Friday, September 11, 2020
Thursday, September 10, 2020
Wednesday, September 9, 2020
তোমার আগমনী বার্তা
তোমার আগমনী বার্তা
-শুভ জিত দত্ত
তুমি যখন এসো ধরায়
শুভ আশিষ নিয়ে,
ভালো রেখো সবার ওমা
ভুবন মাঝে গিয়ে।
নানা সাজে সেজে হঠে
এলো আগমনী,
চারিদিকে বেজে ওঠে
শুনি ওগো ধ্বনি।
শরৎ আসে নীল মেঘে
বারে আনা গোনা,
মনের মাঝে নতুন কিছু
স্বপ্ন গুলো বোনা।
আসবে তুমি সাথে নিয়ে
ভালো লাগার সুবাস,
গড়ে দিও নতুন করে
চিরো শান্তির আবাস।
তোমার আশার প্রহর গুনে
সময় কেটে গেলে,
কাশের মাঠে পরশ নিয়ে
চলছে হেসে খেলে।।
Tuesday, September 8, 2020
Monday, September 7, 2020
গাছের আছে জীবন
গাছের আছে জীবন
-শুভ জিত দত্ত
ওদের আছে তোমার মতো
আস্তো একটা জীবন,
তাদের লতায় পাতায় তৈরি
ঔষধ করো সেবন।
ছায়া দিয়ে আগলে রাখে
আছে অনেক পাতা ,
সবার থেকে ওরা আবার
অনেক বড়ো দাতা।
জীবন বাঁচে তাদের ফলে
আছে পুষ্টি গুণ,
খেতে লাগে অনেক ভালো
সাথে মিষ্টি গুণ।
তবু তোমার তাদের কাটো
যখন ইচ্ছে হলো,
অনেক হলো এবার তবে
ওদের কথা বলো।
ওদের অনেক আঘাত লাগে
যখন তোমার কাটো,
অনেক গরম যখন লাগে
ওদের ছায়ায় হাটো।।
Sunday, September 6, 2020
ভালুক ঘটক
শুভ জিত দত্ত
বনে নাকি হঠাৎ করে
হৈচৈ পড়ে গেছে,
ভালুক করছে ঘটক গিরি
সবাই লাগলো পেছে।
বিয়ে এবার দিতে হবে
পড়লো বিশাল লাইন,
সবার থেকে একটা করে
নিচ্ছেন তিনি সাইন।
এদিক ওদিক সেদিক থেকে
সবাই ছুটে আসে,
তিনি এখন বিপদে পড়ে
জায়গা দিলেন ঘাসে।
তিনি এখন মহা বিপদে
গেলেন রাজার কাছে,
শুনে নিয়ে রাজা মশাই
বললো ওঠো গাছে।
বিয়ে তোমার দিতে হবে
হয়েছো যখন ঘটক ,
আমার সেনা তৈরি আছে
করবে তোমার আটক।
Saturday, September 5, 2020
শিয়াল কাজী
শিয়াল কাজী
Thursday, September 3, 2020
"ধরিবাজ কালু"
-শুভ জিত দত্ত
ঘরের কাছে বাড়ির পাশে
থাকেন কালু দাদা,
তিনি নাকি বৃষ্টি হলে
মাখেন শুধু কাদা।
হঠাৎ করেই তিনি নাকি
হলেন পাড়ার মাথা,
সবাই এখন তাকে নিয়ে
শোনাই নানা গাঁথা।
তিনি এখন সবার মাঝে
হলেন নাটের গুরু,
আড়াল থেকে লোকে বলে
কালুর চামড়া পুরূ।
বিচার করে টাকা খেয়ে
পড়ার লোকে দোষে,
অর্থ দিয়ে তিনি আবার
লেঠেল গুলো পোষে।।
নেশার ঘরে হঠাৎ করে
যাকে তাকে মারে,
লোকে বলে কালু দাদার
ভূতু আছে ঘারে।।
Wednesday, September 2, 2020
কবিতা
শুভ জিত দত্ত
বাবা বলতেন মায়ের বাড়ি
এখন তারার দেশে,
সেখানে তিনি তাদের সাথে
থাকেন ভেসে ভেসে।
আমি যখন খুবই ছোট
বয়স দশ কি বারো,
হঠাৎ সামান্য জ্বরে তিনি
কাবু হলেন আরো।
বুদ্ধি আমার হয়নি তখন
কিছু বোঝার আগে,
কেমন করে ফাঁকি দিয়ে
চললেন আগে ভাগে।
বাবা যখন চোখের জলে
তোমার কথা বলতো,
একটু পরে কাঁদতে কাঁদতে
কষ্ট তখন কমতো।
ছবি হয়ে ছিলে তুমি
আমার মনের কোণে,
কেনো জানি তোমার কথা
ভাবি ক্ষণে ক্ষণে।
Tuesday, September 1, 2020
কবিতা
শুভ জিত দত্ত
ছোট্ট শোনা ছোট্ট শোনা
দেখতে তুমি ভালো,
তোমার কথায় সারা বাড়ি
জললো জ্ঞানের আলো।
ছোট্ট কথা ছোট্ট কথা
বলতে তুমি পারো,
হঠাৎ তুমি করলে ধাঁধা
বয়স যখন বারো।
ছোট্ট মুখে ছোট্ট মুখে
হাজার কথা বলো,
দিতে হবে কিনে তাতো
তুমি যথা বলো।
ছোট্ট হাসি ছোট্ট হাসি
যখন তুমি দিতে,
খেললে পরে কোনো খেলা
তুমি যাও জিতে।
ছোট্ট খুশি ছোট্ট খুশি
সবার মাঝে দাও,
কিনতে হবে তোমার খুশি
হয়কি আবার তাও।।
Monday, August 31, 2020
"রৌদ্রের ঝলকানি"
-শুভ জিত দত্ত
বাইরে প্রচুর গরম পরে
বৃষ্টির দেখা নাইরে,
জমে আছে অনেক কাজ
কেমন করে যাইরে।
সূর্য মামা মাথার উপর
হাহা করে হাসে,
গরম পড়লে একটু খেলে
মরতে হবে গ্যাসে।
গাছের পাতার নড়া চড়া
গরম এলে থামে,
রাস্তা দিয়ে চললে পড়ে
জীবন যায় ঘামে।
ওদিক থেকে বড়ো বাবু
রা রা করে আসে,
কলিগ গুলো তাইনা দেখে
ফেল ফেলিয়ে হাসে।
মেঘের সাথে বন্ধু করে
সূর্য মজা নেবে,
বৃষ্টির কবে আসবে নাকি
কেউ বলবে ভেবে।।
Sunday, August 30, 2020
Saturday, August 29, 2020
"এলো ফিরে খোকা"
-শুভ জিত দত্ত
খোকা এলো শহর থেকে
সঙ্গে নিয়ে গাড়ি,
অমনি দেখতে ছুটে আসে
বাড়ি ঘর ছাড়ি।
অবাক হয়ে চেয়ে থাকে
নতুন গাড়ির পানে ,
এদিক ওদিক চড়বে খোকা
চেপে নতুন যানে।
মায়ের স্বপ্ন পূরণ করে
এলো বাড়ি ফিরে,
আশে পাশের মানুষ গুলো
সবাই ধরলো ঘিরে।
কতো কিছু আনলো খোকা
নিয়ে মায়ের শাড়ি,
সবাই বলে ঢাকায় নাকি
টাকা কাড়ি কাড়ি।
খোকা আবার যাবে ঢাকা
ফিরবে সময় হলে,
সামনে পড়ে করলে সুনাম
খোকা যায় গলে।।
Friday, August 28, 2020
ছোটো গল্প
।।সৌমেনের গাড়ি চড়া।।
কাকাবাবুর একমাত্র ছেলে বড্ড আদুরে। সব সময় ঘর বন্দি।বাইরে যাওয়া বলতে বাড়ির থেকে একটু দূরে কানাই লালের স্কুলে পড়ে সে । কাকাবাবুর বাড়ির সব কাজ রামদুলাল করে তার সাথে স্কুলে যায় সে। মাষ্টার মশাই সে দিন পড়ারছিলেন যানবাহন সম্পর্কে। হঠাৎ প্রশ্ন করলো যানবাহন কত প্রকার বলতো দেখি?সৌমেন উঠে দাঁড়িয়ে বললো চার প্রকার যথা: এক চাকা ,দুই চাকা তিন, চার চাকা।মষ্টার মশাই শুনে যেন হা হয়ে গেলেন।তখন মষ্টার মশাই প্রশ্ন করলেন তুই এসব কার কাছ থেকে শুনলি হে?উওরে বলল বাড়িতে রাম দুলাল জেঠুর কাছ থেকে।যাই হোক সেদিনের মতো ঘন্টা পরে গেল।সে ভাবলো জেঠু কত কিছু জানে।আবার প্রশ্নের উদয় হলো তার মনে! আচ্ছা জেঠু গাড়ি কি ভাবে চড়ে ?জেঠু উত্তরে বলল তুই গাড়ির সামনে দাঁড়ালে গাড়ি তোকে তুলে নিয়ে ছোটা শুরু করবে।সে মনে মনে ভাবলো সে কি অবাক যান।এবার প্রশ্ন নিয়ে হাজির বাবার কাছে গাড়ি কেমন দেখতে হয় ?উত্তরে বাবা সে তো চার চাকা বিশিষ্ট অদ্ভুত যান ভিতরে মানুষ বসিয়ে নিয়ে সে চলতে শুরু করে।বাবার কাছে বলেই ফেলল গাড়ি তে কবে উঠব ?যেদিন তোকে নিয়ে শহরে যাবো সেদিন তোকে আমি গাড়ি চড়াবো। তার মনে নানা অদ্ভুত ধারনা আসতে থাকে গাড়ি সম্পর্কে।কি জানি সে আবার কেমন হয়।মার কাছে শুনলাম গাড়ি নাকি প্যা পু শব্দ করে তার গায়ে কতো রকমের রং থাকে। গাড়ি আবার কথাও বলে নাকি জেঠুর কাছে শুনলাম। এবার গাড়িতে উঠতেই হবে গাড়ির কি ক্ষমতা এক জায়গা থেকে অন্য প্রান্তে নিয়েও যায়। গাড়িতে যদি উঠতে না পারি তাহলে জীবনই বৃথা।বাবা হঠাৎ সকালে বলল চল তোকে এবার চড়বো গাড়িতে। গেলাম সেই অদ্ভুত যান দেখতে।যা জেনেছিলাম তার ১৬আনা মিথ্যে।এদেখি ইঞ্জিন চালিত যান ।তেল ভরলে চলে চার চাকার যানটি।একজন চালক আর হেলপার তাড়াই কথা বলে সবই।সে কারো তুলতে পারেনা হেলপার মহাশয় সবাই কে টেনে তোলে। গাড়িকে সামনে থেকে দেখে সব প্রশ্নের উদ্বেগ দূর হলো।স্বপ্নের গাড়ি চড়ার শখ অবশেষে পূরণ হলো।টং টং করতে করতে পৌঁছে গেলামও শহরে।।