অজানার পথে
শুভ জিত দত্ত
দেখতে দেখতে দশ টা বছর পার হয়ে গেল জন্মের বাবা মাকে ছেড়ে চলে গেল কোন অজানা স্থানে শত খোঁজা খুজির পরও বাবা আর খুঁজে পাওয়া গেল না।মা যেন চারিদিকে অন্ধকার দেখতে থাকে মামা যদি সেদিন পশে না দাঁড়াতো তাহলে হয়তো আমাদের পথে দাঁড়াতে হতো।দাদা কোন রকমে একটা চাকরী জোগাড় করে কদিন যেতেই মা আমাদের কাঁদিয়ে চলে গেল অজানার দেশে দাদার ভাড়া বাসায় ছাঁদে দাঁড়ালে দেখা যেত বস্তির মানুষের বাস্তব চিত্র কতনা কষ্টে কাটতো তাদের দিনগুলো সে তো গেল ওদের কথা বেকার বলে বৌদির কাছে অনেক কথা শুনতে হয়,মাঝে নিজেকে খুব অসহায় লাগতো,প্রতিদিন চাকরী খোজার জন্য বের হওয়া অতঃপর বাড়ি ফিরে আসা।দাদা তেমন কিছু না বললেও বৌদি খেতে বসলে খোঁটা দিত তিন বেলা দাদার অন্ন ধ্বংস করছে।এত এত ডিগ্রী অর্জন করলাম তার কি আজ কোন মুল্য নেই,দাদা কে না জানায়ে একটা দোকানে কোন রকমে একটা কাজ জুটালাম তার থেকে বৌদি সংসার খরচ বাবদ যা দিতাম তাতে বৌদি তেমন খুশি ছিল না,কদিন করে খুব অসুস্থ কাজে যেতে পারি না বিছানায় অচেতন হয়ে পড়ে আছি ডাক্তার তো দূরের কথা একটি বারের জন্য কেউ আমার খোঁজ টি নিল না বৌদি দরজা থেকে খাবার থালটি ছুড়ে দিত বিছানার দিকে,এই ভাবে কিছু দিন যাওয়ার পর হঠাৎ সুজয় সৌমেন কাকার ঘরে যায় শত শত ডাকাডাকির পরেও সৌমেন কাকার সাড়া পাওয়া গেল না,মা মা সৌমেন কাকার কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না আপদ টা গেছে তাহলে ,মৃতদেহ সামনে দাদা বৌদির লোক দেখানো কান্না হয়তো এই সমাজের একটি প্রতিছবি ।ভাগ্যের পরিহাসে ওই দিনই সৌমেন এর দাদা তার চাকরি টা হরায় ।এই ভাবে কত সৌমেন পারি জমাচ্ছে অজানার পথে তা হয় তো আমাদের সবারই অজানা।।
শুভ জিত দত্ত
দেখতে দেখতে দশ টা বছর পার হয়ে গেল জন্মের বাবা মাকে ছেড়ে চলে গেল কোন অজানা স্থানে শত খোঁজা খুজির পরও বাবা আর খুঁজে পাওয়া গেল না।মা যেন চারিদিকে অন্ধকার দেখতে থাকে মামা যদি সেদিন পশে না দাঁড়াতো তাহলে হয়তো আমাদের পথে দাঁড়াতে হতো।দাদা কোন রকমে একটা চাকরী জোগাড় করে কদিন যেতেই মা আমাদের কাঁদিয়ে চলে গেল অজানার দেশে দাদার ভাড়া বাসায় ছাঁদে দাঁড়ালে দেখা যেত বস্তির মানুষের বাস্তব চিত্র কতনা কষ্টে কাটতো তাদের দিনগুলো সে তো গেল ওদের কথা বেকার বলে বৌদির কাছে অনেক কথা শুনতে হয়,মাঝে নিজেকে খুব অসহায় লাগতো,প্রতিদিন চাকরী খোজার জন্য বের হওয়া অতঃপর বাড়ি ফিরে আসা।দাদা তেমন কিছু না বললেও বৌদি খেতে বসলে খোঁটা দিত তিন বেলা দাদার অন্ন ধ্বংস করছে।এত এত ডিগ্রী অর্জন করলাম তার কি আজ কোন মুল্য নেই,দাদা কে না জানায়ে একটা দোকানে কোন রকমে একটা কাজ জুটালাম তার থেকে বৌদি সংসার খরচ বাবদ যা দিতাম তাতে বৌদি তেমন খুশি ছিল না,কদিন করে খুব অসুস্থ কাজে যেতে পারি না বিছানায় অচেতন হয়ে পড়ে আছি ডাক্তার তো দূরের কথা একটি বারের জন্য কেউ আমার খোঁজ টি নিল না বৌদি দরজা থেকে খাবার থালটি ছুড়ে দিত বিছানার দিকে,এই ভাবে কিছু দিন যাওয়ার পর হঠাৎ সুজয় সৌমেন কাকার ঘরে যায় শত শত ডাকাডাকির পরেও সৌমেন কাকার সাড়া পাওয়া গেল না,মা মা সৌমেন কাকার কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না আপদ টা গেছে তাহলে ,মৃতদেহ সামনে দাদা বৌদির লোক দেখানো কান্না হয়তো এই সমাজের একটি প্রতিছবি ।ভাগ্যের পরিহাসে ওই দিনই সৌমেন এর দাদা তার চাকরি টা হরায় ।এই ভাবে কত সৌমেন পারি জমাচ্ছে অজানার পথে তা হয় তো আমাদের সবারই অজানা।।