ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Monday, March 18, 2024

কবিতা সাহসের হাতিয়ার

 সাহসের হাতিয়ার

-শুভ জিত দত্ত 


দিন শেষে কত টুকু খোঁজ নিতে পেরেছি,

সারাদিনের ব্যস্ততার ভেঙে ফেলে।

থাকুক শত কাজের বোঝা মাথার উপর,

শুধু বিস্মৃতি আসার সুযোগ না পাক।


আমার হাজারো সৃজনশীলতা আজ,

তোমাকে ঘিরে তৈরি হয়।

একদিন এক বিশাল গ্যালারি তৈরি করে ,

তোমাকে উপহার হিসেবে দেব।


তোমার সামান্য চাওয়া টুকু আমার কাছে, 

সেদিন নেহাত তুচ্ছ মনে হবে।

তার থেকে বড় কিছু তৈরি করে রেখেছি ,

একদিন সময় করে বুঝিয়ে দেবো।


আজকের আমি সেদিন হারিয়ে যেতাম,

হতাশা সেদিন পালিয়ে গিয়েছিল।

একটা মানুষ আমাকে ঘিরে সাহস এর,

জাল বিস্তার করে ঘিরে রেখেছিল।


আজ তাই আমি ডুবে যায় নি তার কারণ 

সেদিন নৌকার হাল ধরেছিলে‌ তুমি।

হাজারো ঝড়, স্রোত, জোয়ার ভাটার পরেও 

নৌকা একটি বারও দিকভ্রান্ত হয়নি।






Friday, March 8, 2024

 সমৃদ্ধ ঐতিয্য

-শুভ জিত দত্ত 


ঐতিয্য রীতি নীতি মিশে আছে আবহমান কাল ধরে

চাইলে কি অস্বীকার কিংবা ভুলে থাকা যায়

যেই লোকাচার সমূহ আমরা পরিবার থেকে নিজের

মধ্যে ধারণ করে নিই ঠিক যেন ভাষার মতো।


ইদানিং বেশি আধুনিকতার ছোঁয়া লাগতে গিয়ে

আমরা বোধহয় ভুলে যায় অতীত স্মৃতি

যা আমরা বংশ পরম্পরায় লালন করে বেড়ায় 

আমাদের অতীত এর গৌরব গাঁথা মালা


আমরা ভুলে যাই একটা সময় আমাদের সমৃদ্ধ

ইতিহাস ছিল যা আমরা জলাঞ্জলি দিই

একটা সময় এসে আফসোস করতে করতে

মৃত্যু কে আলিঙ্গন করে ছেড়ে যাওয়া


ভিনদেশী মানুষ আমাদের কে চেনে তার মূলে

রয়েছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য 

তাই মনের ভুলেও এগুলোকে বিসর্জন দেওয়া 

মানে নিজের অস্তিত্বকে ভুলে যাওয়া।।

Monday, March 4, 2024

কবিতা সিক্ত নীলাম্বরী

 

সিক্ত নীলাম্বরী

-শুভ জিত দত্ত 

তুমি প্রকৃতির মাঝে নিত্য নতুন ঘর বাঁধো

আমি তার মাঝে প্রতিনিয়ত স্বপ্ন বুনি 

কখনো নিভৃত আকাশ নীলাভ মেঘের দলে

আবার কখনো গাঙ শালিকের মাঝে 


মেঘলা দিনে রৌদ্রের ছায়ার আসা যাওয়া

এই খেলাতে নতুন প্রাণের উচ্ছ্বাসে 

আলিঙ্গন করে নেওয়ার অপেক্ষার প্রহর

কাটিয়ে ফিরে আসা প্রাণের মানুষ


উচ্ছলতা মনের দোয়ারে দক্ষিণা বাতাসে

কোকিলের সুর ভেসে আসে কানে

নদীর স্রোতের বিপরীতে ভেসে আসা নৌকা

মাঝির কন্ঠে গেয়ে ওঠা প্রাণের গান


আমাদের সংসার সেজে উঠেছিল কোন এক

বসন্তের বাহারি রঙের রূপের স্পন্দনে

সেদিন আমরাও সাড়া মেলে ডুব দিয়েছিলাম

একরাশ ফুটন্ত জবা আর কামিনীর দলে


দুজনের শত বসন্ত কেটে যাওয়ার পর আজ 

নতুন সিদ্ধান্তের দোয়ারে দাঁড়িয়ে আছি

আমরা এখন পরিস্ফুটিত সিক্ত নীলাম্বরী হয়ে 

প্রকৃতির মাঝে ক্রমা

গত শোভা মেলে যায়।।





 

Monday, February 26, 2024

কবিতা রঙিন দিন

 রঙিন দিন

-শুভ জিত দত্ত 

সুখের খেলায় আজ মেতে উঠি এক পসরা

বৃষ্টির আগমনে

যেদিন থেকে এক অভাগা কে আপন করেছিলে

নিজের খেয়ালে 

সেদিন থেকে রচিত হয়েছে আমার কষ্টের 

অধ্যায়ের সমাপ্তি 

এবার হতাশা গুলোর সময় এসেছে একে একে

বিদায় নেওয়ার 

আমার প্রত্যেকটা দিন এখন যেন বসন্তের মতো 

রঙিন হয়ে ওঠে

কষ্টের সাক্ষাৎ পাওয়া এখন যেন নেহাত দুঃসাধ্য 

ব্যাপার বটে

উড়ন্ত পাখিদের দলের আমিও এখন এক দুরন্ত 

কান্ডারী হয়েছি

গাংচিলের সাথে আমি নিত্য মেতে উঠি 

উত্তাল যৌবনে

আমি আজ তাই নেহাত বাঁধনহারা নতুন

মানুষের আগমনে

আমি নিত্য নতুন পসরা সাজিয়ে অপেক্ষারত

বরণ এর প্রস্তুতি 

নিজেকে তাই বিলীন হতে দেখি এখন কেবল 

তোমার মাঝে

হঠাৎ হঠাৎ হারিয়ে ফেলি অচেনা পথ ধরে 

এমন বেহাল দশা

আজগুবি নিত্যনতুন ঘটনা হঠাৎ ঘটছে 

আমার সাথে

খুব তাই উপভোগ করছি এমন রং মাখা

দিন গুলো।।




Thursday, February 22, 2024

কবিতা একরাশ স্বস্তি

 কবিতা 


একরাশ স্বস্তি

-শুভ জিত দত্ত


আমার সময় গুলো হারিয়ে গেছে অজস্র কাজের ভীড়ে

যেখানে দু'দণ্ড ক্লান্তি আমার কাছে অসহায় হয়ে ফিরেছে

নিজেকে আড়াল করবার চেষ্টা যতটা করেছি ,বিশাল 

এক বোঝা চেপে ধরেছে ঠিক ততটাই।

নিজের কথা গুলো অগোছালো ভাবে জড় হচ্ছে ক্রমে

একটা সময় না বলা কথাগুলো হারিয়ে গেছে অতল 

গহ্বরে ।

এই অস্থিরতা সারাদিন ভর করে ,আমাকে গ্রাস করছে।

এতদিন পর এক স্বস্তির জায়গা আছে , সে জায়গা তুমি

মুছে গিয়েছে কষ্টের চিহ্ন টুকু, তোমার হাত তখন আমার

কপাল যেদিন স্পর্শ করেছিলো।

আমার ক্লান্তি নিমিষেই দূর হয় যখন আমার চুলের ফাঁকে

নরম স্পর্শ অনুভব করি।

আমার ঘুম হারিয়ে গিয়েছিল ,চোখে ঘুমের লেশ ছিল না

তোমার পাশে থাকা যেন আমার স্বস্তির ঘুমের কারণ

এখন আমি শত সহস্র কষ্ট সহ্য করতে পারি, তারা চাইলেও

কোনো মতে আমাকে ছুঁয়ে যেতে পারে না কারণ 

প্রতিটাই সন্ধ্যায় নিজের কষ্টের কথা বলতে পারি।

আমার খারাপ লাগা গুলো এখন দূর হয়ে গেছে 

এখন ভাল থাকার একমাত্র কারণ কিন্তু তুমি।।



Wednesday, February 21, 2024

কবিতা ভাষার বুকে হায়নার থাবা

 ভাষার বুকে হায়নার থাবা

-শুভ জিত দত্ত 


আমার ভাষায় আজ আবার থাবা বসিয়েছে

সেদিনের সেই হায়নার দল

তবু হেরে যাওয়ার পাত্র এই বাঙালি নয়

প্রয়োজনে রাজপথ আবার রঙিন হবে


যেখান থেকে ওদের আন্দোলনের সমাপ্তি

সেখানে থেকেই শুরু হবে

ভয় ডর হীন ভাবে বাঙালি ঠিকই ভাষার

রক্ষায় জন্য আবার সামিল হবে রাজপথে 


তবু শত ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে বাঙালি

তার ভাষাকে রাখতে চাই

স্ব-মহিমায় বিশ্ব দরবারে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে 

বসিয়ে যেখানে তার জ্যোতি উদ্ভাসিত হবে


ভাষার জন্য এক বার নায় প্রয়োজনে আমরা

বার বার রাস্তায় নামতে পারি

শুধু মেনে নিতে পারি না আমার ভাষার উপর 

ঐ হায়নার দলের জুলুম ,অত্যাচার, নির্যাতন।।



Sunday, February 18, 2024

কবিতা ভুল ভাবনা

 ভুল ভাবনা

-শুভ জিত দত্ত


সেদিন থেকে হুট করেই বদলে গেলো

তোমাকে নিয়ে আমার ধারনা গুলো

সরল মনে তোমাকে নিয়ে যে ভাবনা

আমার মনে জড় হয়েছিল এতদিন

আজ তার পরিসমাপ্তি ঘটে গেল।

যেদিন তোমার সাথে আমার প্রথম 

দেখা আর কথা বলার সুযোগ হলো

দূর থেকে বিশ্বাস করা আর মন থেকে

ভালো লাগা কতটা ভুল ছিল

সেদিন মর্মে মর্মে উপলব্ধি করলাম।

প্রতিনিয়ত আঘাতে জর্জরিত হয়ে

নিজেকে সংশোধন করেছি যাতে,

এতো সহজে কেউ যেন বার বার

আঘাত করে পালিয়ে না যায়।

এখন খুব সতর্ক তাই ,নিজেকে

ভেঙে চুরে দুমড়ে মুচড়ে, এখন

পাষান বানিয়েছি নিজেকে।।





Wednesday, February 7, 2024

কবিতা গ্রাম্য সংস্কৃতি

 গ্রাম্য সংস্কৃতি 

-শুভ জিত দত্ত


একটা সময় গ্রামে বসতো

যাত্রাপালার আসর

মাঝে মধ্যে বসতো আবার

জারি গানের বাসর


দেখতে দেখতে সে সব যে আজ

হারিয়ে গেল শেষে

মুছে যাচ্ছে তাদের কথা

জলের স্রোতে ভেসে 


শিল্পী যারা কাজের খোঁজে

ভিক্ষার থালা ধরে

বাকি টুকু যাই বা ছিলো 

বেঁচে কেজি দরে


ধুঁকতে ধুঁকতে কোনো রকমে

আশ্রয় যখন ঢাকা

সোজা পথে চলছে না যে

চলার পথটা বাঁকা।। 




Monday, February 5, 2024

কবিতা নতুন ঠিকানা

  কবিতা নতুন ঠিকানা


নতুন ঠিকানা
-শুভ জিত দত্ত 
আমার ভেতরের ক্ষয়ে যাওয়া মানুষটা ,এখন নতুন করে বাঁচতে শেখে।
ঘৃণার প্রাচীর আজ পাহাড় সমতুল্য , সেখানে আজ প্রতিনিয়ত নতুন তৃণ গাজায়।
যেই আঘাতে আমাকে জর্জরিত করেছিলে , সেই আঘাত আমাকে বাঁচতে শেখায়।
যে কষ্টগুলো আমাকে খুব সযত্নে উপহার দিয়েছিলে, তারাই আমাকে নতুন পথ দেখায়।
আমি এখন ঘুরে দাঁড়াতে শিখেছি , নির্ভরতার গ্লানি আমি কাটিয়ে উঠেছি।
আমাকে আর এতটা সহজে আঘাত দেওয়া যায় না, এখন আমি তাই দিব্যি সুখের পেছনে দৌড়ায়।
সুখকে আলিঙ্গন করে আমি, নিজের নতুন জগৎ তৈরি করতে শিখেছি।
আমি এতটা সহজে ভেঙে পরি না ,বার বার চোখের জল ফেলতে যাই না।
একটা ভালো মানুষের সন্ধান এখনো করে যায়, যে হয়তো তোমার মত কষ্ট দিয়ে ছেড়ে যাবে না।




Sunday, January 28, 2024

কবিতা মানুষের পরিচয়

 মানুষের পরিচয়

-শুভ জিত দত্ত 


একদিন পৃথিবীতে জাত থাকবে না

মানুষ হবে শুধু মানুষের

গায়ের রঙের আলাদা করে

রাখবে না কেউ কাউকে


বর্ণ দিয়ে বিভেদ সৃষ্টি এই সমাজে

কুসংস্কার হয়ে থাকবে

মানুষের পরিচয় তখন থেকে

বিশ্ব ভুবনে নতুন করে জানবে


ধনী গরিবের বলতে তখন

শব্দ গুলোই থাকবে

একই সূত্রে গাঁথা হবে

সব মানুষের পরিচয়


একই রক্তের মানুষ যখন

কিসের এতো মতের ভেদ

এখন থেকে মানুষ হবে

জাতি , বর্ণের উর্দ্ধে।।





Monday, January 22, 2024

ছোট গল্প রহস্য ঘেরা বুড়ির ঘর

 রহস্য ঘেরা বুড়ির ঘর

-শুভ জিত দত্ত 


আমাদের গ্রামের ঠিক দক্ষিণ দিকে এক মস্ত কুড়ে ঘর ছিল, সেখানে এক বুড়ির বাস।কি ভয়ংকর চেহারা শুনেছি মানুষের মুখে ,তাই ভয়ে ওই মুখো হতো না কেউ।স্কুল থেকে ফেরার পথে দেখতাম,আর মনের মধ্যে নানা রহস্য উঁকি দিতো। তবু ভয়ে যাওয়া হয়ে ওঠে নি কখনো। শুধু দূর থেকে কুড়ে ঘর দেখেছি বুড়িকে কখন দেখি নি। সেদিন শুক্রবার ছিল আমরা চার জন বন্ধু এর মধ্যে আবার একজন বেশ ভীতু ছিল। আমাদের দেখার ইচ্ছা এবার পূরণ করতেই হবে ,খেলার নাম করে সেদিন বের হওয়া বাড়ি থেকে খুব সকালে।যখন কুড়ে ঘরটির খুব কাছে চলে এলাম,সব থেকে সাহসী আমার বুকে ধুকপুক আরো বেড়ে গেল।আস্তে আস্তে জানলার দিকে এগোতে চোখে পড়লো এক আশ্চর্য হাড়ি, বুড়ি ওই হাঁড়িতে যাই চাচ্ছিল সেই খাবার মুহূর্তের মধ্যেই হাজির হয়ে যাচ্ছিল। কত রকমের খাবার মন্ডা মিঠাই পোলাও কোরমা কোন কিছুর অভাব নেই। আমাদের মধ্যে রাজু বেশ পেটুক ছিল, ও আমাকে ফিসফিস করে বলে উঠলো আহারে কি মজার মজার খাবার যদি খেতে পারতাম। তখন আমি কোনমতেই রাজুকে সামলিয়ে রাখি । বুড়ি যখন হঠাৎ বাগানের দিকে এগোচ্ছিল আমরা তখন আমরা চুপিসারে খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে তার ঘরের দিকে ঢুকতেই এক জাদুকরী জাল আমাদের সবাইকে আটকে ফেলল , অনেক ক্ষণ পর বুড়ি এলো অবশেষে, আমাদের তো প্রাণ যায় যায় অবস্থা তারপর বলে উঠল তোরা কে রে বাবা ,কোথায় থাকিস ভয় পাস না আমাকে ।আমি তোদের কাউকে কিছুই বলবো না ।কতদিন ধরে এভাবে আছি একা একা আছি কেউ আসে না আমার কাছে ।তোরা কি খাবি বল তোদের সব কিছু খাওয়াবো আজ অবশেষে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। আমাদের বাইনা অনুযায়ী ,সে সব রকম খাবার মুহূর্তের মধ্যে হাজির করে ফেলল। সেদিন আমরা পেট পুরে খেলাম বুড়ি বলল আমাকে আর কখনো ভয় পাবি না তোরা ,আমি কি কারো ক্ষতি করেছি কখনো তবে ভয় পাস কেন। এখন থেকে ছুটির দিনে মাঝে মাঝে আসবি আর এমন মজার মজার খাবার খেয়ে যাবি আমার কাছ থেকে মনে থাকে যেন। সেদিনকার মত বিদায় নিলাম আর মনের মধ্যে থাকা ভয় অবশেষে দূর হলো। এরপর থেকে মাঝে মাঝে যেতাম আর ইচ্ছা মত খাবার খেতাম জাদুর বুড়ির কাছ থেকে।।







Sunday, January 21, 2024

কবিতা হঠাৎ ফিরে আসা

হঠাৎ ফিরে আসা

-শুভ জিত দত্ত


তুমি যখন শেষ বার ফিরে এসেছিলে

সব অধ্যায় এর পরিসমাপ্তি ঘটেছে

সম্পর্কের বেড়াজাল গুটিয়ে এসেছে

হারিয়ে গেছে আগ্রহের বাতাবরণ


এখন শুধু তোমার কষ্টের মুহূর্তের মাঝে

আমার কাছে সান্তনা খুঁজতে থাকা তুমি

অথৈ জলে নিজেকে হারিয়ে ফেললে

তখন অনেক টা সময় গড়িয়ে গেছে


এখন সান্তনার বুলি আওড়ানো ছাড়া

আমার কাছে তোমাকে দেওয়ার

আছে কি ,এখন একটা মানুষ আমাকে 

আশ্রয় করে দিব্যি আছে ভালো।


এখন কোনো উটকো ঝামেলায় নিজেকে

জড়িয়ে ফেলতে পারি না কেন যেন

একটা সময় ছিল যখন তোমার সমস্যা

নিজেকে বেশি অস্থির লাগতো।


এখন তোমার কষ্টগুলো কোনো মতে

আমাকে ছুঁয়ে যায় না এক বিন্দুও

সুযোগ হলে তবেই তোমার বিপদে

আমাকে তখন তুমি পাশে পাবে।।






Tuesday, January 16, 2024

কল্পনার দুয়ার

 কল্পনার দুয়ার 

-শুভ জিত দত্ত 


তুমি কখনো স্বপ্ন বুনেছো ঘুমের ঘোরে

নাকি সে শুধু আমার ভাবনা

রাত জাগা পাখি হয়ে কখন তুমি কি

নির্ঘুম রাত যাপন করেছো 

না এসব আমার বৃথা কল্পনা তোমাকে

ঘিরে।


তোমার কল্পনার জাল বিস্তারে আমাকে

কি কখনো ঠাঁই দিয়েছো

না আমি বরং বৃথা চেষ্টায় লিপ্ত ছিলাম

যদি ঠাঁই পাওয়ার সুযোগ হয়।


তুমি কি আমাকে নিয়ে স্বপ্নের রাজ্যে

পারি জামাও মনের খেয়ালে

রঙিন আকাশে স্বপ্নের সাথে খেলা করো

আমাকে নিয়ে সময়ে অসময়ে।


আমার আসার পথের ধারে ফুল বিছিয়ে

এখনো কি অপেক্ষায় থাকো

রাত জেগে দোয়ারে দাঁড়িয়ে এখনো কি

আমার আসার প্রহর গোনো।


এগুলো কি শুধুই আমার কল্পনায় 

তোমাকে নিয়ে মিছে ভাবনা।

তবুও তুমি যেন আমার পুরোটা জুড়ে

তোমার অবাধ বিচরণ ভূমি।






Thursday, January 11, 2024

কবিতা অন্ধ অনুকরণ

 অন্ধ অনুকরণ

-শুভ জিত দত্ত 

ঘটনা ঘটেছে আসলে সত্যি কোনটা

যাচাই কিন্ত করি না

সবাই যখন বলছে হয়তো সত্যি এটা

কারণ আমরা খুঁজি না

বিনা দোষে মার যে খেলো সে দোষী

যাচাই আমরা করি না

আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে

বিচার আমরা করি না 

এত বছর মামলা চলে শাস্তি কি পাবে

তার আশায় থাকি না

সবাই মারছে দোষী বলে, কিল ঘুষি

আমিও একটা মারি না

অমুক করছে তমুক করছে তবে

আমি দেখি হয় কিনা না 

দেখাদেখি এসব করে একটা শব্দ

নিজের কিছু থাকে না

অনুকরণ এর রাজ্যে এসেছি তবে

হাসির পাত্র কি হবো না

মিথ্যা অনুসরণ বাদ দিয়ে এবারে

নিজের মতো করি না ।।







Thursday, January 4, 2024

ছোট গল্প স্বেচ্ছাসেবক

স্বেচ্ছাসেবী তারাই যারা বিনা স্বার্থে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় যখন যেমন পারে তাদের নিয়ে ছোট্ট একটি লেখা

স্বেচ্ছাসেবক
-শুভ জিত দত্ত 
বাড়িটা ঠিক রেল লাইনের ধারেই কোন রকমে টিনে ছাওয়া। বর্ষা বৃষ্টি এলেই টপ টপ করে জল পড়েই । তবু এই ঘরেই দুজনের সংসার কোনো রকমে চলে যায় । খাওয়া সেতো জোটে আবার মাঝে মাঝে জোটেই না।ঘুম হয় না ঝড় আর বৃষ্টির রাতে, শীত কাঁপতে কাঁপতে সকাল হয়। রোগ বালাই আমাদের ঠিক আসে না জালনা দিয়ে পালাই ,যেই না রোগা দেহ তার আবার অসুখ বিসুখ। আর আমাদের ভোট বলতে কোনো রকমে নেতাদের উঁকি মারা । আশ্বাসের বুলি আওড়ে কোন রকমে পাঁচটা বছর দেখা না করা। নেতা আসে নেতা যায় এই বাড়ির বেহাল দশা ওমনি পড় রই। আমাদের কাছে মানুষ মানে তারাই, যারা বেঁচে যাওয়া খাবার আমাদের জন্য আনে।নানা সাহায্য যখন যেমন পাই তাই নিয়ে ছুটে আসে এরা আমাদের নেতা।এই নেতাদের অঢেল নেই,থাকলে হয়তো তাও দিয়ে যেত । সারা বছর খোঁজ নেই তারা, নানা নামে তারা স্বেচ্ছাসেবী।ঈদ হোক বা কিংবা বৈশাখ একটা নতুন জামা যেখানেই পাবে সেখান থেকেই আনে আবার শীতে আনে কম্বল।মন থেকে দোয়া তাদের আমরা করি ,ভালো থাক সেই সব স্বেচ্ছাসেবী মানুষ গুলো।।