ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Friday, August 19, 2016

রথযাত্রা
..........শুভ জিত দত্ত
জগন্নাথের রথ যাত্রা
এলো বছর ঘুরে
জয় জগন্নাথ বলে সবাই
টানবে রথের দড়ি
শঙ্খ ধ্বনি উল্লু ধ্বনি
কম্পিত হবে চারিদিক
রথের চাকা চলবে
আর জয়ধ্বনি পরবে
তিনি যাবে মাসি বাড়ি
সথে বলরাম আর সুভদ্রা
রথের মেলায় ঘুরে ঘুরে
খাব মিঠাই পেঠ টা ভরে
কিনবো কত খেলনা
পাতি রথের মেলায় ঘুরে
কি মজা হবে হবে তখন
রথযাত্রা দর্শনে
চারিদিকে তাই কত তাই
আনন্দ আর উৎসবে মাতোযারা
স্কুল
..........শুভ জিত দত্ত
পুরনো স্কুল টা
হয়েছে আজ নতুন
সেদিনের আম গাছটাও
আজ হয়েছে অনেক বড়
সেই খেলার মাঠ
ক্রমে ক্রমে হয়ে গেছে ছোট
বে দখল হয়েছে
মাঠের কিছু টা জমি
ছোট বিল্ডিং গুলো হয়েছে
অনেক বড়ো
নতুন ছাত্ররা আজ
মাতিয়ে রাখে স্কুল
যেখানে এক সময়
কাটিয়েছি সারা বেলা
একটু বেদমায়িশি করলে
যেখানে জুটতো কানমোলা
সেই দিন গুলো কি ভাবে হারিয়ে
গেল চোখের নিমিষে

Sunday, May 1, 2016

ছোট্ট বেলা
শুভ জিত দত্ত

ছোটাছুটি লাফালাফি চলতো সারাক্ষণ
দুষ্টুমি তে ভরা ছিল মজার ছোট্ট বেলা
হুরোহুরি দাপাদাপি নেই যে একটু বিরাম
সকাল থেকেই শুরু সন্ধ্যা হলেই শেষ
নালিশের পর নালিশ পরতে থাকতো সারাদিন
বাড়ি ফিরেই মার বকুনি নিত্যদিনের সঙ্গী
হৈহৈ করে চলত আমার ছোট্ট বেলা
আম চুরি লিচু চুরি আরো কত চুরি
আমি ছিলাম বড্ড চালাক পারতো
 না কেউ ধরতে
হঠাৎ করেই হলাম বড়
কেমন করে হারিয়ে গেল দুষ্টুমিতে
ভরা সেই মজার ছোট্ট বেলা
আবার কি পাবো ফিরে মায়ের বকুনি
আর শাষনে ভরা সেই ছোট্ট বেলা
মাঝে মাঝে বড়ই ইচ্ছা হয়
ফিরে যেতে সেই ছোট্ট বেলায়

বৈশাখ মানেই হঠাৎ করে
কালো মেঘ ঘনিয়ে ঝড়ের আগমন
দিক বিদিক ছোটাছুটি
প্রচন্ড ঝড়ে দৌড়ে বাড়ি ফেরা
বৈশাখ মানে তপ্ত গরমে
কৃষকের শান্তি একটু পান্তা ভাতে
হাপুস হুপুস করে মুখে দিয়ে
প্রচন্ড গরমে কর্মব্যাস্ত হওয়া
দর দর করে ঘাম ঝড়তে
থাকে অবিরত তার মাঝে
এক ফোঁটা বৃষ্টির আহবান
অপেক্ষার পালা শেষ করে
এক সময় দেখা মেলে বৃষ্টির
মঝে মাঝে মনে পড়ে
ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর
সেই দুরন্ত পানার স্মৃতি
আর ঠাকুমার আম মাখা
আজো মুখে লেগে আছে
ফেলু রাম
শুভ জিত দত্ত
ফেল করেছি অনেক বার
হাল ছাড়িনি একবারও
লোকে যে যাই বলুক আমাই
আমি ভাই শুনবো না
ফেল করেছি বেশ করেছি
তোমার তাতে কি
কান পাতি না কোন কথায়
ও সব সয়ে গেছে
পড়াশুনার পোকা কেন
মাথায় ঢোকে না
শত চেষ্টা করেও কেন
পাশ করতে পারি না
শেষে কিনা ফেলু রাম
উপাধি টা জুটলো কপালে
বাবু মশাই
 শুভ জিত দত্ত
 বাবু মশাই আসলো এবার
 কলিকাতা থেকে
 চারিদাকে চলছে তাই
 বরন প্রস্তুতি
 মহা ভোজনের আয়োজন তাই
 চলছে জোরে সোরে
 ষ্টেশনে ভির জমছে
 বাবু এল বোধায়
 দাদু এল বরন করতে
 মালা হাতে নিয়ে
 হাতির পিঠেই উঠে বাবু
 চলল জমিদার বাড়ী
 হা করে সব রইল তাকিয়ে
 বাবু মশাই এর দিকে
 ববু যে বড্ড শিক্ষিত
 কথা বলতেই ভয় লাগে
 সাজ সাজ রব বিরাজ করে
 জমিদার বাড়ির চারিদিকে
 বহু দিন পড়ে বাবু
 এলো বাড়িতে
 সবাই যে তাই মহা আনন্দে
 করছে উৎসব

Monday, April 11, 2016

পেটুক দাদু
 ,.,.শুভ জিত দত্ত.,.
 দাদু আমার বড্ড পেটুক
 সারাদিন খাই খাই
 রাত নেই দিন নেই
 চলছে যে তার মুখ
 রন্ধন শালায় কুমার বাবুর
 নেই যে একটু বিরাম
 থালা ভরে ভাত না দিলে
 দাদু চটে যেতেন
 এক পদে যে মন ভরে না
 চাই যে পাঁচ পদ
 সারা টা সময় ব্যাস্ত মা
 দাদুর খেতে দিতে
 পাশে বসে ঠাকুমা দাদুর
 বাতাস দিয়েই যেতেন
 মস্ত বড় ভুরি যে তার
 গিলেই চলে খালী
 খিদে যে লেগেই থাকে
 সারাদিন ভর
 পেটুক দাদুর স্বভাব খানী
 হল না বদোল
নির্মম পাশবিক অত্যাচারের গন্ধ
 লেগে আছে ওদের গায়ে
 রক্ত আজ শুকিয়ে জমাট
 বেঁধে গেছে
 ওই হায়নার দল গুলো আজো
 মানচিত্র কে কুঁড়ে খেতে চায়
 পঙ্গুত্ব কে বঁয়ে বেড়ানো
 অসহায়ত্ব কে দূরে সড়িয়ে
 ওরা আজও প্রতিবাদ করতে চায়
 আর কত অন্যায় অবিচার
 দেখবে চোখের সামনে
 ওই কুলাঙ্গার এখন এই
 দেশকে ধ্বংস করতে চায়
 ,,,,,,,,শুভ জিত দত্ত
তনুদি কে নিয়ে ছোট্ট একটি লেখা
 .,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,
 এই ভাবে আর কত তনু
 হারিয়ে যাবে আমাদের মাঝ থেকে
 আর কত প্রতিবাদ করলে
 ওদের বিচার হবে
 কত টা নির্দয় কতটা পাষন্ড
 হলে মানুষ এত নিচে নামে পারে
 অকালে শেষ হয়ে যাবে
 আর কত নিষ্পাপ প্রাণ
 নিরবে নিভৃতে আর কত
 চোখের জল ফেলবে ওদের বাবা মা
 এখন কেন নিশ্চুপ হয়ে
 আছে গোটা সমাজ ব্যাবস্থা
 বিচার হীনতায় ভুগবে
 কেন ওরা আজ
 কি এমন দোষ করেছিল
 ও তোমাদের কাছে
 চায় না এভাবে হারিয়ে যাক
 তনুদির মথ জলন্ত প্রতিভা
 হোক প্রতিবাদ তবে আজ
 আর নয় এমন বর্বর হত্যা
 .......শুভ জিত দত্ত

রং ধনুর সাত রং মিশে গেছে নীল
 আকাশ টার ওই প্রান্তরে
 যেখানে ডালা মেলে উড়ে বেড়ায়
 মুক্তমনা কিছু পাখিদের দল
 নেই যে বাধা সেখানে কোন
 শুধুই আছে অবাধ স্বাধীনতা
যেখানে প্রকৃতি তার অনন্য
 রুপ মেলে ধরে তার সমহিমায়
 সন্ধ্যার জোনাকী গুলো
 টিপ টিপ আলো দিয়ে যায়
 সেখানে প্রকৃতি তার অনন্য
 মহিমায় বিচরন করে সারাক্ষন
 যেখানে বর্নিল আলোক ছটা
 রং রং ভরিয়ে দিয়ে যায়

Tuesday, April 5, 2016

ছোট্ট বেলা
শুভ জিত দত্ত
ছোটাছুটি লাফালাফি চলতো সারাক্ষণ
দুষ্টুমি তে ভরা ছিল মজার ছোট্ট বেলা
হুরোহুরি দাপাদাপি নেই যে একটু বিরাম
সকাল থেকেই শুরু সন্ধ্যা হলেই শেষ
নালিশের পর নালিশ পরতে থাকতো সারাদিন
বাড়ি ফিরেই মার বকুনি নিত্যদিনের সঙ্গী
হৈহৈ করে চলত আমার ছোট্ট বেলা
আম চুরি লিচু চুরি আরো কত চুরি
আমি ছিলাম বড্ড চালাক পারতো
 না কেউ ধরতে
হঠাৎ করেই হলাম বড়
কেমন করে হারিয়ে গেল দুষ্টুমিতে
ভরা সেই মজার ছোট্ট বেলা
আবার কি পাবো ফিরে মায়ের বকুনি
আর শাষনে ভরা সেই ছোট্ট বেলা
মাঝে মাঝে বড়ই ইচ্ছা হয়
ফিরে যেতে সেই ছোট্ট বেলায়

Friday, March 11, 2016

 অজানার পথে
শুভ জিত দত্ত
দেখতে দেখতে দশ টা বছর পার হয়ে গেল জন্মের   বাবা মাকে ছেড়ে চলে গেল কোন অজানা স্থানে শত খোঁজা খুজির পরও বাবা আর খুঁজে পাওয়া গেল না।মা যেন চারিদিকে অন্ধকার দেখতে থাকে মামা যদি সেদিন পশে না দাঁড়াতো তাহলে হয়তো আমাদের পথে দাঁড়াতে হতো।দাদা কোন রকমে একটা চাকরী জোগাড় করে কদিন যেতেই মা আমাদের কাঁদিয়ে চলে গেল অজানার দেশে দাদার ভাড়া বাসায় ছাঁদে দাঁড়ালে দেখা যেত বস্তির মানুষের বাস্তব চিত্র কতনা কষ্টে কাটতো তাদের দিনগুলো সে তো গেল ওদের কথা বেকার বলে বৌদির কাছে অনেক কথা শুনতে হয়,মাঝে নিজেকে খুব অসহায় লাগতো,প্রতিদিন চাকরী খোজার জন্য বের হওয়া অতঃপর বাড়ি ফিরে আসা।দাদা তেমন কিছু না বললেও বৌদি খেতে বসলে খোঁটা দিত তিন বেলা দাদার অন্ন ধ্বংস করছে।এত এত ডিগ্রী অর্জন করলাম তার কি আজ কোন মুল্য নেই,দাদা কে না জানায়ে একটা দোকানে কোন রকমে একটা কাজ জুটালাম তার থেকে বৌদি সংসার খরচ বাবদ যা দিতাম তাতে বৌদি তেমন খুশি ছিল না,কদিন করে খুব অসুস্থ কাজে যেতে পারি না বিছানায় অচেতন হয়ে পড়ে আছি ডাক্তার তো দূরের কথা একটি বারের জন্য কেউ আমার খোঁজ টি নিল না বৌদি দরজা থেকে  খাবার থালটি ছুড়ে দিত বিছানার দিকে,এই ভাবে কিছু দিন যাওয়ার পর হঠাৎ সুজয় সৌমেন কাকার ঘরে যায়  শত শত ডাকাডাকির পরেও সৌমেন কাকার সাড়া পাওয়া গেল না,মা মা সৌমেন কাকার কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না আপদ টা গেছে তাহলে ,মৃতদেহ সামনে দাদা বৌদির লোক দেখানো কান্না হয়তো এই সমাজের একটি প্রতিছবি ।ভাগ্যের পরিহাসে ওই দিনই সৌমেন এর দাদা তার চাকরি টা হরায় ।এই ভাবে কত সৌমেন পারি জমাচ্ছে অজানার পথে তা হয় তো আমাদের সবারই অজানা।।

ওরা ধনী
শুভ জিত দত্ত
ওদের আছে অঢেল তবু
সড়ে না হাত দিয়ে
মানবিকতা আজ শুধু তাদের আছে
যাদের নেই কিছু
ওদের নেই কিছু তবুও
মন যে ওদের বিশাল
ওদের আজ সব থেকেও
যেন কোন কিছুই নেই
যাদের আছে পাহার সমান
তাদের মুখে একটায়
বুলি দূর দূর দূর
না থাকলেও ওদের কিছু
মনটা ওদের বড্ড বড়
সমাজে মানুষ কেন
ধনীদের কদর করে
নিচের দিকে নজর ওদের
পরেনা কবুও
নিচের দিকের মানুষ তাই
ওদের বড্ড ঘৃণা করে
মানব ধর্ম
শুভ জিত দত্ত
ধর্ম নিয়ে ওরা সবাই
করে বাড়াবাড়ি
মানুষ সৃষ্ট ধর্ম  আজ
হয়েছে বিকল
যখন তখন যাকে তাকে
ধর্মের নামে চলে খোনাখুনি
ধর্মের নামে বোমাবাজি
চলে  যেথাই সেথাই
মানব থেকে বড়
আছে আবার কি
সব থেকে বড়
ধর্ম মানব ধর্ম
যেথাই নেই ভেদাভেদ
ধর্মে বর্ণে
সেথাই আছে শুধু
মানব ধর্ম
চাপিয়ে দিয়ে ধর্ম আবার
হয় কি পালন
ধর্ম মানে কি ব্যাক্তি
স্বাধীনতা হরন
যুগে যুগে তাই আজ
মানব ধর্মের জয়গান

আধো আধো ভাষায় যখন
ডাকতিস বাবা বলে
সব দুঃখ যেতাম ভুলে
তোর বাবা ডাক শুনে
দুষ্টুমিতে সারা বাড়ি
রাখতিস মাতিয়ে
আজ তুই হঠাৎ করে
অনেক বড় হলি
এক নামে সবাই তোকে
সাহেব বলে ডাকে
দু দিন বাদে আমায়
তুই দিলি পর করে
শেষ ঠিকায় রয়ে গেলাম
আজ বৃদ্ধাশ্রম
মাঝে মাঝে আজও তাই
তোর কথা ভেবে
কেঁদে যায় নিরবে
আজ আমি তোদের
ছেড়ে আছি বড় একাকী
..........,.,.,শুভ জিত দত্ত