ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Thursday, November 30, 2023

প্রেমের কবিতা সম্পর্কের ফাটল

 কবিতা 

সম্পর্কের ফাটল

-শুভ জিত দত্ত


তোমার সাথে দেখা হঠাৎ চলতি পথে

কিন্তু কথা থেমে গেছে

দেখেও আজ না দেখার ভান করে চলা

এখন খুব যেন ব্যস্ততা 


আমার থেকে হুট করে কাজ যখন

খুব করে আপন হলো

ঘন্টা পর ঘন্টা কথা না বলে থাকা 

তার পর এরিয়ে চলা


একটা সময় না না অজুহাত কেবল

ডাল মেলা শুরু করে

তখন খুব চেনা মানুষ কে অবহেলা 

অভ্যাসে পরিণত হয়


ধীরে ধীরে আপন মানুষ কখন

যেন অচেনা হয়ে যায়

সেই অবহেলা থেকে ফাটল ধরে

খুব মধুর সম্পর্ক যেন।।








 

Wednesday, November 22, 2023

ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন: কবিতা পত্রিকা সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকা

ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন: কবিতা পত্রিকা সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকা:   ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবনের সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনায় শুভজিত দত্ত ।প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় আপন...

Friday, November 17, 2023

প্রেমের কবিতা

 কবিতা

প্রেমের কবিতা যা মনের ভালো তৈরি করে এ অন্য রকম অনুভুতি তৈরি করে । মনের অজান্তেই ভালো লাগা  মন্দ লাগা বহিঃপ্রকাশ ঘটে ভালো লাগা দিয়ে। ভালোবাসার কবিতা গুলো ফুটে ওটে তার সাথে চাওয়া পাওয়ার গল্প গুলো।


জন্ম জন্মের বন্ধন
কখনো দেখা হয়নি খুব কাছ থেকে তাকে
তার মুখ দেখেছি কোন এক ভিড়ের মাঝে
একটা বার তার কন্ঠ শুনেছি কোথায় যেন
সেই কন্ঠের প্রতিধ্বনি ভেসে আসে কানে

মুখ যেন তার সমুদ্র ঢেউ এর মতো উত্তাল
ঢেউ এর স্রোতে তাই নিজেকে মেলে ধরে
চোখ যেন আকাশ নীলা সাদা পেজা মেঘ
সেখানে সুযোগ পেলেই তারা ভীর জমায়

আমার কল্পনার দুয়ারে এখন শুধু সেই তার
অবাধ বিচরণ রাত দিনের তফাৎ নেই আর
ঘুম চলে গেছে নিরুদ্দেশে মনের অনুভূতি
গুলো আমার অজান্তে তোমাকে হারায়

এলোমেলো স্বপ্নের মধ্যে তুমি আবছায়া
ভাসা ভাসা চোখে এখনো দেখি তাকে
কোন জন্মের অকৃত্রিম বন্ধন ছিন্ন করে
হঠাৎ দেখাই এতো চেনা লাগে তোমাকে

আবার কবে চলতি পথে দেখা হবে তোমার
ঠিক সেদিনই বলবো আমার আজন্ম লালিত
কথা যা এতদিন লুকায়িত ছিল একজনের
জন্য যে এতো অপেক্ষা সেদিন বুঝবে তুমি।।





Saturday, November 4, 2023

প্রেমের কবিতা

 ধানের খেতে অচেনা মানুষ 

-শুভ জিত দত্ত


দেখেছি তোমাকে নতুন ধানের খেতে 

একগুচ্ছ ধানের শীষ ছিল হাতে

সারা গায়ে কাঁদা মেখে জীর্ণ চেহারায়

চেনা মুখ তবু চেনা যায় না তাতে

নেই কোনো ক্লান্তি নেই কোনো বিরতি

সবাই পাল্লা দিয়ে চাই তার সাথে

কখন সকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে

বাড়ি ফেরা সেই সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতে 

কাজের মাঝে সুযোগ বুঝে হাতটা ধুয়ে

তোমাকে খেতে দেখি পান্তা ভাতে

এত শত কাজ পুরোটা মাঠে পড়ে আছে

তবু কোনো রকম ছুটি নেই তাতে

দিন শেষে যখন‌ কাজ ফুরিয়ে আসে তোমার 

দেখার সুযোগ তখন‌ আমার হাতে।।

Wednesday, November 1, 2023

২০২৩ কবে অনুষ্ঠিত হবে কালী পূজা, দীপাবলি, ধনতেরাস,ভুত চতুর্দশী আর ভাইফোঁটা

 বাঙালির উৎসব বছর জুড়ে লেগেই থাকে, আর এই উৎসবের মুহূর্ত যেন মহালয়া থেকে শুরু হয়। পিতৃপক্ষের অবসান আর দেবী পক্ষের সূচনা এরই মধ্য দিয়ে বাঙালির অপেক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটে। দেখতে দেখতে দূর্গা পূজা শেষ হয়ে গেলেও শেষ হয় না উৎসবের আমেজ তারপর লক্ষ্মী পূজা থেকে আর এক পর্ব শুরু হলো দীপাবলি পাঁচ দিন ধরে উদযাপন হয়, এর পর ধনতেরাস থেকে শুরু হয়, তারপর ভূত চতুর্দশী, দীপাবলি, গোবর্ধন পুজো এবং ভাইফোঁটা। কালীপূজোর শুভ সময় হচ্ছে কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে এই সাথে সাথে চলে দীপা বলি প্রদীপ দানের মাধ্যমে অন্ধকার দূর করা হয় ।পিতৃপুরুষের শান্তি কামনা করা হয় কারণ এই দিন কিছু সময়ের জন্য স্বর্গে এর দ্বার খুলে যায়। যেহেতু ঘরে ঘরে দিক দান করা হয় তাই এই কালীপূজাকে দ্বীপান্বিতা কালীপূজাও বলা হয়ে থাকে। আর এই সময় লক্ষী পূজা করলে বিশেষ শুভ ফল লাভ হয়। দীপাবলিতে দীপ দানের আরেকটি কারণ হচ্ছে এই দিনে বা এই বিশেষ মুহূর্তে রামচন্দ্র রাবণকে পরাজিত করে সীতাকে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন। এই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ১২ ই নভেম্বর বাংলা ২৫শে কার্তিক রবিবার দীপান্বিতা কালী পূজা বা দীপাবলি অনুষ্ঠিত হবে এই দিনে আমাবস্যার অন্ধকার দূর করার জন্য দিকে দিকে আলোকসজ্জা ও প্রদীপ দানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। দীপান্বিতা কালীপূজার ঠিক দুই দিন আগে অর্থাৎ ১০ই নভেম্বর ধনতেরাস বা ধনত্রয়োদশী পড়েছে এবছর। আর ভূত চতুর্দশী পড়ছে এ বছর ১১ই নভেম্বর এই দিন ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে এবং চৌদ্দ শাক খাওয়ার বিধান আছে। প্রচলিত আছে যে এই মুহূর্তে চৌদ্দ পুরুষেরা আমাদের এই লোকে ফিরে আসে এবং আমরা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে চৌদ্দ প্রদীপ নিবেদন করি যাতে তারা স্বর্গের দ্বারে প্রবেশ করতে পারে। এবছর ভাইফোঁটা অর্থাৎ ভাতৃ দ্বিতীয়া পড়ছে ১৪ই নভেম্বর মঙ্গলবার এই দিনে বোনেরা ভাইদের মঙ্গল কামনায় একটি বিশেষ মঙ্গলটিকা প্রদানের জমির দয়ারে কাটা বিছিয়ে দেয় । এভাবে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে আবহমান কাল ধরে পরিবারের মঙ্গল কামনায় এই উৎসব ও পার্বণ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বলাই যায় যে সারাতে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটলেও উৎসবের শেষ হয় না।