ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Friday, March 12, 2021

 স্বপ্নের সাথী 

-শুভ জিত দত্ত


হঠাৎ করে লাগলো হওয়া

আমি আজ দিলাম পাড়ি

দূর আকাশের ডানা মেলে

নীল সাদা ওই মেঘের দলে


দিলাম খুশি উজাড় করে

আজ না হয় কাজের কথা

দিলাম একটু ছুটি দিয়ে

তোমার সাথে বলব কথা



হারাবো আজ মেঘের সাথে

তুমি আর আমি মিলে

কথাই কথাই বলব গল্প

মানের যত সুখের স্মৃতি


সময় পেলে এসো তুমি

সেদিন না হয় দুজন মিলে

পরীর কাছে পাখা নিয়ে

হারাবো আজ খুশির ছলে।।

Saturday, March 6, 2021

 খোকার ডাকে

-শুভ জিত দত্ত


খোকা আমার ডাকলো এবার

যায় কি থাকা ঘরে,

ফেলে রেখে এগিয়ে যাওয়া

আমার দেশের তরে।


জীবন বাজি রেখে এবার

নমবো যুদ্ধ জয়ে,

ওদের হাতে অস্ত্র দেখে

থাকবো নাকো ভয়ে।


যুদ্ধ জয়ের পরে তবে

ফিরবো আমি ঘরে,

আমার এবার দামাল ছেলে

থাকবো না আর সরে।।



Wednesday, February 24, 2021

 "খুশির ঈদ"

শুভ জিত দত্ত


প্রতীক্ষার পালা শেষে‌

আসে খুশির ঈদ

ঈদ তাই মহাখুশির

আনন্দে মেতে ওঠা


ধনী গরিব নাইরে ভাই

এক কাঁতারে দাঁড়ায়

নামাজ শেষে কোলাকুলি

বিভেদ ভুলে আজই


এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি

খুশির সীমা নেই

হরেক রকম আয়োজনে

আনন্দে আত্মহারা


ঈদ মানেই মহা খুশির

মহা মিলন মেলা

উৎসবের এই আয়োজনে

আমরা সবাই সামিল।। 

 

হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া

শুভ জিত দত্ত


এতোটা কাছ থেকেও হারালে

মনের গভীরে সেইতো ছিলাম

খুব কাছেই রেখেছিলে 

যত টা কাছে থাকলে কাউকে

হারানো হয় তো অসম্ভব


হয়তো কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি

মাঝেও পরম তৃপ্তি ছিলো

তাই হয় তো বার বার ছুটে

আসতে হতো সেই সুদূর থেকে

তোমার টানের অনুভবে


তবু কেন এতো অভিমান গুলো

রেখেছিলে জমিয়ে বলোনি তো

কখন তোমার কষ্টের কথা গুলো

চেষ্টা করতাম কিছুটা হালকা 

করতে তোমায় সুযোগ পেলামনা।।


Friday, February 19, 2021

 "খুঁজে ফেরা"

শুভ জিত দত্ত


অচেনা আর অগোচরে 

থেকে গেলে আড়ালে

খুঁজে ফিরি মনে মনে

গহীন অন্তড়ালে


কবে তুমি দেখা দেবে

কতটা সময় বাকি

কিভাবে আসবে কাছে

বলবে কিছু তাকি


নাকি হতাশায় ভুগবো  

না পাওয়ার ক্ষোভে

শুধু তুমি ছাড়া পড়িনি 

কোন মিথ্যা লোভে


বলবে তুমি সত্যি করে

আসতে দেরি কতো  

অপেক্ষা গুলো দিনে দিনে

যাচ্ছে বেড়ে ততো।।




Sunday, February 14, 2021

 "মুক্তির সুবাস"

-শুভ জিত দত্ত



মুক্ত মনে উড়াল দিলো

রঙিন পাখা মেলে,

আকাশ জুড়ে স্বপ্ন নিয়ে

বেড়ায় তারা খেলে।


ওদের আছে রাঙিন পাখা

ইচ্ছে হলেই উড়ে ,

স্বাধীন দেশে মুক্ত প্রাণে

ডানা মেলে চড়ে ।


এবার হবে স্বপ্ন বোনা

আপন খেয়াল মাঝে,

উড়িয়ে দিয়ে ইচ্ছে গুলো

সবার খুশির সাঝে।


স্বাধীন মোদের জন্ম ভূমি

উল্লাসে ফেটে পড়া,

খুশির খবর বুকে নিয়ে

ইচ্ছে ভেলায় চড়া।।


Friday, February 5, 2021

 অগোছালো আমি

শুভ জিত দত্ত


আমি বোধহয় বড্ড আপনভোলা

হঠাৎ হঠাৎ নিজেকে হারিয়ে ফেলি

বেখেয়াল হয়ে থাকি সকাল সন্ধ্যা


আর অগোচরে সময়ে অসময়ে 

আমার ভাবনার মধ্য মনি তুমি

তাই এই উদাসীনতা ভর করেছে


সেদিনোও নিজের প্রতি নিজেই বড্ড

খুব যত্নবান ছিলাম গুছিয়ে রাখতাম 

নিজেকে অন্যদের থেকে কিছু বেশি


সেদিন না তুমি না আসলে এতটা

হয়তো আপন ভোলা হোতাম না

থাকতাম বড্ড গোছালো হয়ে।।




 মিনির বিয়ে

শুভ জিত দত্ত


লিমার ছিলো ছোট্ট মিনি

বিয়ে দেবে আজই,

লগ্ন আছে দিনের শেষে

জামাই আসবে কালই।


দেখতে শুনতে খুবই ভালো

অনেক কাজের মেয়ে,

ছেলে হলো ইঁদুর ধরে

চলে শিকার খেয়ে।


লিমার বিড়াল চালাক চতুর

আছে একটু রাগী ,

সেদিন মাছের পেটি খেয়ে

এখন আবার দাগী ।


ওদের সংসার চলছে ভালোই

মধ্যে মাঝে অমিল, 

মিনির জামাই আছে ভালো

করে শুধু গরমিল।




Friday, January 22, 2021

কবিতা

 কল্পনার জগতে

শুভ জিত দত্ত



হঠাৎ আনমনে অজানা স্বপ্নে

কখনো কি খুঁজেছো 

অবাক হয়ে নীল আকাশের

মেঘ গুলো চেয়ে দেখেছো


সবুজ ঘাসের অচেনা পথে

কখনো কি হেঁটেছো

কল্পনাতে কি কখনো রং

নিয়ে খেলা করেছো


ভালো লাগা গুলো একটু

পাখির সাথে বলেছো

সময়ে অসময়ে কখনো কি

নিজেকে হারিয়ে ফেলেছো


হারিয়ে যাওয়া সময় আমায়

একটুও সাথে নিয়েছো

নাকি অবহেলার ছলে আমাকে

বার বার হারিয়ে ফেলেছো।।

Thursday, January 21, 2021

ছোট গল্প

কেবলা ভূতের গল্প

শুভ জিত দত্ত

বেশ কয়েক বছর গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয় না। তেমন দীর্ঘ ছুটি হয় না তাই যাওয়া হয় না ।বাবা কে কত বলি কিন্তু বাবার মুখে সেই একই কথা ছুটি হলে নিয়ে যাবো। সৌভাগ্য ক্রমে শীতের শুরুতে ছুটি টা জুটে গেল।একটু সোনায় সোহাগা ও বলা যায়।ঠিক কাক ডাকা ভোরে রওনা হলাম ট্রেনে চেপে। সকালের ফুটফুটে আলো ফুটতেই পৌঁছে গেলাম মদন পুর গ্রামে। সেখানে ঠিক জমিদার বাড়ির পাশেই আমার দাদুর বাড়ি। অনেক দিন পর সবার সাথে দেখা হলো।সবাই কে দেখে যে ভালো লাগা তা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।অনেক দিন পর গ্রাম টা বড্ড অচেনা লাগছিল এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে নতুন করে পরিচিত হচ্ছিলাম গ্রামের সাথে।এই গ্রামে আসা হয় না বলে কোন বন্ধু ও ছিলো না। বিকেলে প্রতিদিন গিয়ে বসতাম জমিদার বাড়ির পুকুর পাড়ে।কত স্মৃতি জড়ানো এই জমিদার বাড়ি । সেদিন বিকেলে গ্রামের মাঠে খেলা দেখে ফিরতে একটু সন্ধ্যা হলো। বাড়ির একটু কাছেই ঝোপের আড়ালে ছোট বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসলো। বাড়ির কাছে তাই একটু সাহস করে এগিয়ে গেলাম।তার কাছে কাছে যেতেই সে আমাকে বলল আমার কাছে এসো না কিন্তু আমি কিন্তু ভূত অমনি আমি বললাম ও বাবা তাই নাকি দেখে তো মনে হয় না দেখে মনে না হলেও আমি ভূত।

আমি মজার ছলে বলেই ফেললাম তুমি কি আমার বন্ধু হবে ।তা কি করে হয় কোন মানুষ তো ভয়ে আমার কাছে আসে না তুমি আমার বন্ধু হবে?হ্যাঁ হব জানো আমি জাদুকরে অনেক কিছু আনতে পারি অনেক দূরে যেতে পারি তোমাকেও নিয়ে যেতে পারি অনেক কিছু খাওয়াতেও পারি। তাহলে তো ভালোই হলো এই গ্রামে আমার একটা বন্ধু হলো ও বাবা ,তাই নাকি। আমার নাম সৌমেন তোমার নাম কি বলবে আমি তো ভূত আমার আবার কোন নাম আছে নাকি। আচ্ছা আমি তোমাকে নাম দিলাম মিশু । ধন্যবাদ আচ্ছা তুমি এতো কিছু জানো কিভাবে? সে তো অনেক পড়তে হয়। তাহলে আমাকে কিছু শিখিয়ে দিও। আচ্ছা তাহলে আমার জন্য এখন কিছু লাড্ডু নিয়ে চলে আসো জাদু দিয়ে দেখি কেমন পারো।এই নাও তোমার লাড্ডু তাহলে আমাকে শেখাও ।আচ্ছা আচ্ছা দাঁড়াও তোমাকে এক দুই করে গোনা শেখাই। ধন্যবাদ বন্ধু তুমি অনেক দিন থেকো আমাদের গ্রামে।শীতের ছুটি শেষ হলে আমাকে যে চলে যেতেই হবে আর তো বেশিদিন থাকা চলবে না। তুমি বরং আমার সাথে শহরে যেও। তা কি করে হয় বলো আমার এখান থেকে 

 যে অন্য কোথাও যেতে হলে অনুমতি নিতে হয় । ভূতের রাজা কাছে থেকে এই অনুমতি নিতে হয়। তোমাদের ভূতের রাজার কাছে আমি যাবো অনুমতি টা নিয়ে আসবো।তোমাকে সাথে নিয়েই শহরে যাবো। চলো তাহলে তোমার রাজার কাছে আমি দেখি কি বলেন তিনি।কে হে তুই রাজামশাই রাজামশাই সে মানুষ আমার বন্ধু সে কিছু একটা বলবে, একটা আবদার ছিল বলার কি বলবি বল ওকে আমি আমার শহরে নিয়ে যেতে চায় ।রাজামশাই ওকে আমার সাথে যেতে দিতেই হবে না হলে আমি হয় ভূত হব না হলে এখান থেকে যাব না ।ওরে বাবা এত ভীষণ জ্বালা আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে এবার যদি কিছু হয় সব দোষ কিন্তু তোমার।। আচ্ছা ঠিক আছে আমি ওকে খুব দেখে রাখব আর কোন কিছুই হবে না পরে যদি কিছু হয় আমাকে কিন্তু বলিস না। চলরে মিশু অনুমতি পেয়ে গেছি এবার কালই রওনা হবো আমাদের শহরে।।


Saturday, January 16, 2021

ছড়া কবিতা


 


"শখের হাঁড়ি"

শুভ জিত দত্ত

পথের পাশে পুকুর পাড়ে

বকুল মিয়ার বাড়ি,

লোকে বলে তাহার নাকি

আছে সোনার হাড়ি।


প্রবেশ পথে কুকুর থাকে

দেখলে ডাকা ডাকি,

বকুল মিয়ার দেবে ফাঁকি

এতো সহজ নাকি।


হিয়া লম্বা পাঁচিল আছে

আবার থাকে কামান,

লাঠি হাতে তৈরি থাকে

চুরি আবার থামান।


মিয়া ভাইয়ের রাতের ঘুমটা

কেড়ে নিলো হাড়ি,

কতো স্বপ্ন ছিলো সেতো

শখের ছিলো ভারি।।






Friday, January 15, 2021

 এভাবেই এসো ফিরে

-শুভ জিত দত্ত


সেদিন তুমি আসবে বলে

আমি আবার রাত জেগে

ভেবেছি কি বলবো দেখা

হলে শুধু তোমার সাথে


জানো এতো বিরতি তবুও

একটু কমে নি তোমার প্রতি 

যে মায়া টুকু সযত্নে জমিয়ে

ছিলাম মনের অগোচরে


আজ তাই দিশে হারা হয়ে 

তোমার আশার খবর

বিলিয়ে বেরায় পাক পাখালি

আর নীল আকাশের মাঝে

 

আর ভুল করবো না 

ছাড়বো না কোন মতে

তোমাকে আর আমার 

থেকে ছেড়ে যেতে দেবো না।।




Wednesday, January 6, 2021

 


"কথার জালে"

শুভ জিত দত্ত



কথার মাঝে জড়িয়ে ফেলো

দুঃখ গুলো ভুলিয়ে রাখো

রাজ্যের যতো কষ্ট গুলো

ভুলে থাকি যখন তুমি যখন

আপন মনে কথা বলো


হঠাৎ করেই মাঝে মাঝে

কোথায় তুমি হারিয়ে যাও

তখন জানো কষ্ট গুলো

খুব দ্রুত জড়িয়ে ফেলে

কখনো যে বুঝবে তুমি


মাঝে মাঝে ভাবি বলব

আমার জমানো কিছু কথা

কিন্তু মজে যেতাম তোমার

কথাতে ভুলেই গেছি সবই

আমার কথা হারিয়ে যেত


একদিন যদি সামনাসামনি

তুমি এসে হঠাৎ দাঁড়াও

দেখ কেমনে থামিয়ে দেবো

শুরু করবো আমি আর নীরব

দর্শক হয়ে চেয়ে থাকবে তুমি।।

Tuesday, January 5, 2021

ছড়া কবিতা

 "খোকার নাচনী"

শুভ জিত দত্ত


সকাল সন্ধ্যা খোকা একটু

খেলার ছলে নাচে

গানের সাথে হেলে দুলে

বাহারি কতো ধাচে

বাংলা গানে হিন্দি গানে

আরো কতো তালে

পড়তে বসে নাচলে খোকা

চপাট খাবে গালে 

দেখতে খোকা নাদুস নুদুস

কপাল খানি ঠাসা  

মুখটা তাহার চাঁদের মতো

বদন খানি খাসা

কথা বলে হেসে খেলে

খানিক একটু নাচে

হঠাৎ সেদিন নাচতে গিয়ে

পাটা কাটলো কাচে

Sunday, January 3, 2021

 "ফিরে এসো তুমি"

শুভ জিত দত্ত



এইতো সেদিন খুব বেশি দিন নয়

কত কথার মাঝে বেঁধে রাখতে

তবে কেন এমন হঠাৎ পরিবর্তন

কি এমন কষ্ট চেপে রেখেছিলে


কেমন চলছে তোমার দিনগুলো

তুমি তো আমাকে তোমার মতো

করে পেতে চেয়েছিলে তবু কেন

যেতে হলো আমাকে একা করে


জানো তোমার পছন্দের পাখিটি

তোমার জন্য হঠাৎ কেঁদে ওঠে

শুনলে অবাক হবে তোমার নাম

করে আর শুধু খোঁজাখুঁজি করে


সেই ছবিটি তুমি প্রথম দিয়েছিলে

আজো প্রতিদিন মালা গেঁথে রাখি

সন্ধ্যা হলে চেয়ে থাকি ছবির দিকে

তুমি তো আছো পুরো বাড়িটা জুড়ে


সেদিন হাত ধরে ঢুকে ছিলে প্রথম

এই সোনার সংসারে আজ অথচ

আমাকে ফেলে তুমি উড়াল দিলে

সাথে নিতে সেই না ফেরার দেশে।।