ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Sunday, February 26, 2017

রহস্যের গর্ত
......শুভ জিত দত্ত
স্কুল টি ছিল বেশ কিছুটা দুরে বলতে গেলে গ্রামের শেষের দিকে বাড়ি ঘর তেমন একটা নেই চারিদিকে ঘন জঙ্গল দিনের বেলা যেতেই কেমন যেন গা টা ছমছম করে ওঠে কারো সাথে ছাড়া ওই দিকে কেউ ভুলে পা দেয় না তবু কাজের তাগিদে অনেকে ভয় কে জয় শহরে পারি জমাতো জঙ্গলের কিছুটা ভিতরে একটা পুরানো মন্দির সাথেই একটা বটগাছ বার বার চোখ আটকে যেত একটা অদ্ভুত বিষয় চোখে পড়তো বটগাছটির মাথার দিকে একটি গর্ত চোখে পড়তো সেখান থেকে মূলতো রহস্যে জন্ম স্কুলে যাওয়া পথে প্রতিদিন বন্দুদের সাথে আলোচনায় মূল বিষয় ছিল বট গাছের গর্ত টি ।কি আছে তার ভিতর কেন যেন ওখান টা যওয়ার সময় গা টা বড্ড ছমছম করে ওঠে দাদু বলতেন ওখানে ভুলেও যাবি না কেন তিনি বার বার নিষেধ করতেন কি এমন আছে তার ভিতর কি কারনে তার নিষেধঙ্গা কৌতুহল টা দিন দিন বাড়তেই থাকে আমি সৌমেন আর তরু মাঝে আমার তিন জন স্কুল ছুটির পর ওখানে মতলব করতাম কোন কারনে তা হয়ে ওঠতো না সেই দিন টা ছিল স্কুল ছুটির দিন বাড়িতে স্কুলে যওয়ার নাম করে আমরা তিন জন ওই গাছটির ওখানে যওয়ার সিন্ধান্ত নিলাম জঙ্গলের ওখানে পৌঁছাতেই দুর থেকে মন্দির আর গাছটি দেখা যাচ্ছে তখন শরীলের ভেতর কেমন যেন হচ্ছে তবু কিছুটা সাহস অর্জন করে চলতে শুরু করলাম কিছুটা যেতেই আচমকা কিছু কঙ্কালের হাড় চোখে পড়লো ভয়ের মাত্রা যেন আরো ও দিগুন হয়ে গেল
তবু এগোতে শুরু করলাম কে উঠবে ওঠবে এই নিয়ে আমাদের মাঝে রীতি মধ্যে ঝগড়া লেগে গেল শেষ পযন্ত সব থেকে সাহসী সৌমেন এগোতে শুরু করলো বাদুরের আচমকা আওয়াজে তরু হঠ্যাৎ করে  অঙ্গান হয়ে গেল গাছের কাছে যেতেই একটা মড় মড় শব্দ করে শব্দ টি বাশ বাগান থেকে আসছিলো বলে মনে হয় সৌমেন গাছের গর্তের কাছে যেতেই হতবাক হয়ে একটা ভয়ানক সাপ কিছু মুল্যবান সম্পদ পাহাড়া দিচ্ছে সেদিনের মথ ফিরে আসা এই কথাটি শুধু সৌমেনই জানতো কিছু দিন পর তাদের অবস্থা ফিরে যায় এবং তাদের এই অবস্থার ফিরে যওয়ার মূল কারন টি ওই গর্তটি টি ।এই গ্রামে তারাই এখন মস্তবড় ধনী।এই ছিল   বটগাছের গর্তের সত্যি কারের রহস্য টি।

Saturday, February 18, 2017

রাখলো না কথা
..................শুভ জিত দত্ত
বললাম বার বার যাস না
শুনলো না সে শুনলো না
রাখলো না আমার কথা
তোর তো বোনের বিয়ে
তবু  কি তোর হুশ নেই
আন্দোলনের ডাক এসেছে
আর কি থাকা যায়
মাগো কয়েক দিন কর অপেক্ষা
আবার আসবো ফিরে
তোমার উঠানের মাঝে
সেই যে গেলো খোকার
মুখ টা আর দেখা হল না
ওর আসার অপেক্ষার প্রহর
যেন আর শেষ হয় না
কেউ খবর টি ও দিল না
সে কোথায় আছে কেমন আছে
চোখের জলও শেষ হয়ে এসেছে

Tuesday, February 14, 2017


ভালবাসা
.........শুভ জিত দত্ত
ভালবাসা তুমি এসো না
যদিও এসো তবে খুব নিশ্চুপ
হয়ে নিঃশব্দে এসো
যেন কেউ টের টি না পায়
ভালবাসা তুমি যদি এসো
তবে ছেড়ে যেও না
বহু কাল বহু যুগ ধরে
থেকে যেও মোর পাশে
কঠোর কঠিন বন্ধনে
বেধে রেখ অকৃত্তিম মায়া জালে
সুযোগ দিও না কখন
বেড়িয়ে যওয়ার এই বন্ধন ছেড়ে
শত আঘাত শত কষ্টের
মাঝে রয়ে যেও চির নতুন হয়ে
ভালবাসা তুমি বার এসো
তবে সুখের পাখি হয়ে

Monday, February 6, 2017

চিত্তরঞ্জন সাহা তিনি ছিলেন একজন স্বনামধন্য একজন প্রকাশক এছাড়া তিনি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মূদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্পের বিকাশে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে স্মরণীয় হয়ে আছেন এবং তিনি ছিলেন বাংলা একাডেমী বই মেলার উদ্যোক্তা
১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় এক টুকরো চটের ওপর কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেন।

Sunday, February 5, 2017

ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত তিনি যেমন ছিলেন বলিষ্ঠ রাজনীবিদ ও সমাজকর্মী ,ভাষাসৈনিক ও একজন বিখ্যাত আইনজীবি ।তিনি প্রথম বাংলা ভাষার দাবী নিয়ে ১৯৪৮ সালের ২৫ আগস্ট পাকিস্তান গণপরিষদে অধিবেশনের সকল কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাতেও রাখার দাবি উত্থাপন করেন। তিনি পাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যাই বেশি এবং তারা বাঙালি, সেহেতু অবশ্যই বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের সকল কার্যাবলীর জন্য ব্যবহার করা উচিত এবং পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত। কিন্তু লিয়াকত আলী খান সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের ভিত্তিতে এই দাবী নাকচ করে দেন।

Friday, February 3, 2017

তার গল্প কেউ আজ আর শোনে না....
কলনীর ছোট ঘর টি কোন রকম চাটাই এর বেড়া দেওয়া চারিদিকে কোন রকমে তাদের এই ঘর টি তাদের একমাত্র সম্বল
বিট্রিশ প্রিয়োড থেকে রেল তার উপার্জনে একমাত্র পথ।ফেরী করে খাবার বিক্রি করে তার দিন টা কোন রকমে চলে যায় ।যেদিন তার শরীল টা পেরে ওঠে না সেদিন তাদের দুইজনকেই পুরো দিন টা উপোস থাকতে হয়
দেখতে কত দিন চলে গেল তবু এই দুই বুড়ো বুড়ি কে কেউ দেখতে আসে না
ছেলে টাও আর খোঁজ নেই না সে আছে মহা সুখে
সকাল হলেই তার বানানো খাবার নিয়ে ছুটে যওয়া এই বগি থেকে ওই বগি তবু একটু সময় পেলেই কারো সাথে গল্প করতে ইচ্ছে করে সেই পুরানো দিনের স্মৃতির কিছুটা আংশ বয়সের ভারে শরীল আর পেরে ওঠে না
যানি না এভাবে আর কদিন চলবে
জোটে না কোন ভাতা তবু সেদিন দাড়িয়ে ছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে এই খাবার নিয়ে সেদিন তাদের ক্ষুধা নিবারন করেছি কেউ মনে রাখেনি
তবু তোমাকে আমার এই দুঃখের দগদগে স্মৃতি গুলো শুনিয়ে নিজেকে বড্ড হালকা লগছে
কেউ তো আর তোমার মথ দু-দন্ড দাঁড়িয়ে আমার কথা গুলো শোনে না..................
.....শুভ জিত দত্ত

Friday, January 6, 2017

গ্রাম বাংলা ঐতিয্য বালাকী নাচ

Wednesday, January 4, 2017

শীতের সকাল
...শুভ জিত দত্ত

ঠাকটা রাসের গন্ধ ভাসে
রাস্তার চারিদিকে
সোনারৌদ উুঁকি মারে
ক্ষেতের কূল জুড়ে
নানা রকম সবজী
তে মাঠ যায় ভরে
বেলা বাড়ে কর্মব্যাস্ত
হয় কৃষাণ কৃষাণীরদল
ভোর রাত হলেই
ঢেঁকি পাড় দেওয়া
বেলা উঠলেই চলে
রস জাল দেওয়া
নতুন গুড়ের পাটালী
চলে ব্যাস্ত হাটে বিক্রি
নানা রকম পিঠে পুলি
চলে সন্ধ্যা হলেই
গ্রামের শীতের সকাল
যেন অন্য রকম পওয়া
কুয়াশার মাঝে উুঁকি মারে
সূর্যের মিষ্টি হাসি


Thursday, December 22, 2016

প্রাণের ভাষা
..........শুভ জিত দত্ত
বিশ্ব একটি মাত্র ভাষা
যার জন্য নিষ্পাপ প্রাণ
ঝড়ে গেল অকালে
বিশ্বদরবারে শত ভাষার মাঝে
স্থান করেছে বাংলা নামে
তার অপূর্ব বর্ণের সমাহার
সমৃদ্ধ করেছে বর্ণমালা
মায়ের মুখে তার
শোভা শত গুন বাড়ে
শত আঘাত শয্য করে
আজও টিকে আছে
এসেছে অনেক পরিবর্তন
মিশেছে অনেক ভাষা তার মাঝে
তবু তার ধার একবিন্দুও কমেনি
হিন্দুয়ানি ভাষা বলে
শুনেছে শত গালি তবু তাতে
তার কি আসে যায়
বাংলা ভাষা সবার মাঝে
থাকুক সেরা হয়ে
হাজার বছর থাকুক টিকে
সব বাঙালীর হৃদয়ে

Monday, December 19, 2016

মুক্তির ডাক
.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,
শুভ জিত দত্ত
.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,
মাকে ছেরে ওই সুদূরে
গেলাম একটি ডাকে
সব পিছুটান দূরে ঠেলে
দিলাম উজার করে
নেই ভয় নেই ডর
বুকে আছে প্রত্যয়
বিজয় ছিনিয়ে আনবই
এই শপথ বুকে নিয়ে
ওড়া যতই হোক বেশি
আমরাও কম নয়
মায়ের আশিষ মাথায় নিয়ে
মুক্ত করবো সদ্বেশ
মায়ের কথা কেন যেন
আজ শুধুই মনে পড়ে
কত গুলো দিন মাকে ছেড়ে
কাটছে যে আজ বড়
রাত নির্ঘুম কাটছে
যে আজ যুদ্ধের কলরবে
এক বুলেটেই করবো
ঘায়েল শত্রু সেনার ঘাঁটি
মৃত্যু ভয় করি নারে
আমরা শান্তি কামী

Sunday, December 18, 2016

কন কনে হওয়ার মৃদ্রু স্পর্শের মাঝে
অন্য রকম হীম শীতল অনুভূতিটা
ফুটে ওঠে ওই কুয়াশা ঘেরা অরণ্যের মাঝে
কোন এক সময় কুয়াশা ভেঙে শিশির
বিন্দু গুলো জমতে থাকে ঘাষের এক কোণে
রৌদ্র উজ্বল এক স্নিগ্ধ সাকালের অপেক্ষায়
স্ফুটিত হতে থাকে প্রকৃতির অন্য এক চিত্রপট
বাবু মশাইইই
শুভ জিত দত্ত
বাবু মশাই জমিদার
রাগটা বড্ড চড়া
একটুতেই চট করে
মেজাজ যায় চড়ে
সেপাই পেয়েদা সারাক্ষণ
ভয়ে ভয়ে চলে
পা ফেলতে হলে ভুল
বেতড়া ঘাত চলে
গ্রহের দশা শনির দশা
লেগেই থাকে খালী
রাজাছে থোড়াই কেয়ার
মে হু জমিদার
খাজনা দিতে হলেই দেরি
না জানি কি জোটে কপালে
তিনি আবার ভোজন রসিক
আহারে পাঁচ পদ
ঝাল নুনের কমতি হলেই
বাবু মশাই রেগেই অস্থির
কবে যে পুড়েব চিতাই
সেই গালটাই সবার মুখে

Friday, September 16, 2016

মন
,,    শুভ জিত দত্ত
মন আমরা বড় উতলা
সব সময় অশান্ত
এক দন্ড স্থির হয় না
করে খালি সটফট
উড়ু উড়ু কলে খালি
থাকে না একটু শান্ত
সব সময় উড়ন চন্ডী
বড্ড বলি হারি
অজানা দেশে সে
উড়ে বেড়ায় খালী
জগৎ সংসার নিয়ে
তার নেই কোন মাথা ব্যাথা
মাঝে মাঝে ভাবি
কি করে যে বশে রাখি
এই অশান্ত মনটারে
.........................................
.........................................
কবি হুমায়ন আজাদ
,,,,,,,শুভ জিত দত্ত
ধর্ম বর্ণের উদ্ধে গিয়ে
আছ সবার শীর্ষে
নতুন ধারা সৃষ্টতে
ছিলে অগ্রণী
তোমার লেখায় সূচনা হল
নতুন ধারার দিশা
তাই বলে ওরা তোমার
করে বার বার আঘাত
তবুও করনি মাথা নথ
ওদের কারো কাছে
সাহস নিয়ে লিখলে তুমি
শত প্রতিবাদী গল্প কবিতা
তোমার লেখায় হল
জাগ্রত গোটা তরুন সমাজ
তোমার মাঝে খুজে পেল
নতুন পথের দীশা
তাই মরনেও রইলে
বেঁচে এই তারুণ্যের মাঝে
মন
,,    শুভ জিত দত্ত
মন আমরা বড় উতলা
সব সময় অশান্ত
এক দন্ড স্থির হয় না
করে খালি সটফট
উড়ু উড়ু কলে খালি
থাকে না একটু শান্ত
সব সময় উড়ন চন্ডী
বড্ড বলি হারি
অজানা দেশে সে
উড়ে বেড়ায় খালী
জগৎ সংসার নিয়ে
তার নেই কোন মাথা ব্যাথা
মাঝে মাঝে ভাবি
কি করে যে বশে রাখি
এই অশান্ত মনটারে
.........................................
.........................................
কবি হুমায়ন আজাদ
,,,,,,,শুভ জিত দত্ত
ধর্ম বর্ণের উদ্ধে গিয়ে
আছ সবার শীর্ষে
নতুন ধারা সৃষ্টতে
ছিলে অগ্রণী
তোমার লেখায় সূচনা হল
নতুন ধারার দিশা
তাই বলে ওরা তোমার
করে বার বার আঘাত
তবুও করনি মাথা নথ
ওদের কারো কাছে
সাহস নিয়ে লিখলে তুমি
শত প্রতিবাদী গল্প কবিতা
তোমার লেখায় হল
জাগ্রত গোটা তরুন সমাজ
তোমার মাঝে খুজে পেল
নতুন পথের দীশা
তাই মরনেও রইলে
বেঁচে এই তারুণ্যের মাঝে

Friday, August 19, 2016

সারা আকাশ জুড়ে কালো
মেঘের আনাগোণা
হঠ্যাৎ করে অঝোর ধাড়ায়
বৃষ্টির আগমন
দিকবিদিক ছোটাছুটি
চলে অনেক টা সময়
জনজীবন ক্ষানিক সময়
যায় থমকে
পথ ঘাট চারিদিক কাঁদাজলে
হল একাকার
দূর্ভোগে নেই যে শেষ
কর্ম ব্যাস্ত এই শহরে
কালো মেঘ গুলো সড়ে
যায় কোন এক সময়
মিষ্টি রৌদ উুঁকি মারে
মেঘের আড়াল থেকে