ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Tuesday, November 20, 2018

আপনি
....শুভ জিত দত্ত....
তুমি এলে প্রথম হয়ে
নতুন খুশি নিয়ে
স্বপ্ন গুলো নতুন হয়ে
ধরা দিল শেষে
সব থেকে সেরা
তোমায় নেই তুলনা
কি জানি কি জাদু
আছে তোমায় মাঝে
আজানা পরশ পেয়ে
মুগ্ধ হলাম শেষে
তোমায় নিয়ে চলব
যদি তুমি চাও
আপনি অথবা তুমি
কি আসে যায় তাতে
যদি ভাব প্রিয় মানুষ
সঙ্গ দিয়ে যেও

Monday, November 19, 2018

ভোটের হওয়া

........শুভজিত দত্ত....

ভোটের মাঠের হালচাল
নিয়ে জমে পেচাল
এদিক ওদিক সরগরম
কে পাবে নমিনেশন
নেতায় নেতায় মুখোমুখি
বাধে বুঝি হাতাহাতি
নাওয়া খাওয়া ভুলে
ভোট নিয়ে মাতে
খবরে কাগজে খুলে নিয়ে
টেবিলে কি আছে খবরে
মিছিলে মিছিলে রাজপথ
দক্ষলে কেউ নেই পিছিয়ে
ক্ষমতার লোভ টা
বড় হল এখানেই
কে পাবে গদিটা
তায় নিয়ে তর্কটা
শেষ হয় ভোটে
কে হাসে শেষে
অবশেষে রঙ্গ
থামে ওই ভোটে

Thursday, November 1, 2018

তমাল বাবু
...শুভ জিত দত্ত...

সাহা পাড়ার তমাল বাবু
ভাবছে বসে অনেক
কি জানি কি চিন্তা নিয়ে
সে যে মেতে আছে
লাগে না কোন কাজে
সে যে বড্ড কুড়ে
উঠতে বসতে কথা শুনতে
তার যে ভাল লাগে
এর ওর সাথে তার
বিবাদ যে তার
নিত্যদিনের সাথী
ব্যাতিক্রমি চিন্তা তার
মাথার ভেতর ঘোরে
গবেষনার মাঝে সে যে
বেজায় মেতে থাকে
কবে যে কি করে ফেলে
ভরসা নেই বাপু
এক কালে ছিল তার
বড্ড নাম ডাক
কুড়েমী তার সব খেয়েছে
রইল কি আর বাকি
পরিবর্তনের সাথী হয়ে
সে যে কুড়ে হল

Sunday, October 21, 2018

আনাগোনা
......শুভ জিত দত্ত

খেজুর গাছে ঝুলছে হারি
ভরছে রসে রসে
বাহারী পিঠার জমছে আসর
চলছে ঘরে ঘরে
চারিদিকে কুয়াশায়
পথ যায় হারিয়ে
যায় না তো দেখা
রাস্তার পথ গুলো
কুয়াশায় মুড়ি দেয়
ফসলের মাঠ ঘাট
শিশিরে শিশিরে
যায় যে হারিয়ে
শীতের আনাগোনা
হয় যে উঠানে
কাপছে দাদু কাপছে
দিদু চাদর মুড়ি দিয়ে
তাই নিয়ে রসিকতা
করে ওই নাতিনে
শীতের প্রোকপে
হাঁড় কাপে আহারে
বেজায় ঠান্ডায়
সূর্য্যির দেখা নেই

আমার লেখা প্রকাশিত হল পশ্চিম বাংলার শারদ সংখ্যায়

Monday, October 1, 2018


বড্ডজেদী
.....শুভ জিত দত্ত....
সন্তু বাবু জেদ ধরেছে
যাবে পূজোর মেলায়
কিনবে অনেক খেলনাপাতি
চড়বে নাগোর দোলায়
মাটির পতুল মাটির হাড়ি
কিনবে প্যাকেট ভরে
খাবে অনেক মন্ডা মিঠাই
করবে অনেক মজা
কিনবে অনেক নতুন জামা
দেখবে অনেক পূজো
করবে অনেক মতামতি
নতুন গানের তালে
বাবা মার সাথে সাথে
ঘুরছে সন্তু মশাই
ঢাক কাসরের বাদ্য
তার বড্ড মুগ্ধ করে
দেখতে দেখতে ক্লান্তি
তার বড্ড চেপে ধরে
ঘোড়াঘুড়ি শেষে সন্তু
আসে বাড়ি ফিরে
নতুন অভিঙ্গতা তার
বড্ড ভাল লাগে

Tuesday, September 25, 2018

উৎসবের আমেজে
.......শুভ জিত দত্ত.....
আকাশ ভাসে খুশির ভেলায়
শরৎ এলো বোধায়
নানা রং সেজে ওঠে
উৎসবের আনন্দে
নিত্য নতুন পসরা নিয়ে
মেলায় দোকান বসে
নানা লোকের সমাগমে
মেলা জমে ওঠে
নানা বায়নায় মুখরহয়
কচিকাঁচাদের আবদারে
বারোয়ারীর প্রাঙ্গনে তাই
উৎসবের মাতামতি
ছটা দিনেই সব শেষ
তবু মন মানে না
চোখের জলে বিদায় দিয়ে
নতুনের প্রস্তুতি
বাঙালী আনায় এযেন এক
মহা মিলন মেলা
কোন কিছুর কমতি হলে
মেজাজ চড়ে ওঠে
সব মিলিয়ে ভালোই কাটুক
সবার দূর্গা পূজো

Friday, September 21, 2018

মেঘের ভেলা
..........শুভজিত দত
শরৎ এলেই আকাশ বুঝি
শুভ্র মেঘে ঢাকে
সৃগ্ধতার পরশ নিয়ে
সে সেজে ওঠে
লীল আকাশের চারিকোণে
সাদা মেঘ ভেসে ওঠে
রুপের ছটা ছড়িয়ে নিয়ে
সে চেয়ে থাকে
মুগ্ধ সেরা সে যে
স্ব মহিমায় উদ্ভাসিত
আলোক রশ্মি নিয়ে
সে বেজায় মেতে থাকে
খেলার ছলে আপন
রুপে বিমোহিত করে
ছুটে চলে মেঘের ভেলায়
অজানায় ভেসে থাকে
সুখ যে তার চিরসাথী
দুঃখের নেই ঠাই
ভাঙা গড়ার এই খেলার মাঝে
তারা নয়কো সামিল

Saturday, September 1, 2018

বাবুদের বাড়ি
:::শুভ জিত দত্ত:::
সেই ভবন টি আজো টিকে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। এক সময় কত শত কাজে মুখর হতো এই অঙ্গনটি।নানা মানুষের পদচারণায় কোলাহলে ভরে উঠতো এই মহাঅট্টালিকাটি।তবে এখনো নানা পার্বনে তাদের উত্তরসরীদের আগমনে মুখরিতা হয়ে থাকে কয়েকটি দিন।সেদিন ঠাকুমা গল্পে পল্পে বলছিলেন বাবুদের বাড়ি বলে কথা তাদের চাল চলন ভাবসাবিই ছিল আলাদা।তাদের একটু চোখের দেখা দেখার জন্য ভির হয়ে যেত।শেষবার অষ্টমীতে ভোগের রান্নার গন্ধ টা যেন আজো মাতাল করে দেয়।কি জানি কি জাদু আছে ঠাকুর দালানের পাশের ওই হেসেলে।যেখানে দিন নেই রাত নেই বাবুদের কর্মচারীরা রেধেই চলেছে।নানা গ্রামের মানুষ আসে বাবুদের  বাড়ীর পূজো দেখতে।পুজোর পাঁচটা দিন মানুষে মানুষে ভরে যায় কোথাও তিল ধারনের জায়গা থাকে না।তবু বার বার ছুটে ছুটে যওয়া ওই দালানের কাছে।বনেদী আনার একবিন্দুও যেন ঘারতি নেই।সেএকাল আর সেকাল কিছুটা তফাৎ থাকলেও জৌলুষ একেবারেই কমে নি, বরং দিন দিন বেড়েছে।
শহরের পূজো গুলো যেমন নিত্য নতুন থিমের আড়ালের ঢেকে যায় ,ঠিক তার উল্টোটা বনেদী বাড়ী ক্ষেত্রে এখানে এলেই সাবেকী আনার পরশ পওয়া যায়।নানা নিয়ম কানুনে টাসা পুরোহীতও বেশ প্রতিমা নির্মান চলে সাবেকী ঢং ।গ্রামের মাঝে বাড়িটায় কেয়ারটেকারের লাগানো গাছ গুলো সোভা যেন আরো বৃদ্ধি করে।আর পূজো এলেই আলোক সজ্বা আর নানা সাজে সজ্বিত হয় ভবনটি।গ্রামের সবাই মিলে উৎসাহের সাথে বাবুদের বাড়ির পূজো দেখা।এক অন্য রকম অভিঙ্গতা।গ্রামের পূজো আর বাবুদের বাড়ির পূজোর মাঝে যেন আকাশ পাতাল তফাৎ।দশমী বিসর্জনে তারাই থাকে সবার আগে।মহাধুমধামের সাথে চলে বাবুদের বাড়ির পূজো।বন্ধুরা মিলে যেতাম সবে দিতাম আড্ডা বাবুদের বাড়ি কোন এক কোনে ।দেখতে দেখতে কবে যে চলে পূজোর দিন গুলো টেরই পেতাম না।সব কিছুর মূলে ছিল বাবুদের বাড়ি।

Sunday, July 15, 2018

আহবান
..শুভ জিত দত্ত..
স্নিগ্ধ গন্ধে ভরে উঠে
নানা রুপে সেজে ওঠে
শরৎ এর শুভ ক্ষনে
নীল সাদা মেঘের দল
সেজে ওঠে অবিরল
নীলাভ রুপ উজার করে
প্রকৃতি সাজে নব রুপে
ছেয়ে যায় কাশফুলে
দিগন্তের শেষ প্রান্তরে
তারি মাঝে আহবানে
তোমায় সারা দেওয়া
এসো তবে মন খুলে
মাতি শারদ উৎসবে
ভেদাভেদ দুরে ঠেলে
মিলে যায় এক সাথে
বছরের এই দিনটাতে
তোমায় ফিরে পওয়া
অভিমানের পারদ যত
নিমিষেই দূরে ঠেলে
যাব সবাই এক সাথে
বাঁধন হারার দেশে

Thursday, June 28, 2018

বাংলায় প্রবাদ আছে
রথ দেখাও হবে আবার কলা বেঁচাও হবে
একসময় ছিল যখন রথযাত্রা জমিদারাই আয়োজন করতেন। কারণ এটি ছিল খুবই ব্যায় বহুল তাই যে কেউ চাইলে রথযাত্রা আয়োজন করতে পারতেন না।
রথযাত্রা কে ঘিরে বসতো জমজমাট মেলা নানা আয়োজনে মুখোরিত হতো উৎসব প্রাঙ্গণ।হরেক রকম পণ্যের পসরা বসত এই মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে যার পুরোটা জুড়ে ছিল নানা রকমের মন্ডামিঠাই এর দক্ষলে শুধু কি মন্ডা মিঠাই নানা রকমের ফল বা কম যায় কিসে আম থেকে শুরু করে কাঠাঁল সবই ওঠে এই মেলায় কেউ কেউ তো তার পণ্য নিয়েই মেলায় অংশ গ্রহন করে রথ দেখাও হয় সাথে সাথে কলা বেঁচাও হয়।নানা গ্রাম থেকে মানুষ আসে মেতে ওঠে এই আনন্দ আয়োজনে রাত নামলেই যাত্রাপালার আসর বসে আজ রামায়ণ তো কাল মহাভারত পালা।
রথেরদিন যত ঘনিয়ে আসে তত উৎসব মুখোর মানুষের আনাগোণাও বাড়তে থাকে।
প্রথা মতে কর্তা মাশাই রথের দড়ি টেনে রথ যাত্রা শুরু করেন তারপর রথযোগে জগন্নাথদেব তার মাসি বাড়ি যান।এবং সাত দিন পর উল্টো রথে তিনি আবার ফিরে আসেন।এই মেলা প্রায় পুরো মাস জুড়েয় হয় আর প্রত্যেক দিন হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে।তবে সময়ের সাথে সাথে সব বদলে গেছে এখন সেই জমিদারি প্রথাও আর নেই তবে রথযাত্রা জৌলুষ কোন অংশে কমে নি বরং বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে গেছে আর মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনাও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Tuesday, June 26, 2018

পেটুক
.,,.শুভজিত দত্ত.,,.
প্রতিদিন আহারে
থালা চায় সাজিয়ে
দেই মা তাহারে

বসে নিয়ে চেয়ারে
খানিক তাকিয়ে
দিল হাত বাটিতে

দেয় যত বটিতে
বাটি হয় খালি
দেখে মা খালি

কম হলে রেগে
দেয় সে কেঁদে
থামে নাকো সহসা

নানা পদ রাঁধতে
যায় মা হেসেলে
যায় হয়ে সন্ধ্যা

সহজে ভরে না
তাই লাগে বেশি
খায় পেট ভরে

এই নিয়ে হাসাহাসি
করে ওরা খালি
কি লাল তাতে

পেটুক বটে
ভাইটি আমার
মন খুব ভাল

Monday, June 18, 2018

কবিতা

জামাই ষষ্টী
.,.,.শুভজিত দত্ত.,.,
শ্বাশুড়ির ঘুম নেই
কাল পরশু ষষ্টী
বেজায় চিন্তায় নিয়ে
ওই ম্যেনু টা
সব শেষে ঠিক হল
কি হবে ম্যেনুটা
নতুন জামাই
বেজায় চিন্তায়
কতটা গিলবো
গন্ডায় পিন্ডায়
নানা পদ সাজিয়ে
দিল মা শ্বাশুড়ি
মা মেয়ে তাকিয়ে
দেখে ওই আহারে
কি ভাবে গিলছে
বেটা ওই জ্বামায়ে
লাভ নেই তাকিয়ে
সব শেষ বাটিতে
কাটা আর হার গুলো
তাও খাই জ্বামায়ে
শেষ মেষ কাত হয়ে
যায় বেটা ঘুমিয়ে
উঠে নিয়ে সন্ধ্যায়
কি আছে ম্যেনুতে
দরজায় খিল দিয়ে
লাঠি নিয়ে শ্বশুড়ে
অন্ন ধংস করে
ওই শালারে😁

Monday, June 11, 2018

বিশ্বকাপ কবিতা

বিশ্বকাপ
..........শুভ জিত দত্ত
উন্মাদোনায় সেরা সবার
জয় করে মনে
জাদুকারী ছোঁয়াতে
বল যায় গোলে
গ্যালারী আওয়াজে
মাঠ যায় ভরে
সব কাজ ফেলে
চল যায় মিছিলে
পাতাকা উড়িয়ে
দিলাম আকাশে
প্রত্যাশা পূরণে হবে
জানি মাঠেতে
এই নিয়ে মাতামাতি
চলছে বিশ্বকাপ
চায়ের দোকানে চলছে
বিতর্কের ফুলঝুরি
নানা রং নানা পোশাখে
চলছে সমর্থন
কাপ টা কে পাবে
এই নিয়ে মাঝে
মাঝে চলে হাতাহাতি
তবু অধরা রয়ে
যায় সোনালী সে কাপ

Saturday, May 26, 2018

স্মৃতির তরে
....শুভ জিত দত্ত....
মহাদালানের অট্টলিকা
রয়েছে অবিচল
পুরানো স্মৃতির পাতায়
ফিরিয়ে নেয় ক্ষাণিকক্ষণ
কত শত মানুষের মাঝে
হয়েছে মুখোরিত
এখন যেনো শুনশান
কেবলিই শুন্যতা
গুণীজনের পদচরণায়
হয়েছিল সরগরম
আজ এক মহাশুন্যতা
ঘিরে রয়েছে কেবল
নানা শালিশের সুরহা
হয়েছে কত বিচার
মকরষার জালে ছেয়েছে
দেওয়ালের চারিদিক
দেখে না কেউ চোখটি
মেলে দালানের গভীরতা
তবু বহমান এই
মহা শুন্যতার মাঝে
মাঝে মাঝে তাই ছুটে
আসা অট্টালিকার টানে
সময় পেলে ভবনাটাতে
একটু নিদ্রা জাপন
ঠাকুরদাদা বাহারী আসবাব
যেন তেমনই অমলীন

Thursday, May 24, 2018

অবহেলার মাঝে
........শুভ জিত দত্ত
হাসি গান আর খেলাধুলায়
কটে ওদের সময়
দুড়ন্তপানা আর দুষ্টুমিতে
ওরাই সবার সেরা
ধুলোই জড়ানো শরীর
ওদের কাটে ফুট পথে
কারো দয়া হলেই
জোটে দুমুটো খাবার
পড়াশুনার বালাই নেই
নেই কোন চাপ
অনাহারেও কাটে দিন
ওদের মাঝে মাঝে
নানা কাজে ওদের নিয়ে
টানা হেচড়া চলে
খারাপ পেশায় নামতে
হয় পেটের টানে
পথ শিশু নামে
ওরা বড় পরিচিত
অবহেলা আর অনাহারে
পার হয় বছর
তবু ওরা টিকে আছে
এই অচেনা শহরে

Thursday, February 22, 2018


Shubha Jit Datta


আমার লেখা ছোটদের জন্য ছোট্ট একটি গল্প
হায়নার বিচার
.......শুভ জিত দত্ত
বানরের মন খারাপ ।পথে দেখা শেয়ালের সাথে।শেয়াল বলল ,মন খারাপ কেন?
তখন উত্তরে বানর বলল, শেয়াল মামা মন টা খুব খারাপ। মাঝ বনে আমি আর আমার বৌ সুখের সংসার ।যত বার আমার ছেলে পুলে হয় ততবার ওই খারাপ হায়না টা খেয়ে নেয়।কি করা যায় বলো তো? বানর ভাইয়া আমি দেখছি দাঁড়াও ওকে কি ভাবে
টাইট দিতে হয়।একটু অপেক্ষা কর।এই না বলে শেয়াল মশাই চলল রাজার কাছে। রাজা মশাই এর কাছে সব বলল গুছিয়ে ।এই না শুনে রাজা মশাই ,ডাকলেন সেনাপতি ।
হাতি এসে হাজিরা দিলেন বলুন মহারাজ ।
রাজা মশাই রেগে গিয়ে বলল এখনি ধরে নিয়ে কত বড় ক্ষমতা ওর আমার রাজ্যে করে এই মহা অপরাধ। এই না শুনে সেনাপতি ছুটলেন বেটা হায়না কে ধরতে। শুড়ে করে ধরে এনে, হাজির করলেন মহারাজের সামনে ।বানর মশাইয়ের সামনে চলল শয়তান হায়নার বিচার।বনের প্রজারা চিৎকার করে চাইলো কঠিন বিচার।রাজা মশাই এর নির্দেশে হায়না কে বেঁধে গাছের সাথে বেঁধে চলে বেতরা ঘাঁত।
এক পর্যায়ে মারতে মারতে হায়না মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো।এই ভাবে বানর তার সঠিক বিচার পেল।খুশি মনে বানর মশাই গেল বাড়ি ফিরে।

Monday, February 19, 2018






শখের জমিদারী

-শুভ জিত দত্ত-

-উপেন চ্যাটার্জী তাদের চারপুরুষ ধরে জমিদারী ।কিন্তু 

-বর্তমানে সেই জমিদারী আর নেই তবুসেই হাবভাব চাল চলন আজো রয়ে গেছে।

-সেই পুরানো কাসা পিতলের বাসন গুলো সযত্নে ব্যবহার আর বাহারী পোশাখে তাদের জমিদারিত্ব টিকিয়ে রাখার একটা প্রয়াস মাত্র।

-সেপাই পেয়াদা তো সব চুলোয় গেছে নগেনই একমাত্র শেষ ভরসা তবে দিনশেষে গরগরা টা একটু দিলেই তার অনেকটা।

-উপেন এর দুই ছেলে এক বারেই বলদ সৌমেন আর সুলভ কোন কাজেই আসেনা বাবা, দেখ বাইরে কি হয়ে গেল দুই গরু কি করছেে এ আবার কি এমন হল।

-তোদের নিয়ে আরপারি না এতো বড় জমিদারিত্ব তারপর তোদের যতসব কুড়েমী।আমি কি এত সব করি বলতো।

-চল নগেন পূজোর বাজার সেরে আসি জমিদারি বাড়ির পূজো বলে কথা কোন কিছু তে যেন কমতি না থাকে।

-উপেন বাবুর এদিক নেই ওদিক আছে আরে আর কি বলব আমার তো মনে হয় তার মাথাটাই গেছে ।কেন রে আরে তার চাকরি টা চলে যওয়ার পর থেকে তার হাবভাব কেমন বদলে গেছে ।

-তাই তো দেখি আবার কেন জমিদারি নেশা চেপেছে তার মাথায় । কি দরকার বলতো এতো পরের সমালোচনা লাভ টা কি আছো তো বেশ ভাল কি এমন ক্ষতি করছে সে তোমায়।

-উপনে বাবু তার কাজের মাঝে খুব আনন্দ পান ।কে কি বলল কুছ পরোয়া নেহী।

-তিনি তার শখের জমিদারি নিয়ে আছে বড় মহা আনন্দে। নেই তার হাতি কিংবা ঘোড়া 

-তবু তার ভাঙরী গাড়ী কম কিসে। তাতেই দিব্বি চলছে তার শখের জমিদারী।

-আবার তিনি মানুষের মাঝে গিয়ে নেন খোঁজ খবর মন টা তার পাহার সমান। উপেন বাবু তাই সবার সেরা তিনি আবার বড় পূজোয় দেন কাঙাল ভোজন ।কত মানুষ আসে নানা গাম থেকে তার পুজো দেখতে।বাপ ঠাকুরদার মান রেখেছে বলতে হয়।মেলা বসে তার উঠান জুড়ে ।কত রকম বাহারী পণ্যের সমাহার তা কি দেখে শেষ করা যায়।

-চলে মাস ব্যাপী নানা আয়োজনে তাই মেতে ওঠে গ্রাম বাসী ।

-এই ভাবেই চলছে তার শখের জমিদারী শত সমালোচনার মুখে তার শখের জমিদারী কিন্তু থামে নি বরং সে চালিয়েছে আপন মনে।

-নেই না কারো থেকে একটি কানা কড়ি তার সম্বল টুকু দিয়েই মানুষের সেবা করে বিপদে এলে পাশে দাঁড়ায়।