ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Friday, September 16, 2016

মন
,,    শুভ জিত দত্ত
মন আমরা বড় উতলা
সব সময় অশান্ত
এক দন্ড স্থির হয় না
করে খালি সটফট
উড়ু উড়ু কলে খালি
থাকে না একটু শান্ত
সব সময় উড়ন চন্ডী
বড্ড বলি হারি
অজানা দেশে সে
উড়ে বেড়ায় খালী
জগৎ সংসার নিয়ে
তার নেই কোন মাথা ব্যাথা
মাঝে মাঝে ভাবি
কি করে যে বশে রাখি
এই অশান্ত মনটারে
.........................................
.........................................
কবি হুমায়ন আজাদ
,,,,,,,শুভ জিত দত্ত
ধর্ম বর্ণের উদ্ধে গিয়ে
আছ সবার শীর্ষে
নতুন ধারা সৃষ্টতে
ছিলে অগ্রণী
তোমার লেখায় সূচনা হল
নতুন ধারার দিশা
তাই বলে ওরা তোমার
করে বার বার আঘাত
তবুও করনি মাথা নথ
ওদের কারো কাছে
সাহস নিয়ে লিখলে তুমি
শত প্রতিবাদী গল্প কবিতা
তোমার লেখায় হল
জাগ্রত গোটা তরুন সমাজ
তোমার মাঝে খুজে পেল
নতুন পথের দীশা
তাই মরনেও রইলে
বেঁচে এই তারুণ্যের মাঝে
মন
,,    শুভ জিত দত্ত
মন আমরা বড় উতলা
সব সময় অশান্ত
এক দন্ড স্থির হয় না
করে খালি সটফট
উড়ু উড়ু কলে খালি
থাকে না একটু শান্ত
সব সময় উড়ন চন্ডী
বড্ড বলি হারি
অজানা দেশে সে
উড়ে বেড়ায় খালী
জগৎ সংসার নিয়ে
তার নেই কোন মাথা ব্যাথা
মাঝে মাঝে ভাবি
কি করে যে বশে রাখি
এই অশান্ত মনটারে
.........................................
.........................................
কবি হুমায়ন আজাদ
,,,,,,,শুভ জিত দত্ত
ধর্ম বর্ণের উদ্ধে গিয়ে
আছ সবার শীর্ষে
নতুন ধারা সৃষ্টতে
ছিলে অগ্রণী
তোমার লেখায় সূচনা হল
নতুন ধারার দিশা
তাই বলে ওরা তোমার
করে বার বার আঘাত
তবুও করনি মাথা নথ
ওদের কারো কাছে
সাহস নিয়ে লিখলে তুমি
শত প্রতিবাদী গল্প কবিতা
তোমার লেখায় হল
জাগ্রত গোটা তরুন সমাজ
তোমার মাঝে খুজে পেল
নতুন পথের দীশা
তাই মরনেও রইলে
বেঁচে এই তারুণ্যের মাঝে

Friday, August 19, 2016

সারা আকাশ জুড়ে কালো
মেঘের আনাগোণা
হঠ্যাৎ করে অঝোর ধাড়ায়
বৃষ্টির আগমন
দিকবিদিক ছোটাছুটি
চলে অনেক টা সময়
জনজীবন ক্ষানিক সময়
যায় থমকে
পথ ঘাট চারিদিক কাঁদাজলে
হল একাকার
দূর্ভোগে নেই যে শেষ
কর্ম ব্যাস্ত এই শহরে
কালো মেঘ গুলো সড়ে
যায় কোন এক সময়
মিষ্টি রৌদ উুঁকি মারে
মেঘের আড়াল থেকে
জ্বামাই ষষ্টি
....শুভ জিত দত্ত
সমাদরের কমতি নেই
নতুই জ্বামাই বলে
একের পর এক
চলতেই থাকে মুখ
বৌ শুধু চেয়েই থাকে
থালা গুলোর দিকে
শ্বাশুড়ির মা  নানা পদ
রেঁধেই চলে খালি
জ্বামাই ষষ্টি নতুন জমাই
গুলোর কপাল যায় খুলে
আম কাঁঠালের কমতি নেই
জ্বামাই এসেছে বলে
শেষ মেষ জ্বামাই বাবার
পেটের বেমো হয়
পাখা নিয়ে শ্বাশুরি মা
বাতাস দিতেই থাকে
গেল গেল জ্বামাই গেল
একটু কম করে খেলেও হত
দিদিমা
..........শুভ জিত দত্ত
দিদিমা আমার বড্ড রসিক
খালি করে রসিকতা
বয়স তার কম হল না
বোঝার উপায় নেই
নাতিপুতি ছাড়া দিদিমার
একবিন্দু ও চলে না
মজার মজার কথা বলে
মজিয়ে রাখে আসর খানি
সুযোই পেলেই দিদিমা আবার
দাদুর পেছন লাগে খালি
কে বলবে বয়স যে তার ষাটের
ঘরে বোঝার উপায় নেই
বৌমা গুলো বেজায় খুশি
রসিক শ্বশুনি পেয়ে
দিদিমার দিন গুলো
তাই যাচ্ছে হেসে খেলে
দুষ্টুমি করলে মায়ের মথ
কান মুলে দেয় খালি
এভাবেই যেন দিদামা
কে নিয়ে কেটে য়ায় সারা জীবন

অচেনা শহর
শুভ জিত দত্ত
গ্রাম থেকে এলো দাদু
সাঙ্গে দিদিমা
কলিকতার শহর তার
লাগে অচেনা
অলিগলিতে ভরা শহর
বড্ড সেকেলে
শহর মানুষ দেখে দিদিমার
করে বড় ভয়
টুপলা টুপলি গুলো বড়
আগলে রাখে তাই
শহর মানুষ গুলো
বড্ড ব্যাস্ত
ক্ষনিক টা সময় দেই
না তো কেউ
ঠিকানা খুঁজতে খুঁজতে
দাদু তাই হল হয়রান
দিদিমার নিয়ে তাই
দাদু দেয় পিছু টান
হল না দেখা আর
ছেলেটার সাথে
গম্ভীর মুখে তাই
বাড়ি ফেরা
সর্বনাশা ঝড়ে লন্ডভন্ড
হল সব
গুড়িয়ে গেল কাঁচা ঘর ছিল
ওই গ্রাম টিতে যত
ক্ষেতের ফসল যা ছিল
সব হল শে
বড্ড নিঃষ আজ ওরা
খোলা অকাশের নিচে
ক্ষুদ্রার্থ ওই মানুষ গুলো
আজ বড় অসহায়
গবাদী পশু যা ছিল
ভেসে গেল জোয়ারে
পাশে দাঁড়ানোর মথ
নেই যে কেউ আজ
ওরা আজ নিঃসম্বলের মথ
কাকুতি মিনতি করে
উঁচু তলার নজর তবু
পরে না ওদের দিকে
রথযাত্রা
..........শুভ জিত দত্ত
জগন্নাথের রথ যাত্রা
এলো বছর ঘুরে
জয় জগন্নাথ বলে সবাই
টানবে রথের দড়ি
শঙ্খ ধ্বনি উল্লু ধ্বনি
কম্পিত হবে চারিদিক
রথের চাকা চলবে
আর জয়ধ্বনি পরবে
তিনি যাবে মাসি বাড়ি
সথে বলরাম আর সুভদ্রা
রথের মেলায় ঘুরে ঘুরে
খাব মিঠাই পেঠ টা ভরে
কিনবো কত খেলনা
পাতি রথের মেলায় ঘুরে
কি মজা হবে হবে তখন
রথযাত্রা দর্শনে
চারিদিকে তাই কত তাই
আনন্দ আর উৎসবে মাতোযারা
স্কুল
..........শুভ জিত দত্ত
পুরনো স্কুল টা
হয়েছে আজ নতুন
সেদিনের আম গাছটাও
আজ হয়েছে অনেক বড়
সেই খেলার মাঠ
ক্রমে ক্রমে হয়ে গেছে ছোট
বে দখল হয়েছে
মাঠের কিছু টা জমি
ছোট বিল্ডিং গুলো হয়েছে
অনেক বড়ো
নতুন ছাত্ররা আজ
মাতিয়ে রাখে স্কুল
যেখানে এক সময়
কাটিয়েছি সারা বেলা
একটু বেদমায়িশি করলে
যেখানে জুটতো কানমোলা
সেই দিন গুলো কি ভাবে হারিয়ে
গেল চোখের নিমিষে

Sunday, May 1, 2016

ছোট্ট বেলা
শুভ জিত দত্ত

ছোটাছুটি লাফালাফি চলতো সারাক্ষণ
দুষ্টুমি তে ভরা ছিল মজার ছোট্ট বেলা
হুরোহুরি দাপাদাপি নেই যে একটু বিরাম
সকাল থেকেই শুরু সন্ধ্যা হলেই শেষ
নালিশের পর নালিশ পরতে থাকতো সারাদিন
বাড়ি ফিরেই মার বকুনি নিত্যদিনের সঙ্গী
হৈহৈ করে চলত আমার ছোট্ট বেলা
আম চুরি লিচু চুরি আরো কত চুরি
আমি ছিলাম বড্ড চালাক পারতো
 না কেউ ধরতে
হঠাৎ করেই হলাম বড়
কেমন করে হারিয়ে গেল দুষ্টুমিতে
ভরা সেই মজার ছোট্ট বেলা
আবার কি পাবো ফিরে মায়ের বকুনি
আর শাষনে ভরা সেই ছোট্ট বেলা
মাঝে মাঝে বড়ই ইচ্ছা হয়
ফিরে যেতে সেই ছোট্ট বেলায়

বৈশাখ মানেই হঠাৎ করে
কালো মেঘ ঘনিয়ে ঝড়ের আগমন
দিক বিদিক ছোটাছুটি
প্রচন্ড ঝড়ে দৌড়ে বাড়ি ফেরা
বৈশাখ মানে তপ্ত গরমে
কৃষকের শান্তি একটু পান্তা ভাতে
হাপুস হুপুস করে মুখে দিয়ে
প্রচন্ড গরমে কর্মব্যাস্ত হওয়া
দর দর করে ঘাম ঝড়তে
থাকে অবিরত তার মাঝে
এক ফোঁটা বৃষ্টির আহবান
অপেক্ষার পালা শেষ করে
এক সময় দেখা মেলে বৃষ্টির
মঝে মাঝে মনে পড়ে
ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর
সেই দুরন্ত পানার স্মৃতি
আর ঠাকুমার আম মাখা
আজো মুখে লেগে আছে
ফেলু রাম
শুভ জিত দত্ত
ফেল করেছি অনেক বার
হাল ছাড়িনি একবারও
লোকে যে যাই বলুক আমাই
আমি ভাই শুনবো না
ফেল করেছি বেশ করেছি
তোমার তাতে কি
কান পাতি না কোন কথায়
ও সব সয়ে গেছে
পড়াশুনার পোকা কেন
মাথায় ঢোকে না
শত চেষ্টা করেও কেন
পাশ করতে পারি না
শেষে কিনা ফেলু রাম
উপাধি টা জুটলো কপালে
বাবু মশাই
 শুভ জিত দত্ত
 বাবু মশাই আসলো এবার
 কলিকাতা থেকে
 চারিদাকে চলছে তাই
 বরন প্রস্তুতি
 মহা ভোজনের আয়োজন তাই
 চলছে জোরে সোরে
 ষ্টেশনে ভির জমছে
 বাবু এল বোধায়
 দাদু এল বরন করতে
 মালা হাতে নিয়ে
 হাতির পিঠেই উঠে বাবু
 চলল জমিদার বাড়ী
 হা করে সব রইল তাকিয়ে
 বাবু মশাই এর দিকে
 ববু যে বড্ড শিক্ষিত
 কথা বলতেই ভয় লাগে
 সাজ সাজ রব বিরাজ করে
 জমিদার বাড়ির চারিদিকে
 বহু দিন পড়ে বাবু
 এলো বাড়িতে
 সবাই যে তাই মহা আনন্দে
 করছে উৎসব

Monday, April 11, 2016

পেটুক দাদু
 ,.,.শুভ জিত দত্ত.,.
 দাদু আমার বড্ড পেটুক
 সারাদিন খাই খাই
 রাত নেই দিন নেই
 চলছে যে তার মুখ
 রন্ধন শালায় কুমার বাবুর
 নেই যে একটু বিরাম
 থালা ভরে ভাত না দিলে
 দাদু চটে যেতেন
 এক পদে যে মন ভরে না
 চাই যে পাঁচ পদ
 সারা টা সময় ব্যাস্ত মা
 দাদুর খেতে দিতে
 পাশে বসে ঠাকুমা দাদুর
 বাতাস দিয়েই যেতেন
 মস্ত বড় ভুরি যে তার
 গিলেই চলে খালী
 খিদে যে লেগেই থাকে
 সারাদিন ভর
 পেটুক দাদুর স্বভাব খানী
 হল না বদোল
নির্মম পাশবিক অত্যাচারের গন্ধ
 লেগে আছে ওদের গায়ে
 রক্ত আজ শুকিয়ে জমাট
 বেঁধে গেছে
 ওই হায়নার দল গুলো আজো
 মানচিত্র কে কুঁড়ে খেতে চায়
 পঙ্গুত্ব কে বঁয়ে বেড়ানো
 অসহায়ত্ব কে দূরে সড়িয়ে
 ওরা আজও প্রতিবাদ করতে চায়
 আর কত অন্যায় অবিচার
 দেখবে চোখের সামনে
 ওই কুলাঙ্গার এখন এই
 দেশকে ধ্বংস করতে চায়
 ,,,,,,,,শুভ জিত দত্ত