অজানা কোলাহল
........ শুভ জিত দত্ত(ছোট গল্প)
অজয়পুর গ্রাম অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর। গ্রামের চারিদিকে সবুজের ছায়া ঘেরা। গ্রামের আকাশ যেন প্রকৃতির সাথে খেলা করে। গ্রামের শেষ প্রান্তে অজয়পুর স্টেশন আছে কিন্তু কোন ট্রেন থামে না। ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে একটু দেখায় গ্রাম টি খুব ভালো লেগে যায়। আমরা চারজন বন্ধুরা মিলে প্রত্যেক বছর শীতে কোথাও না কোথাও ঘুরতে বের হই। এবার আমার সিন্ধান্তে ঠিক হলো অজয়পুর গ্রাম যাওয়ার পরিকল্পনা। অজয়পুর গ্রাম সম্পর্কে আমাদের তেমন কিছুই জানা ছিল না।আমরা রওনা হলাম অজয়পুর গ্রামের উদ্দেশ্য আগের স্টেশনে নেমে ভ্যানের খোঁজ কিন্তু কোন ভ্যান যেতে রাজি হলো না আমরা অনেকটা পথ হেঁটেই পৌঁছালাম অজয়পুর গ্রামে। অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর গ্রামটিতে জনমানব শূন্য। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে অজয়পুর গ্রাম সম্পর্কে যতটুকু জানতে পারলাম শীউরে উঠার মতো। অজয়পুর গ্রামের জমিদার ছিলেন বসুদেব রায় চৌধুরী তার শাসনামলে সকলে অনেক সুখেই ছিল। কিন্তু কোন এক অজানা রোগে উজাড় হয়ে যায় গ্রাম যত দূর জানা যায় তার পর থেকে কেউ আর ঐ গ্রামে যায় না।আমরা চারজন বন্ধু কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে আর কিছু টা যাওয়ার পর জমিদার বাড়ি কাছে পৌঁছালাম। ভিতরটা এখন আগের মতো আছে শুধু মাকষার জালে ছেয়ে গেছে চারিদিক । সিন্ধান্ত নিলাম রাত টা এখানেই কাটাবো সাবাই একটু ফ্রেশ হয়ে বের হলাম গ্রাম টি ঘুরে দেখার জন্য । কিছু দূরে যাওয়ার পর কিছু টা শোরগোলের আওয়াজ কিন্তু কোথাও কেউ নেই।মনে হচ্ছে যেন গ্রাম টি আবার কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে। আমরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে জমিদার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সন্ধ্যা নামতেই জমিদার বাড়িতে কিছু অস্বাভাবিক কিছু হতে শুরু করল ।বাতি গুলো একা একা জ্বালে উঠলো জমিদার বাড়ির কিছু কান্নার শব্দ ভেসে আসছিল বাড়ে বাড়ে।বুঝতে পারছিলাম না রাতটা কিভাবে কাটাবো। চারজন বন্ধুরা মিলে একটা ঘর পরিষ্কার করে রাতে থাকার ব্যবস্থা করলাম কিন্তু কেউ মনে হচ্ছে আমাদের ঘরে প্রবেশ করছে আর বের হচ্ছে।একটা মূহুর্তের জন্য আমার চোখের পাতা বন্ধ করতে পারি নি। এখানে আসা যেন সব থেকে বড় ভুল ছিল। আমাদের চারজনের মধ্যে সৌমেন ছিল তান্ত্রিক ।সে মন্ত্র পাঠ করে ঘর বন্ধ করলো ও আমাদের হাতে কিছু সুরক্ষা কবচ বেঁধে দিল তারপর কোন রকমে সকালের আলো ফুটতেই আমারা রওনা হলাম এই যাত্রাই সৌমেন ছিল বাঁচা না হলে প্রাণ নিয়ে আসা আমাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল।সারা জীবন মনে রয়ে যাবে এই দুঃসহ স্মৃতি।
........ শুভ জিত দত্ত(ছোট গল্প)
অজয়পুর গ্রাম অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর। গ্রামের চারিদিকে সবুজের ছায়া ঘেরা। গ্রামের আকাশ যেন প্রকৃতির সাথে খেলা করে। গ্রামের শেষ প্রান্তে অজয়পুর স্টেশন আছে কিন্তু কোন ট্রেন থামে না। ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে একটু দেখায় গ্রাম টি খুব ভালো লেগে যায়। আমরা চারজন বন্ধুরা মিলে প্রত্যেক বছর শীতে কোথাও না কোথাও ঘুরতে বের হই। এবার আমার সিন্ধান্তে ঠিক হলো অজয়পুর গ্রাম যাওয়ার পরিকল্পনা। অজয়পুর গ্রাম সম্পর্কে আমাদের তেমন কিছুই জানা ছিল না।আমরা রওনা হলাম অজয়পুর গ্রামের উদ্দেশ্য আগের স্টেশনে নেমে ভ্যানের খোঁজ কিন্তু কোন ভ্যান যেতে রাজি হলো না আমরা অনেকটা পথ হেঁটেই পৌঁছালাম অজয়পুর গ্রামে। অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর গ্রামটিতে জনমানব শূন্য। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে অজয়পুর গ্রাম সম্পর্কে যতটুকু জানতে পারলাম শীউরে উঠার মতো। অজয়পুর গ্রামের জমিদার ছিলেন বসুদেব রায় চৌধুরী তার শাসনামলে সকলে অনেক সুখেই ছিল। কিন্তু কোন এক অজানা রোগে উজাড় হয়ে যায় গ্রাম যত দূর জানা যায় তার পর থেকে কেউ আর ঐ গ্রামে যায় না।আমরা চারজন বন্ধু কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে আর কিছু টা যাওয়ার পর জমিদার বাড়ি কাছে পৌঁছালাম। ভিতরটা এখন আগের মতো আছে শুধু মাকষার জালে ছেয়ে গেছে চারিদিক । সিন্ধান্ত নিলাম রাত টা এখানেই কাটাবো সাবাই একটু ফ্রেশ হয়ে বের হলাম গ্রাম টি ঘুরে দেখার জন্য । কিছু দূরে যাওয়ার পর কিছু টা শোরগোলের আওয়াজ কিন্তু কোথাও কেউ নেই।মনে হচ্ছে যেন গ্রাম টি আবার কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে। আমরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে জমিদার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সন্ধ্যা নামতেই জমিদার বাড়িতে কিছু অস্বাভাবিক কিছু হতে শুরু করল ।বাতি গুলো একা একা জ্বালে উঠলো জমিদার বাড়ির কিছু কান্নার শব্দ ভেসে আসছিল বাড়ে বাড়ে।বুঝতে পারছিলাম না রাতটা কিভাবে কাটাবো। চারজন বন্ধুরা মিলে একটা ঘর পরিষ্কার করে রাতে থাকার ব্যবস্থা করলাম কিন্তু কেউ মনে হচ্ছে আমাদের ঘরে প্রবেশ করছে আর বের হচ্ছে।একটা মূহুর্তের জন্য আমার চোখের পাতা বন্ধ করতে পারি নি। এখানে আসা যেন সব থেকে বড় ভুল ছিল। আমাদের চারজনের মধ্যে সৌমেন ছিল তান্ত্রিক ।সে মন্ত্র পাঠ করে ঘর বন্ধ করলো ও আমাদের হাতে কিছু সুরক্ষা কবচ বেঁধে দিল তারপর কোন রকমে সকালের আলো ফুটতেই আমারা রওনা হলাম এই যাত্রাই সৌমেন ছিল বাঁচা না হলে প্রাণ নিয়ে আসা আমাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল।সারা জীবন মনে রয়ে যাবে এই দুঃসহ স্মৃতি।