ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Saturday, April 23, 2022

 



সঙ্গী যখন পাখি

-শুভ জিত দত্ত পাখির দলে যুক্ত হলো পাশের বাড়ির রুমু, খেলার সাথী বলতে ওরা সঙ্গে থাকে মুমু। ওদের সাথে মিশে গিয়ে তালে তালে নাচা, সঙ্গী এখন ওরা সবাই তাদের সাথে বাঁচা। পড়া শুনা চুলোয় গেলো পাখির সাথে মাতা, সময় পেলে ওদের সাথে পাড়বো মিষ্টি আতা। খাবো সবাই মজা করে সাথে মিষ্টি আলু, খাবার সময় ছুটে আসে পোষা কুকুর কালু।

Wednesday, April 13, 2022

বৈশাখের জৌলুস

 বৈশাখের জৌলুস

-শুভ জিত দত্ত


চৈত্রের শেষে উৎসব মাঝে

নতুন বছর আসে ,

শোভা যাত্রা লাঠি খেলা

দেখি বৈশাখ মাসে।


নাগর দোলা ঢাকের বাদ্য

উৎসব লেগেই আছে,

বিশাল একটা মেলা বসে

বাড়ির একটু কাছে।


মন্ডা মিঠাই খাওয়ার তালে

সবাই মিলে মাতে,

বৃদ্ধ শিশু দাদু দিদু

অংশ নেবে তাতে।


জারি গানে সারি গানে

আসর থাকে জমে,

অনেক বছর হলো তবু

জৌলুস যায় নি কমে।।







Tuesday, April 12, 2022

কবিতা মন খারাপ

 মন খারাপ

-শুভ জিত দত্ত


মনের হঠাৎ রোগ হয়েছে

লাগে না কিছু ভালো

কোন কাজে মন বসে না

কি জানি কি হলো


কদিন আগেও ছিলাম ভালো

হঠাৎ উদ্ভব মন খারাপের

হাজারো কষ্ট মাথায় নিয়ে

দিন কি যায় ভালো



এতো কষ্টের মাঝেও আমি

কি করে থাকি ভালো

ধীরে ধীরে চেহারা যেন

হচ্ছে আমার কালো


উঠতে বসতে কষ্ট যেন

আমার শুধু ‌কাঁদায়

এতো কিছুর পরেও আমি

থাকি হাশি খুশি।।




Wednesday, April 6, 2022

বৈশাখের কবিতা


 বৈশাখ এলেই
শুভ জিত দত্ত


উৎসবের জোয়ার খুশির বারতা 

আসছে আবার বৈশাখ ,

মেলায় পসরা সাজিয়ে নিয়ে

আনন্দে মেতে ওঠা ।


পালা পার্বণ জৈষ্ঠ্য শেষে

বৈশাখের হাতছানি,

মণ্ডা মিঠাই হাঁড়ি পাতিল

কেনা কাটার ধুম।


নতুন সাজে গুছিয়ে নিয়ে

উৎসবে সামিল হওয়া,

মান অভিমানের গল্প গুলো

এবার ইতি টানা।


বাঙালির ভাঁজে ভাঁজে

বৈশাখ আছে মিশে,

উৎসবের গন্ধ পেলেই 

দৌড়ে ছুটে যাওয়া।।



Thursday, March 31, 2022

ছড়া কবিতা

 পেটুক বাঙালী

-শুভ জিত দত্ত


নানান নামে নানান পদে

রান্নার আছে বাহার

স্বাদের থেকে নামেই আছে

চলছে শুধু আহার


কসা মাংস মোরগ পোলাও

ইচ্ছে করে খেতে

উৎসব এলেই খাবার তালে

সবাই থাকে মেতে


রান্না ঘরে মায়ের হাতের

গন্ধ আসে ভেসে 

চেটে পুটে সাবার করি

খাচ্ছি একটু ঠেসে


এমন খাবার খেতে হলে

আসবে বিদেশ ছেড়ে

একটু তে কম পড়লে তোমার

খেতে হবে কেড়ে








Tuesday, March 22, 2022

 রূপের ছটা 

-শুভ জিত দত্ত


তোমার রুপের বর্ননা করা

আমার পক্ষে কঠিন

শুধু কবিতা লিখতে পারি

তবু পৃষ্ঠা ফুরাবে না


চোখের ইশারায় মাতাল করে

মন যে কেড়ে নেয়

কোনো মতে চোখ পড়লে

নিজেকে হারিয়ে ফেলি


লাল শাড়িতে তুমি যেন

মায়াবী কোন পরী 

স্বর্গীয় অপ্সরা হার মানবে

তোমার রূপের ছটায়


আমি কিবা লিখতে পারি

এমন সুন্দরের উপমা

শুধু চেয়ে থাকতে পারি

আমি অবাক হয়ে।।



Monday, March 21, 2022

 প্রথম দেখা

-শুভ জিত দত্ত


যেদিন তোমার প্রথম দেখি

নির্ঘুম কাটে রাত

সেদিন থেকে কল্পনা তে

শুধু ছিলে তুমি


ধ্যানে জ্ঞানে সবটা জুড়ে

দখল করে ছিলে

তাতেই আমি বিভোর হয়ে

নিজেকে হারিয়ে ফেলি


হঠাৎ নিজের ভেতর পরিবর্তন

টের পেতে থাকি

কি জানি কি হলো আমার

এমন হচ্ছে কেন


সকাল সন্ধ্যা দিন রাত্রি

ভাবনা জুড়ে তুমি

ভালো লাগার মানুষ আজ

সামনে চলে এলো।।

Saturday, March 19, 2022

 শান্তির খোঁজে

-শুভ জিত দত্ত


সারা বিশ্বে আজ যুদ্ধের নামে

চলছে প্রাণহানি

রাজনীতিতে হিংসার নামে 

জীবন নিয়ে খেলা


লাশের মিছিলে সামিল হচ্ছে

লাখো মানুষের ঢল

ক্ষমতার লোভে বড়াই করে

কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ


শান্তি নামে বস্তু যেন

হঠাৎ করে নিখোঁজ

অশান্তির আগুনে জ্বলে পুড়ে

ছাই হয়েছে সবই


আবার কবে বিশ্ব মাঝে

শান্তি আসবে ফিরে

সেই দিন গুণতে গুণতে

দিন যাচ্ছে চলে।।

Thursday, March 3, 2022

কবিতা

স্বপ্নের পথ

শুভ জিত দত্ত


অনেক দিন সেই পথ ধরে

আর হাঁটা হয় না

কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে

কোন মতেই ভোলার নয়


তবু কেন আজ অচেনা লাগে

চির চেনা সেই পথটি

কিছু সময়ের ব্যবধানে

কত স্মৃতি হারিয়ে যায়



কিছু রাগ আর অভিমান

জমেছিল এই পথ কে ঘিরে

তবু এই এখানে আমার

হাজারো স্বপ্ন বোনা


ঠিক ভাবিনি কখনো পথ যে

আমাকে সঠিক রাস্তা খুঁজে দেবে

স্বপ্নের মত মনে হয়েছিলো

পথের জাদুকরী বাস্তব চিত্রটি

Tuesday, February 1, 2022

 জমানো গল্প

-শুভ জিত দত্ত


যতই হারিয়ে যাওনা তুমি

ঠিক সময়ে ফিরে এসো

তোমার ছাড়া একলা আমি

মন বসে না কাজে


তোমার অপেক্ষা দীর্ঘ হলে

আমার গল্প এলোমেলো

তোমার জন্য রেখেছি আমি

জমিয়ে হাজার কথার বুলি


ভেবো না আমি ভুলে গেছি

রাত জেগে ভাবি শুধু 

কবে আবার সুযোগ পাবো

খানিক একটু কথা বলব


যখন তুমি সময় দেবে

তখন অধম হাজির হবে

ঠিক তখনই করবো শুরু

আমার মনের গল্প যত

Monday, January 17, 2022

ছড়া কবিতা

 বুড়ির ঘুড়ি

-শুভ জিত দত্ত

বাড়ির পাশে বনের ধারে

থাকতো আজব বুড়ি

সারা দিনে সময় পেলে

খেতো নাকি মুড়ি 


শোনা কথা তিনি নাকি

রাখতো কাছে নুড়ি 

তাতেই তিনি জাদু করে

পেতো নাকি মুড়ি


খাবার কষ্টে যেতো ছুটে

তিনি দিতেন তুড়ি

তাতেই সবার বস্তা বস্তা

জুটতো কতো মুড়ি


বুড়ির বাড়ি ছিলো নাকি

বিশাল একটা ঘুড়ি

সেটাই চড়ে এদিক ওদিক

ঘুরতো আজব বুড়ি


Saturday, January 1, 2022

গল্প

 অজানা ভয়ের রহস্য

শুভ জিত দত্ত

আমাদের গ্রামের ঠিক শেষ প্রান্তে একটা প্রাচীন মন্দির। মন্দিরের সাথেই একটা বিশাল বট গাছ , এই গাছটির বয়স অনুমান করাটাই বেশ কঠিন ব্যাপার । মন্দিরের জায়গাটা বেশ নির্জন তেমন আশে পাশে কোনো বাড়ি ঘরও নেই। অনেক রকম ভংঙ্কর কাহিনী কাহিনী প্রচলিত আছে এই এলাকাটি নিয়ে, তাই সন্ধ্যার পর কেউ সেখানে তেমন যায় না।যাই হোক আমাদের গ্রামটা অনেক ভালো।সারাটা বছর জুড়ে প্রায় উৎসব লেগেই থাকে।আমাদের পাড়ায় আমাদের যে গ্রæপ আছে তার লিডার সৌমেনদা। এলাকায় তার বেশ অনেক সুনাম আছে।শীতের পিকনিক বা এদিক ওদিক যাওয়া থেকে শুরু করে সব কিছুতেই তার একটা বড় ভূমিকা ।সামনেই শীতের ছুটি অনেক দিন কোথাও যাওয়া হয় না ,বিকালে তনুর সাথে দেখা আমাকে বলল শুক্রবার স্কুল ছুটি আছে ওই দিন পিকনিকের মিটিং আছে ঠিক সময়ে চলে আসবি সৌমেনদা থাকবে কিš‘।যাই হোক আমাদের মিটিং শেষে সিন্ধান্ত হলো এবার ট্রেনে চেপে একটু দূরেই যাবো।সেই বার পিকনিক শেষে ফেরার পথে আনেক রাত হয়ে গেল ।ট্রেন থেকে নামতেই সব যেন শুনশান কোথাও কেউ নেই , তবে সৌমেনদার ছিল অঢেল সাহস।দাদা বলল চল যে করেই হোক আজ বাড়ি যাব ,যেই কথা সেই কাজ রওনা হলাম বাড়ির পথে।একটু যেতেই পথেই সেই মন্দির ভয়ে যেন পা সড়ে না।অনেক আওয়াজ আর আলো আসছিলো শুনে মন হ”িছল কারা যেন খুব জোরে জোরে হাসছে ।তনু তখন বলে উঠল ওখানে যেই আত্মা গুলো থাকে তাদের কাজ।সবাই সিন্ধান্ত নিল স্টেশনে ফিওে যাওয়ার।তখন সৌমেনদা বলে ওঠলো আজ আত্মাদের দেখেই বাড়ি ফিরব আমি জানতাম দাদা অনেক সাহসী নিষেধ করলাম তবুও শুনলো না।সৌমেনদা বলল আমার সাথে কেউ জাবি নাকি আমি আর রতন সাহস করে এগিয়ে গেলাম সৌমেনদার সাথে, ঠিক ঝোপের আড়ালে গিয়ে লুকিয়ে রইলাম কি আছে দেখার জন্য ।দেখি দশ থেকে বারো জনের একটা ডাকাত দল তারা সোনা ও টাকা পয়সা ভাগ করছে।আগেই বলে রাখা আমাদের গ্রামে বেশ কিছুদিন ধওে ডাকাতি হ”েছ। পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও ওদের ধরতে পারছে না। এদের ধরা বেশ কষ্ট সাধ্য ব্যাপার মূলত কখন যে এরা কোথায় থাকে বোঝা কঠিন ব্যাপার।এরা সাধারন মানুষের মত ঘুরে বেড়ায় এদিক ওদিক তাই পুলিশ সহজে আঁচ করতে পারে না।তবে আমাদের একটা কাজ অনেক সহজ হয়ে গেল।কাল কোথায় তারা ডাকাতি আগে থেকে খবর পেয়ে গেলাম ,কিš‘ এবার আমাদের কিছু করতে হবে।আমাদের পক্ষে এত বড় গ্রæপকে ধরা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ।সৌমেনদা একটা বুদ্ধি আসলো ওই গ্রামের মানুষদের কাছে আগে থেকে জানানো হলো পরিকল্পনা ।পরদিন ঠিক সন্ধ্যা থেকে আমাদের প্র¯‘তি শুরু হলো।তখন ঠিক রাত ১টা বাজে ওরা এসেই আগে কি যেন স্প্রে করল তার ঠিক আধা ঘন্টা পর তাদের অভিযান শুরু করল। লক্ষ্য করলাম বাড়ির কেউ টের পেল না ।ঠিক ওরা বেরিয়ে যাবে এমন সময় পরিকল্পনা মত সংকেত দিল। আমরা চারিদিক থেকে ওদের ধরে ফেললাম যে যেমন পারলো মারলো ওদের খুব । থানার বড় বাবু রমেন রায় কে খবর দেওয়া ছিল উনিও ঠিক সময় মতো চলে এলেন ধরে বেঁধে ওদের নিয়ে গেলেন।পরদিন বড়বাবু সৌমেনদার সাহসের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে আমাদের গ্রæপের সবাই পুরস্কৃত করলেন । এমন অনেক ঘটনা আছে আমাদের সাথে সৌমেনদার তিনি অনেক সাহসের সাথে সেগুলো মোকাবিলা করেছে। 

কবিতা 

অপেক্ষা
শুভ জিত দত্ত
জানি দেখা হবে মাঝে শুধু
কিছু সময়ের ব্যবধান
তবু তোমার আমার ভেতর
কত যুগ না দেখা কষ্টের
পাহাড় জমে গেছে
যেদিন দেখা হবে ঠিক দেখো
জমানো যত কথা আছে
যতটা পারি বলবো তোমায়
আর নিজেকে হালকা করব
বহু কলের দেখি না তোমাকে
তাই হয়তো কথা গুলো
জমতে জমতে বিশাল এক
পাহাড় তৈরি হয়ে গেছে
তবে তোমার সাথে দেখা না
হলে হয় তো বা
কখনো এই আমার পূর্ণতা পাবে না
তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে খুব
হয়রান হয়ে গেছি।।