Thursday, September 28, 2017
Friday, September 15, 2017
শারদ উৎসব
......শুভ জিত দত্ত
শারদ মানে মহাউৎসবের
মহা মিলন মেলা
শারদ মানে নীল আকাশে
সাদা মেঘের ভেলা
শারদ মানে মহাআনন্দে
কাটুক কটা দিন
বাঙালীআনা প্রামণ দিতে
কেউ যায় না কম
থিমে থিমে ঢেকে যায়
সবেকী আনার ঢং
বনেদীবাড়ি বারোয়ারি নানা
আয়োজনের মাঝে চলে
এই মহা প্রস্তুতি
ঢাকের কঠি পরলো
ওই বোধন শুরু হল
উৎসবে উল্লাসে মেতে
ওঠে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে
শারদ মানে কাশফুলে
কাশফুলে ছেয়ে থাকা প্রান্তর
শীউলী ফুলের গন্ধে
তাই ভরে ওঠে মন
শারদ উৎসব কাটুক
সবার আনন্দে হাসি গানে
......শুভ জিত দত্ত
শারদ মানে মহাউৎসবের
মহা মিলন মেলা
শারদ মানে নীল আকাশে
সাদা মেঘের ভেলা
শারদ মানে মহাআনন্দে
কাটুক কটা দিন
বাঙালীআনা প্রামণ দিতে
কেউ যায় না কম
থিমে থিমে ঢেকে যায়
সবেকী আনার ঢং
বনেদীবাড়ি বারোয়ারি নানা
আয়োজনের মাঝে চলে
এই মহা প্রস্তুতি
ঢাকের কঠি পরলো
ওই বোধন শুরু হল
উৎসবে উল্লাসে মেতে
ওঠে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে
শারদ মানে কাশফুলে
কাশফুলে ছেয়ে থাকা প্রান্তর
শীউলী ফুলের গন্ধে
তাই ভরে ওঠে মন
শারদ উৎসব কাটুক
সবার আনন্দে হাসি গানে
Thursday, August 17, 2017
Wednesday, August 16, 2017
সন্ধ্যা
শুভ জিত দত্ত
দেখতে দেখতে নামলো
সন্ধ্যা ,সময়ের ব্যাবধানে
জোনাকী ছোটাছোটি আর
কিচিমিচিরে হয় মুখোরিত
হয় গোটা সময়টা
দুরন্ত পাখিদের দল
যেন নীরব হয়ে আসে
সময়ের ব্যাবধানে
কর্মব্যাস্ত শহর যেন
মূহুর্তে শান্ত হয়ে আসে
এই বুঝি নেমে এল সন্ধ্যা
সূর্য ডুবে মূহুর্তের মাঝে
আধার নেমে আসে
খেটে খওয়া মানুষ গুলো
বাড়ি ফিরে আসে
সন্ধ্যার আমন্ত্রনে
নিভু নিভু বাতি
গুলো হঠ্যাৎ জ্বলে ওঠে
সন্ধ্যার আকাশের তারা গুলো
ফিক ফিক করে জ্বলে ওঠে
শুভ জিত দত্ত
দেখতে দেখতে নামলো
সন্ধ্যা ,সময়ের ব্যাবধানে
জোনাকী ছোটাছোটি আর
কিচিমিচিরে হয় মুখোরিত
হয় গোটা সময়টা
দুরন্ত পাখিদের দল
যেন নীরব হয়ে আসে
সময়ের ব্যাবধানে
কর্মব্যাস্ত শহর যেন
মূহুর্তে শান্ত হয়ে আসে
এই বুঝি নেমে এল সন্ধ্যা
সূর্য ডুবে মূহুর্তের মাঝে
আধার নেমে আসে
খেটে খওয়া মানুষ গুলো
বাড়ি ফিরে আসে
সন্ধ্যার আমন্ত্রনে
নিভু নিভু বাতি
গুলো হঠ্যাৎ জ্বলে ওঠে
সন্ধ্যার আকাশের তারা গুলো
ফিক ফিক করে জ্বলে ওঠে
Sunday, July 30, 2017
আমার ছোট গল্পোর ছদ্ম নাম সৌমেন
গল্পে কিছু হতাশা বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে
.....................
দুঃস্বপ্ন
...........শুভ জিতদত্ত
সৌমেন যেমন ভদ্র তেমনই নম্র।যে যখন ডাকে তখনই ছুটে যেত পরোপকারের মাঝে
সে অন্য রকম তৃপ্তি পেত।
তার বাড়িতে তার কোন মতেই মন বসতো না আজ এখানে কালে সেখানে
বাবা মা বড় দুশ্চিন্তার কারণ সৌমেন তাকে নিয়ে তাদের যত মাথা ব্যাথা
ছ্যারের হাতে মার খওয়ার ভয়ে ঠিক মথ স্কুলেও যায় না তবে সে শুধু পাড়াশুনায় একটু খারাপ তবে সে অভিনয় ও নাচ খুব ভাল পাড়তো পাড়ার যাত্রা পালায় সে অনেক বার ডাক পেয়েছে কিন্ত তার একটা হতাশা ছিল বার বার তাকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ হত
একমাত্র ছেলে হয়েও পরিবারের কোন দায়িত্ব কর্তব্য সে পালন করত না বাবা মা কাছে একপ্রকার বিরক্তিকর হয়ে উঠেছিল সে
তারপরও সেই কিছু বলত না যদি কিছু করে বসে
এই ভাবেই কাটছিল সৌমেন এর জীবন
তবে তার তেমন কোন উচ্চ আশা ছিল না
কখনো কখনো পার্শ্ব চরিত্র যে মূখ্য হয়ে উঠতে পারে সে কখনো ভাবে নি
কোন একদিন তার যাত্রা পালায় উপস্থিত ছিলেন তখন কার খ্যাতি চলচিত্র নির্মাতা সৌমেনের অভিনয়ের এক প্রকার মুগদ্ধ তিনি কত আবেগ তার ভিতর
তিনি তো সৌমেন একা পেয়ে বলেই বসলেন যাবে আমার সাথে তখন সৌমেন না বলে
বসলো সে তার প্রিয় গ্রাম ছেড়ে কোথাও যাবে না
তার ইচ্ছা ছিল নিজ গ্রামের জন্য কিছু করা তখনকার জমিদারের অনুমতি নিয়ে সে একটা অভিনয় শেখার টোল খুলে বসলো সে তেমন কিছু নিতো না কারো কাছ থেকে যে যা খুশি হয়ে দিতো তাতেই সে মহা খুশি
তার কাছে থেকে অভিনয় শিখে অনেকে বড় জয়গা পৌঁছে গেছে
তার প্রতিষ্ঠানে ক্ষ্যাতি আরো বাড়তে থাকে সেখান থেকে সে পৌঁছে যায় এক অন্য মাত্রায়।দুঃস্বপ্ন দুরে ঠেলে সে এখন বাবা মা নয়নের মণি তাকে নিয়ে তার বাবা মা বড় গর্ব হয়
এমনই কত সাফল্যের কাহিনী রয়ে যায় অজানা
গল্পে কিছু হতাশা বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে
.....................
দুঃস্বপ্ন
...........শুভ জিতদত্ত
সৌমেন যেমন ভদ্র তেমনই নম্র।যে যখন ডাকে তখনই ছুটে যেত পরোপকারের মাঝে
সে অন্য রকম তৃপ্তি পেত।
তার বাড়িতে তার কোন মতেই মন বসতো না আজ এখানে কালে সেখানে
বাবা মা বড় দুশ্চিন্তার কারণ সৌমেন তাকে নিয়ে তাদের যত মাথা ব্যাথা
ছ্যারের হাতে মার খওয়ার ভয়ে ঠিক মথ স্কুলেও যায় না তবে সে শুধু পাড়াশুনায় একটু খারাপ তবে সে অভিনয় ও নাচ খুব ভাল পাড়তো পাড়ার যাত্রা পালায় সে অনেক বার ডাক পেয়েছে কিন্ত তার একটা হতাশা ছিল বার বার তাকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ হত
একমাত্র ছেলে হয়েও পরিবারের কোন দায়িত্ব কর্তব্য সে পালন করত না বাবা মা কাছে একপ্রকার বিরক্তিকর হয়ে উঠেছিল সে
তারপরও সেই কিছু বলত না যদি কিছু করে বসে
এই ভাবেই কাটছিল সৌমেন এর জীবন
তবে তার তেমন কোন উচ্চ আশা ছিল না
কখনো কখনো পার্শ্ব চরিত্র যে মূখ্য হয়ে উঠতে পারে সে কখনো ভাবে নি
কোন একদিন তার যাত্রা পালায় উপস্থিত ছিলেন তখন কার খ্যাতি চলচিত্র নির্মাতা সৌমেনের অভিনয়ের এক প্রকার মুগদ্ধ তিনি কত আবেগ তার ভিতর
তিনি তো সৌমেন একা পেয়ে বলেই বসলেন যাবে আমার সাথে তখন সৌমেন না বলে
বসলো সে তার প্রিয় গ্রাম ছেড়ে কোথাও যাবে না
তার ইচ্ছা ছিল নিজ গ্রামের জন্য কিছু করা তখনকার জমিদারের অনুমতি নিয়ে সে একটা অভিনয় শেখার টোল খুলে বসলো সে তেমন কিছু নিতো না কারো কাছ থেকে যে যা খুশি হয়ে দিতো তাতেই সে মহা খুশি
তার কাছে থেকে অভিনয় শিখে অনেকে বড় জয়গা পৌঁছে গেছে
তার প্রতিষ্ঠানে ক্ষ্যাতি আরো বাড়তে থাকে সেখান থেকে সে পৌঁছে যায় এক অন্য মাত্রায়।দুঃস্বপ্ন দুরে ঠেলে সে এখন বাবা মা নয়নের মণি তাকে নিয়ে তার বাবা মা বড় গর্ব হয়
এমনই কত সাফল্যের কাহিনী রয়ে যায় অজানা
Saturday, July 22, 2017
দাদু
শুভ জিত দত্ত
বয়সের ভারে হলাম নত
শরীল চলে না
একটু চলতেই ব্যাথার
জ্বালায় হই কুপকাত
এই বয়স আসবে
সবার নাই বা করলি ঠাট্টা
একদিন আমিও ছিলাম
তোদের মথ দুরন্ত ছটফটে
আর তো এলি না
কত মজার মজার গল্প ছাড়া
লিখেছি তোদের জন্য
জানি না থাকবো ক দিন
তবু মাঝে মাঝে আসিস
বড্ড ভাল লাগে
দু দন্ড সময় কাটাতে পারি
ঠাকুমা গেছে আমি ও যাব
শেষ কটা দিন
তোদের সাথে করব অনেক মজা
Wednesday, June 14, 2017
দুই ভাই
"শুভ জিত দত্ত"
রুঘু কাকার দুই ছেলে
বেজায় দুষ্টু বটে
স্থির থাকে না কোন
মতে চঞ্চলতায় ভরা
এত মারের পরও তবু
হয় তাদের শিক্ষা
দুষ্টুমিতে কারো থেকে
কম যায় না এরা
পড়াশুনায় মন নেই
সারাদিন খেলা ধুলা
ওদের নিয়ে মহা যন্ত্রনায়
আছে কাকা কাকী
হুড়ো হুড়ি লাফালাফি
করেই চলে খালি
দুই ভাইয়ের মাথার
ভিতর দুষ্টুমিতে ভরা
তবে দিন শেষে এরা
আবার অবার বড্ড
ভাল ছেলে
"শুভ জিত দত্ত"
রুঘু কাকার দুই ছেলে
বেজায় দুষ্টু বটে
স্থির থাকে না কোন
মতে চঞ্চলতায় ভরা
এত মারের পরও তবু
হয় তাদের শিক্ষা
দুষ্টুমিতে কারো থেকে
কম যায় না এরা
পড়াশুনায় মন নেই
সারাদিন খেলা ধুলা
ওদের নিয়ে মহা যন্ত্রনায়
আছে কাকা কাকী
হুড়ো হুড়ি লাফালাফি
করেই চলে খালি
দুই ভাইয়ের মাথার
ভিতর দুষ্টুমিতে ভরা
তবে দিন শেষে এরা
আবার অবার বড্ড
ভাল ছেলে
Saturday, May 13, 2017
মা
শুভ জিত দত্ত
কোন এক পরশে মা গো
তুমি আগলে রাখ মোরে
তোমায় স্নেহ ডরে
কেন বার বার বাঁধা পরি
কি মধুর ডাক মা
বার বার ডাকতে ইচ্ছে করে
তোমায় কোলে মাথা রেখে
এখনো সপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে
তুমি ছিলে তাই বারে বার
অবদার করতে ইচ্ছে করে শত
তোমায় ছোঁয়া পেলে
মাগো শত কষ্ট গুলো
এক নিমিষে কোথায়
যেন যায় হারিয়ে
তোমার ছেড়ে কোথাও
একবিন্দু ও লাগে না একটু ভাল
তাই বার বার আসি মা গো
তোমায় আঁচল তলে
এই ভাবেই থেক তুমি
জনম জনম ভর
শুভ জিত দত্ত
কোন এক পরশে মা গো
তুমি আগলে রাখ মোরে
তোমায় স্নেহ ডরে
কেন বার বার বাঁধা পরি
কি মধুর ডাক মা
বার বার ডাকতে ইচ্ছে করে
তোমায় কোলে মাথা রেখে
এখনো সপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে
তুমি ছিলে তাই বারে বার
অবদার করতে ইচ্ছে করে শত
তোমায় ছোঁয়া পেলে
মাগো শত কষ্ট গুলো
এক নিমিষে কোথায়
যেন যায় হারিয়ে
তোমার ছেড়ে কোথাও
একবিন্দু ও লাগে না একটু ভাল
তাই বার বার আসি মা গো
তোমায় আঁচল তলে
এই ভাবেই থেক তুমি
জনম জনম ভর
Thursday, May 4, 2017
ঐতিয্যের টানে
শুভ জিত দত্ত
কোথায় যেন হারিয়েগেল
চিরচেনা ছন্দ গুলো
বার বার তার টানে
পিছন ফেরে যওয়া
গল্পের মথ লাগে যেন
সেই দিন গুলো
কত শত খেলার মাঝে
কাটতো সে সময় গুলো
পালা পার্বন গ্রাম্য
মেলা চলতো বছর জুড়ে
মেতে যেতাম তারই
মাঝে আনন্দে আত্মহারা
উৎসবে রং যেন তারি
মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে
গ্রম্য এতিয্য যেন
তারই মাঝে খুঁজে পওয়া
কত শত আচার
বিচার চলে এই গ্রামে
অদ্ভুত সব কান্ডকারখানা
দেখতে লাগে বেশ
শুভ জিত দত্ত
কোথায় যেন হারিয়েগেল
চিরচেনা ছন্দ গুলো
বার বার তার টানে
পিছন ফেরে যওয়া
গল্পের মথ লাগে যেন
সেই দিন গুলো
কত শত খেলার মাঝে
কাটতো সে সময় গুলো
পালা পার্বন গ্রাম্য
মেলা চলতো বছর জুড়ে
মেতে যেতাম তারই
মাঝে আনন্দে আত্মহারা
উৎসবে রং যেন তারি
মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে
গ্রম্য এতিয্য যেন
তারই মাঝে খুঁজে পওয়া
কত শত আচার
বিচার চলে এই গ্রামে
অদ্ভুত সব কান্ডকারখানা
দেখতে লাগে বেশ
Thursday, April 13, 2017
Monday, February 27, 2017
স্বার্থপর
টুম্পা দত্ত
সবাই বলে স্বার্থপর
তুইও বলিস আমি স্বার্থপর কেন বলিস বলতো
আমারে স্বার্থপর?
আমিতো সবাইরে খুব ভালবাসি সবাইয়ের মন রক্ষা করে চলি তবুও সবাই বলে আমি স্বার্থপর।
নিজের সব কষ্ট
মনের মধ্যে চেপে রেখে সবাইয়ের সামনে হাসিমুখে থাকি তাও সবাই বলে আমি স্বার্থপর। সবাইয়ের কথা হয়তো সহ্য হয় কিন্তু তুই যখন বলিস
আমি স্বার্থপর
তখন আর বাচতে ইচ্ছা করেনা তবুও আমি বেচে থাকবো
আর সবাই, এমনকি তোর কাছ থেকেও
সারা জীবন শুনবো আমি স্বার্থপর।।
টুম্পা দত্ত
সবাই বলে স্বার্থপর
তুইও বলিস আমি স্বার্থপর কেন বলিস বলতো
আমারে স্বার্থপর?
আমিতো সবাইরে খুব ভালবাসি সবাইয়ের মন রক্ষা করে চলি তবুও সবাই বলে আমি স্বার্থপর।
নিজের সব কষ্ট
মনের মধ্যে চেপে রেখে সবাইয়ের সামনে হাসিমুখে থাকি তাও সবাই বলে আমি স্বার্থপর। সবাইয়ের কথা হয়তো সহ্য হয় কিন্তু তুই যখন বলিস
আমি স্বার্থপর
তখন আর বাচতে ইচ্ছা করেনা তবুও আমি বেচে থাকবো
আর সবাই, এমনকি তোর কাছ থেকেও
সারা জীবন শুনবো আমি স্বার্থপর।।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৫৫ সালে বংলা বর্ণমালা শিক্ষার পুস্তিকা প্রকাশ করেন।
গ্রন্থটি যে শুধু বিদ্যাসাগরের জীবৎকালেই সমাদৃত হয়েছিল তাই নয়, আজ গ্রন্থপ্রকাশের সার্ধ-শতবর্ষ পরেও এর জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র হ্রাস পায়নি।
দুই পয়সা মূল্যের এই ক্ষীণকায় পুস্তিকার প্রকাশ বাংলার শিক্ষাজগতে ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা।
বিহারীলাল সরকারের রচনা থেকে জানা যায় মফস্বলে স্কুল পরিদর্শনে যাওয়ার সময় পালকিতে বসে পথেই বর্ণপরিচয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করেছিলেন বিদ্যাসাগর।
অবোধ্য-দুর্বোধ্য শব্দকদম্ব মুখস্থ করার পরিবর্তে শিশু পরিচিত শব্দ শিখছে ও স্বচ্ছন্দ বাংলা গদ্য রচনার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। এভাবে সহজ সাবলীল ও আধুনিক বাংলা গদ্যের পথ প্রশস্ত করে দিলেন বিদ্যাসাগর সব শিক্ষিত বাঙালির জন্য।
বইয়ের ষষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, সেই ১৫০ বছর আগেও বিদ্যাসাগর তাঁর শিশুতোষ রচনায় ধর্মীয় অনুষঙ্গ টানেননি। কাহিনীর সঙ্গে ধর্মের ও ধর্ম সংস্কারে সংস্রব নেই, জোর দিয়েছেন তিনি নীতিশিক্ষার ওপর, ভালোমন্দ বুঝে সচ্চরিত্র গঠনের ওপর। সদাসৎ বোঝানোর জন্য হয়তো একটু বেশিই ব্যগ্রতা প্রকাশ পেয়েছে, রবীন্দ্রনাথ যা নিয়ে মৃদু আপত্তিও করেছেন। সেকালের ধর্মসংস্কারের বাহূল্য, আড়ম্বর ও জবরদস্তির কথা ভাবলে শিশুপাঠ্য গ্রন্থে তাঁর এই ধর্মনিরপেক্ষ মানসের প্রতিফলন দেখে বিস্মিত ও আপ্লুত হতে হয়।বিদ্যাসাগর আধুনিক শিক্ষক-শিক্ষণেরও যেন পথিকৃৎ। তিনি পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের জন্য বেশ কিছু পরামর্শও লিখে গেছেন। বর্ণপরিচয়-এর দুটি ভাগেই বর্ণযোজনার নির্দেশিকা দিয়েছেন
Subscribe to:
Posts (Atom)