ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Sunday, May 24, 2020

ঈদে নিয়ে লেখা কবিতা

ঈদের খুশি
-শুভ জিত দত্ত

ওই উঠেছে আকাশে চাঁদ
কালকে খুশির ঈদ
একটি মাস রোজা‌‍ শেষে
আসে খুশির ঈদ
নামাজ শেষে কোলাকুলি
‌বড় ছোট নির্বিশেষে
নানা রকম আয়োজনে
মেতে থাকি সবাই মিলে
দুঃখ সুখের ভাগাভাগি
করব সবাই মিলে
নতুন জামা নতুন জুতা
পড়বো মজা করে
ঘোড়াঘুড়ি  খাওয়া দাওয়া
নাইকো মজার শেষ
লাচ্ছা সেমাই ফিরনি মিটাই
 নানা রকম আয়োজনে
ঈদ জমে ওঠে
ভেদাভেদ ভুলে সবাই
আনন্দে মেতে ওঠি
সরিয়ে যত দুঃখ গুলো

Wednesday, May 6, 2020

"আড্ডাবাজি"
শুভ জিত দত্ত

যেখানে জমতো আড্ডা
ছিন না দিন রাত্রি
আনা গোনা হতো কতো
জ্ঞানীগুণী বিদ্য জনের
কত বিষয়ে হতো তর্ক
মাঝে মধ্যে একটু আধটু
গল্পে আড্ডায় জমতো আসর
সাথে একটু চা মুড়ি
কথায় কথায় কেউ তো আবার
খৈই ফোটাতো মুখে
কেউ তো চুপ করে
শুনতো কথা মন দিয়ে
কিছু মানুষ ছিল আবার
হেসেই উড়াতো সবই
দেখতে দেখতে সময় কখন
নিমেষেই যেত চলে
এই ভাবে দিনে দিনে তাদের
আড্ডা নাম করেছে ভারি
দিন গুলো যাক চলে
একটু আড্ডার মাঝে





Thursday, April 23, 2020

"অজানা আতঙ্কে"
-শুভ জিত দত্ত
কি জানি এক অন্ধকার সময়ে
প্রবেশ করতে হলো
প্রতিনিয়ত যেখানে মৃত্যু ভয়
তাড়া করে বেড়ায়
আপন মানুষ গুলো আজ
ভয়ে সড়ে যায়
কষ্ট যেখানে খিদের জ্বালায়
ভুগতে থাকা মানুষগুলো
অপেক্ষা যেন‌ দীর্ঘ হয়
সময়ের‌ পালা বদলে
দেখতে দেখতে মাস গুলো
চলে গেল কাঁদিয়ে
হারানো মানুষ গুলো চিরকাল
রয়ে যাবে স্মৃতিতে
শত চেষ্টা আজ বিফলে
উত্তর যেন‌ অধরা
তবু থামবে এই চেষ্টা
যদি জয় হয়
সেদিন যেন বয়ে‌ যাবে
শান্তির‌ চির সুবাতাস

Wednesday, April 15, 2020

বৈশাখ এলেই‌
-শুভ‌জিত দত্ত

বৈশাখের এই ক্ষণে
আকাশ মেঘে ঢাকে
বিশাল এক ঝড়ে
সব শেষ করে
নিঃস করে সব শেষে
ঝড় থামে তবে
বৈশাখের এই দিনে
ঘরে ঘরে উৎসবে
সবাই মেতে থাকে
নানা আয়োজন মাঝে
সবাই যাই মিশে
কত ঋতু মাঝে
বৈশাখ‌‌ দিয়ে শুরু
সব বাঙালি মাঝে
ভেদাভেদ দুড়ে ঠেলে
মিশে যায় এক হয়ে
বৈশাখ এলেই‌ পান্তা ইলিশ
ঘরে‌ ঘরে শোভা মেলে
অশুভ শক্তি যত‌
দূরে যাক‌ এই ক্ষণে

Saturday, March 28, 2020



অবাক রাজা

- শুভ জিত দত্ত

চন্দ্র রাজার মস্ত দেশে
কায়দা কানুন বেখায়ালে।
যখন তখন যাকে তাকে
পেলেই ধরে রাস্তা থেকে।
হিসেব করেই শাস্তি দেবে
কড়াই গন্ডাই উসুল করে।
খানিক বাদে ছেড়ে দেবে
ইচ্ছা হলেই ঢুকিয়ে দেবে।
কসাই রাজার মন্ত্রী মশাই
হাত পা মেলে ঘুমিয়ে পড়ে,
শখ যে তার রাজা হওয়ার।
নিয়ম কানুন বলতে নেই
যে যার মত চলছে সবাই।
ছোট্ট ভুলে শাস্তি বেশি
ভূল করলে করবে বেশি,
নাইলে আবার শাস্তি জোটে
আজব রাজার কাণ্ড দেখে
প্রজারা সব রাজ্য ছাড়ে।
রাজা মশাই হতাশ হয়ে
সব ভুল বুঝতে পারে।।

Wednesday, March 18, 2020

সময় আসবে

- শুভ জিত দত্ত
খুব বেশি নেই দেরি
যখন পড়বে ধরা,
পাপের ঘড়া পূর্ণ হলেই
তোমার দেবে সাজা।
 শত অন্যায় অবিচার
করেছো তুমি সমাজে,
তবুও হেসে খেলে বেড়াতে‌
ভয় ছিল না কোন।
যেদিন পড়বে ধরা
পাড়বেনা পালাতে,
তিতাপ যন্ত্রনা করবে ভোগ
মৃত্যু পূরীর দেশে।
থাকবে না পাশে
তোমার কাছের মানুষ,
দূর থেকে তোমার জন্য
করবে আহাজারি।
অসহায় হয়ে থাকবে চেয়ে
দাঁড়াবে না কেউ পাশে,
কাকুতি মিনতি করতে করতে
করবে শাস্তি ভোগ।
অজানা ব্যাধি
- শুভ জিত দত্ত
হঠাৎ করে উদয় হলো
কি জানি এক ব্যাধি
শয়ে শয়ে মরছে মানুষ
হচ্ছে দিশেহারা
দিন গুলো তাই যাচ্ছে কেটে
অজানা এক ভয়ে
কখন জানি কে আবার
চলে যাবে ছেড়ে
এই নিয়ে খবরে
চলছে কাটা ছেড়া
মহামারী এই রোগের
প্রোকোপ যাচ্ছে বেড়ে
রাত দিন এক করে
চলছে গবেষণা
প্রতিষেধকের খোঁজে তাই
হচ্ছে দিশেহারা
প্রতিদিন নতুন নতুন খবরে
ভয় যাচ্ছে বেড়ে
বছর শেষে মিলবে নাকি
এই রোগের ঔষধি

Friday, March 6, 2020

অচেনা তুমি
- শুভ জিত দত্ত

সামনে থেকে দেখিনি তোমায়
দেখেছি ছবি তে।
তোমায় চোখের চাহনিতে
হারিয়েছি বারে বারে।
কি এমন মায়া জালে
জড়িয়েছো বাড়ে বাড়ে।
কি আছে জাদু
বারে বারে চেয়ে থাকি।
চোখের জাদুতে জড়িয়ে ফেলো
পারি না ফিরে থাকতে।
তোমার মায়ার বদ্ধ জালে
জড়িয়ে রাখ মোরে।
জানি না তুমি কোন শহরে
থাক অচিন দেশে।
কোথায় গেলে খুঁজে পাব
যদি বলে দিতে।
তুমি যদি কাছে এসে
যদি ধরা দিতে।
তোমায় নিয়ে পাড়ি দেব
স্বপ্নের কোনো রাজ্যে।


Monday, March 2, 2020

নদীর বুকে
-শুভ জিত দত্ত
কত নৌকা ভিরতো সেথায়
দিন রাত সারাক্ষণে
মাঝির কন্ঠে গানের সুরে
মন মাতিয়ে রাখে
নানা গানে জমত আসর
নদী পাড়ের সময়
গ্রাম গঞ্জের আসতো খবর
সেই নদীর পাড়ে
জোয়ার ভাটার হতো কতো
দেখেছি সে কালে
কত শত ঘটনার সাক্ষী
তার বুকে ঘটেছে
আজ তাই অসহায়
হয়ে চেয়ে রয়
কবে তাই শেষ হবে
সেই নদীর চলা
মায়ের মতো কষ্ট
সেও করেছে শয্য
তবু আছে টিকে
এই বলি হারি


হয়নি বলা
-শুভ জিত দত্ত
আজ আবার নতুন করে
তোমায় ফিরে পাওয়া।
দূরে গিয়ে ভুলিনি তোমায়
চেয়েছি বারে বারে।
কল্পনা তে তুমি ছিলে
আমরা মধ্য মনি।
শত কষ্ট বুকে নিয়ে
তোমায় ছেড়ে ছিলাম।
আমরা ছেড়ে এই কিছু দিন
খুব কষ্টে ছিলে।
কত কথা জমিয়ে ছিলাম
তোমায় বলব আজি।
বুক ফেটে কান্না আসতো
তোমায় দেখবো বলে।
বহু যুগ পরে আমি
তোমায় ফিরে পেলাম।
কখনো থাকব না আর
তোমায় ছেড়ে সেথায়।
আর যাব না তোমায় ছেড়ে
কথা দিলাম আজই।

Saturday, February 29, 2020


কঠিন ব্যাধি
......................
শুভ জিত দত্ত
......................
সেদিনের তুমি আর
আজকের তুমি
কত পাথক্য গড়ে
দিয়েছে সময়
এই তো সেদিন
কত কোলাহলময়
দুরন্ত বিকেল আর তুমি
কত কথা বলতে শুনেছি
কখন সুযোগ পাইনি আমি
শুনেছি অবাক দর্শন হয়ে
আর ভেবেছি শ্রোতা হয়ে
কত শত গল্পেরই মাঝে
মাতাল করে দিতে
হাজারো মানুষের ভিড়ে
তুমি ছিলে আমার হয়ে
তবে কেন কঠিন ব্যাধিতে
আক্রান্ত হতে হলো
কেন তোমাকে ছেড়ে যেতে
হবে এই মায়ার ভুবন
পারলে না হয় আমাকেও
নিয়ে যেও ওই অচিন পুরীর দেশে

Thursday, February 27, 2020


অজানা দেশে
.................
শুভ জিত দত্ত
.................
পাখ পাখালীর ডানায় উড়ে
যাব আমি দূর আকাশে
দেখব কত রং বেরঙের
পাখ পাখালীর আসর বসেছে
করব কতো খেলা আমি
বলব কতো কথা
শুনবো যত কথা ওদের
আজকে হেসে হেসে
ওদের যত দুঃখ গুলো
দিলাম ছুটি দিয়ে
খেলার ছলে ভুলিয়ে দেব
জমানো সব কষ্ট গুলো
নতুন গানে নাচুক ওরা
আপন সুরের তালে
যেথায় সেথায় উড়বে আজ
নেই তো কোনো বাধা
স্বাধীনতার স্বাদ যে এবার
নতুন করে পেলো
মুক্তির আনন্দে ভেসে ভেসে
গাইছে কত গান

Wednesday, February 26, 2020

অজানা কোলাহল
........ শুভ জিত দত্ত(ছোট গল্প)

অজয়পুর গ্রাম অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর। গ্রামের চারিদিকে সবুজের ছায়া ঘেরা। গ্রামের আকাশ যেন প্রকৃতির সাথে খেলা করে। গ্রামের শেষ প্রান্তে অজয়পুর স্টেশন আছে কিন্তু কোন ট্রেন থামে না। ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে একটু দেখায় গ্রাম টি খুব ভালো লেগে যায়। আমরা চারজন বন্ধুরা মিলে প্রত্যেক বছর শীতে কোথাও না কোথাও ঘুরতে বের হই। এবার আমার সিন্ধান্তে ঠিক হলো অজয়পুর গ্রাম যাওয়ার পরিকল্পনা। অজয়পুর গ্রাম সম্পর্কে আমাদের তেমন কিছুই জানা ছিল না।আমরা রওনা হলাম অজয়পুর গ্রামের উদ্দেশ্য আগের স্টেশনে নেমে ভ্যানের খোঁজ কিন্তু কোন ভ্যান যেতে রাজি হলো না আমরা অনেকটা পথ হেঁটেই পৌঁছালাম অজয়পুর গ্রামে। অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর গ্রামটিতে জনমানব শূন্য। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে অজয়পুর গ্রাম সম্পর্কে যতটুকু জানতে পারলাম শীউরে উঠার মতো। অজয়পুর গ্রামের জমিদার ছিলেন বসুদেব রায় চৌধুরী তার শাসনামলে সকলে অনেক সুখেই ছিল। কিন্তু কোন এক অজানা রোগে উজাড় হয়ে যায় গ্রাম যত দূর জানা যায় তার পর থেকে কেউ আর ঐ গ্রামে যায় না।আমরা চারজন বন্ধু কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে আর কিছু টা যাওয়ার পর জমিদার বাড়ি কাছে পৌঁছালাম। ভিতরটা এখন আগের মতো আছে শুধু মাকষার জালে ছেয়ে গেছে চারিদিক । সিন্ধান্ত নিলাম রাত টা এখানেই কাটাবো সাবাই একটু ফ্রেশ হয়ে বের হলাম গ্রাম টি ঘুরে দেখার জন্য । কিছু দূরে যাওয়ার পর কিছু টা শোরগোলের আওয়াজ কিন্তু কোথাও কেউ নেই।মনে হচ্ছে যেন গ্রাম টি আবার কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে। আমরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে জমিদার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সন্ধ্যা নামতেই জমিদার বাড়িতে কিছু অস্বাভাবিক কিছু হতে শুরু করল ।বাতি গুলো একা একা জ্বালে উঠলো জমিদার বাড়ির কিছু কান্নার শব্দ ভেসে আসছিল বাড়ে বাড়ে।বুঝতে পারছিলাম না রাতটা কিভাবে কাটাবো। চারজন বন্ধুরা মিলে একটা ঘর পরিষ্কার করে রাতে থাকার ব্যবস্থা করলাম কিন্তু কেউ মনে হচ্ছে আমাদের ঘরে প্রবেশ করছে আর বের হচ্ছে।একটা মূহুর্তের জন্য আমার চোখের পাতা বন্ধ করতে পারি নি। এখানে আসা যেন সব থেকে বড় ভুল ছিল। আমাদের চারজনের মধ্যে সৌমেন ছিল তান্ত্রিক ।সে মন্ত্র পাঠ করে ঘর বন্ধ করলো ও আমাদের হাতে কিছু সুরক্ষা কবচ বেঁধে দিল তারপর কোন রকমে সকালের আলো ফুটতেই আমারা রওনা হলাম এই যাত্রাই সৌমেন ছিল বাঁচা না হলে প্রাণ নিয়ে আসা আমাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল।সারা জীবন মনে রয়ে যাবে এই দুঃসহ স্মৃতি।

Tuesday, February 25, 2020

অমর একুশে সংখ্যায় প্রকাশিত হলো আমার একটি লেখা