শীতের ছুটি
বেশ কয়েক মাস হলো বড় ছুটির খোঁজ নেই। বন্ধুরা সবাই মিলে আর খেলার সময় টুকু হয়ে ওঠে না।সারা দিন পড়ার চাপ তা ছাড়া বাবা মা আর শিক্ষকরা তো আছেই।সবার একটাই কথা প্রথম হতেই হবে। আমার কথা হলো সবাই যদি প্রথম হবে দ্বিতীয়টা কে হবে।এতো চাপ শেষে মাথাটাই না বিগরে যাই।যতো দূর শুনেছি এর ওর কাছে নামি দামি লোকরে নাকি বেশি পড়াশোনাও জানে না।তাহলে আমরাই বা কি করবো এতো পড়াশোনা করে।যদি একটু ঠিক খেলতেই না পারি।যাই হোক সামনে শীত কাল অনেক আইডিয়া ঘুরছে মাথায়। কতদিন পর সব বন্ধুরা মিলে আবার হৈ হুল্লোড় করবো ভাবতেই ভালো লাগে। স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নজর রাখতাম খেজুর গাছ গুলোর দিকে।
শীতের ছুটি পেলেই অভিযান শুরু করতে হবে।মাঝে মাঝে মনে হয় রসের হাঁড়ি গুলো আমার দিকে তাকিয়ে আছে।সবাই যখন শীতে কনকন করে কাঁপে আমরা বন্ধুরা তখন দাপাদাপি করি।তখন আর কে কি বললো মাথায় থাকে না।বাড়ি ফিরতে দেরি হলেই মা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে থাকতো চটাম চটাম করে পিঠে পড়তো।তার পরও ভালো লাগা বলতে এই যে সারাদিন দুষ্টুমি আর দিন শেষে মার খাওয়া পর কিন্তু রাতে মা ঠিকই বুকে জড়িয়ে ধরতো।গ্রামের দুষ্টু ছেলে বলতে আমরাই ছিলাম এমন কোন কাজ ছিল না যে আমার করি নি।আর ছুটি এলেই এভাবে কাটতো দিন গুলো আর পিকনিক তো ছিল সপ্তাহে একটা হয় খিচুড়ি না হয় ডিম ভাত।কন কনে শীতে পিকনিক বেশ জমতো আমাদের বাগানে ছোট্ট একটা হারিকেন নিয়ে। মাঝে মাঝে কেউ তো ভূত ভূত বলে চিৎকার করে উঠতো। খুব মজাদার ছিল সেই শীতের ছুটির দিন গুলো।।