ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Thursday, July 11, 2024

Banner design কী এবং কেন করবো?

 ব্যানার ডিজাইন কী:

ব্যানার ডিজাইন হল একটি গ্রাফিক ডিজাইন প্রক্রিয়া যেখানে বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল উপাদান, যেমন টেক্সট, ছবি, লোগো, এবং গ্রাফিক্স ব্যবহার করে একটি ব্যানার তৈরি করা হয়। এই ব্যানারটি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন ব্র্যান্ড প্রমোশন, পণ্য বা সেবা প্রচার, বিশেষ ঘোষণা, ইভেন্ট প্রচারণা, এবং আরও অনেক কিছু।


কেন করবো:

ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি:


একটি ভালো ডিজাইন করা ব্যানার আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি গ্রাহকদের মধ্যে আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করতে সহায়ক।প্রমোশন ও বিজ্ঞাপন:


ব্যানারগুলি প্রমোশনাল এবং বিজ্ঞাপনমূলক কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। একটি আকর্ষণীয় ব্যানার দ্রুত গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে এবং তাদেরকে আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানাতে পারে।

ইভেন্ট এবং ক্যাম্পেইন প্রচারণা:


বিশেষ ইভেন্ট বা ক্যাম্পেইনের প্রচারণার জন্য ব্যানার অত্যন্ত উপযোগী। এটি আপনার ইভেন্টের সম্পর্কে তথ্য ছড়িয়ে দিতে এবং মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে সাহায্য করে।

অনলাইন উপস্থিতি বৃদ্ধি:


অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যানার ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করা যায়। এটি সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ, এবং অন্যান্য অনলাইন চ্যানেলে আপনার ব্র্যান্ডের উপস্থিতি বাড়াতে সাহাবিক্রয় বৃদ্ধি:


আকর্ষণীয় এবং কার্যকর ব্যানার ডিজাইন গ্রাহকদের কেনাকাটায় উৎসাহিত করতে পারে, যা বিক্রয় বৃদ্ধিতে সহায়ক।

বাজারে প্রতিযোগিতা:


প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে আপনার ব্র্যান্ডকে অন্যদের থেকে আলাদা ও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। ব্যানার ডিজাইন এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।য্য করে।



Wednesday, July 10, 2024

Logo Design: কি এবং কেন করবো?

Logo Design: কি এবং কেন করবো?


লোগো ডিজাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা আপনার ব্র্যান্ডকে অনন্য এবং সনাক্তযোগ্য করে তুলতে সাহায্য করে। এটি একটি ভিজ্যুয়াল সিম্বল যা আপনার প্রতিষ্ঠানের মিশন, ভিশন এবং মানকে উপস্থাপন করে। কেন আপনি লোগো ডিজাইন করবেন তার কিছু কারণ নিচে দেওয়া হলো:





লগো আপনার ব্র্যান্ডের পরিচয় তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি আপনার প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য এবং মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটায়।

একটি আকর্ষণীয় এবং ইউনিক লোগো আপনার প্রতিষ্ঠানের নামকে সহজেই মনে রাখতে সাহায্য করে।

প্রফেশনাল লোগো আপনার ব্যবসাকে আরও পেশাদার এবং বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। এটি গ্রাহকদের বিশ্বাস স্থাপন করতে সাহায্য করে।

একটি ভালো লোগো আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসকে আরও কার্যকরভাবে বাজারজাত করতে সহায়ক।

লোগো ডিজাইন আপনার টার্গেট গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে এবং তাদের মধ্যে স্থায়ী ছাপ ফেলতে সহায়ক।

একটি সুন্দর এবং অর্থবহ লোগো আপনার প্রতিষ্ঠানের সফলতার একটি বড় হাতিয়ার হতে পারে। তাই, দেরি না করে আজই আপনার ব্র্যান্ডের জন্য একটি ইউনিক লোগো ডিজাইন করুন!


আপনার ব্যবসার উন্নতির জন্য আমাদের অভিজ্ঞ ডিজাইনারদের সাহায্য নিন এবং একটি প্রফেশনাল লোগো ডিজাইন করিয়ে নিন।

Tuesday, July 9, 2024

ডিজিটাল মার্কেটিং: কী এবং কেন করবেন?

 ডিজিটাল মার্কেটিং: কী এবং কেন করবেন?


বিস্তারিত:


আপনার ব্যবসার প্রচার কিভাবে করবেন তা নিয়ে ভাবছেন? ডিজিটাল মার্কেটিং হতে পারে আপনার সঠিক সমাধান! 🌐


💡 ডিজিটাল মার্কেটিং কী?

ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, ইমেইল এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে পণ্য বা পরিষেবা প্রচারের প্রক্রিয়া।


🎯 ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন?


বৃহত্তর দর্শকপ্রাপ্তি: অনলাইনে আপনি বিশ্বব্যাপী অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারেন।

খরচ কার্যকর: ঐতিহ্যগত মার্কেটিংয়ের তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক সস্তা হতে পারে।

পরিমাপযোগ্য ফলাফল: সহজেই প্রচারণার কার্যকারিতা ট্র্যাক করতে পারেন।

লক্ষ্যযুক্ত প্রচারণা: নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী বা ডেমোগ্রাফিক লক্ষ্য করে প্রচারণা চালাতে পারেন।

রিয়েল-টাইম এডজাস্টমেন্ট: প্রচারণার সময়ই আপনি পরিবর্তন করতে পারেন।

আপনার ব্যবসাকে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে বাড়াতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা নিন!


আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং যাত্রা শুরু করুন আজই! 📈


#ডিজিটাল_মার্কেটিং #ব্যবসা_বৃদ্ধি #অনলাইন_মার্কেটিং #বাজারজাতকরণ



Monday, July 8, 2024

Instagram marketing কী আর কেন করবো?

 

Instagram marketing কী আর কেন করবো?


Instagram marketing কী:

Instagram মার্কেটিং হল ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে প্রমোশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ড, পণ্য, বা সেবার প্রচার করা হয়।


ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করার কয়েকটি প্রধান কারণ হল:


ইনস্টাগ্রামে বিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে, যা ব্র্যান্ডের জন্য বিশাল একটা সুযোগ সৃষ্টি করে।


ইনস্টাগ্রাম ব্র্যান্ডের পণ্য বা সেবা আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করে।


ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীদের এঙ্গেজমেন্ট রেট অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের চেয়ে অনেক বেশি।


নিয়মিত এবং মানসম্মত কনটেন্ট পোস্ট করার মাধ্যমে ব্র্যান্ডের সচেতনতা এবং রিকগনিশন বৃদ্ধি পায়।


ইনস্টাগ্রাম অ্যাডের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট দর্শক গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে পারেন, যা মার্কেটিং প্রচেষ্টার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।


কেন আপনার ব্র্যান্ডের জন্য ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ?


আপনার ব্র্যান্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান? ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং হতে পারে আপনার পরবর্তী সেরা পদক্ষেপ! ইনস্টাগ্রাম বর্তমানে বিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারীর একটি বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম, যা আপনার ব্যবসার জন্য অসাধারণ সুযোগ সৃষ্টি করে। আসুন জেনে নেই কেন ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করা উচিত:


ইনস্টাগ্রামের বিশাল দর্শকবৃন্দের সামনে আপনার ব্র্যান্ডকে উপস্থিত করার সুযোগ রয়েছে।

ইনস্টাগ্রাম একটি ভিজ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম, যা আপনার ব্র্যান্ডের পণ্য বা সেবাকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করে। উচ্চমানের ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করে সহজেই গ্রাহকদের মন জয় করতে পারেন।


ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীদের এঙ্গেজমেন্ট রেট অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের চেয়ে অনেক বেশি। আপনার কনটেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে গভীর সম্পর্ক তোলা যায়।


নিয়মিত এবং মানসম্মত কনটেন্ট পোস্ট করার মাধ্যমে ব্র্যান্ডের সচেতনতা এবং রিকগনিশন বৃদ্ধি পায়। আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকদের বিশ্বাস ও আগ্রহ বাড়ে।


ইনস্টাগ্রামের অ্যাডের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট দর্শক গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে পারেন, যা মার্কেটিং প্রচেষ্টার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।


আজই আপনার ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং স্ট্রাটেজি শুরু করুন এবং আপনার ব্র্যান্ডকে নিয়ে যান নতুন উচ্চতায়! 🌟


#InstagramMarketing #BrandAwareness #

DigitalMarketing #BusinessGrowth




Sunday, July 7, 2024

Content writing কী এবং কেন প্রয়োজন:

 Content writing কী এবং কেন প্রয়োজন:


Content writing কী:

গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে মানসম্মত কনটেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনাকে দিচ্ছি পেশাদার কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস, যা আপনার ব্যবসার প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়েছে।


Content writing কেন প্রয়োজন:

নিয়মিত এবং আকর্ষণীয় ব্লগ পোস্ট আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করবে।

আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পৃষ্ঠা আমরা এমনভাবে লিখবো যা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করবে।

পণ্য ও সেবার আকর্ষণীয় বিবরণ লিখে আমরা আপনার বিক্রয় বৃদ্ধি করবো।

সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ র‌্যাঙ্ক পেতে SEO কনটেন্ট প্রদান করা হবে।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের জন্য আকর্ষণীয় পোস্ট এবং ক্যাম্পেইন কনটেন্ট।

আমাদের কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিসের সুবিধা:

আমাদের পেশাদার লেখকরা মানসম্পন্ন এবং নির্ভুল কনটেন্ট লিখে থাকেন।

আমরা সময়মতো কনটেন্ট ডেলিভারি নিশ্চিত করি।

আমাদের প্রতিটি কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড।

আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড কনটেন্ট প্রদান করা হয়।


আপনার ব্যবসার জন্য আমাদের কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিসের প্রয়োজন হলে, আজই যোগাযোগ করুন!


#ContentWriting #SEO #DigitalMarketing #BusinessGrowth #ContentMarketing #WebContent #SocialMedia #Blogging #ProfessionalWriting



Saturday, July 6, 2024

SEO কী এবং কেন করবেন?

 

SEO কী এবং কেন করবেন?


SEO কী:


আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে ও ব্যবসায়িক সফলতা অর্জনে SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। SEO হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ র‌্যাঙ্ক পেতে সাহায্য করে, যেমন গুগল। এর ফলে, আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি পায় এবং আপনার ব্র্যান্ডের ভিজিবিলিটি বাড়ে।


SEO করার মূল কারণগুলি:


 SEO করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডের জন্য অর্গানিক ভিজিটর আসবে।

উচ্চ র‌্যাঙ্কিং ওয়েবসাইটগুলি সাধারণত ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে।

SEO-এর মাধ্যমে আপনি বিনামূল্যে প্রোমোশন পেতে পারেন, যা পেইড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট থেকে অনেক বেশি কার্যকর।

SEO করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটটি ব্যবহারকারীর জন্য আরো ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে।

যখন আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়বে,তখন ,আপনার পণ্য বা সেবার বিক্রি বাড়বে।


#SEO #DigitalMarketing #BusinessGrowth #WebTraffic #OnlineMarketing #ContentStrategy #SearchEngineOptimization #BusinessTips #MarketingStrategy


SEO সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে থাকুন এবং এই টিপসগুলি মেনে চলুন।


আপনার ব্যবসা সফল হোক! 🌟


এই পোস্টটি আপনার ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইলে শেয়ার করতে পারেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করুন। আশা করি আপনারা এর মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে এবং

 জানতে পারবেন।









Thursday, May 9, 2024

কবিতা তবুও ভালো থেকো



 তবুও ভালো থেকো

-শুভ জিত দত্ত 


যাবেই যখন ছেড়েই তুমি , হঠাৎ এসে

জড়ালে কেন মায়ার জালে ।

এই তো আমি ,নৃত্য নতুন স্বপ্ন দেখি 

তোমার চোখের অন্তরালে ।


বলতে যদি কদিন আগে, কষ্ট নিয়ে

দেখতে কেমন যেতাম সরে ।

সেই তো আমি ছিলাম ভালো,দিব্যি 

ব্যস্ত ছিলাম বন্ধু আড্ডা নিয়ে।


এখন আমার ঘোর কেটেছে, মানুষ

গুলো অনায়াসে চিনতে পারি।

অভিনেতা চিনে গেছি প্রতারণা এখন

আমি খুব সহজে ধরতে পারি ।


তবুও তুমি ভালো থেকো, আমাকে

কষ্ট দিয়ে পারলে সুখে থেকো।

নেই অভিযোগ তোমাকে ঘিরে,আমি 

আমার মতো আছি খুব সুখে।


হঠাৎ করে আসবে কেউ এক , কাজের

মাঝেও আমার খেয়াল নিতে।

সেদিন আবার নতুন করে ব্যস্ত হবো 

খেয়াল খুশি সময় দিতে।।


















ছোট গল্প প্রিয় ছবি

 


প্রিয় ছবি

শুভ জিত দত্ত 

আমার বাবার স্বপ্ন আমি একজন বড় আইনজীবী হবো।বাবার অনুরোধে কলেজ জীবন শেষ করে আইন বিষয় নিয়ে ভর্তি হলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়াতে।আইন বিভাগে ভর্তি হয়ে টুকটাক রাজনীতি তে আমার পদচারণা শুরু হয় ।তারপর পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতি সমান তালে এগিয়ে চলতে থাকে।একটা সময়ে রাজনীতি অঙ্গনে একটা দাপুটে নেতা হিসাবে সবার মাঝে নিজেকে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়। রাজনীতি ও সংস্কৃতি তারপর পড়াশোনার চাপ আর বাবার স্বপ্ন মাথার উপরে ছিল যার কারণে ব্যস্ততা বিহীন কখনো থাকতে পারিনি। বছরে একবার বাড়িতে যেতাম কারণ তাদের দেখার জন্য মন ছুটে যেত ।বাড়ি গেলে বাবা মা খুব ব্যস্ত হয়ে যেতেন অনেকদিন পর ছেলে বাড়িতে এসেছে । মার যেন বিরাম নেই আমার প্রিয় খাবারগুলো রান্না করার জন্য মা এক প্রকার ব্যস্ত হয়ে থাকতেন যে কয়টা দিন আমি বাড়িতে থাকতাম। খুব বেশি বাড়ি যাওয়ার সময় আর সুযোগে হয়ে উঠতো না এতটা চাপ মাথার উপর ছিল। এতো ব্যস্ততার মাঝে আমার জীবনে কখনো ভালোবাসা আসে নি , হয়তো ভালো লাগতো কিন্তু কখনো সময় করে কারো সাথে সম্পর্কে জড়ানো হয়নি। একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ হয়ে গেল তারপর ,ঢাকাতে পারি জমালাম সেখানে কোন রকমে একটা ম্যাচে দুই বন্ধু মিলে শুরু করলাম পড়াশোনা বেশ কয়েকবার বার কাউন্সিলের পরীক্ষা দিয়ে ব্যর্থ হয়, তারপর হঠাৎ কি এমন পরিবর্তন এলো আমার জীবনে প্রথম বিসিএস এ আমি প্রশাসন ক্যাডার এ সুপারিশ প্রাপ্ত হয়। যেহেতু আমার জীবনে কেউ তেমন ছিল না, সেহেতু বাবা মা বাড়ি থেকে আমার জন্য মেয়ে দেখতে থাকে বিয়ের বাজারে তখন আমার মূল্য অনেক বেশি কারণ আমি একজন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। আমি আমার বিয়ের ভার সম্পূর্ন আমার মা-বাবার উপরে ছেড়ে দিই, অনেক ভালো জায়গা থেকে সম্বন্ধ এলেও আমার একটাই চাওয়া ছিল তাদের অর্থবিত্ত না থাকলেও ভালো পরিবারের হয় যেন। একটা সময় হঠাৎ বাড়ি থেকে ফোন এলো দিন তারিখ সব ঠিক আমাকে অফিস থেকে ছুটি নিতে হবে তারপর নিজের নতুন জীবন শুরু করতে হবে। যেহেতু আমার জীবনে কখনো ভালোবাসা আসে নি এই মানুষটা কে পেয়ে আমার জীবনের নতুন গল্প লিখতে শুরু করলাম। তাকে প্রতিটা মুহূর্ত সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেছি ,তাকে কখনো চোখের আড়াল করতে পারিনি । সেই মানুষটাও আবার আমি অফিসে থাকলে বারবার ফোনে আমার খোঁজ রাখতো। আমি না খাওয়া পর্যন্ত সে কখনো খাইনি ,এইভাবে বেশ সুন্দর মুহূর্ত গুলো পার করছিলাম। সেই মানুষটা আমার কাছে লক্ষ্মী ছিল ,কারণ সেই মানুষটা আসার পর থেকে আমার জীবনের সফলতার দরজা গুলো খুলতে শুরু করল যে দরজা গুলো খুলতে বাকি ছিল তাও খুলতে শুরু করলো।তারপর আমাদের দুজনের ঘরে আলো করে একটা ফুটফুটে লাল পরী নেমে এলো । কখন যে আমাদের সংসারের একটা যুগ পার হয়ে গেল ,এই বন্ধনের মাঝে কখনো মনোমালিন্য কিংবা কথা কাটাকাটি হয়নি। অফিসে গিয়ে হঠাৎ একটা চিঠি হাতে পেলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সংবর্ধনা দেবেন। সে মানুষটি‌ সামনে থেকে দেখবে আমি কার হাত থেকে এই পদক গ্রহণ করছি।সেদিন আমাকে একটু আগেভাগে বেরিয়ে যেতে হল, আমি অবশ্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তাকে বলে বের হলাম আমি গাড়ি পাঠিয়ে দেবো তোমরা সাবধানে চলে এসো। আর কিছুক্ষণ পরে আমার নাম ডাকা হবে পুরস্কার গ্রহণের জন্য কিন্তু সে মানুষটাকে দেখছি না এতটা সময় পার হয়ে গেল। পুরস্কার গ্রহণ করলাম কিন্তু আমার চোখ সেই মানুষটি কে খুঁজেছিল ।ভালো লাগা কাজ করছিল না একদম সেই মানুষটিকে না দেখতে পেয়ে। গেট থেকে বের হতেই হঠাৎ ফোন এলো আমার সহধর্মিনী এবং আমার পরীটি মারাত্মক এক্সিডেন্ট এ হসপিটালে ভর্তি। হসপিটালে আমার একটা দিন নির্ঘুম খুব রাত কাটলো কখন তার ডাক শুনবো। আমি যে তাদের দেখাতে পারলাম না আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বিশেষ পুরষ্কার পেয়েছি । তিনদিন পার হয়ে গেল আমার মেয়েটি আমার কোলে ফিরে এলেও ফিরে এলো না সেই মানুষটি । আমি এর পর কাউকে আর কখনো তার জায়গাটি দিতে পারিনি মা মরা মেয়েটিকে আমি কখনো মায়ের অভাব বুঝতে দিই নি। দেখতে দেখতে সে অনেক বড় হয়ে গেল কলেজ জীবনে শেষ করলো তারপর একটা সময় ভালো একটা ঘরে সে চলে গেল। আমাকে একা ফেলে এখন আমার সঙ্গী সেই মানুষটির ছবি কখনো একা থাকলে সে মানুষটার ছবিকে জড়িয়ে তাকে অনুভব করি প্রতিটা মুহূর্তে। তুমি সব সময় আমার পাশে আছো ছায়ার মত তোমাকে ছাড়া আমি একবিন্দু ভালো থাকতে পারি না তুমি এভাবে পাশে থেকো।

কবিতা তোমাকে ঘিরে

 


তোমাকে ঘিরে

-শুভ জিত দত্ত 



যেই মানুষ টি একদিন,আমার কবিতার প্রেমে পড়বে

আমি সেই দিন, সেই মানুষটির হয়ে যাবো।

চিরকালের জন্য, নিজেকে তার কাছে সঁপে দিয়ে

স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবো সেদিন।


একদিন আমার বুকে জমানো পাহাড় সমান 

কষ্ট , নিমিষেই জল হয়ে যাবে।

সেদিন আমি প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেবো,

তোমাকে পাশে রেখে ।


আজকের কষ্টগুলো একদিন থাকবে না,

আমি জানি প্রতিটা রাতের শেষে সকালের

সূর্য উদিত হয়।

তুমি যখন আমার লেখায় মুগ্ধতা খুঁজে পাও,

তখন আমি আমার জীবনের চূড়ান্ত

সফলতা অনুভব করি।


আজ মনে হয় যেই সফলতা একদিন

দূরবীন দিয়ে খুঁজতে গিয়েছি,

সেই সফলতা আজ আমার হাতে 

এসে খুব সহজেই ধরা দিয়ে যায়।।


কবিতা বসন্তের এই দিনে

 

বসন্তের এই দিনে

-শুভ জিত দত্ত 

দূর থেকে রাঙিয়ে দিলাম 

আবিরের রঙে তোমায়,

যতই থাকো দূরে তুমি 

আছো হৃদয় গহীনে।

শত বসন্ত থাকবো সাথে 

প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আজ আমি।

হোক না যতই প্রতিবন্ধকতা 

আসুক যতই ঝড়-ঝঞ্ঝা।

ছেড়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু

হাতটি আমি ধরি নি

শক্ত কঠিন বাঁধনে তোমায় 

বেঁধেছি এই বসন্তে

দুঃখ কষ্ট রঙিন উঠুক হয়ে

বসন্তের এই দিনে।

সুযোগ পেলে সেদিন কিন্তু 

রং আমি লাগাবোই।

এখন তবে থাক না তোলা 

আমার রঙের ডালা

নিজেকে তবে সঁপে দিলাম 

আজকে উজার করে।

আমাকে না হয় শাষণ করো,

তোমার মতো করে।

তোমার অবাধ্য হওয়ার ইচ্ছে 

মনের মধ্যে জাগে না।

তোমার ভালো থাকার মাঝে

নিজেকে খুঁজে পাওয়া।


কবিতা তোমার হঠাৎ প্রবেশ

 



তোমার হঠাৎ প্রবেশ

-শুভ জিত দত্ত 


এতোটা আগলে রাখেনি কেউ কখনো 

যেদিন থেকে থেকেছো পাশে।

ছায়ার মতো তোমার উৎসাহ আমার

কাছে নতুন সাহস সঞ্চয় করা।


প্রতিটা মুহূর্তে আমার কল্পনা জগতে,

সেই মুখ চোখে ভেসে বেড়ায়।

আমার এই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা,

এখন তোমার মাঝে খুঁজি।


তোমার পাশে থাকা ,আমার কাছে

নতুন অনুপ্রেরণা খোঁজার প্রয়াস।

আশাহীন হয়ে হারিয়ে যাওয়ার পথে,

হঠাৎ আলোর মুখ দেখালে।


ভালো লাগার জগতে এখন প্রতিনিয়ত

তোমার অবাধ বিচরণ ভূমি।

আমার হৃদয় মাঝারে বসন্তের কোকিলের 

হঠাৎ আগমনে আমি উচ্ছ্বাসিত।


বসন্তের রং সেদিন লেগেছিল গায়ে,যেদিন

আমার হৃদয়ে তোমার বাসা বাঁধা

তোমাকে পাশে পায়ে নিত্য নতুন স্বপ্ন দেখি

ঘুমের ঘোরে কিংবা জাগরণে 


আমি আজ প্রাণ খুলে বাঁচি,আকাশের মতো

যখন তুমি ডানা মেলো হৃদয়ে

হতাশার মাঝে ডুবে যায় না এখন আমি আর

 আশা সঞ্চার হয় তোমার কথাতে ।।






কবিতা স্বপ্নের জলাঞ্জলি




 স্বপ্নের জলাঞ্জলি

-শুভ জিত দত্ত 

আমার অপেক্ষা গুলো সন্ধ্যা নামায়,

আর চোখে ঘুম জড়িয়ে আসে।

তারপর কথা গুলো জমতে জমতে

কখন যেন তারা লুকিয়ে যায়।


আমার স্বপ্নেরা আস্তাকুড়ে চলে যায়,

দিশা হারায় প্রতিটা রাতে।

স্মৃতি গুলো ঝাপসা হয় উড়ে বেড়ায় 

আর, হারিয়ে যায় চেনা মুখ।


তারপর শুন্যতা কে আলিঙ্গন করা,

পূরণ এর আশা জাগিয়ে।

হাজারো হতাশার গল্পের ভিড়ে,নতুন 

স্বপ্ন গুলো জাল বুনে যাই।


প্রকাশের অভাবে কিছু গল্প,অন্তরালে 

থেকে এভাবেই হারিয়ে যায়।

হাজারো অপ্রকাশিত গল্পে থেকে যায়,

চোখের জলে সমুদ্রের গর্জন।


কিছু পাওয়া আর না পাওয়ার মাঝে

সমাপ্তি কিছু করুন অভিজ্ঞতার।

নিজের নাম ব্যর্থতার খাতায় উঠিয়ে

ফিরে আসা আপন নীড়ে।।





কবিতা সমৃদ্ধ ঐতিহ্য

 


সমৃদ্ধ ঐতিয্য

-শুভ জিত দত্ত 


ঐতিয্য রীতি নীতি মিশে আছে বহু কাল সময় ধরে

চাইলে কি অস্বীকার কিংবা ভুলে থাকা যায়

যেই লোকাচার সমূহ আমরা পরিবার থেকে আত্মীয়

মধ্যে ধারণ করে নিই ঠিক যেন ভাষার মতো।


ইদানিং বেশি আধুনিকতার গায়ে লাগতে গিয়ে

আমরা মনেহয় ভুলে যায় অতীত স্মৃতি

যা আমরা বংশ পরম্পরায় লালন করে বেড়ায় 

হোক সে রাম কিংবা বা কোন ধর্মের


আমরা ভুলে যাই একটা সময় আমাদের সমৃদ্ধ

ইতিহাস ছিল যা আমরা জলাঞ্জলি দিই

শেষ সময়ে এসে আফসোস করতে করতে

মৃত্যু কে আলিঙ্গন করে ছেড়ে যাওয়া


ভিনদেশী মানুষ আমাদের কে চেনে তার মূলে

রয়েছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য 

তাই মনের ভুলেও এগুলোকে বিসর্জন দেওয়া 

মানে নিজের অস্তিত্বকে ভুলে যাওয়া।।



কবিতা আনন্দের বৈশাখ

 


আনন্দের বৈশাখ 

- শুভ জিত দত্ত


চৈত্রের তাপে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে

একরাশ ঝড়ো হাওয়া নিয়ে বৈশাখ আসে।

কৃষকের মুখে খুশির হাসি ফুটতে শুরু করে

নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দের মাঝে।


মেলা বসে গ্রামে গ্রামে, নানান পসরা সাজিয়ে

হালখাতার মিষ্টি বিলিয়ে নতুন দিনের শুরু।

নতুন পোষাকে গায়ে জড়িয়ে, প্রিয় মানুষ সঙ্গে

নিয়ে,মেতে ওঠা প্রাণের বৈশাখী আয়োজনে।


আসর বসে মেলার মাঝে জারি সারি পুতুল

নাচের ,কবি গানের গানের লড়াই চলে।

মন্ডা মিঠাই খাওয়ার ভিড়ে, মাটির হাড়ি,মটির 

পুতুল কিংবা বেতের পাটি কত কিছু কেনা।


বাঙালির ঘরে ঘরে খুশির সীমা ধরে না যে

রান্না চলে সকাল থেকে,নানা রকম পদ।

হাজারো দুঃখ কষ্ট গুলোর মাঝে অবশেষে 

বৈশাখ আসে একটু খুশির আবেশ নিয়ে ।




কবিতা প্রকৃতি বাঁচান

 


প্রকৃতি বাঁচান

-শুভ জিত দত্ত 


একদিন মরুভূমির স্বাদ নিতে হবে,

যেখানে ছিল সবুজের বেষ্টনী। 

আজ সেখানে উঁচু অট্টালিকা ওঠে

ঢেউ দুলানো গাছের সারি।

অফুরন্ত বাতাসে জুড়িয়ে যেত প্রাণ,

সে সব আজ অতীত স্মৃতি।

একদিন অক্সিজেনের খোঁজ হবে না,

মেলবে সেদিন অর্থ দিয়ে।

জলের অভাবে হাহাকার পড়ে যাবে,

তৃষ্ণা নিবারণের চেষ্টায়।

একবিন্দু জলের খোঁজে পাড়ি দিতে

হবে, মাইলের পর মাইল।

থাকবে সবই অর্থ কড়ি,হারিয়ে যাবে

নদীর স্রোতে জলের ধারা।

আফসোস আর অভিযোগ করেও,

মিলবে না কোন সমাধান।

এখন আছে সময় অনেক বাঁচতে

হলে,এবার প্রকৃতি বাঁচান।