অজানা ভয়ের রহস্য
শুভ জিত দত্ত
আমাদের গ্রামের ঠিক শেষ প্রান্তে একটা প্রাচীন মন্দির। মন্দিরের সাথেই একটা বিশাল বট গাছ , এই গাছটির বয়স অনুমান করাটাই বেশ কঠিন ব্যাপার । মন্দিরের জায়গাটা বেশ নির্জন তেমন আশে পাশে কোনো বাড়ি ঘরও নেই। অনেক রকম ভংঙ্কর কাহিনী কাহিনী প্রচলিত আছে এই এলাকাটি নিয়ে, তাই সন্ধ্যার পর কেউ সেখানে তেমন যায় না।যাই হোক আমাদের গ্রামটা অনেক ভালো।সারাটা বছর জুড়ে প্রায় উৎসব লেগেই থাকে।আমাদের পাড়ায় আমাদের যে গ্রæপ আছে তার লিডার সৌমেনদা। এলাকায় তার বেশ অনেক সুনাম আছে।শীতের পিকনিক বা এদিক ওদিক যাওয়া থেকে শুরু করে সব কিছুতেই তার একটা বড় ভূমিকা ।সামনেই শীতের ছুটি অনেক দিন কোথাও যাওয়া হয় না ,বিকালে তনুর সাথে দেখা আমাকে বলল শুক্রবার স্কুল ছুটি আছে ওই দিন পিকনিকের মিটিং আছে ঠিক সময়ে চলে আসবি সৌমেনদা থাকবে কিš‘।যাই হোক আমাদের মিটিং শেষে সিন্ধান্ত হলো এবার ট্রেনে চেপে একটু দূরেই যাবো।সেই বার পিকনিক শেষে ফেরার পথে আনেক রাত হয়ে গেল ।ট্রেন থেকে নামতেই সব যেন শুনশান কোথাও কেউ নেই , তবে সৌমেনদার ছিল অঢেল সাহস।দাদা বলল চল যে করেই হোক আজ বাড়ি যাব ,যেই কথা সেই কাজ রওনা হলাম বাড়ির পথে।একটু যেতেই পথেই সেই মন্দির ভয়ে যেন পা সড়ে না।অনেক আওয়াজ আর আলো আসছিলো শুনে মন হ”িছল কারা যেন খুব জোরে জোরে হাসছে ।তনু তখন বলে উঠল ওখানে যেই আত্মা গুলো থাকে তাদের কাজ।সবাই সিন্ধান্ত নিল স্টেশনে ফিওে যাওয়ার।তখন সৌমেনদা বলে ওঠলো আজ আত্মাদের দেখেই বাড়ি ফিরব আমি জানতাম দাদা অনেক সাহসী নিষেধ করলাম তবুও শুনলো না।সৌমেনদা বলল আমার সাথে কেউ জাবি নাকি আমি আর রতন সাহস করে এগিয়ে গেলাম সৌমেনদার সাথে, ঠিক ঝোপের আড়ালে গিয়ে লুকিয়ে রইলাম কি আছে দেখার জন্য ।দেখি দশ থেকে বারো জনের একটা ডাকাত দল তারা সোনা ও টাকা পয়সা ভাগ করছে।আগেই বলে রাখা আমাদের গ্রামে বেশ কিছুদিন ধওে ডাকাতি হ”েছ। পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও ওদের ধরতে পারছে না। এদের ধরা বেশ কষ্ট সাধ্য ব্যাপার মূলত কখন যে এরা কোথায় থাকে বোঝা কঠিন ব্যাপার।এরা সাধারন মানুষের মত ঘুরে বেড়ায় এদিক ওদিক তাই পুলিশ সহজে আঁচ করতে পারে না।তবে আমাদের একটা কাজ অনেক সহজ হয়ে গেল।কাল কোথায় তারা ডাকাতি আগে থেকে খবর পেয়ে গেলাম ,কিš‘ এবার আমাদের কিছু করতে হবে।আমাদের পক্ষে এত বড় গ্রæপকে ধরা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ।সৌমেনদা একটা বুদ্ধি আসলো ওই গ্রামের মানুষদের কাছে আগে থেকে জানানো হলো পরিকল্পনা ।পরদিন ঠিক সন্ধ্যা থেকে আমাদের প্র¯‘তি শুরু হলো।তখন ঠিক রাত ১টা বাজে ওরা এসেই আগে কি যেন স্প্রে করল তার ঠিক আধা ঘন্টা পর তাদের অভিযান শুরু করল। লক্ষ্য করলাম বাড়ির কেউ টের পেল না ।ঠিক ওরা বেরিয়ে যাবে এমন সময় পরিকল্পনা মত সংকেত দিল। আমরা চারিদিক থেকে ওদের ধরে ফেললাম যে যেমন পারলো মারলো ওদের খুব । থানার বড় বাবু রমেন রায় কে খবর দেওয়া ছিল উনিও ঠিক সময় মতো চলে এলেন ধরে বেঁধে ওদের নিয়ে গেলেন।পরদিন বড়বাবু সৌমেনদার সাহসের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে আমাদের গ্রæপের সবাই পুরস্কৃত করলেন । এমন অনেক ঘটনা আছে আমাদের সাথে সৌমেনদার তিনি অনেক সাহসের সাথে সেগুলো মোকাবিলা করেছে।