ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Thursday, January 21, 2021

ছোট গল্প

কেবলা ভূতের গল্প

শুভ জিত দত্ত

বেশ কয়েক বছর গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয় না। তেমন দীর্ঘ ছুটি হয় না তাই যাওয়া হয় না ।বাবা কে কত বলি কিন্তু বাবার মুখে সেই একই কথা ছুটি হলে নিয়ে যাবো। সৌভাগ্য ক্রমে শীতের শুরুতে ছুটি টা জুটে গেল।একটু সোনায় সোহাগা ও বলা যায়।ঠিক কাক ডাকা ভোরে রওনা হলাম ট্রেনে চেপে। সকালের ফুটফুটে আলো ফুটতেই পৌঁছে গেলাম মদন পুর গ্রামে। সেখানে ঠিক জমিদার বাড়ির পাশেই আমার দাদুর বাড়ি। অনেক দিন পর সবার সাথে দেখা হলো।সবাই কে দেখে যে ভালো লাগা তা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।অনেক দিন পর গ্রাম টা বড্ড অচেনা লাগছিল এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে নতুন করে পরিচিত হচ্ছিলাম গ্রামের সাথে।এই গ্রামে আসা হয় না বলে কোন বন্ধু ও ছিলো না। বিকেলে প্রতিদিন গিয়ে বসতাম জমিদার বাড়ির পুকুর পাড়ে।কত স্মৃতি জড়ানো এই জমিদার বাড়ি । সেদিন বিকেলে গ্রামের মাঠে খেলা দেখে ফিরতে একটু সন্ধ্যা হলো। বাড়ির একটু কাছেই ঝোপের আড়ালে ছোট বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসলো। বাড়ির কাছে তাই একটু সাহস করে এগিয়ে গেলাম।তার কাছে কাছে যেতেই সে আমাকে বলল আমার কাছে এসো না কিন্তু আমি কিন্তু ভূত অমনি আমি বললাম ও বাবা তাই নাকি দেখে তো মনে হয় না দেখে মনে না হলেও আমি ভূত।

আমি মজার ছলে বলেই ফেললাম তুমি কি আমার বন্ধু হবে ।তা কি করে হয় কোন মানুষ তো ভয়ে আমার কাছে আসে না তুমি আমার বন্ধু হবে?হ্যাঁ হব জানো আমি জাদুকরে অনেক কিছু আনতে পারি অনেক দূরে যেতে পারি তোমাকেও নিয়ে যেতে পারি অনেক কিছু খাওয়াতেও পারি। তাহলে তো ভালোই হলো এই গ্রামে আমার একটা বন্ধু হলো ও বাবা ,তাই নাকি। আমার নাম সৌমেন তোমার নাম কি বলবে আমি তো ভূত আমার আবার কোন নাম আছে নাকি। আচ্ছা আমি তোমাকে নাম দিলাম মিশু । ধন্যবাদ আচ্ছা তুমি এতো কিছু জানো কিভাবে? সে তো অনেক পড়তে হয়। তাহলে আমাকে কিছু শিখিয়ে দিও। আচ্ছা তাহলে আমার জন্য এখন কিছু লাড্ডু নিয়ে চলে আসো জাদু দিয়ে দেখি কেমন পারো।এই নাও তোমার লাড্ডু তাহলে আমাকে শেখাও ।আচ্ছা আচ্ছা দাঁড়াও তোমাকে এক দুই করে গোনা শেখাই। ধন্যবাদ বন্ধু তুমি অনেক দিন থেকো আমাদের গ্রামে।শীতের ছুটি শেষ হলে আমাকে যে চলে যেতেই হবে আর তো বেশিদিন থাকা চলবে না। তুমি বরং আমার সাথে শহরে যেও। তা কি করে হয় বলো আমার এখান থেকে 

 যে অন্য কোথাও যেতে হলে অনুমতি নিতে হয় । ভূতের রাজা কাছে থেকে এই অনুমতি নিতে হয়। তোমাদের ভূতের রাজার কাছে আমি যাবো অনুমতি টা নিয়ে আসবো।তোমাকে সাথে নিয়েই শহরে যাবো। চলো তাহলে তোমার রাজার কাছে আমি দেখি কি বলেন তিনি।কে হে তুই রাজামশাই রাজামশাই সে মানুষ আমার বন্ধু সে কিছু একটা বলবে, একটা আবদার ছিল বলার কি বলবি বল ওকে আমি আমার শহরে নিয়ে যেতে চায় ।রাজামশাই ওকে আমার সাথে যেতে দিতেই হবে না হলে আমি হয় ভূত হব না হলে এখান থেকে যাব না ।ওরে বাবা এত ভীষণ জ্বালা আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে এবার যদি কিছু হয় সব দোষ কিন্তু তোমার।। আচ্ছা ঠিক আছে আমি ওকে খুব দেখে রাখব আর কোন কিছুই হবে না পরে যদি কিছু হয় আমাকে কিন্তু বলিস না। চলরে মিশু অনুমতি পেয়ে গেছি এবার কালই রওনা হবো আমাদের শহরে।।


Saturday, January 16, 2021

ছড়া কবিতা


 


"শখের হাঁড়ি"

শুভ জিত দত্ত

পথের পাশে পুকুর পাড়ে

বকুল মিয়ার বাড়ি,

লোকে বলে তাহার নাকি

আছে সোনার হাড়ি।


প্রবেশ পথে কুকুর থাকে

দেখলে ডাকা ডাকি,

বকুল মিয়ার দেবে ফাঁকি

এতো সহজ নাকি।


হিয়া লম্বা পাঁচিল আছে

আবার থাকে কামান,

লাঠি হাতে তৈরি থাকে

চুরি আবার থামান।


মিয়া ভাইয়ের রাতের ঘুমটা

কেড়ে নিলো হাড়ি,

কতো স্বপ্ন ছিলো সেতো

শখের ছিলো ভারি।।






Friday, January 15, 2021

 এভাবেই এসো ফিরে

-শুভ জিত দত্ত


সেদিন তুমি আসবে বলে

আমি আবার রাত জেগে

ভেবেছি কি বলবো দেখা

হলে শুধু তোমার সাথে


জানো এতো বিরতি তবুও

একটু কমে নি তোমার প্রতি 

যে মায়া টুকু সযত্নে জমিয়ে

ছিলাম মনের অগোচরে


আজ তাই দিশে হারা হয়ে 

তোমার আশার খবর

বিলিয়ে বেরায় পাক পাখালি

আর নীল আকাশের মাঝে

 

আর ভুল করবো না 

ছাড়বো না কোন মতে

তোমাকে আর আমার 

থেকে ছেড়ে যেতে দেবো না।।




Wednesday, January 6, 2021

 


"কথার জালে"

শুভ জিত দত্ত



কথার মাঝে জড়িয়ে ফেলো

দুঃখ গুলো ভুলিয়ে রাখো

রাজ্যের যতো কষ্ট গুলো

ভুলে থাকি যখন তুমি যখন

আপন মনে কথা বলো


হঠাৎ করেই মাঝে মাঝে

কোথায় তুমি হারিয়ে যাও

তখন জানো কষ্ট গুলো

খুব দ্রুত জড়িয়ে ফেলে

কখনো যে বুঝবে তুমি


মাঝে মাঝে ভাবি বলব

আমার জমানো কিছু কথা

কিন্তু মজে যেতাম তোমার

কথাতে ভুলেই গেছি সবই

আমার কথা হারিয়ে যেত


একদিন যদি সামনাসামনি

তুমি এসে হঠাৎ দাঁড়াও

দেখ কেমনে থামিয়ে দেবো

শুরু করবো আমি আর নীরব

দর্শক হয়ে চেয়ে থাকবে তুমি।।

Tuesday, January 5, 2021

ছড়া কবিতা

 "খোকার নাচনী"

শুভ জিত দত্ত


সকাল সন্ধ্যা খোকা একটু

খেলার ছলে নাচে

গানের সাথে হেলে দুলে

বাহারি কতো ধাচে

বাংলা গানে হিন্দি গানে

আরো কতো তালে

পড়তে বসে নাচলে খোকা

চপাট খাবে গালে 

দেখতে খোকা নাদুস নুদুস

কপাল খানি ঠাসা  

মুখটা তাহার চাঁদের মতো

বদন খানি খাসা

কথা বলে হেসে খেলে

খানিক একটু নাচে

হঠাৎ সেদিন নাচতে গিয়ে

পাটা কাটলো কাচে

Sunday, January 3, 2021

 "ফিরে এসো তুমি"

শুভ জিত দত্ত



এইতো সেদিন খুব বেশি দিন নয়

কত কথার মাঝে বেঁধে রাখতে

তবে কেন এমন হঠাৎ পরিবর্তন

কি এমন কষ্ট চেপে রেখেছিলে


কেমন চলছে তোমার দিনগুলো

তুমি তো আমাকে তোমার মতো

করে পেতে চেয়েছিলে তবু কেন

যেতে হলো আমাকে একা করে


জানো তোমার পছন্দের পাখিটি

তোমার জন্য হঠাৎ কেঁদে ওঠে

শুনলে অবাক হবে তোমার নাম

করে আর শুধু খোঁজাখুঁজি করে


সেই ছবিটি তুমি প্রথম দিয়েছিলে

আজো প্রতিদিন মালা গেঁথে রাখি

সন্ধ্যা হলে চেয়ে থাকি ছবির দিকে

তুমি তো আছো পুরো বাড়িটা জুড়ে


সেদিন হাত ধরে ঢুকে ছিলে প্রথম

এই সোনার সংসারে আজ অথচ

আমাকে ফেলে তুমি উড়াল দিলে

সাথে নিতে সেই না ফেরার দেশে।।


Tuesday, December 29, 2020

 "আঁকড়ে ধরা স্মৃতি"

শুভ জিত দত্ত


তুমি হয়তো ভুলে গেছো
সুখের কিছু স্মৃতি
সন্ধ্যায় জোনাকির আলোয়
প্রতিদিন হেঁটেছি কতটা পথ
তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে
শুনেছি হাজারো কথা
কত আবদার আমার কাছে
যতটা সম্ভব মিটিয়েছি
তবু কেনো বিরক্তির রেখা
পড়েনি কোনো ভাবেই
কারণ এটা কাছে আসার
এক শুরুর গল্প
তুমি কি হাজারো অভিমান
জমা করে আছো
নাকি এখনো মন থেকে
আমাকে খুঁজে ফেরো
জানো আমি কিন্তু এখন
সেই তেমনি আছি
ঠিক যেমনটি তুমি চেয়েছিলে
তুমি আমার কাছে।।

Monday, December 21, 2020

মুক্তিযুদ্ধের গল্প

 বাবার দেওয়া ভূমি


আমি তখন তৃতীয় কি চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি। যতদূর মনে পড়ে তখন আমি খুব ছোট ।বাবার স্মৃতি গুলো একটু একটু মনে পড়ে।মা-বাবা দুজনেই আমাকে খুব ভালোবাসতো , কিন্তু বাবার খুব কাছের ছিলাম আমি। আমার বাবা পেশায় ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক।কোন লোভ ছিল না তার ,কখন বাড়তি আয়ের আশায় প্রাইভেট পড়াতেন না । ক্লাসের শেষে ছাত্রদের অতিরিক্ত সময় দিতেন তিনি।যারা একটু কম বুঝতো তাদের বাড়িতে ডেকে এনে পড়াতেন বিনিময়ে একটি পয়সাও তিনি নিতেন না।সব সময় তিনি দেশকে ভালো বাসার শিক্ষা দিতেন ,আর বলতেন মা যেমন তার স্নেহ দিয়ে বড় করে তোলে দেশ মাতা ঠিক তেমনি তার আলো বাতাস দিয়ে গড়ে তোলে আমাদের।বাবা কোলে মাথা রেখে আর বাবার মুখে গল্প না শুনলে কোন মতেই ঘুম আসতো না। বেশ কদিন ধরে শুধু বলতো তোর জন্য এক টুকরো স্বাধীন ভূমি রেখে যাবো।আর বলতো জানি না কতো দিন তোকে এভাবে গল্প শোনাতে পারবো । যত প্রশ্ন করেছি ততবার একটি কথাই বলতো আমাকে যেতে হবে জানি না ফিরবো কিনা। আমাদের গ্রামে একটাই রেডিও ছিল সেটা ছিল বাবার কাছেই। সবাই আসতো বাবার কাছে খবর নিতে। বাবা সবাইকে একটা কথাই বলত যে আমাদের তৈরি হতে হবে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য।বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছে আর ঘরে থাকা যাবে না তিনি বলেছেন যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে তৈরি থাকতে হবে। বাবার নিজেই সবাইকে লাঠি নিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন, সেখানে আমার বড় হয় সালামও ছিল। সেদিন রাতে বাবা আমাকে সেই যে ঘুম পাড়িয়ে চলে গেল আর কথা হয়নি কখনো।শুনেছি বাবার পরিকল্পনাতেই আমাদের গ্রাম সহজে শত্রুমুক্ত হয়েছিল। যুদ্ধ শেষ হলো বড় ভাই সালাম ফিরে আসলো কিন্তু আমার বাবা নাকি না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন।আমার বাবাকে পাকিস্তানিরা খুব নির্মমভাবে হত্যা করেছিল কারণ তিনি এই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ হাতে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন এটাই ছিল তাঁর একমাত্র অপরাধ । বাবা ফিরে না এলেও আমাদের জন্য দিয়ে গেছেন এক টুকরো স্বাধীন ভূমি। আর বাবার আদর্শ বুকে নিয়ে আমি আমার দেশকে মায়ের মতোই ভালোবাসবো । আজ ও যখন বাবার কথা মনে পড়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারি না কোনমতেই।।

 "ওরা নির্ভীক যোদ্ধা"

শুভ জিত দত্ত


অস্ত্র হাতে ছিলো ওদের

চলল তাদের গুলি

শহীদ হলো সালাম বরকত

উড়লো মাথার খুলি


ভাইয়ের রক্তে ভিজে গেলো

আমার দেশের মাটি

চারি দিকে শোকের মাতম

চলল কান্না কাটি


আকাশ বাতাস ভারী হলো

কান্নার কোলা হলে

এদিক ওদিক সবার মুখে

ভাষার দাবি বলে


বাঁধা ছিলো কতো রকম

গিয়ে ছিলে সেখানে

মাতৃ ভাষা বাংলা দাবি 

ওঠে ছিলো যেখানে





 "রাজার আইন"

শুভ জিত দত্ত

ব্যাঙ যখন রাজা হলো

নতুন আইন আনলো,

সবাইকে খুব পড়তে হবে

তাতে কিছু জানলো।


মূর্খ হয়ে থাকবে না কেউ

এটা সবাই মানলো,

রাজার আইনে মূর্খ গুলো

রাজ্য ছেড়ে ভাগলো।


শিক্ষা পেয়ে নতুন করে

বাঁচার আশা জাগলো,

জানতে জানতে অনেক কিছু

অজ্ঞতা গুলো ভাগলো।


শিক্ষা যতো বাড়ছে ওদের

জানার সীমা বাড়ালো,

বিস্তার দেখে রাজা এবার

আইন কিছু কাড়লো।


 

"নিঃস্বার্থ কাছে আসা"

শুভ জিত দত্ত


কাজের হিসেবের মাঝে নয়

কোনো স্বার্থের বেড়া জালে

খুঁজো না আমায় কখনো


যদি কখনো কাছে ডাকতে

ইচ্ছে হয় প্রয়োজন‌ ব্যাতীত

তবে আমি আসবো সব ফেলে 


তবে এই সম্পর্ক কি শুধুই

স্বার্থের মাঝে বাঁধা পড়েছে

বার বার নতুন কাজের কথা


যেখানে মনের কষ্ট গুলো

অকারণে শুধু হারিয়ে গেছে 

তোমার অবহেলার মাঝে


তাই হয়তো‌‌ কোনো বাঁধাই

আটকাতে পারিনি শুধু

তোমার অতৃপ্ত মায়া জালে


যদি কাজ‌ ফুরিয়ে যায়

আবার খুঁজতে পারো

ঠিক ফিরে আসবো দেখো


রাখবো না কোনো অভিমান

সব ফেলে আসবো ঠিকই

দেখো শুধু তোমার কাছেই।।





Tuesday, December 15, 2020


 পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা পার্থ দত্তের(সিআইডি চ্যানেল আট) কন্ঠে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে অসাধারণ একটি আবৃত্তি।সবাই কে দেখার অনুরোধ জানাই

ছড়া কবিতা

 প্রিয় ছেলে বেলা"

শুভ জিত দত্ত


আবার যদি যেতাম ফিরে

দুরন্ত ছেলে বেলায়,

তোদের সাথে থাকবো মেতে

কতো রকম খেলায়।


ইচ্ছে হলেই তোদের সাথে

মেলবো ডানা মেলে,

তোদের সাথে ছুটে যাবো

সকল কিছু ফেলে।


এদিক ওদিক ছুটে ছুটে

থাকবো সবাই মেতে,

খেলা শেষে ছুটে যাবো

তোদের বাড়ি খেতে।


পুকুর ধারে লিচু গাছে

স্বাদের নেই কি জুরি,

সন্ধ্যা হলে তোদের সাথে

করব মোরা চুরি।


হারিয়ে গেলে যায় কি পাওয়া

পুরানো সময় গুলো,

সবার থেকে প্রিয় ছিলো

আমার বন্ধু হুলো।।

Thursday, December 10, 2020

 "তোমার মাঝেই"

শুভ জিত দত্ত


কাছে আমার টেনো না

যদি বেঁধে রাখতে না পারো

আমাকে ছুঁতে যেও না

যদি শয্য করতে না পারো

কথা বলতে যেও না

যদি পছন্দই না করো

আমাকে আর ডেকো না

যদি শুধু সার্থের জন্য খোঁজো

দূরে কখনো ঠেলো না

যদি একবার কাছে টেনে থাকো

বার বার আসতে পারি

যদি কখনো বিপদে তুমি পড়ো

আকাশ ছুঁতে যেও না

যদি হৃদয় ছুঁতে না পারো

আমার কাছে ডেকো না

যদি ছুড়ে ফেলে দাও

নীরব হয়ে থেকো না

যদি কথাই না বলতে পারো

এইভাবে কাছে ডেকো

যদি কখনো মন ছুঁয়ে থাকি।।

Tuesday, December 8, 2020

 "তুমি আসবে"

শুভ জিত দত্ত


যানি না কোন সুদূরে

কোথায় তুমি আছো

ইচ্ছে করে তোমার দেখার

সকাল সন্ধ্যা রাত্রি

দিন কাটে না তোমায় ছাড়া

ভাবি অহ রাত্রি

চাইলে পড়ে পাবে আমায়

একটু খুঁজে দেখো

কোন উপমার ধরা দেবে

সেই কথা শুধু ভাবি

গুণতে গুণতে দিন গুলো

ফুরিয়ে গেল বছর

এই আশাতে দিন গুলো তাই

যাচ্ছে আমার ভালোই

অবাক হবে শুনতে শুনতে

আমার জমানো কথা

আজ তাই ভাবছি শুধু

আসবে কবে তুমি।।