ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকাপ্রত্যেক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।আপনার লেখা পাঠান : Shuvojitdutta12@gmail.com

Thursday, February 22, 2018


Shubha Jit Datta


আমার লেখা ছোটদের জন্য ছোট্ট একটি গল্প
হায়নার বিচার
.......শুভ জিত দত্ত
বানরের মন খারাপ ।পথে দেখা শেয়ালের সাথে।শেয়াল বলল ,মন খারাপ কেন?
তখন উত্তরে বানর বলল, শেয়াল মামা মন টা খুব খারাপ। মাঝ বনে আমি আর আমার বৌ সুখের সংসার ।যত বার আমার ছেলে পুলে হয় ততবার ওই খারাপ হায়না টা খেয়ে নেয়।কি করা যায় বলো তো? বানর ভাইয়া আমি দেখছি দাঁড়াও ওকে কি ভাবে
টাইট দিতে হয়।একটু অপেক্ষা কর।এই না বলে শেয়াল মশাই চলল রাজার কাছে। রাজা মশাই এর কাছে সব বলল গুছিয়ে ।এই না শুনে রাজা মশাই ,ডাকলেন সেনাপতি ।
হাতি এসে হাজিরা দিলেন বলুন মহারাজ ।
রাজা মশাই রেগে গিয়ে বলল এখনি ধরে নিয়ে কত বড় ক্ষমতা ওর আমার রাজ্যে করে এই মহা অপরাধ। এই না শুনে সেনাপতি ছুটলেন বেটা হায়না কে ধরতে। শুড়ে করে ধরে এনে, হাজির করলেন মহারাজের সামনে ।বানর মশাইয়ের সামনে চলল শয়তান হায়নার বিচার।বনের প্রজারা চিৎকার করে চাইলো কঠিন বিচার।রাজা মশাই এর নির্দেশে হায়না কে বেঁধে গাছের সাথে বেঁধে চলে বেতরা ঘাঁত।
এক পর্যায়ে মারতে মারতে হায়না মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো।এই ভাবে বানর তার সঠিক বিচার পেল।খুশি মনে বানর মশাই গেল বাড়ি ফিরে।

Monday, February 19, 2018






শখের জমিদারী

-শুভ জিত দত্ত-

-উপেন চ্যাটার্জী তাদের চারপুরুষ ধরে জমিদারী ।কিন্তু 

-বর্তমানে সেই জমিদারী আর নেই তবুসেই হাবভাব চাল চলন আজো রয়ে গেছে।

-সেই পুরানো কাসা পিতলের বাসন গুলো সযত্নে ব্যবহার আর বাহারী পোশাখে তাদের জমিদারিত্ব টিকিয়ে রাখার একটা প্রয়াস মাত্র।

-সেপাই পেয়াদা তো সব চুলোয় গেছে নগেনই একমাত্র শেষ ভরসা তবে দিনশেষে গরগরা টা একটু দিলেই তার অনেকটা।

-উপেন এর দুই ছেলে এক বারেই বলদ সৌমেন আর সুলভ কোন কাজেই আসেনা বাবা, দেখ বাইরে কি হয়ে গেল দুই গরু কি করছেে এ আবার কি এমন হল।

-তোদের নিয়ে আরপারি না এতো বড় জমিদারিত্ব তারপর তোদের যতসব কুড়েমী।আমি কি এত সব করি বলতো।

-চল নগেন পূজোর বাজার সেরে আসি জমিদারি বাড়ির পূজো বলে কথা কোন কিছু তে যেন কমতি না থাকে।

-উপেন বাবুর এদিক নেই ওদিক আছে আরে আর কি বলব আমার তো মনে হয় তার মাথাটাই গেছে ।কেন রে আরে তার চাকরি টা চলে যওয়ার পর থেকে তার হাবভাব কেমন বদলে গেছে ।

-তাই তো দেখি আবার কেন জমিদারি নেশা চেপেছে তার মাথায় । কি দরকার বলতো এতো পরের সমালোচনা লাভ টা কি আছো তো বেশ ভাল কি এমন ক্ষতি করছে সে তোমায়।

-উপনে বাবু তার কাজের মাঝে খুব আনন্দ পান ।কে কি বলল কুছ পরোয়া নেহী।

-তিনি তার শখের জমিদারি নিয়ে আছে বড় মহা আনন্দে। নেই তার হাতি কিংবা ঘোড়া 

-তবু তার ভাঙরী গাড়ী কম কিসে। তাতেই দিব্বি চলছে তার শখের জমিদারী।

-আবার তিনি মানুষের মাঝে গিয়ে নেন খোঁজ খবর মন টা তার পাহার সমান। উপেন বাবু তাই সবার সেরা তিনি আবার বড় পূজোয় দেন কাঙাল ভোজন ।কত মানুষ আসে নানা গাম থেকে তার পুজো দেখতে।বাপ ঠাকুরদার মান রেখেছে বলতে হয়।মেলা বসে তার উঠান জুড়ে ।কত রকম বাহারী পণ্যের সমাহার তা কি দেখে শেষ করা যায়।

-চলে মাস ব্যাপী নানা আয়োজনে তাই মেতে ওঠে গ্রাম বাসী ।

-এই ভাবেই চলছে তার শখের জমিদারী শত সমালোচনার মুখে তার শখের জমিদারী কিন্তু থামে নি বরং সে চালিয়েছে আপন মনে।

-নেই না কারো থেকে একটি কানা কড়ি তার সম্বল টুকু দিয়েই মানুষের সেবা করে বিপদে এলে পাশে দাঁড়ায়।


Friday, December 1, 2017

তারুণ্যের বিজয়

............শুভ জিত দত্ত

সেদিন জেগেছিল ওরা
নেমেছিল রাজপথে
ভেঙেছিল যত পাথর বাঁধা
শক্ত কঠিন হাতে
বিঁধেছে বুলেট ঝড়েছে রক্ত
তবুও থামেনি একটি বার
দেশ মাতৃকার শপথ নিয়ে
ওরা লোড়েছে বারে বারে
ছিনিয়ে এনেছিল ওরা
এক টুকরো মানচিত্র
যেই স্বপ্ন লালিত ছিল
কোটি বাঙালীর প্রাণে
রাজপথ কম্পিত হয়েছিল
সেদিন ওদের বিজয় মিছিলে
ওদের বিজয় উল্লাস
অবাক চোখে দেখেছিল বিশ্ব
শত অন্যায় অবিচারের
বিরুদ্ধে ওরা নেমে আসুক রাজপথে
তারুণের এই মহা
উচ্ছাসে নেমে আসুক শুদ্ধতা
তারুণের জয় গান
ছড়িয়ে যাক দিকে দিকে
ওদের হাত ধরে সূচনা
হোক নতুন স্বাধীনতা

Friday, November 17, 2017

সর্বনাশা নেট
.......শুভ জিত দত্ত
রমরমিয়ে চলছে
যে নেটের দুনিয়া
হরেক রকম খবরে টাসা
এই মহা জগৎটা
নাওয়া খওয়া ভুলে
সব নেটেই মেতেই থাকে
সমাজিকতা উঠেই গেল
নেটের বাড়াবাড়িতে
কি জানি কি আছে
ওই মহাজগৎ টাতে
মুঠোফোন নামক বস্তু
পেয়ে সবাই মেতে থাকে
তবু বলি স্মাটফোনের
কল্যানে আজ
সব হচ্ছে স্মাট
তবু কোথায় ঘাটতির
মাত্রা যেন তরতরিয়ে বাড়ে
আড্ডা নামক বস্তু টি
আজ নেটের স্পর্শে
যাচ্ছে হারিয়ে
অনেক হল এবার থাম
মেতে হঠো আড্ডাতে

Friday, September 15, 2017

     শারদ উৎসব
......শুভ জিত দত্ত
শারদ মানে মহাউৎসবের
মহা মিলন মেলা
শারদ মানে নীল আকাশে
সাদা মেঘের ভেলা
শারদ মানে  মহাআনন্দে
কাটুক কটা দিন
বাঙালীআনা প্রামণ দিতে
কেউ যায় না কম
থিমে থিমে ঢেকে যায়
সবেকী আনার ঢং
বনেদীবাড়ি বারোয়ারি নানা
আয়োজনের মাঝে চলে
এই মহা প্রস্তুতি
ঢাকের কঠি পরলো
ওই বোধন শুরু হল
উৎসবে উল্লাসে মেতে
ওঠে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে
শারদ মানে কাশফুলে
কাশফুলে ছেয়ে থাকা প্রান্তর
শীউলী ফুলের গন্ধে
তাই ভরে ওঠে মন
শারদ উৎসব কাটুক
সবার আনন্দে হাসি গানে

Wednesday, August 30, 2017

তেমন পারি না তবু চেষ্টা করলাম যতটুকু পারি

Friday, August 18, 2017

আমার প্রিয় মানুষ আমার দাদু
যানি না কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি আমার পেন্সিলে

Wednesday, August 16, 2017

সন্ধ্যা
শুভ জিত দত্ত

দেখতে দেখতে নামলো
সন্ধ্যা ,সময়ের ব্যাবধানে
জোনাকী ছোটাছোটি আর
কিচিমিচিরে হয় মুখোরিত
হয় গোটা সময়টা
দুরন্ত পাখিদের দল
যেন নীরব হয়ে আসে
সময়ের ব্যাবধানে
কর্মব্যাস্ত শহর যেন
মূহুর্তে শান্ত হয়ে আসে
এই বুঝি নেমে এল সন্ধ্যা
সূর্য ডুবে মূহুর্তের মাঝে
আধার নেমে আসে
খেটে খওয়া মানুষ গুলো
বাড়ি ফিরে আসে
সন্ধ্যার আমন্ত্রনে
নিভু নিভু বাতি
গুলো হঠ্যাৎ জ্বলে ওঠে
সন্ধ্যার আকাশের তারা গুলো
ফিক ফিক করে জ্বলে ওঠে

Sunday, July 30, 2017

আমার ছোট গল্পোর ছদ্ম নাম সৌমেন
গল্পে কিছু হতাশা বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে
.....................
দুঃস্বপ্ন
...........শুভ জিতদত্ত
সৌমেন যেমন ভদ্র তেমনই নম্র।যে যখন ডাকে তখনই ছুটে যেত পরোপকারের মাঝে
সে অন্য রকম তৃপ্তি পেত।
তার বাড়িতে তার কোন মতেই মন বসতো না আজ এখানে কালে সেখানে
বাবা মা বড় দুশ্চিন্তার কারণ সৌমেন তাকে নিয়ে তাদের যত মাথা ব্যাথা
ছ্যারের হাতে মার খওয়ার ভয়ে ঠিক মথ স্কুলেও যায় না তবে সে শুধু পাড়াশুনায় একটু খারাপ তবে সে অভিনয় ও নাচ খুব ভাল পাড়তো পাড়ার যাত্রা পালায় সে অনেক বার ডাক পেয়েছে কিন্ত তার একটা হতাশা ছিল বার বার তাকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ হত
একমাত্র ছেলে হয়েও পরিবারের কোন দায়িত্ব কর্তব্য সে পালন করত না বাবা মা কাছে একপ্রকার বিরক্তিকর হয়ে উঠেছিল সে
তারপরও সেই কিছু বলত না যদি কিছু করে বসে
এই ভাবেই কাটছিল সৌমেন এর জীবন
তবে তার তেমন কোন উচ্চ আশা ছিল না
কখনো কখনো পার্শ্ব চরিত্র যে মূখ্য হয়ে উঠতে পারে সে কখনো ভাবে নি
কোন একদিন তার যাত্রা পালায় উপস্থিত ছিলেন তখন কার খ্যাতি চলচিত্র নির্মাতা সৌমেনের অভিনয়ের এক প্রকার মুগদ্ধ তিনি কত আবেগ তার ভিতর
তিনি তো সৌমেন একা পেয়ে বলেই বসলেন যাবে আমার সাথে তখন সৌমেন না বলে
বসলো সে তার প্রিয় গ্রাম ছেড়ে কোথাও যাবে না
তার ইচ্ছা ছিল নিজ গ্রামের জন্য কিছু করা তখনকার জমিদারের অনুমতি নিয়ে সে একটা অভিনয় শেখার টোল খুলে বসলো সে তেমন কিছু নিতো না কারো কাছ থেকে যে যা খুশি হয়ে দিতো তাতেই সে মহা খুশি
তার কাছে থেকে অভিনয় শিখে অনেকে বড় জয়গা পৌঁছে গেছে
তার প্রতিষ্ঠানে ক্ষ্যাতি আরো বাড়তে থাকে সেখান থেকে সে পৌঁছে যায় এক অন্য মাত্রায়।দুঃস্বপ্ন দুরে ঠেলে সে এখন বাবা মা নয়নের মণি তাকে নিয়ে তার বাবা মা বড় গর্ব হয়
এমনই কত সাফল্যের কাহিনী রয়ে যায় অজানা

Saturday, July 22, 2017


দাদু
শুভ জিত দত্ত
বয়সের ভারে হলাম নত
শরীল চলে না
একটু চলতেই ব্যাথার
জ্বালায় হই কুপকাত
এই বয়স আসবে
সবার নাই বা করলি ঠাট্টা
একদিন আমিও ছিলাম
তোদের মথ দুরন্ত ছটফটে
আর তো এলি না
কত মজার মজার গল্প ছাড়া
লিখেছি তোদের জন্য
জানি না থাকবো ক দিন
তবু মাঝে মাঝে আসিস
বড্ড ভাল লাগে
দু দন্ড সময় কাটাতে পারি
ঠাকুমা গেছে আমি ও যাব
শেষ কটা দিন
তোদের সাথে করব অনেক মজা

Wednesday, June 14, 2017

দুই ভাই
"শুভ জিত দত্ত"
রুঘু কাকার দুই ছেলে
বেজায় দুষ্টু বটে
স্থির থাকে না কোন
মতে চঞ্চলতায় ভরা
এত মারের পরও তবু
হয় তাদের শিক্ষা
দুষ্টুমিতে কারো থেকে
কম যায় না এরা
পড়াশুনায় মন নেই
সারাদিন খেলা ধুলা
ওদের নিয়ে মহা যন্ত্রনায়
আছে কাকা কাকী
হুড়ো হুড়ি লাফালাফি
করেই চলে খালি
দুই ভাইয়ের মাথার
ভিতর দুষ্টুমিতে ভরা
তবে দিন শেষে এরা
আবার অবার বড্ড
 ভাল ছেলে

Saturday, May 13, 2017

মা
শুভ জিত দত্ত
কোন এক পরশে মা গো
তুমি আগলে রাখ মোরে
তোমায় স্নেহ ডরে
কেন বার বার বাঁধা পরি
কি মধুর ডাক মা
বার বার ডাকতে ইচ্ছে করে
তোমায় কোলে মাথা রেখে
এখনো সপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে
তুমি ছিলে তাই বারে বার
 অবদার করতে ইচ্ছে করে শত
তোমায় ছোঁয়া পেলে
মাগো শত কষ্ট গুলো
এক নিমিষে কোথায়
 যেন যায় হারিয়ে
তোমার ছেড়ে কোথাও
একবিন্দু ও লাগে না একটু  ভাল
তাই বার বার আসি মা গো
তোমায় আঁচল তলে
এই ভাবেই থেক তুমি
জনম জনম ভর