ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Thursday, June 28, 2018

বাংলায় প্রবাদ আছে
রথ দেখাও হবে আবার কলা বেঁচাও হবে
একসময় ছিল যখন রথযাত্রা জমিদারাই আয়োজন করতেন। কারণ এটি ছিল খুবই ব্যায় বহুল তাই যে কেউ চাইলে রথযাত্রা আয়োজন করতে পারতেন না।
রথযাত্রা কে ঘিরে বসতো জমজমাট মেলা নানা আয়োজনে মুখোরিত হতো উৎসব প্রাঙ্গণ।হরেক রকম পণ্যের পসরা বসত এই মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে যার পুরোটা জুড়ে ছিল নানা রকমের মন্ডামিঠাই এর দক্ষলে শুধু কি মন্ডা মিঠাই নানা রকমের ফল বা কম যায় কিসে আম থেকে শুরু করে কাঠাঁল সবই ওঠে এই মেলায় কেউ কেউ তো তার পণ্য নিয়েই মেলায় অংশ গ্রহন করে রথ দেখাও হয় সাথে সাথে কলা বেঁচাও হয়।নানা গ্রাম থেকে মানুষ আসে মেতে ওঠে এই আনন্দ আয়োজনে রাত নামলেই যাত্রাপালার আসর বসে আজ রামায়ণ তো কাল মহাভারত পালা।
রথেরদিন যত ঘনিয়ে আসে তত উৎসব মুখোর মানুষের আনাগোণাও বাড়তে থাকে।
প্রথা মতে কর্তা মাশাই রথের দড়ি টেনে রথ যাত্রা শুরু করেন তারপর রথযোগে জগন্নাথদেব তার মাসি বাড়ি যান।এবং সাত দিন পর উল্টো রথে তিনি আবার ফিরে আসেন।এই মেলা প্রায় পুরো মাস জুড়েয় হয় আর প্রত্যেক দিন হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে।তবে সময়ের সাথে সাথে সব বদলে গেছে এখন সেই জমিদারি প্রথাও আর নেই তবে রথযাত্রা জৌলুষ কোন অংশে কমে নি বরং বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে গেছে আর মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনাও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Tuesday, June 26, 2018

পেটুক
.,,.শুভজিত দত্ত.,,.
প্রতিদিন আহারে
থালা চায় সাজিয়ে
দেই মা তাহারে

বসে নিয়ে চেয়ারে
খানিক তাকিয়ে
দিল হাত বাটিতে

দেয় যত বটিতে
বাটি হয় খালি
দেখে মা খালি

কম হলে রেগে
দেয় সে কেঁদে
থামে নাকো সহসা

নানা পদ রাঁধতে
যায় মা হেসেলে
যায় হয়ে সন্ধ্যা

সহজে ভরে না
তাই লাগে বেশি
খায় পেট ভরে

এই নিয়ে হাসাহাসি
করে ওরা খালি
কি লাল তাতে

পেটুক বটে
ভাইটি আমার
মন খুব ভাল

Monday, June 18, 2018

কবিতা

জামাই ষষ্টী
.,.,.শুভজিত দত্ত.,.,
শ্বাশুড়ির ঘুম নেই
কাল পরশু ষষ্টী
বেজায় চিন্তায় নিয়ে
ওই ম্যেনু টা
সব শেষে ঠিক হল
কি হবে ম্যেনুটা
নতুন জামাই
বেজায় চিন্তায়
কতটা গিলবো
গন্ডায় পিন্ডায়
নানা পদ সাজিয়ে
দিল মা শ্বাশুড়ি
মা মেয়ে তাকিয়ে
দেখে ওই আহারে
কি ভাবে গিলছে
বেটা ওই জ্বামায়ে
লাভ নেই তাকিয়ে
সব শেষ বাটিতে
কাটা আর হার গুলো
তাও খাই জ্বামায়ে
শেষ মেষ কাত হয়ে
যায় বেটা ঘুমিয়ে
উঠে নিয়ে সন্ধ্যায়
কি আছে ম্যেনুতে
দরজায় খিল দিয়ে
লাঠি নিয়ে শ্বশুড়ে
অন্ন ধংস করে
ওই শালারে😁

Monday, June 11, 2018

বিশ্বকাপ কবিতা

বিশ্বকাপ
..........শুভ জিত দত্ত
উন্মাদোনায় সেরা সবার
জয় করে মনে
জাদুকারী ছোঁয়াতে
বল যায় গোলে
গ্যালারী আওয়াজে
মাঠ যায় ভরে
সব কাজ ফেলে
চল যায় মিছিলে
পাতাকা উড়িয়ে
দিলাম আকাশে
প্রত্যাশা পূরণে হবে
জানি মাঠেতে
এই নিয়ে মাতামাতি
চলছে বিশ্বকাপ
চায়ের দোকানে চলছে
বিতর্কের ফুলঝুরি
নানা রং নানা পোশাখে
চলছে সমর্থন
কাপ টা কে পাবে
এই নিয়ে মাঝে
মাঝে চলে হাতাহাতি
তবু অধরা রয়ে
যায় সোনালী সে কাপ

Saturday, May 26, 2018

স্মৃতির তরে
....শুভ জিত দত্ত....
মহাদালানের অট্টলিকা
রয়েছে অবিচল
পুরানো স্মৃতির পাতায়
ফিরিয়ে নেয় ক্ষাণিকক্ষণ
কত শত মানুষের মাঝে
হয়েছে মুখোরিত
এখন যেনো শুনশান
কেবলিই শুন্যতা
গুণীজনের পদচরণায়
হয়েছিল সরগরম
আজ এক মহাশুন্যতা
ঘিরে রয়েছে কেবল
নানা শালিশের সুরহা
হয়েছে কত বিচার
মকরষার জালে ছেয়েছে
দেওয়ালের চারিদিক
দেখে না কেউ চোখটি
মেলে দালানের গভীরতা
তবু বহমান এই
মহা শুন্যতার মাঝে
মাঝে মাঝে তাই ছুটে
আসা অট্টালিকার টানে
সময় পেলে ভবনাটাতে
একটু নিদ্রা জাপন
ঠাকুরদাদা বাহারী আসবাব
যেন তেমনই অমলীন

Thursday, May 24, 2018

অবহেলার মাঝে
........শুভ জিত দত্ত
হাসি গান আর খেলাধুলায়
কটে ওদের সময়
দুড়ন্তপানা আর দুষ্টুমিতে
ওরাই সবার সেরা
ধুলোই জড়ানো শরীর
ওদের কাটে ফুট পথে
কারো দয়া হলেই
জোটে দুমুটো খাবার
পড়াশুনার বালাই নেই
নেই কোন চাপ
অনাহারেও কাটে দিন
ওদের মাঝে মাঝে
নানা কাজে ওদের নিয়ে
টানা হেচড়া চলে
খারাপ পেশায় নামতে
হয় পেটের টানে
পথ শিশু নামে
ওরা বড় পরিচিত
অবহেলা আর অনাহারে
পার হয় বছর
তবু ওরা টিকে আছে
এই অচেনা শহরে

Thursday, February 22, 2018


Shubha Jit Datta


আমার লেখা ছোটদের জন্য ছোট্ট একটি গল্প
হায়নার বিচার
.......শুভ জিত দত্ত
বানরের মন খারাপ ।পথে দেখা শেয়ালের সাথে।শেয়াল বলল ,মন খারাপ কেন?
তখন উত্তরে বানর বলল, শেয়াল মামা মন টা খুব খারাপ। মাঝ বনে আমি আর আমার বৌ সুখের সংসার ।যত বার আমার ছেলে পুলে হয় ততবার ওই খারাপ হায়না টা খেয়ে নেয়।কি করা যায় বলো তো? বানর ভাইয়া আমি দেখছি দাঁড়াও ওকে কি ভাবে
টাইট দিতে হয়।একটু অপেক্ষা কর।এই না বলে শেয়াল মশাই চলল রাজার কাছে। রাজা মশাই এর কাছে সব বলল গুছিয়ে ।এই না শুনে রাজা মশাই ,ডাকলেন সেনাপতি ।
হাতি এসে হাজিরা দিলেন বলুন মহারাজ ।
রাজা মশাই রেগে গিয়ে বলল এখনি ধরে নিয়ে কত বড় ক্ষমতা ওর আমার রাজ্যে করে এই মহা অপরাধ। এই না শুনে সেনাপতি ছুটলেন বেটা হায়না কে ধরতে। শুড়ে করে ধরে এনে, হাজির করলেন মহারাজের সামনে ।বানর মশাইয়ের সামনে চলল শয়তান হায়নার বিচার।বনের প্রজারা চিৎকার করে চাইলো কঠিন বিচার।রাজা মশাই এর নির্দেশে হায়না কে বেঁধে গাছের সাথে বেঁধে চলে বেতরা ঘাঁত।
এক পর্যায়ে মারতে মারতে হায়না মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো।এই ভাবে বানর তার সঠিক বিচার পেল।খুশি মনে বানর মশাই গেল বাড়ি ফিরে।

Monday, February 19, 2018






শখের জমিদারী

-শুভ জিত দত্ত-

-উপেন চ্যাটার্জী তাদের চারপুরুষ ধরে জমিদারী ।কিন্তু 

-বর্তমানে সেই জমিদারী আর নেই তবুসেই হাবভাব চাল চলন আজো রয়ে গেছে।

-সেই পুরানো কাসা পিতলের বাসন গুলো সযত্নে ব্যবহার আর বাহারী পোশাখে তাদের জমিদারিত্ব টিকিয়ে রাখার একটা প্রয়াস মাত্র।

-সেপাই পেয়াদা তো সব চুলোয় গেছে নগেনই একমাত্র শেষ ভরসা তবে দিনশেষে গরগরা টা একটু দিলেই তার অনেকটা।

-উপেন এর দুই ছেলে এক বারেই বলদ সৌমেন আর সুলভ কোন কাজেই আসেনা বাবা, দেখ বাইরে কি হয়ে গেল দুই গরু কি করছেে এ আবার কি এমন হল।

-তোদের নিয়ে আরপারি না এতো বড় জমিদারিত্ব তারপর তোদের যতসব কুড়েমী।আমি কি এত সব করি বলতো।

-চল নগেন পূজোর বাজার সেরে আসি জমিদারি বাড়ির পূজো বলে কথা কোন কিছু তে যেন কমতি না থাকে।

-উপেন বাবুর এদিক নেই ওদিক আছে আরে আর কি বলব আমার তো মনে হয় তার মাথাটাই গেছে ।কেন রে আরে তার চাকরি টা চলে যওয়ার পর থেকে তার হাবভাব কেমন বদলে গেছে ।

-তাই তো দেখি আবার কেন জমিদারি নেশা চেপেছে তার মাথায় । কি দরকার বলতো এতো পরের সমালোচনা লাভ টা কি আছো তো বেশ ভাল কি এমন ক্ষতি করছে সে তোমায়।

-উপনে বাবু তার কাজের মাঝে খুব আনন্দ পান ।কে কি বলল কুছ পরোয়া নেহী।

-তিনি তার শখের জমিদারি নিয়ে আছে বড় মহা আনন্দে। নেই তার হাতি কিংবা ঘোড়া 

-তবু তার ভাঙরী গাড়ী কম কিসে। তাতেই দিব্বি চলছে তার শখের জমিদারী।

-আবার তিনি মানুষের মাঝে গিয়ে নেন খোঁজ খবর মন টা তার পাহার সমান। উপেন বাবু তাই সবার সেরা তিনি আবার বড় পূজোয় দেন কাঙাল ভোজন ।কত মানুষ আসে নানা গাম থেকে তার পুজো দেখতে।বাপ ঠাকুরদার মান রেখেছে বলতে হয়।মেলা বসে তার উঠান জুড়ে ।কত রকম বাহারী পণ্যের সমাহার তা কি দেখে শেষ করা যায়।

-চলে মাস ব্যাপী নানা আয়োজনে তাই মেতে ওঠে গ্রাম বাসী ।

-এই ভাবেই চলছে তার শখের জমিদারী শত সমালোচনার মুখে তার শখের জমিদারী কিন্তু থামে নি বরং সে চালিয়েছে আপন মনে।

-নেই না কারো থেকে একটি কানা কড়ি তার সম্বল টুকু দিয়েই মানুষের সেবা করে বিপদে এলে পাশে দাঁড়ায়।


Friday, December 1, 2017

তারুণ্যের বিজয়

............শুভ জিত দত্ত

সেদিন জেগেছিল ওরা
নেমেছিল রাজপথে
ভেঙেছিল যত পাথর বাঁধা
শক্ত কঠিন হাতে
বিঁধেছে বুলেট ঝড়েছে রক্ত
তবুও থামেনি একটি বার
দেশ মাতৃকার শপথ নিয়ে
ওরা লোড়েছে বারে বারে
ছিনিয়ে এনেছিল ওরা
এক টুকরো মানচিত্র
যেই স্বপ্ন লালিত ছিল
কোটি বাঙালীর প্রাণে
রাজপথ কম্পিত হয়েছিল
সেদিন ওদের বিজয় মিছিলে
ওদের বিজয় উল্লাস
অবাক চোখে দেখেছিল বিশ্ব
শত অন্যায় অবিচারের
বিরুদ্ধে ওরা নেমে আসুক রাজপথে
তারুণের এই মহা
উচ্ছাসে নেমে আসুক শুদ্ধতা
তারুণের জয় গান
ছড়িয়ে যাক দিকে দিকে
ওদের হাত ধরে সূচনা
হোক নতুন স্বাধীনতা

Friday, November 17, 2017

সর্বনাশা নেট
.......শুভ জিত দত্ত
রমরমিয়ে চলছে
যে নেটের দুনিয়া
হরেক রকম খবরে টাসা
এই মহা জগৎটা
নাওয়া খওয়া ভুলে
সব নেটেই মেতেই থাকে
সমাজিকতা উঠেই গেল
নেটের বাড়াবাড়িতে
কি জানি কি আছে
ওই মহাজগৎ টাতে
মুঠোফোন নামক বস্তু
পেয়ে সবাই মেতে থাকে
তবু বলি স্মাটফোনের
কল্যানে আজ
সব হচ্ছে স্মাট
তবু কোথায় ঘাটতির
মাত্রা যেন তরতরিয়ে বাড়ে
আড্ডা নামক বস্তু টি
আজ নেটের স্পর্শে
যাচ্ছে হারিয়ে
অনেক হল এবার থাম
মেতে হঠো আড্ডাতে

Friday, September 15, 2017

     শারদ উৎসব
......শুভ জিত দত্ত
শারদ মানে মহাউৎসবের
মহা মিলন মেলা
শারদ মানে নীল আকাশে
সাদা মেঘের ভেলা
শারদ মানে  মহাআনন্দে
কাটুক কটা দিন
বাঙালীআনা প্রামণ দিতে
কেউ যায় না কম
থিমে থিমে ঢেকে যায়
সবেকী আনার ঢং
বনেদীবাড়ি বারোয়ারি নানা
আয়োজনের মাঝে চলে
এই মহা প্রস্তুতি
ঢাকের কঠি পরলো
ওই বোধন শুরু হল
উৎসবে উল্লাসে মেতে
ওঠে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে
শারদ মানে কাশফুলে
কাশফুলে ছেয়ে থাকা প্রান্তর
শীউলী ফুলের গন্ধে
তাই ভরে ওঠে মন
শারদ উৎসব কাটুক
সবার আনন্দে হাসি গানে

Wednesday, August 30, 2017

তেমন পারি না তবু চেষ্টা করলাম যতটুকু পারি