ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Friday, March 29, 2019

নারী শক্তি

শুভ জিত দত্ত

তুমি এক প্রেরণার নাম
ক্ষণে ক্ষণে সাহস জোগাও
নারী এক অনন্য বন্ধন
মায়া দিয়ে হয় সৃষ্টি
তোমার উৎসহে সুগম
হয় যত শক্তি কঠিন বাধা
তুমিই স্নেহ ডোরে
আগলে রাখ পরেনা আচর
তোমার মাঝে অনুপ্রেরনা
খোজে মহা বিশ্ব
নারীতেই হয় মুক্তি
নারীতেই হয় সৃষ্টি
যত সুন্দর করিয়াছ ধরনী
তোমার পরশ পেয়ে
তুমি আগলে রাখ তাই
মোরা নতুন আশা পাই
তুমি যাও এগিয়ে হে নারী
তোমার আপন মহিমায়
যাও এগিয়ে যত দুর্গম পথ
ফেলে দিয়ে যত কুসংকার
লাগুক অপবাদ
তবু এগিয়ে যেতই হবে
থেমো না কখনো
দিয় না পিছু পা
তুমি শক্ত তুমি কঠিন
তুমি নারী শক্তি
তুমই স্নেহ ডোরে
বেঁধে রাখ ধরনী
কঠিন ব্যামো
.,.,.,.শুভ জিত দত্ত.,.,.,.,

মন্ত্রী মশায় হনহনিয়ে
চলল শ্বশুর বাড়ি
শ্বশুর নাকি নতুন করে
বেশ ধরেছে ভারি
কি জানি কি উল্টো পালটা
বকছে দিন রাত্রি
শ্বাশুরি তাই চোখের
জলে গড়াগড়ি যায়
শালা বাবুর খোঁজ নেই
আছে ভিন রাজ্যে
জামাই তাই শেষ ভরষা
ডাক বদ্যি মশাই
দাওয়াইা শুনে দিশেহারা
শেপাই পেয়াদা হয়রান
মন্ত্রী মশাই ছুটলো শেষে
হাজির হলো দাওয়াই
সব চিন্তা দূর হলো
মন্ত্রী মশাই ফিরলো
শেষে রাজার দ্বরবারে
রাজা মশাই বহবা দিয়ে
করলো পুরোষ্কিত।।

Friday, March 1, 2019

মেঘের দল

.,.,.শুভ জিত দত্ত.,.,,
রৌদেলা আকাশে
নীলাভ মেঘের রংধনু
কিছুটা রং তুলি দিয়ে আঁকা
কখন কখন সাদা
মেঘ এসে তার
রুপের পরশ দিয়ে যায়
সারাটা বেলা তাদের
এই খেলাই মেতে থাকা
কখন যেন ধূসর
কালো মেঘ গুলো
ধেয়ে আসে
এই ভয় তারা করে
আসবে শেষে মেঘের
দল
স্নগ্ধ হাসি নিয়ে
মাতবে ওরা নানা খেলায়
করবে অনেক মজা

Tuesday, February 5, 2019

ঝগড়া

.,.,.,.,.শুভ জিত দত্ত.,.,.,.,.

কথায় কথায় ঝগড়া করে
মনটা বেজায় ভাল
ঝলে বলে কৌশলে
ঝগড়া করে শেষে
নানা গুণে পরিপূর্ণ
নেই তার তুলনা
দোষ তার ঝগড়া করা
কি বা করবে সে
ডেকে ডেকে কথা বলে
মন টা তার সাদা
হয়তো একটু ঝগড়া করে
তাই নিয়ে কত কথা
বিপদে তাই সবার আগে
হাজির হবে সে
সাধ্য মথ উপকার তার
রুটিন মাফিক কাজ
ঝগড়া করেই কাছে ডেকে
জড়িয়ে ধরে শেষে
একটু ঝগড়া করতে
তার যে ভাল লাগে

Friday, January 18, 2019

,,অবশেষে এলে,,
.,.,.,.,.,শুভ জিত দত্ত.,.,.,.,
পরন্ত রোঁদে ছাদে এসে
একটু উুঁকি দিয়ে
কোথায় যেন মিলিয়ে গেলে
চোখের আড়ালে
কোনসে আলোর পরশ
নিতে তুমি এসেছিলে
একটু দেখায় মায়া জাল
বিছিয়ে দিয়ে যাও
কখনও বা নৃত্যের তালে
তুমি মেতে থাক
কখনো বা পাখিদের সাথে
তাল মিলিয়ে তুমি কথা বলো
তুমি অন্ত প্রাণ গুলো
তোমায় প্রাণে চেয়ে থাকে
চাতক পাখির মথ
তুমি আসবে ওরা ডানা মেলবে
তোমার আপন ছন্দে
কি জাদু করলে ওদের
বানালে আপন সঙ্গী

Monday, January 7, 2019

শীতের আবাহ
শুভ জিত দত্ত
কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে
আসে শীতের ক্ষণ
হাড় কাপানো কুয়াশার মাঝে
রোদের উঁকি দেওয়া
সারা টি দিন চলে
কুয়াশা আর রোদের দুষ্টুমি
শীতের আবহে চলে
নানা পিঠা পুলির আয়োজন
হরেক রকম আয়োজনে
ক্ষেজুর রস সেরা সবার
মাঠে মাঠে শিশির জমে
ঘাষ আর লতা পাতায়
কুয়াশা শেষে কৃষকের দল
মাঠের প্রান্তে ছোটে
নানা রকম উৎসব লেগেই
থেকে পুড়োটা শীত জুড়ে
শীতের আবহে বৃদ্ধার দল
রোদের আশায় চেয়ে থাকে
ঠান্ডার তীব্রতা তাই
কখনো বাড়ে কমে
কম্বলই তাই শেষ ভরষা
এই মরণ শীতে

Tuesday, November 20, 2018

আপনি
....শুভ জিত দত্ত....
তুমি এলে প্রথম হয়ে
নতুন খুশি নিয়ে
স্বপ্ন গুলো নতুন হয়ে
ধরা দিল শেষে
সব থেকে সেরা
তোমায় নেই তুলনা
কি জানি কি জাদু
আছে তোমায় মাঝে
আজানা পরশ পেয়ে
মুগ্ধ হলাম শেষে
তোমায় নিয়ে চলব
যদি তুমি চাও
আপনি অথবা তুমি
কি আসে যায় তাতে
যদি ভাব প্রিয় মানুষ
সঙ্গ দিয়ে যেও

Monday, November 19, 2018

ভোটের হওয়া

........শুভজিত দত্ত....

ভোটের মাঠের হালচাল
নিয়ে জমে পেচাল
এদিক ওদিক সরগরম
কে পাবে নমিনেশন
নেতায় নেতায় মুখোমুখি
বাধে বুঝি হাতাহাতি
নাওয়া খাওয়া ভুলে
ভোট নিয়ে মাতে
খবরে কাগজে খুলে নিয়ে
টেবিলে কি আছে খবরে
মিছিলে মিছিলে রাজপথ
দক্ষলে কেউ নেই পিছিয়ে
ক্ষমতার লোভ টা
বড় হল এখানেই
কে পাবে গদিটা
তায় নিয়ে তর্কটা
শেষ হয় ভোটে
কে হাসে শেষে
অবশেষে রঙ্গ
থামে ওই ভোটে

Thursday, November 1, 2018

তমাল বাবু
...শুভ জিত দত্ত...

সাহা পাড়ার তমাল বাবু
ভাবছে বসে অনেক
কি জানি কি চিন্তা নিয়ে
সে যে মেতে আছে
লাগে না কোন কাজে
সে যে বড্ড কুড়ে
উঠতে বসতে কথা শুনতে
তার যে ভাল লাগে
এর ওর সাথে তার
বিবাদ যে তার
নিত্যদিনের সাথী
ব্যাতিক্রমি চিন্তা তার
মাথার ভেতর ঘোরে
গবেষনার মাঝে সে যে
বেজায় মেতে থাকে
কবে যে কি করে ফেলে
ভরসা নেই বাপু
এক কালে ছিল তার
বড্ড নাম ডাক
কুড়েমী তার সব খেয়েছে
রইল কি আর বাকি
পরিবর্তনের সাথী হয়ে
সে যে কুড়ে হল

Sunday, October 21, 2018

আনাগোনা
......শুভ জিত দত্ত

খেজুর গাছে ঝুলছে হারি
ভরছে রসে রসে
বাহারী পিঠার জমছে আসর
চলছে ঘরে ঘরে
চারিদিকে কুয়াশায়
পথ যায় হারিয়ে
যায় না তো দেখা
রাস্তার পথ গুলো
কুয়াশায় মুড়ি দেয়
ফসলের মাঠ ঘাট
শিশিরে শিশিরে
যায় যে হারিয়ে
শীতের আনাগোনা
হয় যে উঠানে
কাপছে দাদু কাপছে
দিদু চাদর মুড়ি দিয়ে
তাই নিয়ে রসিকতা
করে ওই নাতিনে
শীতের প্রোকপে
হাঁড় কাপে আহারে
বেজায় ঠান্ডায়
সূর্য্যির দেখা নেই

আমার লেখা প্রকাশিত হল পশ্চিম বাংলার শারদ সংখ্যায়

Monday, October 1, 2018


বড্ডজেদী
.....শুভ জিত দত্ত....
সন্তু বাবু জেদ ধরেছে
যাবে পূজোর মেলায়
কিনবে অনেক খেলনাপাতি
চড়বে নাগোর দোলায়
মাটির পতুল মাটির হাড়ি
কিনবে প্যাকেট ভরে
খাবে অনেক মন্ডা মিঠাই
করবে অনেক মজা
কিনবে অনেক নতুন জামা
দেখবে অনেক পূজো
করবে অনেক মতামতি
নতুন গানের তালে
বাবা মার সাথে সাথে
ঘুরছে সন্তু মশাই
ঢাক কাসরের বাদ্য
তার বড্ড মুগ্ধ করে
দেখতে দেখতে ক্লান্তি
তার বড্ড চেপে ধরে
ঘোড়াঘুড়ি শেষে সন্তু
আসে বাড়ি ফিরে
নতুন অভিঙ্গতা তার
বড্ড ভাল লাগে

Tuesday, September 25, 2018

উৎসবের আমেজে
.......শুভ জিত দত্ত.....
আকাশ ভাসে খুশির ভেলায়
শরৎ এলো বোধায়
নানা রং সেজে ওঠে
উৎসবের আনন্দে
নিত্য নতুন পসরা নিয়ে
মেলায় দোকান বসে
নানা লোকের সমাগমে
মেলা জমে ওঠে
নানা বায়নায় মুখরহয়
কচিকাঁচাদের আবদারে
বারোয়ারীর প্রাঙ্গনে তাই
উৎসবের মাতামতি
ছটা দিনেই সব শেষ
তবু মন মানে না
চোখের জলে বিদায় দিয়ে
নতুনের প্রস্তুতি
বাঙালী আনায় এযেন এক
মহা মিলন মেলা
কোন কিছুর কমতি হলে
মেজাজ চড়ে ওঠে
সব মিলিয়ে ভালোই কাটুক
সবার দূর্গা পূজো

Friday, September 21, 2018

মেঘের ভেলা
..........শুভজিত দত
শরৎ এলেই আকাশ বুঝি
শুভ্র মেঘে ঢাকে
সৃগ্ধতার পরশ নিয়ে
সে সেজে ওঠে
লীল আকাশের চারিকোণে
সাদা মেঘ ভেসে ওঠে
রুপের ছটা ছড়িয়ে নিয়ে
সে চেয়ে থাকে
মুগ্ধ সেরা সে যে
স্ব মহিমায় উদ্ভাসিত
আলোক রশ্মি নিয়ে
সে বেজায় মেতে থাকে
খেলার ছলে আপন
রুপে বিমোহিত করে
ছুটে চলে মেঘের ভেলায়
অজানায় ভেসে থাকে
সুখ যে তার চিরসাথী
দুঃখের নেই ঠাই
ভাঙা গড়ার এই খেলার মাঝে
তারা নয়কো সামিল

Saturday, September 1, 2018

বাবুদের বাড়ি
:::শুভ জিত দত্ত:::
সেই ভবন টি আজো টিকে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। এক সময় কত শত কাজে মুখর হতো এই অঙ্গনটি।নানা মানুষের পদচারণায় কোলাহলে ভরে উঠতো এই মহাঅট্টালিকাটি।তবে এখনো নানা পার্বনে তাদের উত্তরসরীদের আগমনে মুখরিতা হয়ে থাকে কয়েকটি দিন।সেদিন ঠাকুমা গল্পে পল্পে বলছিলেন বাবুদের বাড়ি বলে কথা তাদের চাল চলন ভাবসাবিই ছিল আলাদা।তাদের একটু চোখের দেখা দেখার জন্য ভির হয়ে যেত।শেষবার অষ্টমীতে ভোগের রান্নার গন্ধ টা যেন আজো মাতাল করে দেয়।কি জানি কি জাদু আছে ঠাকুর দালানের পাশের ওই হেসেলে।যেখানে দিন নেই রাত নেই বাবুদের কর্মচারীরা রেধেই চলেছে।নানা গ্রামের মানুষ আসে বাবুদের  বাড়ীর পূজো দেখতে।পুজোর পাঁচটা দিন মানুষে মানুষে ভরে যায় কোথাও তিল ধারনের জায়গা থাকে না।তবু বার বার ছুটে ছুটে যওয়া ওই দালানের কাছে।বনেদী আনার একবিন্দুও যেন ঘারতি নেই।সেএকাল আর সেকাল কিছুটা তফাৎ থাকলেও জৌলুষ একেবারেই কমে নি, বরং দিন দিন বেড়েছে।
শহরের পূজো গুলো যেমন নিত্য নতুন থিমের আড়ালের ঢেকে যায় ,ঠিক তার উল্টোটা বনেদী বাড়ী ক্ষেত্রে এখানে এলেই সাবেকী আনার পরশ পওয়া যায়।নানা নিয়ম কানুনে টাসা পুরোহীতও বেশ প্রতিমা নির্মান চলে সাবেকী ঢং ।গ্রামের মাঝে বাড়িটায় কেয়ারটেকারের লাগানো গাছ গুলো সোভা যেন আরো বৃদ্ধি করে।আর পূজো এলেই আলোক সজ্বা আর নানা সাজে সজ্বিত হয় ভবনটি।গ্রামের সবাই মিলে উৎসাহের সাথে বাবুদের বাড়ির পূজো দেখা।এক অন্য রকম অভিঙ্গতা।গ্রামের পূজো আর বাবুদের বাড়ির পূজোর মাঝে যেন আকাশ পাতাল তফাৎ।দশমী বিসর্জনে তারাই থাকে সবার আগে।মহাধুমধামের সাথে চলে বাবুদের বাড়ির পূজো।বন্ধুরা মিলে যেতাম সবে দিতাম আড্ডা বাবুদের বাড়ি কোন এক কোনে ।দেখতে দেখতে কবে যে চলে পূজোর দিন গুলো টেরই পেতাম না।সব কিছুর মূলে ছিল বাবুদের বাড়ি।