ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Monday, February 27, 2017

স্বার্থপর
টুম্পা দত্ত
সবাই বলে স্বার্থপর
তুইও বলিস আমি স্বার্থপর কেন বলিস বলতো
আমারে স্বার্থপর?
আমিতো সবাইরে খুব ভালবাসি সবাইয়ের মন রক্ষা করে চলি তবুও সবাই বলে আমি স্বার্থপর।
নিজের সব কষ্ট
মনের মধ্যে চেপে রেখে সবাইয়ের সামনে হাসিমুখে থাকি তাও সবাই বলে আমি স্বার্থপর। সবাইয়ের কথা হয়তো সহ্য হয় কিন্তু তুই যখন বলিস
আমি স্বার্থপর
তখন আর বাচতে ইচ্ছা করেনা তবুও আমি বেচে থাকবো
আর সবাই, এমনকি তোর কাছ থেকেও
সারা জীবন শুনবো আমি স্বার্থপর।।
বর্ণপরিচয়

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৫৫ সালে বংলা বর্ণমালা শিক্ষার পুস্তিকা প্রকাশ করেন।
গ্রন্থটি যে শুধু বিদ্যাসাগরের জীবৎকালেই সমাদৃত হয়েছিল তাই নয়, আজ গ্রন্থপ্রকাশের সার্ধ-শতবর্ষ পরেও এর জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র হ্রাস পায়নি।
দুই পয়সা মূল্যের এই ক্ষীণকায় পুস্তিকার প্রকাশ  বাংলার শিক্ষাজগতে ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা।
বিহারীলাল সরকারের রচনা থেকে জানা যায় মফস্বলে স্কুল পরিদর্শনে যাওয়ার সময় পালকিতে বসে পথেই বর্ণপরিচয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করেছিলেন বিদ্যাসাগর।
অবোধ্য-দুর্বোধ্য শব্দকদম্ব মুখস্থ করার পরিবর্তে শিশু পরিচিত শব্দ শিখছে ও স্বচ্ছন্দ বাংলা গদ্য রচনার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। এভাবে সহজ সাবলীল ও আধুনিক বাংলা গদ্যের পথ প্রশস্ত করে দিলেন বিদ্যাসাগর সব শিক্ষিত বাঙালির জন্য।
বইয়ের ষষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, সেই ১৫০ বছর আগেও বিদ্যাসাগর তাঁর শিশুতোষ রচনায় ধর্মীয় অনুষঙ্গ টানেননি। কাহিনীর সঙ্গে ধর্মের ও ধর্ম সংস্কারে সংস্রব নেই, জোর দিয়েছেন তিনি নীতিশিক্ষার ওপর, ভালোমন্দ বুঝে সচ্চরিত্র গঠনের ওপর। সদাসৎ বোঝানোর জন্য হয়তো একটু বেশিই ব্যগ্রতা প্রকাশ পেয়েছে, রবীন্দ্রনাথ যা নিয়ে মৃদু আপত্তিও করেছেন। সেকালের ধর্মসংস্কারের বাহূল্য, আড়ম্বর ও জবরদস্তির কথা ভাবলে শিশুপাঠ্য গ্রন্থে তাঁর এই ধর্মনিরপেক্ষ মানসের প্রতিফলন দেখে বিস্মিত ও আপ্লুত হতে হয়।বিদ্যাসাগর আধুনিক শিক্ষক-শিক্ষণেরও যেন পথিকৃৎ। তিনি পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের জন্য বেশ কিছু পরামর্শও লিখে গেছেন। বর্ণপরিচয়-এর দুটি ভাগেই বর্ণযোজনার নির্দেশিকা দিয়েছেন

Sunday, February 26, 2017

রহস্যের গর্ত
......শুভ জিত দত্ত
স্কুল টি ছিল বেশ কিছুটা দুরে বলতে গেলে গ্রামের শেষের দিকে বাড়ি ঘর তেমন একটা নেই চারিদিকে ঘন জঙ্গল দিনের বেলা যেতেই কেমন যেন গা টা ছমছম করে ওঠে কারো সাথে ছাড়া ওই দিকে কেউ ভুলে পা দেয় না তবু কাজের তাগিদে অনেকে ভয় কে জয় শহরে পারি জমাতো জঙ্গলের কিছুটা ভিতরে একটা পুরানো মন্দির সাথেই একটা বটগাছ বার বার চোখ আটকে যেত একটা অদ্ভুত বিষয় চোখে পড়তো বটগাছটির মাথার দিকে একটি গর্ত চোখে পড়তো সেখান থেকে মূলতো রহস্যে জন্ম স্কুলে যাওয়া পথে প্রতিদিন বন্দুদের সাথে আলোচনায় মূল বিষয় ছিল বট গাছের গর্ত টি ।কি আছে তার ভিতর কেন যেন ওখান টা যওয়ার সময় গা টা বড্ড ছমছম করে ওঠে দাদু বলতেন ওখানে ভুলেও যাবি না কেন তিনি বার বার নিষেধ করতেন কি এমন আছে তার ভিতর কি কারনে তার নিষেধঙ্গা কৌতুহল টা দিন দিন বাড়তেই থাকে আমি সৌমেন আর তরু মাঝে আমার তিন জন স্কুল ছুটির পর ওখানে মতলব করতাম কোন কারনে তা হয়ে ওঠতো না সেই দিন টা ছিল স্কুল ছুটির দিন বাড়িতে স্কুলে যওয়ার নাম করে আমরা তিন জন ওই গাছটির ওখানে যওয়ার সিন্ধান্ত নিলাম জঙ্গলের ওখানে পৌঁছাতেই দুর থেকে মন্দির আর গাছটি দেখা যাচ্ছে তখন শরীলের ভেতর কেমন যেন হচ্ছে তবু কিছুটা সাহস অর্জন করে চলতে শুরু করলাম কিছুটা যেতেই আচমকা কিছু কঙ্কালের হাড় চোখে পড়লো ভয়ের মাত্রা যেন আরো ও দিগুন হয়ে গেল
তবু এগোতে শুরু করলাম কে উঠবে ওঠবে এই নিয়ে আমাদের মাঝে রীতি মধ্যে ঝগড়া লেগে গেল শেষ পযন্ত সব থেকে সাহসী সৌমেন এগোতে শুরু করলো বাদুরের আচমকা আওয়াজে তরু হঠ্যাৎ করে  অঙ্গান হয়ে গেল গাছের কাছে যেতেই একটা মড় মড় শব্দ করে শব্দ টি বাশ বাগান থেকে আসছিলো বলে মনে হয় সৌমেন গাছের গর্তের কাছে যেতেই হতবাক হয়ে একটা ভয়ানক সাপ কিছু মুল্যবান সম্পদ পাহাড়া দিচ্ছে সেদিনের মথ ফিরে আসা এই কথাটি শুধু সৌমেনই জানতো কিছু দিন পর তাদের অবস্থা ফিরে যায় এবং তাদের এই অবস্থার ফিরে যওয়ার মূল কারন টি ওই গর্তটি টি ।এই গ্রামে তারাই এখন মস্তবড় ধনী।এই ছিল   বটগাছের গর্তের সত্যি কারের রহস্য টি।

Saturday, February 18, 2017

রাখলো না কথা
..................শুভ জিত দত্ত
বললাম বার বার যাস না
শুনলো না সে শুনলো না
রাখলো না আমার কথা
তোর তো বোনের বিয়ে
তবু  কি তোর হুশ নেই
আন্দোলনের ডাক এসেছে
আর কি থাকা যায়
মাগো কয়েক দিন কর অপেক্ষা
আবার আসবো ফিরে
তোমার উঠানের মাঝে
সেই যে গেলো খোকার
মুখ টা আর দেখা হল না
ওর আসার অপেক্ষার প্রহর
যেন আর শেষ হয় না
কেউ খবর টি ও দিল না
সে কোথায় আছে কেমন আছে
চোখের জলও শেষ হয়ে এসেছে

Tuesday, February 14, 2017


ভালবাসা
.........শুভ জিত দত্ত
ভালবাসা তুমি এসো না
যদিও এসো তবে খুব নিশ্চুপ
হয়ে নিঃশব্দে এসো
যেন কেউ টের টি না পায়
ভালবাসা তুমি যদি এসো
তবে ছেড়ে যেও না
বহু কাল বহু যুগ ধরে
থেকে যেও মোর পাশে
কঠোর কঠিন বন্ধনে
বেধে রেখ অকৃত্তিম মায়া জালে
সুযোগ দিও না কখন
বেড়িয়ে যওয়ার এই বন্ধন ছেড়ে
শত আঘাত শত কষ্টের
মাঝে রয়ে যেও চির নতুন হয়ে
ভালবাসা তুমি বার এসো
তবে সুখের পাখি হয়ে

Monday, February 6, 2017

চিত্তরঞ্জন সাহা তিনি ছিলেন একজন স্বনামধন্য একজন প্রকাশক এছাড়া তিনি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মূদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্পের বিকাশে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে স্মরণীয় হয়ে আছেন এবং তিনি ছিলেন বাংলা একাডেমী বই মেলার উদ্যোক্তা
১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় এক টুকরো চটের ওপর কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেন।

Sunday, February 5, 2017

ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত তিনি যেমন ছিলেন বলিষ্ঠ রাজনীবিদ ও সমাজকর্মী ,ভাষাসৈনিক ও একজন বিখ্যাত আইনজীবি ।তিনি প্রথম বাংলা ভাষার দাবী নিয়ে ১৯৪৮ সালের ২৫ আগস্ট পাকিস্তান গণপরিষদে অধিবেশনের সকল কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাতেও রাখার দাবি উত্থাপন করেন। তিনি পাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যাই বেশি এবং তারা বাঙালি, সেহেতু অবশ্যই বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের সকল কার্যাবলীর জন্য ব্যবহার করা উচিত এবং পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত। কিন্তু লিয়াকত আলী খান সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের ভিত্তিতে এই দাবী নাকচ করে দেন।

Friday, February 3, 2017

তার গল্প কেউ আজ আর শোনে না....
কলনীর ছোট ঘর টি কোন রকম চাটাই এর বেড়া দেওয়া চারিদিকে কোন রকমে তাদের এই ঘর টি তাদের একমাত্র সম্বল
বিট্রিশ প্রিয়োড থেকে রেল তার উপার্জনে একমাত্র পথ।ফেরী করে খাবার বিক্রি করে তার দিন টা কোন রকমে চলে যায় ।যেদিন তার শরীল টা পেরে ওঠে না সেদিন তাদের দুইজনকেই পুরো দিন টা উপোস থাকতে হয়
দেখতে কত দিন চলে গেল তবু এই দুই বুড়ো বুড়ি কে কেউ দেখতে আসে না
ছেলে টাও আর খোঁজ নেই না সে আছে মহা সুখে
সকাল হলেই তার বানানো খাবার নিয়ে ছুটে যওয়া এই বগি থেকে ওই বগি তবু একটু সময় পেলেই কারো সাথে গল্প করতে ইচ্ছে করে সেই পুরানো দিনের স্মৃতির কিছুটা আংশ বয়সের ভারে শরীল আর পেরে ওঠে না
যানি না এভাবে আর কদিন চলবে
জোটে না কোন ভাতা তবু সেদিন দাড়িয়ে ছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে এই খাবার নিয়ে সেদিন তাদের ক্ষুধা নিবারন করেছি কেউ মনে রাখেনি
তবু তোমাকে আমার এই দুঃখের দগদগে স্মৃতি গুলো শুনিয়ে নিজেকে বড্ড হালকা লগছে
কেউ তো আর তোমার মথ দু-দন্ড দাঁড়িয়ে আমার কথা গুলো শোনে না..................
.....শুভ জিত দত্ত