আমার আবৃত্তিতে শিশুতোষ কবি সুকুমার রায়ের লেখা হীতে বিপরীত কবিতা
Thursday, October 15, 2020
Wednesday, October 14, 2020
কবিতা আবৃত্তি
আমার আবৃত্তিতে শিশুতোষ কবি সুকুমার রায়ের লেখা অসম্ভব নয় কবিতা
Tuesday, October 13, 2020
কবিতা আবৃত্তি
আমার আবৃত্তিতে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা শিশুতোষ "হাট" কবিতা
Monday, October 12, 2020
কবিতা আবৃত্তি
আমার আবৃত্তিতে কবি সুকুমার রায়ের লেখা শিশুতোষ কবিতা গানের গুঁতো
Sunday, October 11, 2020
ছড়া কবিতা
"শখের ঘড়ি"
-শুভ জিত দত্ত
-
মিনাল বাবুর শখের ঘড়ি
সময় দেখে খাবেন বড়ি,
টাইম দেখে যাবেন হাটে
সবজি কিনে সময় কাটে।
সময় করে আনেন খড়ি
যত্ন করে রাখেন ঘড়ি,
ইচ্ছে হলেই দেখেন ঘড়ি
খেপায় তারে বলে হরি।
তাকে নিয়েই চড়েন গাড়ি
ঘড়ির আছে মুল্য ভারি,
তিনি আবার খাবেন খিরে
সময় দেখে বাড়ি ফিরে।
খাবার খাবে একটু চেখে
যখন তখন ঘড়ি দেখে,
চোখে মারেন জলের ফিকে
তাকিয়ে নিয়ে ঘড়ির দিকে।
কবিতা আবৃত্তি
আমার আবৃত্তিতে কবি সুকুমার রায়ের লেখা শিশুতোষ কবিতা সৎ পাত্র
Saturday, October 10, 2020
সাফল্যের গল্প
"সেখান থেকেই শুরু"
আমার পরিবারের ছোট মেয়ে আমি। আমাকে নিয়ে আমার মা বাবার অনেক স্বপ্ন ছিলো।মা বাবার আশা একটু বেশিই ছিলো।তাদের আশা আমি একদিন বড় এসি ল্যান্ড হবো। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলাম তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এর দিকে পরাশুনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক জগতে মেলে ধরার চেষ্টা করি নিজেকে।একে একে নানা সাফল্য আমার হাতে যখন ধরা দিতে শুরু করলো।মা বাবা আমাকে নিয়ে আরো বেশি গর্ব করতে শুরু করলো। বাবা ছিল আমাদের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।তার ছোট দোকান থেকে তিনি আমাদের পারিবারিক ও পড়াশোনার খরচ বহন করতেন। বাবার ঘাম ঝড়ানো উপার্জনের মুল্য দিতে দিন রাত এক করে নিজেকে তৈরি করতাম।এস এস সি ,এইস এস সি ও অনার্সের রেজাল্ট মা বাবাকে এতো টা আনন্দিত করেছিলো তখন শুধু মনে হচ্ছিল অনেক টা পৌঁছে গেছি সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে।তখন সাংস্কৃতিক জগতে আমার সাফল্যের ধারা অব্যাহত ছিল।তার ভর্তি হলাম মাষ্টার্সে সব কিছুই খুব ভালো চলছিল। দিদির বিয়ের পর মা বাবার কাছে আমি ছিলাম আশার প্রদীপ হয়ে। ঠিক কিছু দিনের মাথায় আমার জীবনে ঘনিয়ে আসলো একটা অন্ধকার রাত। হারাতে হলো যে আমার মাথার উপর ছায়ার মত ছিল। সবকিছু তখন অন্ধকার দেখতে শুরু করলাম। হঠাৎ করে এত বড় শূন্যতা কিভাবে পূরণ হবে বুঝতে পারছিলাম না। সময়ের প্রয়োজনে এবং আর্থিক চাহিদা মেটানোর তাগিদে হাল ধরতে হলো বাবার প্রতিষ্ঠানের। তখন আমি মেয়ে হয়ে হাল ধরলাম বাবার দোকানের। জানি হয়তো অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হবে।ধীরে ধীরে এগিয়ে নিলাম বাবার প্রতিষ্ঠান কে। বাবা চলে যাওয়ার ধাক্কাটা আমি মা কখনো বুঝতে দিয় নি। এবং সেখান থেকে শুরু হল আমার নতুন জীবনের গল্প। পড়াশোনা এবং পাশাপাশি বাবার দোকান এগিয়ে নিয়ে চললাম দু'টোকেই। প্রথম দিকে একটু সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তবে এখন সব মেয়েরা আমাকে নিয়ে অনেক গর্ব অনুভব করে।যখন আমার এই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প বিভিন্ন মানুষের মুখে মুখে ওঠে তখন নিজেকে নিয়ে সত্যিই খুব গর্ব অনুভব করি।এখন যেমন আমি আমার পরিবারের হাল ধরেছি ঠিক তেমনি এই প্রতিষ্ঠান থেকে আমার পড়াশোনার খরচ ও বহন করছে এবং জানি আমি পৌঁছে যাব ঠিকই সেই সাফল্যের দোরগোড়ায়। গর্ব করে বলতে পারি কোন মেয়েই একটি ছেলের থেকে কোন অংশেই কম হতে পারে না। আমি চাই আর পাঁচটা মেয়েও আমার মত ঘুরে দাঁড়াক আর রচনার হোক আরো এমন সাফল্যের গল্প।।
আমার আবৃত্তিতে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা লিচু চোর কবিতা সকলকে শোনার অনুরোধ জানাই
আমার আবৃত্তিতে কবি সুকুমার রায়ের লেখা ষোল আনাই মিছে কবিতা সকলকে শোনার অনুরোধ জানাই
Monday, October 5, 2020
ছোট গল্প
...................................
আমার যত দূর মনে আছে আমি তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। আমার স্কুলের প্রতি আমার একটা ভালো লাগা জন্মেছিলো। আমার স্কুলে যেতে খুব ভালো লাগতো।আর খুব মনযোগ সহকারে শিক্ষকদের কথা শুনতাম। পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলাম না।ঝড় বৃষ্টি যাই হোক আমি ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছে যেতাম।সেই জন্য শিক্ষকরা আমার খুব প্রশংসা করতো।সেদিন শিক্ষক সবার কথা শুনছিলো কে কি হতে চাই ,কে কি করতে ভালোবাসে ।সবাই তাদের ভালোলাগা ও ভবিষ্যৎ কি করতে চাই সে সব কথাই বলছিলো।তবে সব থেকে আলাদা ছিলো সৌমেন সে পশুপাখি খুব ভালোবাসতো তার এই পশুপাখির প্রতি এতো মমতা দেখে তার বাবা তাকে একটি ছাগলের বাচ্চা কিনে দেয়।তার কোন ভাই ছিলোনা সে ছাগল টিকে নিজের ভাইয়ের মতো ভালবাসতো। ভালবেসে ছাগলটির নাম দিয়েছিলো মিনি।সে তার চোখের এক মুহুর্তের জন্যও মিনি কে আড়াল হতে দিতো না ।তার বাবার গরুর খামার ছিলো তিনি যখন গরু গুলোর জন্য খাবার আনতেন সাথে মিনি জন্য আনতে ভুলতেন না।বাবা আসলে দৌড়ে গিয়ে খাবার গুলো নিয়ে ছুটে যেত মিনির কাছে।সে যখন স্কুলে যেত তখন সে একটা দড়িতে বেঁধে রেখে যেতো সে জেনো কোথাও হারিয়ে না যায়। সৌমেনের আদর স্নেহে সে ধীরে ধীরে বড় হতে শুরু করলো।তার বাবা ছিল একজন পশুর ব্যাপারী পাশাপাশি নিজের বাড়িতে পশু পালন করতেন। সৌমেন বেশির ভাগ সময় কাটতো মিনির সাথে।তাই তার প্রতি গভীর মায়া জন্মেছিল। তাকে ছেড়ে কোন আত্মীয় বাড়ি গিয়ে একদিনও থাকতে পারতো না।রাতে ঘুমানোর সময় তাকে এক ঘরে নিয়ে ঘুমাতো।তাকে নিজ হাতে স্নান করাতো সে।বাবার সাথে মাঠে গেলে তাকে সাথে নিয়ে যেতো দড়িতে বেঁধে রাখতো যাতে কোথাও চলে না যাই। বেশ বড় হয়ে গেছে মিনি অনেক লোক দেখতে আসতো তাকে। সৌমেন তখন বুঝতে পারি নি কেন দেখতে আসতো।
সেদিন শনিবার স্কুলে যেতে হবে।সেদিন সকাল থেকে সৌমেন এর মন কেন যেন খুব খারাপ।মিনি কে বেঁধে রেখে গেল একটু আদর করে।কেন যেন ক্লাসে তার ঠিক মন বসছে না ।স্কুল ছুটি শেষে সবাই যখন হৈ হুল্লোড় করতে করতে বাড়ি আসছিলো তখন তার মন কেন যেন খুব খারাপ লাগছিলো।বড়ি এসে দেখে মিনির গলার দড়িটা পড়ে আছে ।মিনি কে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।সৌমেন দড়ি টা নিয়ে দৌড়ে ছুটে গেল বাবার কাছে ।বাবা আমার মিনি কই?তোর মিনি কে ওরা নিয়ে গেছে আমি তোকে একটা নতুন বাচ্চা ছাগল কে এনে দেব।সৌমেন এর কান্না কেউ আর থামাতে পারেনা।সেদিন সে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করেনি।দড়ির দিকে তাকিয়ে বার বার কেঁদেছে।এখন খুব যত্নে রয়েছে সেই দড়িটা।দড়িটার দিকে তাকালে মনে পড়ে সেই মিনির কথা। শ্রেণী শিক্ষকও সৌমেনের কথা শুনে চোখেন জল আটকে রাখতে পারলেন না তার এই মিনির কথা শুনে।এখনো দড়িটা তার বিছানার পাশে বড় যত্নে আছে।।
Thursday, October 1, 2020
"সোনালী স্বদেশ"
শুভ জিত দত্ত
সোনা দিয়ে গড়া ও ভাই
এই আমাদের দেশ,
সবার সেরা জন্ম ভূমি
দেখতে লাগে বেশ।
আলো ছায়া দিয়ে সে তো
সবার করে লালন,
আগলে রাখে মাতৃ স্নেহে
করে মোদের পালন।
সবুজ শ্যামল প্রান্ত জোরা
রুপের ছটায় ভরা,
অতিথি পাখি মুগ্ধ হয়ে
দিলো এবার ধরা।
আকাশ দেখে ক্লান্তি গুলো
বিদায় যখন নেবে,
আমার এদেশ কতো মধুর
তখন দেখো ভেবে।
পাহাড় নদী ছেয়ে আছে
আমার দেশের পথে,
যেথায় সেথায় যেতেই পারো
চরে সোনার রথে।
Sunday, September 27, 2020
শীতের ছুটি
বেশ কয়েক মাস হলো বড় ছুটির খোঁজ নেই। বন্ধুরা সবাই মিলে আর খেলার সময় টুকু হয়ে ওঠে না।সারা দিন পড়ার চাপ তা ছাড়া বাবা মা আর শিক্ষকরা তো আছেই।সবার একটাই কথা প্রথম হতেই হবে। আমার কথা হলো সবাই যদি প্রথম হবে দ্বিতীয়টা কে হবে।এতো চাপ শেষে মাথাটাই না বিগরে যাই।যতো দূর শুনেছি এর ওর কাছে নামি দামি লোকরে নাকি বেশি পড়াশোনাও জানে না।তাহলে আমরাই বা কি করবো এতো পড়াশোনা করে।যদি একটু ঠিক খেলতেই না পারি।যাই হোক সামনে শীত কাল অনেক আইডিয়া ঘুরছে মাথায়। কতদিন পর সব বন্ধুরা মিলে আবার হৈ হুল্লোড় করবো ভাবতেই ভালো লাগে। স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নজর রাখতাম খেজুর গাছ গুলোর দিকে।
শীতের ছুটি পেলেই অভিযান শুরু করতে হবে।মাঝে মাঝে মনে হয় রসের হাঁড়ি গুলো আমার দিকে তাকিয়ে আছে।সবাই যখন শীতে কনকন করে কাঁপে আমরা বন্ধুরা তখন দাপাদাপি করি।তখন আর কে কি বললো মাথায় থাকে না।বাড়ি ফিরতে দেরি হলেই মা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে থাকতো চটাম চটাম করে পিঠে পড়তো।তার পরও ভালো লাগা বলতে এই যে সারাদিন দুষ্টুমি আর দিন শেষে মার খাওয়া পর কিন্তু রাতে মা ঠিকই বুকে জড়িয়ে ধরতো।গ্রামের দুষ্টু ছেলে বলতে আমরাই ছিলাম এমন কোন কাজ ছিল না যে আমার করি নি।আর ছুটি এলেই এভাবে কাটতো দিন গুলো আর পিকনিক তো ছিল সপ্তাহে একটা হয় খিচুড়ি না হয় ডিম ভাত।কন কনে শীতে পিকনিক বেশ জমতো আমাদের বাগানে ছোট্ট একটা হারিকেন নিয়ে। মাঝে মাঝে কেউ তো ভূত ভূত বলে চিৎকার করে উঠতো। খুব মজাদার ছিল সেই শীতের ছুটির দিন গুলো।।
Saturday, September 26, 2020
আমার সম্পাদনায় ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবনের প্রথম শরৎ সংখ্যা
Thursday, September 24, 2020
বৌমার জারিজুরি
-শুভ জিত দত্ত
বৌমা আমার সবার থেকে
একটু বেশি চালু,
ভাতের সাথে খাবে সেতো
কয়েক টুকরা আলু।
কথা বলে সবার থেকে
একটু বুঝে শুনে,
বুদ্ধি করে চলতে পারে
হিসাব করে গুনে।
সবার মুখে বৌমার নামে
সুনাম করে বলে,
বিচার করে বলতে পারে
দেখে শুনে চলে।
দেখতে শুনতে সবার সেরা
বলে আবার ওড়াই,
সময় পেলে বৌমা আমার
ঘুড়ি আবার উড়াই।
রান্না বান্না করে আবার
গানের গলা ভালোই,
বৌমা দেখতে ভালো কিন্তু
ছেলে আমার কালোই।
Sunday, September 20, 2020
"গল্পের ঝুলি"
শুভ জিত দত্ত
দাদুর আছে মস্ত বড়
গল্পের একটা ঝুলি,
সেখান থেকে তিনি শুধু
বলেন গল্পের বুলি।
আমরা কজন ঘিরে ধরে
দাদুর গল্প শুনি,
বিকলে হলে দাদুর আসার
সময় শুধু গুনি।
বিচিত্র কতো গল্প গুলো
আছে সেই ঝুলিতে,
শুনতে শুনতে গল্প গুলো
যেতাম সব ভুলিতে।
মায়ের হাতে জুটতো বকা
যখন যেতাম বাড়ি,
খেতে বসলে মায়ের স্বভাব
দিতো ভরে হাড়ি।
দাদুর কথা বলে পড়লে
বেশি করে যাবি,
মা বলতো দাদুর কাছে
আছে জ্ঞানের চাবি।