শখ ছিল তার ডাক্তার হবে
দেখবে অনেক রুগী,
এতো পড়ার চাপে শেষে
তিনি হলেন যোগী।
কঠিন পেশা তাই বলে কি
পড়তে হবে এতো,
মাথায় যদি বিগড়ে গেলো
লাভকী পড়ে সেতো।
নাই বা যদি থাকি বেঁচে
খুঁজবে নাকো শেষে,
ভুল করলেও একটি বারো
চড় দেবেনা কষে।
এখন বরং আছি ভালোই
নেই তো পড়াশোনা,
এমন‌ বেশে থাকবো আর
কথাই বলবো না।
যায় যদি যাক চুলোয় সবই
আমার তাতে কী,
সব তো শেষ হয়েই গেছে
আরকি আছে বাকী।।

Monday, July 27, 2020

কবিতা

"আলো ছায়া"

--শুভ জিত দত্ত
কালো মেঘ ভেসে আসে
 শ্রাবণ আষাঢ় মাসে,
হঠাৎ করে বর্ষা নামে
গরম একটু কমে।
কখন আবার মেঘ সরে
সূর্যি উঁকি মারে,
আলো ছায়ার খেলা চলে
বিকাল নেমে এলে।
মেঘে মেঘে বেলা গুলো
দিনশেষে ছুটি নিলো,
চাঁদ তারা ঢেকে যায়
মেঘেদের হবে ঠাঁয়।
রাস্তা ঘাট ডোবে জলে
বৃষ্টি একটু হলে।
বর্ষার মৌসুমে প্রকৃতির ডাকে
পাখিরা উড়ে ঝাঁকে।
ব্যাঙ গুলো ডেকে ফেরে
নদী পুকুর পাড়ে,
বদল দিনে এরুপ কেন
নতুন লাগে যেন।।





Saturday, July 25, 2020

কবিতা

''অদ্ভুত আশা''

--শুভ জিত দত্ত


আসবে আবার সময় পেলে
যখন লাগে ভালো।
দেখবো তোমার সময় পেলে
যখন ইচ্ছা হলো,
ভাববো আমি তোমার নিয়ে
মন যখন চেলো।
পাখির মত ইচ্ছে হলেই
ডানা তুমি মেলো,
আমার নিয়ে হারিয়ে যেয়ো
বয়স হোক ষলো।
দেখতে আমি খুব খারাপ
তোমার থেকে কালো,
কথা কিছু আছে বলার
সময় পেলে বলো।
ভালোবাসা হয় কি ওজন
গ্রাম কিংবা কিলো,
তোমার নিয়ে স্বপ্ন গুলো
আশা হয়ে ছিলো।।



Sunday, July 19, 2020



হাঁস চুরি
--শুভ জিত দত্ত

মদন বাবুর হাঁস দুটি
লাল নীল খুনসুটি
এদিক ওদিকে দেখে শুনে
বাড়ি আসে সন্ধ্যা ক্ষনে
হঠাৎ করে ডাকা ডাকি
কানে কিছু আসে নাকি
বলি কে আবার এলো ঘরে 
হাঁস গুলো নিল চোরে
প্রাণ পাখি হাঁস দুটি
শেষ মেশ নিলো ছুটি
ডিম খাবো প্রাণ ভরে
এই ছিল সাধ মোরে
সব শেষ হয়ে বসে
ছবি গুলো মনে ভাসে
কত স্বপ্ন দেখে ছিলাম
আজ সব ভুলে গেলাম
হাঁস দুটি আছে কোথা
বুকে নিয়ে যত ব্যাথা।।


খোকন রাজা
--শুভ জিত দত্ত
ভিন রাজ্য ঘুরে ফিরে
খোকন এলো ঘরে,
দায়িত্ব পেয়ে খোকন বাবু
তিনি হলেন কাবু।
এত শত কাজের ভিরে
মাথা যেতো ঘুরে,
রাত জেগে ভেবে দেখে
থাকবে সুখে দুখে।
এতো বড় রাজ্যো যে তাই
আনন্দে ভাত খাই।
মন্ত্রী মশাইয়ের কথা গুলো
লাগতো মজা ভালো,
প্রজারা সব মহা সুখে
নাম করে মুখে।
শেপাই পেয়াদা সাথে করে
রাজ্যে যেতেন ঘুরে,
কাজের ফাঁকে সময় দেখে
খাবার খেতেন চেখে,
তার ছিল স্বভাব কিছু,
যেত তার পিছু পিছু‌।
তাকে পেয়ে সবাই খুশি
আনন্দে বাজায় বাঁশি।।





Monday, July 13, 2020

কবিতা

"গায়ে লাগা"
--শুভ জিত দত্ত

লোকে যে যাই বলুক
করতে পারি কি,
আমার মতো আমি চলি
করো সাথে না লাগি।
খাই দাই ঘুমাই ভাই
একটু গান গাই,
শুনতে শুনতে সয়ে গেছে
আর লাগে না গায়ে।
দু চার কথা বললে পরে
সব যাবে থেমে,
পড়লে পরে কেউ বিপদে
আমার যেতে হবে।
পেছন থেকে মারতে খোঁচা
ওরাই সুযোগ নেবে বাঁছা ,
করতে পারে তোমার ক্ষতি
সুযোগ পেলে দেবে লাথি‌।
কারো কথায় তাল না দিলে
কি কার এসে গেলে,
হাসতে হাসতে উড়িয়ে দিতে
তুমি ভাই পারতে।।


Tuesday, July 7, 2020


"শেষ যাত্রা"
--শুভ জিত দত্ত
তুমি না বলছিলে 
শেষ বার এসে কথা বলে যাবে
কি এলে না শেষ কথা টুকু বলতে
তবে কি শেষ যাত্রায় সঙ্গী হবে
যেখানে কেউ কারো বিরক্ত করে না
এত কষ্ট পাচ্ছি তবু কেন এলে না 
দেখতে নাকি আছো আরো কষ্টে তুমি
জানো তিন দিন না খেয়ে আছি
বার বার তোমার কথা শুধু ভেবেছি
আমাকে ছাড়া তুমি কেমন আছো
না কি দগ্ধ আমার থেকে বেশি
সেদিন হয়তো একটু বেশি বলেছি
খুব ভালোবাসিতো 
এখন পাশে নাই বা থাকলে 
থেকো শেষ যাত্রায় তাতেই 
আমার ঘুচবে অভিমান 
আমি তো আর থাকবো না
তাই একটু কষ্ট দিয়ে দূরে
সরিয়ে দিয়েছি শেষ বারের মত।।

কবিতা


"একটু রাগী"
--শুভ জিত দত্ত


সন্তু বাবুর খেলানা গুলো
খেলতে খেলতে ভাঙে,
ভাঙলে পরে কিনতে হবে
নইলে পরে কাঁদে।
দেখতে দেখতে ভাঙতে পারে
বলতে গেলেই রাগে,
বলতে বলতে ভাঙবে সবই
বলার উপায় নাই,
বললে পরে রেগে মেগে
মাথায় করে বাড়ি।
ধমক দিয়ে বলল আবার
বেড়িয়ে যাবো শেষে,
শুনতে শুনতে গল্প গুলো
ভাঙবে রাগের পারদ।
হাসতে হাসতে ঘুমিয়ে পড়ে
শান্ত শিষ্ট রাগী,
পড়তে পড়তে সন্তু বাবুর
ঘুমটা একটু আসে।
খেতে বসলেই হঠাৎ করে
গান গেয়েই ফেলে,
একটু রাগী সন্তু বাবুর
মনটা কিযে ভালো।।