ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Thursday, May 9, 2024

কবিতা তবুও ভালো থেকো



 তবুও ভালো থেকো

-শুভ জিত দত্ত 


যাবেই যখন ছেড়েই তুমি , হঠাৎ এসে

জড়ালে কেন মায়ার জালে ।

এই তো আমি ,নৃত্য নতুন স্বপ্ন দেখি 

তোমার চোখের অন্তরালে ।


বলতে যদি কদিন আগে, কষ্ট নিয়ে

দেখতে কেমন যেতাম সরে ।

সেই তো আমি ছিলাম ভালো,দিব্যি 

ব্যস্ত ছিলাম বন্ধু আড্ডা নিয়ে।


এখন আমার ঘোর কেটেছে, মানুষ

গুলো অনায়াসে চিনতে পারি।

অভিনেতা চিনে গেছি প্রতারণা এখন

আমি খুব সহজে ধরতে পারি ।


তবুও তুমি ভালো থেকো, আমাকে

কষ্ট দিয়ে পারলে সুখে থেকো।

নেই অভিযোগ তোমাকে ঘিরে,আমি 

আমার মতো আছি খুব সুখে।


হঠাৎ করে আসবে কেউ এক , কাজের

মাঝেও আমার খেয়াল নিতে।

সেদিন আবার নতুন করে ব্যস্ত হবো 

খেয়াল খুশি সময় দিতে।।


















ছোট গল্প প্রিয় ছবি

 


প্রিয় ছবি

শুভ জিত দত্ত 

আমার বাবার স্বপ্ন আমি একজন বড় আইনজীবী হবো।বাবার অনুরোধে কলেজ জীবন শেষ করে আইন বিষয় নিয়ে ভর্তি হলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়াতে।আইন বিভাগে ভর্তি হয়ে টুকটাক রাজনীতি তে আমার পদচারণা শুরু হয় ।তারপর পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতি সমান তালে এগিয়ে চলতে থাকে।একটা সময়ে রাজনীতি অঙ্গনে একটা দাপুটে নেতা হিসাবে সবার মাঝে নিজেকে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়। রাজনীতি ও সংস্কৃতি তারপর পড়াশোনার চাপ আর বাবার স্বপ্ন মাথার উপরে ছিল যার কারণে ব্যস্ততা বিহীন কখনো থাকতে পারিনি। বছরে একবার বাড়িতে যেতাম কারণ তাদের দেখার জন্য মন ছুটে যেত ।বাড়ি গেলে বাবা মা খুব ব্যস্ত হয়ে যেতেন অনেকদিন পর ছেলে বাড়িতে এসেছে । মার যেন বিরাম নেই আমার প্রিয় খাবারগুলো রান্না করার জন্য মা এক প্রকার ব্যস্ত হয়ে থাকতেন যে কয়টা দিন আমি বাড়িতে থাকতাম। খুব বেশি বাড়ি যাওয়ার সময় আর সুযোগে হয়ে উঠতো না এতটা চাপ মাথার উপর ছিল। এতো ব্যস্ততার মাঝে আমার জীবনে কখনো ভালোবাসা আসে নি , হয়তো ভালো লাগতো কিন্তু কখনো সময় করে কারো সাথে সম্পর্কে জড়ানো হয়নি। একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ হয়ে গেল তারপর ,ঢাকাতে পারি জমালাম সেখানে কোন রকমে একটা ম্যাচে দুই বন্ধু মিলে শুরু করলাম পড়াশোনা বেশ কয়েকবার বার কাউন্সিলের পরীক্ষা দিয়ে ব্যর্থ হয়, তারপর হঠাৎ কি এমন পরিবর্তন এলো আমার জীবনে প্রথম বিসিএস এ আমি প্রশাসন ক্যাডার এ সুপারিশ প্রাপ্ত হয়। যেহেতু আমার জীবনে কেউ তেমন ছিল না, সেহেতু বাবা মা বাড়ি থেকে আমার জন্য মেয়ে দেখতে থাকে বিয়ের বাজারে তখন আমার মূল্য অনেক বেশি কারণ আমি একজন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। আমি আমার বিয়ের ভার সম্পূর্ন আমার মা-বাবার উপরে ছেড়ে দিই, অনেক ভালো জায়গা থেকে সম্বন্ধ এলেও আমার একটাই চাওয়া ছিল তাদের অর্থবিত্ত না থাকলেও ভালো পরিবারের হয় যেন। একটা সময় হঠাৎ বাড়ি থেকে ফোন এলো দিন তারিখ সব ঠিক আমাকে অফিস থেকে ছুটি নিতে হবে তারপর নিজের নতুন জীবন শুরু করতে হবে। যেহেতু আমার জীবনে কখনো ভালোবাসা আসে নি এই মানুষটা কে পেয়ে আমার জীবনের নতুন গল্প লিখতে শুরু করলাম। তাকে প্রতিটা মুহূর্ত সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেছি ,তাকে কখনো চোখের আড়াল করতে পারিনি । সেই মানুষটাও আবার আমি অফিসে থাকলে বারবার ফোনে আমার খোঁজ রাখতো। আমি না খাওয়া পর্যন্ত সে কখনো খাইনি ,এইভাবে বেশ সুন্দর মুহূর্ত গুলো পার করছিলাম। সেই মানুষটা আমার কাছে লক্ষ্মী ছিল ,কারণ সেই মানুষটা আসার পর থেকে আমার জীবনের সফলতার দরজা গুলো খুলতে শুরু করল যে দরজা গুলো খুলতে বাকি ছিল তাও খুলতে শুরু করলো।তারপর আমাদের দুজনের ঘরে আলো করে একটা ফুটফুটে লাল পরী নেমে এলো । কখন যে আমাদের সংসারের একটা যুগ পার হয়ে গেল ,এই বন্ধনের মাঝে কখনো মনোমালিন্য কিংবা কথা কাটাকাটি হয়নি। অফিসে গিয়ে হঠাৎ একটা চিঠি হাতে পেলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সংবর্ধনা দেবেন। সে মানুষটি‌ সামনে থেকে দেখবে আমি কার হাত থেকে এই পদক গ্রহণ করছি।সেদিন আমাকে একটু আগেভাগে বেরিয়ে যেতে হল, আমি অবশ্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তাকে বলে বের হলাম আমি গাড়ি পাঠিয়ে দেবো তোমরা সাবধানে চলে এসো। আর কিছুক্ষণ পরে আমার নাম ডাকা হবে পুরস্কার গ্রহণের জন্য কিন্তু সে মানুষটাকে দেখছি না এতটা সময় পার হয়ে গেল। পুরস্কার গ্রহণ করলাম কিন্তু আমার চোখ সেই মানুষটি কে খুঁজেছিল ।ভালো লাগা কাজ করছিল না একদম সেই মানুষটিকে না দেখতে পেয়ে। গেট থেকে বের হতেই হঠাৎ ফোন এলো আমার সহধর্মিনী এবং আমার পরীটি মারাত্মক এক্সিডেন্ট এ হসপিটালে ভর্তি। হসপিটালে আমার একটা দিন নির্ঘুম খুব রাত কাটলো কখন তার ডাক শুনবো। আমি যে তাদের দেখাতে পারলাম না আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বিশেষ পুরষ্কার পেয়েছি । তিনদিন পার হয়ে গেল আমার মেয়েটি আমার কোলে ফিরে এলেও ফিরে এলো না সেই মানুষটি । আমি এর পর কাউকে আর কখনো তার জায়গাটি দিতে পারিনি মা মরা মেয়েটিকে আমি কখনো মায়ের অভাব বুঝতে দিই নি। দেখতে দেখতে সে অনেক বড় হয়ে গেল কলেজ জীবনে শেষ করলো তারপর একটা সময় ভালো একটা ঘরে সে চলে গেল। আমাকে একা ফেলে এখন আমার সঙ্গী সেই মানুষটির ছবি কখনো একা থাকলে সে মানুষটার ছবিকে জড়িয়ে তাকে অনুভব করি প্রতিটা মুহূর্তে। তুমি সব সময় আমার পাশে আছো ছায়ার মত তোমাকে ছাড়া আমি একবিন্দু ভালো থাকতে পারি না তুমি এভাবে পাশে থেকো।

কবিতা তোমাকে ঘিরে

 


তোমাকে ঘিরে

-শুভ জিত দত্ত 



যেই মানুষ টি একদিন,আমার কবিতার প্রেমে পড়বে

আমি সেই দিন, সেই মানুষটির হয়ে যাবো।

চিরকালের জন্য, নিজেকে তার কাছে সঁপে দিয়ে

স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবো সেদিন।


একদিন আমার বুকে জমানো পাহাড় সমান 

কষ্ট , নিমিষেই জল হয়ে যাবে।

সেদিন আমি প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেবো,

তোমাকে পাশে রেখে ।


আজকের কষ্টগুলো একদিন থাকবে না,

আমি জানি প্রতিটা রাতের শেষে সকালের

সূর্য উদিত হয়।

তুমি যখন আমার লেখায় মুগ্ধতা খুঁজে পাও,

তখন আমি আমার জীবনের চূড়ান্ত

সফলতা অনুভব করি।


আজ মনে হয় যেই সফলতা একদিন

দূরবীন দিয়ে খুঁজতে গিয়েছি,

সেই সফলতা আজ আমার হাতে 

এসে খুব সহজেই ধরা দিয়ে যায়।।


কবিতা বসন্তের এই দিনে

 

বসন্তের এই দিনে

-শুভ জিত দত্ত 

দূর থেকে রাঙিয়ে দিলাম 

আবিরের রঙে তোমায়,

যতই থাকো দূরে তুমি 

আছো হৃদয় গহীনে।

শত বসন্ত থাকবো সাথে 

প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আজ আমি।

হোক না যতই প্রতিবন্ধকতা 

আসুক যতই ঝড়-ঝঞ্ঝা।

ছেড়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু

হাতটি আমি ধরি নি

শক্ত কঠিন বাঁধনে তোমায় 

বেঁধেছি এই বসন্তে

দুঃখ কষ্ট রঙিন উঠুক হয়ে

বসন্তের এই দিনে।

সুযোগ পেলে সেদিন কিন্তু 

রং আমি লাগাবোই।

এখন তবে থাক না তোলা 

আমার রঙের ডালা

নিজেকে তবে সঁপে দিলাম 

আজকে উজার করে।

আমাকে না হয় শাষণ করো,

তোমার মতো করে।

তোমার অবাধ্য হওয়ার ইচ্ছে 

মনের মধ্যে জাগে না।

তোমার ভালো থাকার মাঝে

নিজেকে খুঁজে পাওয়া।


কবিতা তোমার হঠাৎ প্রবেশ

 



তোমার হঠাৎ প্রবেশ

-শুভ জিত দত্ত 


এতোটা আগলে রাখেনি কেউ কখনো 

যেদিন থেকে থেকেছো পাশে।

ছায়ার মতো তোমার উৎসাহ আমার

কাছে নতুন সাহস সঞ্চয় করা।


প্রতিটা মুহূর্তে আমার কল্পনা জগতে,

সেই মুখ চোখে ভেসে বেড়ায়।

আমার এই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা,

এখন তোমার মাঝে খুঁজি।


তোমার পাশে থাকা ,আমার কাছে

নতুন অনুপ্রেরণা খোঁজার প্রয়াস।

আশাহীন হয়ে হারিয়ে যাওয়ার পথে,

হঠাৎ আলোর মুখ দেখালে।


ভালো লাগার জগতে এখন প্রতিনিয়ত

তোমার অবাধ বিচরণ ভূমি।

আমার হৃদয় মাঝারে বসন্তের কোকিলের 

হঠাৎ আগমনে আমি উচ্ছ্বাসিত।


বসন্তের রং সেদিন লেগেছিল গায়ে,যেদিন

আমার হৃদয়ে তোমার বাসা বাঁধা

তোমাকে পাশে পায়ে নিত্য নতুন স্বপ্ন দেখি

ঘুমের ঘোরে কিংবা জাগরণে 


আমি আজ প্রাণ খুলে বাঁচি,আকাশের মতো

যখন তুমি ডানা মেলো হৃদয়ে

হতাশার মাঝে ডুবে যায় না এখন আমি আর

 আশা সঞ্চার হয় তোমার কথাতে ।।






কবিতা স্বপ্নের জলাঞ্জলি




 স্বপ্নের জলাঞ্জলি

-শুভ জিত দত্ত 

আমার অপেক্ষা গুলো সন্ধ্যা নামায়,

আর চোখে ঘুম জড়িয়ে আসে।

তারপর কথা গুলো জমতে জমতে

কখন যেন তারা লুকিয়ে যায়।


আমার স্বপ্নেরা আস্তাকুড়ে চলে যায়,

দিশা হারায় প্রতিটা রাতে।

স্মৃতি গুলো ঝাপসা হয় উড়ে বেড়ায় 

আর, হারিয়ে যায় চেনা মুখ।


তারপর শুন্যতা কে আলিঙ্গন করা,

পূরণ এর আশা জাগিয়ে।

হাজারো হতাশার গল্পের ভিড়ে,নতুন 

স্বপ্ন গুলো জাল বুনে যাই।


প্রকাশের অভাবে কিছু গল্প,অন্তরালে 

থেকে এভাবেই হারিয়ে যায়।

হাজারো অপ্রকাশিত গল্পে থেকে যায়,

চোখের জলে সমুদ্রের গর্জন।


কিছু পাওয়া আর না পাওয়ার মাঝে

সমাপ্তি কিছু করুন অভিজ্ঞতার।

নিজের নাম ব্যর্থতার খাতায় উঠিয়ে

ফিরে আসা আপন নীড়ে।।





কবিতা সমৃদ্ধ ঐতিহ্য

 


সমৃদ্ধ ঐতিয্য

-শুভ জিত দত্ত 


ঐতিয্য রীতি নীতি মিশে আছে বহু কাল সময় ধরে

চাইলে কি অস্বীকার কিংবা ভুলে থাকা যায়

যেই লোকাচার সমূহ আমরা পরিবার থেকে আত্মীয়

মধ্যে ধারণ করে নিই ঠিক যেন ভাষার মতো।


ইদানিং বেশি আধুনিকতার গায়ে লাগতে গিয়ে

আমরা মনেহয় ভুলে যায় অতীত স্মৃতি

যা আমরা বংশ পরম্পরায় লালন করে বেড়ায় 

হোক সে রাম কিংবা বা কোন ধর্মের


আমরা ভুলে যাই একটা সময় আমাদের সমৃদ্ধ

ইতিহাস ছিল যা আমরা জলাঞ্জলি দিই

শেষ সময়ে এসে আফসোস করতে করতে

মৃত্যু কে আলিঙ্গন করে ছেড়ে যাওয়া


ভিনদেশী মানুষ আমাদের কে চেনে তার মূলে

রয়েছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য 

তাই মনের ভুলেও এগুলোকে বিসর্জন দেওয়া 

মানে নিজের অস্তিত্বকে ভুলে যাওয়া।।



কবিতা আনন্দের বৈশাখ

 


আনন্দের বৈশাখ 

- শুভ জিত দত্ত


চৈত্রের তাপে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে

একরাশ ঝড়ো হাওয়া নিয়ে বৈশাখ আসে।

কৃষকের মুখে খুশির হাসি ফুটতে শুরু করে

নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দের মাঝে।


মেলা বসে গ্রামে গ্রামে, নানান পসরা সাজিয়ে

হালখাতার মিষ্টি বিলিয়ে নতুন দিনের শুরু।

নতুন পোষাকে গায়ে জড়িয়ে, প্রিয় মানুষ সঙ্গে

নিয়ে,মেতে ওঠা প্রাণের বৈশাখী আয়োজনে।


আসর বসে মেলার মাঝে জারি সারি পুতুল

নাচের ,কবি গানের গানের লড়াই চলে।

মন্ডা মিঠাই খাওয়ার ভিড়ে, মাটির হাড়ি,মটির 

পুতুল কিংবা বেতের পাটি কত কিছু কেনা।


বাঙালির ঘরে ঘরে খুশির সীমা ধরে না যে

রান্না চলে সকাল থেকে,নানা রকম পদ।

হাজারো দুঃখ কষ্ট গুলোর মাঝে অবশেষে 

বৈশাখ আসে একটু খুশির আবেশ নিয়ে ।




কবিতা প্রকৃতি বাঁচান

 


প্রকৃতি বাঁচান

-শুভ জিত দত্ত 


একদিন মরুভূমির স্বাদ নিতে হবে,

যেখানে ছিল সবুজের বেষ্টনী। 

আজ সেখানে উঁচু অট্টালিকা ওঠে

ঢেউ দুলানো গাছের সারি।

অফুরন্ত বাতাসে জুড়িয়ে যেত প্রাণ,

সে সব আজ অতীত স্মৃতি।

একদিন অক্সিজেনের খোঁজ হবে না,

মেলবে সেদিন অর্থ দিয়ে।

জলের অভাবে হাহাকার পড়ে যাবে,

তৃষ্ণা নিবারণের চেষ্টায়।

একবিন্দু জলের খোঁজে পাড়ি দিতে

হবে, মাইলের পর মাইল।

থাকবে সবই অর্থ কড়ি,হারিয়ে যাবে

নদীর স্রোতে জলের ধারা।

আফসোস আর অভিযোগ করেও,

মিলবে না কোন সমাধান।

এখন আছে সময় অনেক বাঁচতে

হলে,এবার প্রকৃতি বাঁচান।




 

কবিতা সুখের নীড়

 


সুখের নীড়

-শুভ জিত দত্ত 


দুনিয়াতে স্বার্থপর মানুষের ভীরে

ভালো মানুষ গুলান মূল্যহীন।

আমাগো প্রতিটা পদে লাথি মারে

যা ইচ্ছা কটু কথা শোনাই খালি।


কান পাতি না এখন মোরা ওদের

কোন কথাই,

দিনটা কিন্তু সবার আসে দুদিন

আগে কিংবা দুদিন পরে।


টাকা কড়ি সবার থাকে কিন্তু 

সুখের দেখা মেলে না।

মোরা দিন আনি দিন খাই আবার

সুখের ঘুমও দিতে পারি।


তোমাগো মতো বাড়ি গাড়ি নাই বা

থাকুক আছে সুখের নীড়।

সন্ধ্যা হলেই ঘরে ফিরে দুইজন

মিলে সুখের কথা কই।।


কবিতা অভিমানের বারণ

 


অভিমানের বারণ

-শুভ জিত দত্ত 


আজ আমাকে নিঃসঙ্গতা ভুলেও জড়িয়ে ধরে না,

প্রতিটা মুহূর্তে তোমার উৎসাহ আমার অনুপ্রেরণা।

নতুন করে আমার ক্যানভাসে রঙের আচর দিই,

সেখানে তোমার মুখের অবয়ব ভেসে ওঠে।


আমার চোখের অশ্রু ভুলে গেছে ঝড়ে যেতে,

প্রতিনিয়ত সুখের আশ্রয় এখন তোমার মাঝে।

প্রচন্ড তাপদাহে আমাকে পোড়াতে পারে না,

তোমার অনুভবে পেয়েছি শীতলতার পরশ।


প্রতিটা দিন গুলো আজ তাই বসন্তের মতো

রঙিন,কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমাহারে সেজে ওঠে।

তোমাকে নিয়ে উদযাপনের আমার কাছে

কোন নির্দিষ্ট দিন বা তারিখের হিসাব নেই।


শুধু একটা দিন কথা না হলে আমার বুকে

পাহাড় সমান কষ্ট প্রতি মুহূর্তে জমা হতে থাকে।

এবার যদি অভিমান করে বসো ভুলেও আমি

শুনব না,কথা কিন্তু বলতে হবে যা ইচ্ছা তাই।।



কবিতা একাকীত্বের অবসান

 


একাকিত্বের অবসান

-শুভ জিত দত্ত 


কোথাও গিয়ে একাকীত্ব খুব করে জাপটে ধরে

নিঃসঙ্গ তা কে আমন্ত্রণ জানানোর প্রস্তুতি 

একটা আশ্রয়ের খোঁজে সমুদ্রের গভীরতা কে

আলিঙ্গন করে তার মাঝে ডুবে থাকা।


এক আকাশ যন্ত্রনা জমা হয় উড়ে আসা 

মেঘের মতো, প্রতিনিয়ত সেই আকাশে

আজ অতিথি পাখির আনাগোনা হয়।


এই সন্ধ্যা এতোটা ও বিবর্ণ ছিল না 

জোনাকি আলোতে প্রতিটা দিনেই

অন্ধকারের অবসান হতো।

এখন সেখানে নিস্তব্ধতা বিরাজ করে।


কোন একদিন স্নিগ্ধ আলোতে এই 

অন্ধকারের অবসান হবে

ঘুচে যাবে অসহায়ত্ব এর চিহ্ন টুকু

যত টুকু ছাপ লেগেছিল গায়ে।


কবিতা কাজের আনন্দ



 কাজের আনন্দ 

-শুভ জিত দত্ত 

বছরের একটা দিনে আমাদের নিয়ে,

হৈচৈ পড়ে যায় ।

কত রকম মাতামাতি মঞ্চে তুলে ফুল

দেবে,নেতারা সব।

বন্ধ থেকে গাড়ির চাকা,একটা দিনের

কাজের ছুটি মেলে।

কাজের চাকা বন্ধ হলে, সেদিন খাবার 

জোটে না ঘরে ।

ছেলে মেয়ে গুলো আশায় থাকে, কি 

নিয়ে এলাম সঙ্গে করে।

তবু আছি খুব যে সুখে ,কোন রকম

বিলাসিতা ছাড়াই।

এমন একটা দিন আমাদের কাছে,

অভিশপ্ত লাগে।

কাজ ছাড়া আমরা যে, অসহায়

হয়ে কোন রকমে বাঁচি।

কাজের মাঝে চলছে জীবন

আনন্দ,হাসি,গানে।



কবিতা খেটে খাওয়া মানুষ



 খেটে খাওয়া মানুষ 

-শুভ জিত দত্ত 

স্বস্তির বৃষ্টি এলো অবশেষে ,তীব্র তাপদাহের 

বিদায়ের পালা এসেছে ঘনিয়ে।

কাঠ ফাটা রোদ্দুরে নাভিশ্বাস উঠছে চরমে,এই 

বুঝি চলে যায় খাঁচা থেকে প্রাণ।


হাঁসফাঁস করে ঐ খেটে খাওয়া মানুষেরা,প্রচন্ড

গরমে দিনভর নাভিশ্বাস উঠে যায়।

বৈশাখের কালো মেঘ গিয়েছে হারিয়ে,ঝড় নেই 

বৃষ্টি নেই আছে শুধু তাপদাহের মাঝে।


অসহায় মানুষের দিন কাটে কষ্টে, দুবেলা আহার

জোটে রোদে পুড়ে ঘামে ভিজে।

দেখে না তো কেউ এসে, কোন এক মুহুর্তে কেমন

আছে তারা তীব্র খরার মৌসুমে।


বৃষ্টি আসে প্রচন্ড তাপদাহের সমাপ্তিতে, ভিজে যায় 

খেটে খাওয়া কর্ম ব্যস্ত মানুষেরা।

তবু সংসার চালাতেই হবে,বের হতেই হবে যতই 

আসুক বৃষ্টি কিংবা প্রচন্ড তাপদাহ।












Wednesday, May 8, 2024

কবিতা অচেনা তুমি

 


অচেনা তুমি

- শুভ জিত দত্ত


সামনে থেকে হয়নি দেখা, দূর থেকে পরিচয় 

কত চেনা যেন ক্যানভাসে আঁকা ছবি

জল রঙের তুলির আঁচড়ে অদ্ভুত জীবন্ত তুমি

সেই চোখের চাহনিতে ,আজ বাঁধা পরি

অদ্ভুত কি মায়ার জাল বিছিয়ে আছো, পারিনা 

সরে থাকতে জানিনা কি আছে জাদু

অদ্ভুত মায়ার বন্ধন ছিন্ন করি কি আছে সাধ্যি 

আমার, হারিয়ে ফেলি নিজেকে আমি।

জানি না কোন অচেনা শহরে কোথায় থাকো

হয়তো সেখানেও নিত্য যাওয়া আসা

সেই শহরে কোন একদিন ঘাঁটি গারবো আমি

সামনে থেকে দেখার সুযোগ যদি মেলে

কবে কোন বসন্তে আমার হয়ে ধরা দেবে তুমি

সে অপেক্ষা আমাকে তাড়া করে বেড়ায়

আমার ঘুম আজ যেন তোমার কল্পনা নিয়ে ব্যস্ত

চোখের পাতার আমি কি দোষ দেবো আজ 

মায়া জলে জড়ালে তুমি,আমি দিকভ্রান্ত হয়ে যায়

চেনা পথ আজ অচেনা লাগে ঝাপসা চোখে

হঠাৎ করে ভীমরতি আমি আজ নিজের মধ্যে নেই

এই অচেনা মানুষটির হঠাৎ আগমনের মাঝে।।





কবিতা মনের বন্ধন

 



মনের বন্ধন

-শুভ জিত দত্ত 


সম্পর্ক গুলো এখন বড় ঠুকনো হয়ে যাচ্ছে 

কথাই কথাই বিচ্ছেদের সুর বাজে

যেখানে একটা সময় ছিল,প্রিয় মানুষটার

সাথে নিয়ে শত সহস্র বছর পাড় করা

এখন সে সময়টা মুহূর্তে দাঁড়িয়ে গেছে।


একটা কথা বার বার উঠে আসতো

আমাকে কি আমৃত্যু পাশে রাখা যায়

সে কথা এখন কেবল কথার কথা

হিসেব প্রচলিত এই সমাজে মাঝে।


সম্পর্কের মাঝে সম্মান বিশ্বাস

যেটুকু ছিল বাকি সেটুকু আজ

শেষের পথে এসে দাঁড়িয়ে গেছে

এভাবে চলতে থাকলে একদিন 

নতুন প্রজন্মের মানুষগুলো 

সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ভয় পাবে।।


সম্পর্ক গুলো আরো সুদৃঢ় হোক 

মনের সাথে মনের বন্ধন আর

কঠিন এক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার 

প্রত্যয় নিয়ে সম্পর্ক গুলো 

আরও এগিয়ে যাক 

ভালো থাক ভালো লাগা।।




কবিতা ছন্নছাড়া বসন্ত

 



ছন্নছাড়া বসন্ত

-শুভ জিত দত্ত 


তোমাকে ছাড়া আর একটি বসন্ত

হারাতে বসেছি আমি

বসন্তের রং তাই আমার কাছে

ফিকে হয়ে ফিরে আসে


বসন্ত এলেই আমার কল্পনা জুড়ে

রঙিন স্বপ্ন উঁকি দেয়

কিন্তু দিন শেষে তারা যেন পথ হারা 

পথিক হয়ে ধরা দেয় 


কোনো বসন্ত আমার জীবনে এখনো

রং ছড়াতে পারে নি

নিজেকে আশার বাণী শুনিয়ে শুধু

বাঁচার অনুপ্রেরণা খোঁজা


হয়তো বা ধরা দেবে কোনো এক

বসন্তের রঙিন বিকেলে

সেদিন তোমাকে নিয়ে বর্ণিল সাজে

বসন্তের গান গাইব ‌‌।।