ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Friday, March 6, 2020

অচেনা তুমি
- শুভ জিত দত্ত

সামনে থেকে দেখিনি তোমায়
দেখেছি ছবি তে।
তোমায় চোখের চাহনিতে
হারিয়েছি বারে বারে।
কি এমন মায়া জালে
জড়িয়েছো বাড়ে বাড়ে।
কি আছে জাদু
বারে বারে চেয়ে থাকি।
চোখের জাদুতে জড়িয়ে ফেলো
পারি না ফিরে থাকতে।
তোমার মায়ার বদ্ধ জালে
জড়িয়ে রাখ মোরে।
জানি না তুমি কোন শহরে
থাক অচিন দেশে।
কোথায় গেলে খুঁজে পাব
যদি বলে দিতে।
তুমি যদি কাছে এসে
যদি ধরা দিতে।
তোমায় নিয়ে পাড়ি দেব
স্বপ্নের কোনো রাজ্যে।


Monday, March 2, 2020

নদীর বুকে
-শুভ জিত দত্ত
কত নৌকা ভিরতো সেথায়
দিন রাত সারাক্ষণে
মাঝির কন্ঠে গানের সুরে
মন মাতিয়ে রাখে
নানা গানে জমত আসর
নদী পাড়ের সময়
গ্রাম গঞ্জের আসতো খবর
সেই নদীর পাড়ে
জোয়ার ভাটার হতো কতো
দেখেছি সে কালে
কত শত ঘটনার সাক্ষী
তার বুকে ঘটেছে
আজ তাই অসহায়
হয়ে চেয়ে রয়
কবে তাই শেষ হবে
সেই নদীর চলা
মায়ের মতো কষ্ট
সেও করেছে শয্য
তবু আছে টিকে
এই বলি হারি


হয়নি বলা
-শুভ জিত দত্ত
আজ আবার নতুন করে
তোমায় ফিরে পাওয়া।
দূরে গিয়ে ভুলিনি তোমায়
চেয়েছি বারে বারে।
কল্পনা তে তুমি ছিলে
আমরা মধ্য মনি।
শত কষ্ট বুকে নিয়ে
তোমায় ছেড়ে ছিলাম।
আমরা ছেড়ে এই কিছু দিন
খুব কষ্টে ছিলে।
কত কথা জমিয়ে ছিলাম
তোমায় বলব আজি।
বুক ফেটে কান্না আসতো
তোমায় দেখবো বলে।
বহু যুগ পরে আমি
তোমায় ফিরে পেলাম।
কখনো থাকব না আর
তোমায় ছেড়ে সেথায়।
আর যাব না তোমায় ছেড়ে
কথা দিলাম আজই।

Saturday, February 29, 2020


কঠিন ব্যাধি
......................
শুভ জিত দত্ত
......................
সেদিনের তুমি আর
আজকের তুমি
কত পাথক্য গড়ে
দিয়েছে সময়
এই তো সেদিন
কত কোলাহলময়
দুরন্ত বিকেল আর তুমি
কত কথা বলতে শুনেছি
কখন সুযোগ পাইনি আমি
শুনেছি অবাক দর্শন হয়ে
আর ভেবেছি শ্রোতা হয়ে
কত শত গল্পেরই মাঝে
মাতাল করে দিতে
হাজারো মানুষের ভিড়ে
তুমি ছিলে আমার হয়ে
তবে কেন কঠিন ব্যাধিতে
আক্রান্ত হতে হলো
কেন তোমাকে ছেড়ে যেতে
হবে এই মায়ার ভুবন
পারলে না হয় আমাকেও
নিয়ে যেও ওই অচিন পুরীর দেশে

Thursday, February 27, 2020


অজানা দেশে
.................
শুভ জিত দত্ত
.................
পাখ পাখালীর ডানায় উড়ে
যাব আমি দূর আকাশে
দেখব কত রং বেরঙের
পাখ পাখালীর আসর বসেছে
করব কতো খেলা আমি
বলব কতো কথা
শুনবো যত কথা ওদের
আজকে হেসে হেসে
ওদের যত দুঃখ গুলো
দিলাম ছুটি দিয়ে
খেলার ছলে ভুলিয়ে দেব
জমানো সব কষ্ট গুলো
নতুন গানে নাচুক ওরা
আপন সুরের তালে
যেথায় সেথায় উড়বে আজ
নেই তো কোনো বাধা
স্বাধীনতার স্বাদ যে এবার
নতুন করে পেলো
মুক্তির আনন্দে ভেসে ভেসে
গাইছে কত গান

Wednesday, February 26, 2020

অজানা কোলাহল
........ শুভ জিত দত্ত(ছোট গল্প)

অজয়পুর গ্রাম অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর। গ্রামের চারিদিকে সবুজের ছায়া ঘেরা। গ্রামের আকাশ যেন প্রকৃতির সাথে খেলা করে। গ্রামের শেষ প্রান্তে অজয়পুর স্টেশন আছে কিন্তু কোন ট্রেন থামে না। ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে একটু দেখায় গ্রাম টি খুব ভালো লেগে যায়। আমরা চারজন বন্ধুরা মিলে প্রত্যেক বছর শীতে কোথাও না কোথাও ঘুরতে বের হই। এবার আমার সিন্ধান্তে ঠিক হলো অজয়পুর গ্রাম যাওয়ার পরিকল্পনা। অজয়পুর গ্রাম সম্পর্কে আমাদের তেমন কিছুই জানা ছিল না।আমরা রওনা হলাম অজয়পুর গ্রামের উদ্দেশ্য আগের স্টেশনে নেমে ভ্যানের খোঁজ কিন্তু কোন ভ্যান যেতে রাজি হলো না আমরা অনেকটা পথ হেঁটেই পৌঁছালাম অজয়পুর গ্রামে। অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর গ্রামটিতে জনমানব শূন্য। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে অজয়পুর গ্রাম সম্পর্কে যতটুকু জানতে পারলাম শীউরে উঠার মতো। অজয়পুর গ্রামের জমিদার ছিলেন বসুদেব রায় চৌধুরী তার শাসনামলে সকলে অনেক সুখেই ছিল। কিন্তু কোন এক অজানা রোগে উজাড় হয়ে যায় গ্রাম যত দূর জানা যায় তার পর থেকে কেউ আর ঐ গ্রামে যায় না।আমরা চারজন বন্ধু কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে আর কিছু টা যাওয়ার পর জমিদার বাড়ি কাছে পৌঁছালাম। ভিতরটা এখন আগের মতো আছে শুধু মাকষার জালে ছেয়ে গেছে চারিদিক । সিন্ধান্ত নিলাম রাত টা এখানেই কাটাবো সাবাই একটু ফ্রেশ হয়ে বের হলাম গ্রাম টি ঘুরে দেখার জন্য । কিছু দূরে যাওয়ার পর কিছু টা শোরগোলের আওয়াজ কিন্তু কোথাও কেউ নেই।মনে হচ্ছে যেন গ্রাম টি আবার কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে। আমরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে জমিদার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সন্ধ্যা নামতেই জমিদার বাড়িতে কিছু অস্বাভাবিক কিছু হতে শুরু করল ।বাতি গুলো একা একা জ্বালে উঠলো জমিদার বাড়ির কিছু কান্নার শব্দ ভেসে আসছিল বাড়ে বাড়ে।বুঝতে পারছিলাম না রাতটা কিভাবে কাটাবো। চারজন বন্ধুরা মিলে একটা ঘর পরিষ্কার করে রাতে থাকার ব্যবস্থা করলাম কিন্তু কেউ মনে হচ্ছে আমাদের ঘরে প্রবেশ করছে আর বের হচ্ছে।একটা মূহুর্তের জন্য আমার চোখের পাতা বন্ধ করতে পারি নি। এখানে আসা যেন সব থেকে বড় ভুল ছিল। আমাদের চারজনের মধ্যে সৌমেন ছিল তান্ত্রিক ।সে মন্ত্র পাঠ করে ঘর বন্ধ করলো ও আমাদের হাতে কিছু সুরক্ষা কবচ বেঁধে দিল তারপর কোন রকমে সকালের আলো ফুটতেই আমারা রওনা হলাম এই যাত্রাই সৌমেন ছিল বাঁচা না হলে প্রাণ নিয়ে আসা আমাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল।সারা জীবন মনে রয়ে যাবে এই দুঃসহ স্মৃতি।

Tuesday, February 25, 2020

অমর একুশে সংখ্যায় প্রকাশিত হলো আমার একটি লেখা
তুমি সেরা
শুভ জিত দত্ত

ব্যার্থতা সব দূরে ঠেলে
তুমি যাচ্ছ আপন মনে
শত বাধা জয় করেছো
আপন মনের জোরে
থামোনি তো পথের মাঝে
চলছো আপন ছন্দে
ভয় পেয়ে যাওনি সরে
এগিয়েছো বাড়ে বাড়ে
কাজ দেখে অবহেলা
তোমার মাঝে আসেনি
হাজারো চাপ মাথায় নিয়ে
তুমি ছিলে শান্ত
পরিশ্রমেও কখনো ক্লান্তি
তোমার মাঝে দেখিনি
রাত দিন এক করে
কাজের‌ মাঝেই ছিলে
কাজের‌ মাঝে ডুবে থাকতে
তুমি ভালোবাসতে
সেরা তাই সবার থাকে
আছো সবার মাঝে


Friday, February 14, 2020

তোমার পথে
।।শুভ জিতে দত্ত।।

তুমি এসো যখন খুশি
থাকবো আপেক্ষায়
আমি না হয় পথে চেয়ে
 কাটাব দিন গুলি
যনি আসবে তুমি
সকল স্মৃতি ভুলে
আমার নিয়ে পাড়ি দিও
যেথাই লাগে ভালো
তোমার মাঝে হারিয়ে যেতে
নেই তো কোনো বাধা
তোমার ইচ্ছায় বলতে পারি
জমানো সব কথা
হাজারো ভুল করতে পারি
মানুষ বটে আমি
তাই বলে দূরে সরে
কষ্ট পাবে তুমি
একটু ক্ষমা করতেই পারো
দেখ শুধরে যাব
তোমার সুখে দুঃখে
আমায় পাশে নিও
ক্ষণিকের তরে
।।‌‍শু‍ভ জিত দত্ত।।
জনি তুমি আসবে
তাই বলে আমি একাকী
দিন গুণে যায় সময়ে অসময়ে।
তোমার দেখার আক্ষেপ
যেন কুড়ে কুড়ে খায়
তবুও তুমি আসবে।
সব ফেলে যত পিছুটান
থাকুক যত দুঃসহ স্মৃতি
তুমি এসো মন থেকে।
তুমি আসবে বলেই
নীরব হয়ে শুনব তোমার কথা
শুনতে শুনতে হারিয়ে যাব
তোমার কথার মাঝে
চলতে পারি তোমার কথায়
যেমন বলবে তুমি
হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিও
একটু তোমার মাঝে
তোমার সাথে চলতে চলতে
দিগন্ত পাড়ি দেব
যদি বাড়াও তোমার হাত

Friday, February 7, 2020

রঙিন আকাশ
।। শুভ জিত দত্ত।।

নতুন রূপে রঙিন হল
বসন্তের এই বিকেল
নানা রং ছড়িয়ে পড়ুক
বসন্তের এই ক্ষণে
ইচ্ছে গুলো পেক্ষম মেলে
উড়ুক দিন শেষে
রুপের ছটা লেগেছে
আজ নীল আকাশের কোনে
নতুন সাজে সেজেছে
ওই দক্ষিণের খোলা আকাশ
বসন্তের এই ক্ষণে
চল মাতি নতুন উল্যাসে
আজ না হয় ব্যস্ততা কে
দিলাম ছুটি দিয়ে
দুজন মিলে দুর আকাশে
উড়ব ডানা মেলে
বসন্তের এই শুভ্রতা টুকু
দিলাম উজাড় করে
আগলে রেখ তোমার কাছে
আপন ছায়ার মাঝে

Tuesday, January 21, 2020

অসহায়ত্বের কথা

শুভ জিত দত্ত

ওদের আছে অনেক তবু
সড়ে না হাত দিয়ে
পথের ধারে মানুষ গুলো
কাঁদছে খিদের জ্বালায়
চলতি পথে দেখে তবু
দেয় না কিছু দিয়ে
তোমার থাকো দালান কোঠায়
আছো কতো সুখে
রোদ বৃষ্টি ঝড় ওদের
সব কিছু সয়ে গেছে
যদি হাত বাড়াতে
ওরা আসতো এগিয়ে
সভ্য সমাজে চলতো না হয়
তোমাদের সাথে সাথে
সামান্য একটু করুণাতে
ওরাও থকতো মহা সুখে
শত বিভেদ ভুলে চল
দাঁড়ায় ওদের পাশে
তারাও না হয় একটু সুখে
থাকুক সবার সাথে

Tuesday, December 31, 2019

পথ চেয়ে (শুভ জিতে দত্ত)
তাকে দেখার আক্ষেপ যেন আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। কাজের চাপে আমাকে যেন আরো একলা করে দিচ্ছে।তবু তাকে ছেড়ে থাকা আমার পক্ষে মনকে তার কাছে ফেলে রাখার সমান।এক বিন্দু যেন নিজেকে শান্ত রাখতে পারিনা তাকে ছেড়ে থাকতে নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়। হয়তো সে আমার কথা ভাবতে ভাবতে কখন না ঘুমিয়ে রাত জেগে থেকে।আমাকে দেখার আগ্রহ যেন আরো বেশি একাকী করে দিচ্ছে তাকে। কখন কখন মনে হয় যতই থাকুক কাজের চাপ তবু নিজেকে আটকে রাখবো না কোন বেড়াজালে। কিন্তু তখনি যেন হাজারো কাজের চাপে আমাকে আটকে রাখে।
এই হাজারো কাজের চাপ দুরে রেখে তার পাশে থেকে যদি সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারতাম।
এক বেলা না হয় নাই বা খেতাম তবু তোমার পাশে থাকতাম। তোমাকে দেখে চোখ জুড়াতাম যখন মন চায়। থাকতাম না আর ছুটির আশায় চলে আসতাম সব চাপ ফেলে।কি হবে হাজারো সম্পদ যদি তুমি না পাশে থাকো। তোমাকে আর বেশি দিন একলা থাকতে হবে না আমি চলে আসবো খুব তাড়াতাড়ি। ছুটি টা হয়তো সামনে মাসেই পাবো।।
মিথ্যার বেড়াজাল

শুভ জিত দত্ত

তোমারাই আজ সব ভুলে
আছো মহা সুখে
কিষের নেশায় মত্ত হয়ে
ভুলতে আছো সব
অচেনা কোন সুখের তরে
কোথায় ডুবে থাকো
শেষে কেন ভুলের মাঝে
তোমাদের হারিয়ে যাওয়া
মিছে আশা বুকে জড়িয়ে
আর কত দিন চলে
এবার না হয় সত্যের পথে
সামনে এগিয়ে চলো
খুলে দিও মিথ্যা নামক 
কাপড় খানি যাদের চোখে বাঁধা
যে মিথ্যা দেয় না সুখ
তাকে কেন আঁকড়ে ধরা
চল সবে সত্যের পথে
ভেঙ্গে দিয়ে মিথ্যার বেড়াজাল
নতুন প্রজন্মের জন্য গড়ে উঠুক
সত্যের এক আবাস ভূমি

Friday, November 29, 2019


কুয়াশার চাঁদর
.,.,.,শুভ জিত দত্ত.,.,
শীতের আগমনে কুয়াশায়
 ছেয়েছে চারিদিকে
 আকাশে তাই সুর্যের লুকোচুরি
 সকাল থেকেই চলে
 বেলা বাড়লেই আকাশ আবার
 ছেয়ে যায় সোনা রোদে
 কনে কনে শীতে কাঁপাকাপি
 চলে সারাটা দিন জুড়ে
 চাঁদর যেন শেষ ভরসা
 এই অলক্ষণে শীতে
 শীতের আবহে ঘরে ঘরে
 চলে নতুন গুরের পিঠা
 ক্ষেজুর রসে মন জুড়ানো
 স্বাদে গন্ধে নেই তুলনা
 বেলা বাড়লেই কাজের চাপ
 এটাই শীতের রীতি
 উৎসব প্রিয় বাঙালী তাই
 শীতেও মেতে ওঠে
 নানার ধতুর মাঝে
 সবাই সেরা সবার থেকে